নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্‌সরা

যেখানে ঘর বাঁধবো আমি, আসে আসুক বান, তুমি যদি ভাসাও মোরে, চাইনে পরিত্রাণ!!

অপ্‌সরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে-১০

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪


এরপর একসাথে বাড়ি ফিরলাম না আমরা। প্রথমে ফিরলাম আমি আর তার অনেক পরে ফিরলো খোকাভাই, একেবারে সন্ধ্যা পেরিয়ে। প্রতিদিনই কলেজ থেকে বিকেলে বা দুপুরে বাড়ি ফিরি যখন তখন কোনো সমস্যাই থাকে না মানে নিশ্চিন্ত মনে ড্যাং ড্যাং করে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে সারা পাড়া কাঁপিয়ে ফিরলেও নো প্রবলেম অথচ আজ ফিরলাম চোরের মত, নিঃশব্দে নীরবে। তবুও কুল রক্ষা হলো না। বাড়ির দরজায় পা দিতেই বুক ধুকপুক ধড়াম ধুড়ুম শুরু হয়ে গিয়েছিলো। নিজের বুকের ভেতরের হাতুড়ির শব্দ নিজেই শুনছিলাম আমি। অবশ্য মা বা কেউই খেয়াল করলো না। দরজা খুলে দিলো ললিতা মাসী। আমি সামনের গেইট দিয়ে না ঢুকে খিড়কী দুয়ারে ঢুকেছিলাম যেন কারো চোখে না পড়ি। ললিতা মাসী দুপুরের ভাত ঘুম ভেঙ্গে এসে হাই উঠাতে উঠাতে দরজা খুলে দিলো। ভালো করে দেখলোও না আমাকে। দুপুরের পর ভাতঘুম থেকে উঠে এসে তার চোখ তখনও আধ বোঁজা।

হঠাৎ প্যাক প্যাক করে ছুটে এলো রাজহাঁসের দল। বাড়ির পেছনের খিড়কী দূয়ারের পাশেই আমাদের পুকুরে সারাদিনমান সাঁতরিয়ে বিকেলে এসে জল থেকে উঠে ওরা বাগানে ঝিমায়। সন্ধ্যার আগ দিয়ে ললিতা মাসীই তাদেরকে এই দূয়ার খুলে ভেতরে নিয়ে আসে। আজ হঠাৎ আগে ভাগেই দুয়ার খোলার শব্দ পেয়ে আর ললিতা মাসীর গলা শুনেই বুঝি তন্দ্রা ভেঙ্গে ছুটে এলো ওরা। হাতী যখন কাঁদায় পড়ে ব্যাঙও তাকে লাত্থি মারে নাকি অথবা অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়, মানে ঠিক কোন প্রবাদ প্রবচনটি এখানে খাঁটবে বলোতো জলদস্যু ভাইয়ামনি?

লিখতে গিয়ে কেনো এমন প্রবাদ প্রবচন মনে পড়ছে সেটা বলি, অমন শুনশান নীরব সন্ধ্যার আগেভাগে চুপচাপ লুকিয়ে বাড়ি ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এমনকি বাড়ির লোকজনও ঐ পড়ন্ত বিকেলে অনেকেই ঢিলেঢালা ও আমার দিকে কোনোরকম মনোযোগী না থাকা সত্ত্বেও কোত্থেকে যে উড়ে এসে জুড়ে বসলো সেই গগণ বিদারী হাঁক ডাক প্যাক প্যাক কোয়াক কোয়াক! সেই শব্দে ললিতা মাসীর আধবোজা চোখ পুরো খুলে গেলো। চরম বিরক্তিতে উনি গলা খেকিয়ে গালাগাল শুরু করলেন ঐ অবলা জীবদের উপর। "আ মর জ্বালা এই বিকেল বেলাতিই কি রকম গাঁক গাঁক করে চিল্লুচ্ছে হারামজাদাগুনু। ঝাঁটা দিয়ে পিটোয় তোদের ছাল ছাড়াবানে হারামজাদারা। বাড়িতে কি ডাকাত পড়িছে যে অমন চিলাচ্ছিস হাবাতের বাচ্চারা! রাশ রাশ খায় আর রাশ রাশ হাগে তবুও এদের শরম হয় না।" এত গালাগালেও ওরা কর্ণপাত না করে সেই প্যাক প্যাক কোয়াক কোয়াক রবে ললিতা মাসীর শাড়ির প্রান্ত ওদের ছুঁচালো ঠোট দিয়ে টেনে টেনে তাকে অস্থির করে তুলেছিলো।

অন্য সময় হলে ললিতা মাসীর এ হেন গালাগাল আর হাঁসেদের কর্মকান্ডে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতাম আমি কিন্তু আজ ভয়ে কাঁটা হয়ে গেলাম কারণ ললিতা মাসীর গালাগাল আর রাজহাঁসেদের ঐ সন্মিলিত চিল্লাচিল্লির সন্মেলনের শব্দে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন স্বয়ং মা জননী, আমার সেদিনের সাক্ষাৎ জম। আমার মুখে কি ছিলো জানিনা কিন্তু মায়ের মুখ নিমিষে অগ্নিবর্ণ ধারণ করলো। ললিতামাসীর গালাগাল, রাজহাসেদের সন্মিলিত সঙ্গীত সব ছাড়িয়ে মায়ের অগ্নি দৃষ্টির অগ্নিবাণ এসে পড়লো আমার উপরে।

মা চিরকাল দুপুরের ঘুম দিয়ে উঠে পাঁটভাঙ্গা শাড়ি পরতেন, কপালে লাল টকটকে বড় টিপ, মুখে ক্রিম পাউডার লাগিয়ে একেক দিন একেক ছাঁদে খোঁপা বাঁধতেন। খোঁপা বাঁধায় আজকাল বিউটিশিয়ানরা নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করে। সিল্কি চুল, কার্লি চুল ফ্রেঞ্চ বান, অনিয়ন বান, বাটারফ্লাই বান কত রকমের বান আর নান যে আছে কিন্তু আমাদের মায়েরা কখনও বিউটি পারলার যেতেন না। তারা বাড়িতেই ছিলেন একেকজন দক্ষ বিউটিশিয়ান। আমার ছোট চাচী তো আজকাল যে জট পাকিয়ে চুল পাফ করে বিউটি পারলার সেটাই জানতেন। আমি সে সব দেখে আমার ছেলেবেলা থেকে ও কৈশোর পেরিয়ে তরুনী হয়ে ওঠা বেলাতেও অবাক হতাম।

সারাদিন বাড়ির বউ এরা যে যত কাজ করুক বিকালবেলা পরিপাটি হয়ে থাকতে হবে এই ছিলো দাদীমার হুকুম। তাই সব চাচীরাই বিকেল হতেই সকলেই পরিপাটি হয়ে দাদীমাকে ঘিরে বসতেন। এক এক ছেলে বাড়ি ফিরতো এবং কেউ কেউ রাত করেও তবুও সকলেই প্রথমে দাদীমার সাথেই দেখা করে তারপর নিজেদের ঘরে ঢুকতেন। ও বাড়ির মেয়েদের কেশ পরিচর্যার এক আলাদা স্টাইল ছিলো। দাদীমা বাড়ির গাছের নারকেল পেড়ে সে সব টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে জ্বাল দিয়ে নিজেই বাড়িতে তেল বানাতেন। তাতে থাকতো মেথী, আমলকী নানা রকমের মহিলা কবরেজ আমার দাদীমারই কেরামতী। আর সেসব তেল ছাড়া বাজারের তেল মেয়েদের এমনকি ছেলেদের চুলে দেওয়া নিষেধ ছিলো। আজকাল তো ছেলেরা কেনো মেয়েরাও চুলে তেলই দেয় না। আমাদেরকে দিতে হত নিয়ম করে। বিকেলে বাড়ির সবগুলো মেয়েকেই বেঁধে দেওয়া হত নানা রকম বেনী। লম্বা বেনী, এক বেনী দুই বেনী এমনকি আমার খুব খুব পছন্দের কলাবেনীও। যাইহোক ঐ বাড়ির সকল মেয়েদের ঘন কালো সুন্দর চুলের রহস্যই আসলে ছিলো আমার দাদীমার ঐ তেলের কেরামতী।

চুলের কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো বন্দী টাওয়ারের র‌্যাপাঞ্জেলের কথা। তার জন্য আমার বিশেষ কষ্ট হত। যদিও কষ্টের পরে ঐ রাজকুমার যে চুল বেয়ে উঠে গেলো উঁচু টাওয়ারের চূড়োয় এবং রাজকন্যাকে উদ্ধার করলো সেই রোমাঞ্চকর ব্যপারটা ভেবে আনন্দিত হতাম আমি। ঠিক তেমনই কখনও কখনও কল্পনায় ভাসতাম। আমিও কি ছিলাম না আসলে অমনই এক বন্দী রাজকন্যা! যার ইচ্ছে অনিচ্ছের কানাকড়ি মূল্য না দিয়ে জোর করে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো বড়দের শাসন বারণ ইচ্ছে অনিচ্ছের বেড়াজালে!

যাইহোক এতক্ষনে নিশ্চয় সবাই ক্লান্ত হতে হতে অধীর হয়ে উঠেছেন নীরুর অগ্নিমূর্তি মা নীরুর পিঠে কয়টা তাল ফেললো না জানতে পেরে। না মা সেদিন কোনো তালই ফেলেননি। শুধু দাঁতে দাঁত চেপে হিসহিসিয়ে উঠলেন, এতক্ষণ কোথায় ছিলি? আমি আমতা আমতা করে কি বলেছিলাম সে কথা আমার নিজেরও আজ মনে নেই। তবে মায়ের চেহারা দেখে মনে হয়েছিলো তিনি আজ বাড়ি মাথায় তুলবেন। কিন্তু কিছুই করলেন না মা। একদম নীরব হয়ে রইলেন। ঝড়ের আগে সারা পৃথিবী যেমন শুনশান হয়ে যায় আমিও জানতাম মা চুপ হয়ে থাকার পাত্রী না। ঝড়টা তিনি জানিয়ে আনবেন না। অতর্কিত কালবোশেখীতে তছনছ করে দেবেন আমার জগৎ সংসারের সবকিছু।

আর ঠিক তাই হলো।
সে রাতে মা আমাকে কিছু বললেন না বটে এমনকি বাড়ির কাউকেই কিছু জানালেনও না কিন্তু আমি ঘুমিয়ে যাবার পরে আমার পড়ার টেবিল খাতা বই, ছবি আকার কাগজ পত্র কলম পেনসিলের বাক্স, কলেজের ব্যাগ ক্লিপ চুড়ি দুল মালার বাক্স, পুতুলের বাক্স যেখানে যা ছিলো সব লন্ডভন্ড করে ছাড়লেন। দাগী আসামীর আলামত সংগ্রহে তুখোড় গোয়েন্দা যেমন পাগল হয়ে ওঠে মারও ঠিক তেমনই অবস্থা হয়েছিলো সেদিন। কিন্তু আমার সকল একান্ত সম্পত্তি তছনছ করেও মা কোনো সুস্পষ্ট প্রমান পেলেন না যার জোরে উনি আমার পিঠে তাল নারকেল ফেলবেন। কিন্তু মায়ের কপালের চোখকে ফাঁকি দিলেও মনের চোখকে কিছুতেই ফাকি দেওয়া গেলো না। অবশ্য মা ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবতেও পারলেন না যে আমার সাহস এতটাই বাড়তে পারে যে আমি নদী পাড়ি দিয়ে ও পারের কোনো গাঁও গেরামে সারা দিনমান কাঁটিয়ে আসতে পারি কারো সাথে সকলের অজান্তে। আমাকে নিয়ে মা এতটাই উন্মাদ ছিলেন যে কেউ আমার একটু হাতও ধরেছে এ কথা ভাবলেও তাকে হয়ত খুন করে জেইলে যেতেন। কাজেই মা ঠিকই বুঝলেন আমি কিছু একটা অঘটন ঘটিয়েছি বটে কিন্তু প্রমানহীন ছায়ার সাথে কি করে লড়বেন উনি?

খোকাভাই ফিরেছিলো আরও অনেক পরে। সন্ধ্যা পেরিয়ে তখন ঘন কালো রাত। তাকে বিশেষ কেউ খেয়ালও করেনি। কিন্তু আমার সজাগ কানে তার খুট করে চলার শব্দও খুব সুক্ষ ছিলো আর তাই খোকাভাই যখন নীচের উঠোনে সাইকেল রাখলো আর তারপর অতি সন্তর্পণে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলো তখন তার খুব ক্ষীন পদশব্দটুকুও ঠিক ঠিকই বুঝেছিলাম আমি। তখন মনে হয় রাত প্রায় ১০টা। মায়ের ওমন থমথমে মুখ দেখে আমি বেশি কথা না বাড়িয়ে সুবোধ বালিকা হয়ে হাত মুখ ধুয়ে পড়ার টেবিলে বসেছিলাম। তারপর রাত একটু বাড়তেই রাতের খানাপিনা সেরে শুয়ে পড়েছিলাম। আসল উদ্দেশ্য সেদিনের সেই কিছুক্ষনের জন্য হলেও ঘর পালিয়ে বাঁধনহারা সেই সুমধুর লগনটুকুর স্মৃতির রেশ নিয়ে একটু স্মৃতি রোমন্থন করে আন্দোলিত হওয়া। সে সুযোগটুকু পর্যন্ত পাচ্ছিলাম না মায়ের রক্তচক্ষু শাসনের জ্বালায়।

তো লাইট নিবিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়তেই সারাদিনের সকল স্মৃতি হুড়মুড় করে নামলো আমার চোখের পাতায়। চোখ বুঁজে ভাবছিলাম আমি আজকের পুরো এপিসোডটা। খোকাভায়ের সাথে সেই মেঠোপথ ধরে সাইকেলে টুং টাং ভেসে যাওয়া। নৌকা করে ওপারের অজানায় গিয়ে ভেড়া অচেনা গাঁয়ের কথা। মাছরাঙ্গা কচুরীপানা লবঙ্গলতিকারা সব চলচ্চিত্র হয়ে ভাসছিলো আমার বন্ধ চোখের তারায় তারায়। সবশেষে প্রদীপদের বাড়ির ঐ মাটির ঘরে খোকাভায়ের সাথে কাঁটানো একান্ত কিছু মুহুর্ত। খোকাভায়ের বুকে মুখ গুঁজে নিশ্চিন্ত নির্ভার এক অজানা অচেনা পৃথিবীতে চলে যাওয়া। অনেকটা সময় ওভাবে ছিলাম আমরা। মনে হচ্ছিলো অনন্তকাল যদি এভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যেত, তবে আর চাইবার কিছুই ছিলো না। আহা যদি এমন হত এই পৃথিবীতে আর কোথাও কেউ নেই। কোনো ভয় নেই, হুমকী নেই, বাঁধা নেই, নেই কোনো শাসন, নেই কোনো রক্তচক্ষু হিম শীতল নিষেধের বেড়ি। এই নিশ্ছিদ্র নিরুপদ্রব পৃথিবীতে আমরা শুধুই দু'জন মানব মানবী।

আমি জানিনা ঐ জেইলখানার মত প্রহরায় থেকেও, অত শাসন বারণ বিধি নিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ থেকেও কি করে অমন সাহসী হয়েছিলাম আমরা সেদিন! আমাদের ঘাড়ে বুঝি ভূতই ভর করেছিলো। বিষম সাহসী সেই ভূত। তবুও সেই ভূতের কাছে কৃতজ্ঞ থাকি আমি। সেই বেষম সাহসী অজানা ভূত ভর না করলে কখনও কি জানা হত আমাদের অমন অজানা অচেনা বাঁধনহারা, আশ্চর্য্য মায়াবী এক মুক্ত পৃথিবীর স্বাদ! ক্ষনিকের জন্য হলেও যা পাওয়া হয়েছিলো আমাদের! সেই অবাধ, স্বাধীন, অসম্ভব এক প্রশান্তির পৃথিবীর স্ব্প্ন চোখে নিয়ে চোখ বুজি আমি। আমি ঘুমাই কিন্তু আমার স্বপ্নে জাগে সেই ছায়া সুশীতল মাটির বাড়িটির মধ্য দুপুর। ঝাঁকড়া চুলের এক পরম ভালোবাসার সদ্য তারুন্যের এক মায়াময় যুবক। সেই আলিঙ্গন সারা শরীরে জড়িয়ে এক অভূতপূর্ব মোহ এবং মায়ায় ডুবে যাই আমি।

জানিনা ঠিক তখন রাত কয়টা বেঁজেছিলো। হঠাৎ ঐ মফস্বল শহরের সূচীভেদ্য অমাবশ্যা রাত্রীর নিরবতা ভেঙ্গে শোনা গেলো একটি আর্ত কন্ঠের আর্তনাদ। ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠলাম আমি। সাথে সাথে শুনতে পেলাম উঠোনের মাঝে বাড়ির কাজের লোকজন থেকে শুরু করে সেজচাচা ছোটচাচা আরও কারো কারো পুরুষ কন্ঠের উত্তেজিত আওয়াজ! দাদুর গলায় শুনতে পেলাম বুঝি। দাদু বলছেন পুলিশে খবর দাও। কারা যেন বলছে দড়ি আনো। বাঁধো। এরই মধ্যে বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে চাচীমা দাদীমা সকলেই ঘুম ভেঙ্গে উঠে পড়েছে। সবাই জড়ো হয়েছে দাদীমার ঘরে। ভয়ে আমার পা চলছিলো না। গলা দিয়ে কথাও বের হচ্ছিলো না। আমি অনেক সাহস সঞ্চয় করে উঁকি দিলাম জানালা দিয়ে। দেখলাম উঠোনের মাঝ বরাবর যেই পেয়েরা গাছটা আছে ওর সাথে দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধা হয়েছে শুকনো লিকলিকে কালো মতন একটা লোককে। লোকটার চোখ দিয়ে জল পড়ছিলো। হাউ মাউ করে কি যেন সব বলছিলো। কাজের লোকেরা দু এক ঘা করে বসিয়েই যাচ্ছিলো।


বাড়ির ছেলেরা সবাই বের হলেও বাড়ির কোনো মেয়েরাই বের হলোনা ঘর থেকে। সবাই জেগে উঠেছিলো কিন্তু বাইরে বের হয়নি। ঘরের জানালা দরজা বা পর্দার ফাঁক দিয়ে হুমড়ি খেয়ে দেখছিলো। হঠাৎ খোকাভাইকে দেখলাম আমার জানালার পাশেই।এই হট্টগোলে মরা মানুষও জেগে উঠবে সে জানি কিন্তু খোকাভাই সহজে কখনও কারো ব্যপারেই মাথা গলায় না। তবে আজ নেমে এসেছিলো। আমি ফিসফিস করে ডাকলাম, এ্যাই খোকাভাই..... খোকাভাই জানতোনা আমি ঐ জানালার ধারে একাকী দাঁড়িয়ে। একটু অবাক হয়ে তাকালো এদিকে। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে আমাকে দেখা যাচ্ছিলো না হয়ত। কিন্তু উঠোনের আলো খোকাভায়ের উপরে অল্প এসে পড়ছিলো। খোকাভাই সরে এসে জানালায় আমার হাত ছুঁয়ে বললো, ভয় পাস না...... তারপর দূরে সরে গেলো।

১০ মিনিটের মাঝেই বোধ হয় পুলিশ এসে গেলো। এসেই মোটা রুলটা দিয়ে বেষম এক বাড়ি বসিয়ে দিলো ঐ লিকলিকে লোকটার পায়ে। দাদুভাই হাঁক ছেড়ে উঠলেন। না, ওকে এখানে মারবেন না। যা করার থানায় গিয়ে করেন। এখানে মারা যাবে না। দাদু বড়ই রাশভারী মানুষ ছিলেন আর তার গলাও ছিলো গমগমে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি হওয়ায় পুলিশ এই কথা শুনে কিছু আর বললেন না বোধ হয়। নিঃশব্দে চোরটার দড়ি খুলতে শুরু করলেন। দাদু ফিরে যেতে যেতে সেজচাচাকে বললেন, হীরন লোকটাকে কিছু খাবার দিতে বলো তোমার মাকে। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে পুলিশকে বললেন, আপনারা বসেন, চা দিতে বলছি। ঐ লোকটাকে খাবার পরে নিয়ে যাবেন আর বেশি মারধোরের দরকারও নেই। শরীরের অবস্থা দেখেছেন? কেনো মানুষ চুরি করতে আসে এইভাবে একবার ভেবেছেন?

সকলেই নিস্তব্ধ হয়ে রইলো। ললিতা মাসী এক থালা ভাত, ডাল, কুমড়ো বড়ি দিয়ে মাগুর মাছ এসব যা যা আমাদের রাতে খেয়ে অবশিষ্ঠ ছিলো তাই বুঝি এনে দিলেন। চোরটা এতক্ষন হাউ মাউ করছিলো। খাবার দেখে তার হাউ মাউ থামিয়ে অবাক চেয়ে রইলো! তার চোখ ঘুরছিলো এর ওর মুখ। সবাই তখন চুপ হয়ে ছিলো। উঠোনে দেওয়া জলচৌকির উপর থালা রেখে উঠোনের মাঝে বসেই গোগ্রাসে খেতে শুরু করলো লোকটা। একটু পর পর সে এক হাত দিয়ে চোখ মুছছিলো। তবুও খাওয়া থামাচ্ছিলো না। যেন শত বছরের অভুক্ত একজন মানুষ। শুধু মানুষই নয় সমাজের চোখে অপরাধী এক চোর সে। তারও ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে, তারও আবেগ আছে, দুঃখ বেদনা আর ভালোবাসাও আছে। শুধু নেই কোনো মান অপমান। আজ জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক সে। যার কান্নার মূল্য হয়ত নেই কারো কাছে কিন্তু সেই রাতে সকলেই দাদুর ঐ একটি বাক্যে চুপ হয়ে গিয়েছিলো। এক ঘৃন্য অপরাধীর দুঃখে হয়ত সকলেই সেদিন প্রাণ কেঁদেছিলো।

সেই রাতের কথা লিখতে গিয়ে আর সেই লোকটার কথা ভেবে আজও আমার চোখে পানি টলমল। চুয়াত্তর ভাইয়া হয়ত ভাববে এটা সত্যিকারের কোনো গরু চোরের গল্প নয় এটাও এক কল্পনার গরু !
সে যাই হোক। এত কিছু ঘটনার মধ্য দিয়েও কিন্তু মা একটাবারের জন্যও ভুললো না আমার ব্যপারটা। তার জীবনের তখন একটাই চাওয়া, একটাই এইম ইন লাইফ সেটা আমাকে বিয়ে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া এবং আমার অপরাধের মানে এই পাখনা বৃদ্ধির উচিৎ শিক্ষার ব্যবস্থা করা। আমাকে বিয়ে দিয়ে এই পাপিষ্ঠাকে দোযখ নরক থেকে উদ্ধার করার সাথে সাথে নিজেও একটু নিশ্চিন্ত হয়ে বসতে চেয়েছিলেন আর কি। আমি ভেবে পাইনা বিয়েই যদি আমার একমাত্র উদ্ধারের পথ হয় তবে কেনো তা আমার পছন্দে নয়? মা বাবার পছন্দেই হতে হবে? এটাও কি এক প্রকার খুন নয়? কি ক্ষতি হয় তাতে মায়েদের? হয়ত অনেকেই বলবে বিয়ের জন্য কখনই চালচুলোহীন পাত্র ভালো নয় তা ও বয়সে ছেলেমেয়েরা বুঝে না, বড়রা বুঝে তাই তারা একটা মেয়ের চাইতে দুগুনো বা তিনগুনো বয়সের স্বামীও ঘাড়ে গছিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না। কিন্তু হায় আজ যদি বাংলাদেশের মেয়েদের মনের দূয়ার খুলে খুলে দেখা যেত সেই দূয়ারের অন্তরালে প্রকাশিত হ্ত কতই না দুঃখ বেদনা অভিমান ও অপ্রাপ্তির ইতিহাস। কত হাহাকার, কত আকুলতা, কত ব্যকুলতা। নিজেদের ভালোলাগার ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে ভেসে যাওয়া হলো না তাদের। যেন তাতে সমাজ সংসারের বড় ক্ষতি হয়ে যায়। সারা সমাজ সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তাই নিজেদের মনকে খুন হতে দিতেও মুখ বুজে সয়ে গেলো তারা।

আগের পর্ব

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


শুধু দাঁতে দাঁত চেপে হিসহিসিয়ে উঠলেন, এতক্ষণ কোথায় ছিলি? আমি আমতা আমতা করে কি বলেছিলাম সে কথা আমার নিজেরও আজ মনে নেই।

এটা বিশ্বাস করিনা, বলতেই হবে আপু সেদিন কি আনসার দিয়েছিলা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: নীরু তো ভয়েই ভুলে গেছে......

মনে হয় বলেছিলো আসমানে ছিলাম না না পাতালে না না এই দিকে না না সেই দিকে .....

হা হা

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: যথারীতি ভালো হয়েছে। +

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!! :)

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হাতী যখন কাঁদায় পড়ে ব্যাঙও তাকে লাত্থি মারে নাকি অথবা অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়, মানে ঠিক কোন প্রবাদ প্রবচনটি এখানে খাঁটবে বলোতো জলদস্যু ভাইয়ামনি?
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত্রি হয়!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: একদম ঠিক ঠিক !!!


হা হা :P

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩২

কামাল৮০ বলেছেন: প্রেমে পড়লে মানুষ সাহসী হয়ে যায়।অতটা সাহসী হতে অবস্য দুষ্ট বুদ্ধির অধিকারী হতে হয়।কি সাহসরে বাবা।চেনা জানা কারো সামনে পরার ভয়ও নাই।
রাতে শুয়ে শুয়ে স্মৃতি রোমন্থন খুব বাস্তব সম্মত মনে হলো। চোর এসে সেই স্মৃতির ঘুম ঘুম ভাব নষ্ট করে দিলো।দাদুর মানবিক দিকটা প্রশংসনীয়।এমন লোক খুব কম দেখা যায়।
বিয়ে যদি দিতেই হয়,খোকা ভাইয়ের সাতে দিতে সমস্যা কি।কিন্তু মা বাবা এটা বোঝে না।সে দিনের সেই মেয়েও মা হয়ে সেটা বোঝে না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: প্রেমে পড়লে মানুষ সাহসী হয়ে যায়।অতটা সাহসী হতে অবস্য দুষ্ট বুদ্ধির অধিকারী হতে হয়।কি সাহসরে বাবা।চেনা জানা কারো সামনে পরার ভয়ও নাই।

ভাইয়া
চেনা জানা কারো সামনে পড়ার ভয় নেই সেই কথাটা ঐ বয়সের গাধা আর গাধী দুইটা বুঝেনি। চোর যেমন চুরি করার আগে বুঝেই না। কনফিডেন্টলি ধরেই নেয় সে ধরা পড়বে তেমন আর কি।

তারা ভেবেছিলো কেউ দেখেনি মানে উট পাখির মত হা হা হা তবে তাহা সত্য ছিলো না।

রাতে শুয়ে শুয়ে স্মৃতি রোমন্থন বাস্তবই তো হবেই। এতে অমত কার!!!

হ্যাঁ দাদুর ঐ কান্ডে সবাই অবাক। চোরকে কেউ আদর করে খাওয়ায়!!! এতো বাঁদরকে আদর দিয়ে মাথায় তোলা অবস্থা!!!

হুম কেউ বোঝে না মা বাবা সেদিন এদিন দূরদিন সুদিন কোনোদিনের বাবা মাই বুঝেন না!!! :(

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চোরের খাওয়ার অংশটুকুর জন্য +

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: ঐ ভাইয়া!! শুধু চোরের খাওয়ার অংশটুকুর জন্য !!!!!!!!!!!!!


আর বাকীটুকুর জন্য কি বিয়োগ গুন ভাগ লসাগু গসাগু আর কি কি কি ?

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আর কতো পর্ব?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: আরো ১০ মানে ২০ পর্বে সমাপ্ত ইনশাল্লাহ!!! :)

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পর্বটা। নিশি কুটুম্বের প্রতি দাদুভাইয়ের আচরণটা খুব ভালো লেগেছে। নীরু আগে জানলে সম্ভবত চোরের জন্য গরম ভাত তৈরি করে রাখত। চোরের গল্পটা মনে হয় কল্পনার গরু না সত্যিই মনে হচ্ছে।

নীরুর অভিসারের খবর মা কিভাবে আঁচ করতে পারলো এটা বোঝা যাচ্ছে না। সম্ভবত নীরুর আচরণের মধ্যে বা দৃষ্টির মধ্যে অপরাধবোধ ছিল।

নীরুর বিয়ে নিজের পছন্দে হল নাকি মায়ের পছন্দে হল এটা জানার জন্য সম্ভবত আরও অপেক্ষা করতে হবে। কোন বিয়ে ভালো এটা বলা মুশকিল। এত তাড়াতাড়ি নীরুর বিয়ে হয়ে গেলে খোকা ভাইয়ের কি হবে? :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এতক্ষন কোথায় ছিলে!!!

যাক এবারে কল্পনার গরু আকাশে উড়লেও কল্পনার গরুচোর মাটিতে নেমেছে। ওহ বলাই হয়নি চোরটা গরু চুরি করতে এসেছিলো। নীরুর দাদুবাড়ির খিড়কী দূয়ারের পিছন দিকে গরু হাঁস মুরগী ছাগল গাধা ভেড়া হা হা হা সবই ছিলো। :P


হ্যাঁ মা তো নীরুর চেহারা দেখেই নিশ্চিৎ নিশ্চয় কোনো অঘটন ঘটিয়েছে অঘটনঘটনপটিয়সীটা।

আমিও ভাবছি নীরুর বিয়েটা নিয়ে এখুনি বিয়ে দেবো নাকি আর একটু প্রেম করুক হতচ্ছাড়িটা। :)

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চোরের মন পুলিশ পুলিশ এরেই বলে রে ......
ললিতা মাসি তো মজার, উনার ডায়লগ সুন্দর হইছে।
ভাই মা জননীর এই কষ্ট তো আর নেয়া যাচ্ছে না !!! তবে এই যে বিকেলে পরিপাটি হয়ে থাকা, দারুণ খোঁপা , পাট ভাঙা শাড়ি ! আমার এই ব্যাপারগুলো অনেক ভালো লাগে।

তবে এই পর্বে সবচাইতে বেশি মনে লেগেছে চোরের পর্বের বর্ণনাটুকু। আহা ! কী যে মন খারাপ লাগছে। দাদুর মনের কোমলতা টুকু মন ছুঁয়ে গেলো।

দারুণ এক পর্ব।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!

তবে আসলেও সেই কথা লিখতে গিয়ে আমার কান্না এসে গেছিলো।

আর ললিতা মাসী তো জীবনের উপর সারাক্ষন বিরক্ত একজন মানুষ।

আর বিকেলে তো নীরুদের বাড়িতে ওমনই নিয়ম ছিলো।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে লগ ইন করে ল্যাপটপের সামনে ঝিমাই বা ঘুমাই। :) আমার বউ অবশ্য এতে রাগ হয়।

বিয়ের পরে স্বামী বা স্ত্রীর ঘটনা নিয়ে গল্প, কবিতা, উপন্যাস নাই বললেই চলে। সিনেমাগুলি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বিয়েতে গিয়ে শেষ। বিয়ের পরে কত কিছু করে সেগুলি রোমান্টিক হয় না। কিন্তু বিয়ের আগে প্রেমিকের হাত ধরা, বুকে মাথা গোজাই বিশাল রোমান্টিক ব্যাপার।

নীরুর বিয়ে এখন দিবেন না। বিয়ে দিলে ভালো হয়ে যাবে। নীরুকে নিয়ে খোকা ভাইয়ের এডভেঞ্চার চলুক। সাইকেল আর নৌকারটা খুব ভালো হয়েছে। খোকাভাইকে বলেন যে নীরুকে যেন হাতে ধরে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দেয়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা হাতে করে সাইকেল শিখাবে কি নীরু তো তার আগে থেকেই সাইকেল চালানো জানে। সেই ৩/৪ কেলাশ থেকেই। :)

তবে বাইক চালাতে শেখাতে পারে। কিন্তু সে নিজেই কই পাবে বাইক বলো? এক কাজ করলে হয় না খোকাকে লটারী পাইয়ে দেই। :)

কেনো চিলেকোঠার প্রেম তো বিয়ের পরেই হয়েছিলো!!!!!!!!!! সব ভুলে যাও তুমি। এমনি এমনি কি ভাবী রাগ করে?

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাশভারী, গমগমে গলার দাদাভাই এর অভ্যন্তরে যে একটা অতি কোমল হৃদয় ছিল, তার পরিচয় পেয়ে অভিভূত হ'লাম। খুব ভালো লাগল তার নির্দেশে ক্ষুধার্ত গরুচোরকে পুলিশের হাজতখানায় পাঠানোর আগে একজন সম্মানিত মেহমানের ন্যায় আপ্যায়ন করার দৃশ্যটি কল্পনা করে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: সেটা খুবই কষ্টের দৃশ্য ছিলো ভাইয়া।
ভাত খাওয়ালেও চোরকে ঠিকই পুলিশের বাড়ি যেতে হয়েছিলো কেনো?

ছেড়ে দিলে কি আরও ভালো হত না।

এই প্রশ্ন আছে আমার মনে।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই গল্পটা দরকার হলে ২০ পর্ব থেকে বাড়িয়ে দেন। নীরুর বিয়ে, শাদী, হাড়ি পাতিল, বাচ্চা-কাচ্চা, নাতি-পুতি পর্যন্ত নিয়ে গেলে ভালো হবে। খোকা ভাইয়ের সাথে দরকার হলে বুড়ো বয়সে মিল করে দিয়েন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: হায় হায় তার মানে তোমার মনে অভিসন্ধি খোকাভায়াকে ছ্যাক খাইয়ে আমি অন্য বাড়িতে নীরুকে বিয়ে দেই? তারপর হাড়ি পাতিল বাচ্চা কাচ্চা নাতি পুতি......


কেনো কবিতার আপার সংসারের গল্প পড়েও মন ভরলো না এখন নীরুকেও হাড়ি পাতিল বাচ্চা কাচ্চা!!!!!!!!!!!!


না না নীরুর বিয়েই দেবো না......

খোকাভায়ের সাথেই সে বুরা বয়স পর্যন্ত প্রেম করে যাক .....

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চোরটাকে আসলে পুলিশে না দিয়ে ভাত খাওয়ানোর পর একটা গরু বা অন্তত গরুর বাছুর সহ সম্মানের সাথে বিদায় দেয়া উচিত ছিল।

খোকা ভাইয়ের সাথে মধুর মিলন হলে তো আর রোমান্স থাকবে না। :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

অপ্‌সরা বলেছেন: ঠিক তাই।

ভাত খাইয়ে পুলিশে না দিয়ে একটা গরু দিলে আর কখনও কোথাও কোনো চোরই থাকতো না তারা হত আসল নিশিকুটুম্ব নামের সার্থকতা!!!

খোকাভাইয়ের সাথে এত হিংসা চলবে না !!!


কালকেই তাদেরকে বাড়ি থেকে পালানোর বুদ্ধি দিচ্ছি দাঁড়াও.......

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫০

একলব্য২১ বলেছেন: নতুন করে কিছু বলার নেই। আমার কথা পূর্বসূরিরা যথার্থভাবে বলে দিয়েছেন সব।

দুরু দুরু বুকে বাড়িতে ঢুকা, হাঁসেদের বর্ণনা, ললিতা মাসির উবাচ, নীরুর মা'র রুদ্র মূর্তি, চোরে বর্ণনা আর শেষে মেয়েদের জীবনের অব্যক্ত হাহাকার আকুলতা সব মিলিয়ে আরও একটা দারুণ পর্ব শেষ করলে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: কোনো পর্ব এমনকি শেষ পর্বেরও শেষ নেই আসলে।

শুধু সে সব লেখা হয় না। :(

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একলব্য সাহেব আপনি একদম সবার শেষে মন্তব্য করবেন। আপনার কমেন্ট পড়তে পড়তে ঘুমাতে পারি না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা গোফরান ভাইয়ু!!

এই লেখাটা লেখার কারনই কিন্তু একলব্য ভাইয়া। আর সাথে মিররমনিও ।

এই দু'জনের জন্যই আমি এই লেখাটা লিখেছি আসলে।

আর এ দু'জন অনেক অনেক কিছু জানতে চায়।

আমি সানন্দে উত্তর দেই।

এই অবস্থা শুধু এই নিকেই না আমার যতগুলো নিক আছে সবখানেই....

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের পরিবেশে মেয়েরা আরেকটা কাজ করে। সেটা হল বিকেল বেলায় লাইন ধরে বসে উকুন বাছে আর গল্প করে। :) তবে উকুন আমার খুব অপছন্দ। আমার ফুফুদের কারণে ছোটবেলায় মাথায় উকুন হয়েছিল একবার। আমার ছোট ফুফু একজন দক্ষ উকুন শিকারি ছিলেন। আমি আমার ফুফুর মাথায় বেণী বেঁধে দিতাম।

আপনার গল্পর কারণে অনেক কিছু মনে পড়ছে। :)

আপনার খোকা ভাইয়ের সংলাপ কম। আপনার সব গল্পেই মনে হয় নায়িকা বেশী কথা বলে আর নায়কের সংলাপ কম থাকে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০২

অপ্‌সরা বলেছেন: সবাই কি তোমার গল্পের মতন???

যেখানে তুমি নায়ক কথা বলবা আর ভাবিজী নায়িকা তোমার যন্ত্রনায় কথাই বলার সুযোগ পাবে না।

হি হি হি হি দেখো দেখো গোফরান ভাইয়া তোমাদের দু'জনের উপর রেগে গেছে। হা হা হা হা


যাইহোক শুনো আমার নায়কেরাও অনেক না হলেও একটু কম কথা বলে বটে তবে আমার নায়িকারা সব আমার মতন এতই কথা বলে যে নায়ক কথা বলার সুযোগই পায় না!!! :(


আর ভালো কথা তুমিও মনে করালে। উঁকুন নিয়েও নীরুদের বাড়িতে মহা ইতিহাস আছে। মানে কারো চুলে যদি কোনোদইন এখটা উঁকুন পাওয়া যেত তার চুলের সেদিন খবরই ছিলো।

হা হা হা একবার একটা কাজের মেয়ের চুলের উপর কি অত্যাচার হয়েছিলো বলবো কিনা ভাবছি। না বাবা শেষে কবর থেকে তুলে আনে যদি নীরুর দাদীমাকে নারী অধিকার কর্মীরা..... :P

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাচু ভাই ও একই।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: তুমি হঠাৎ আমার একলব্য ভাইয়ু আর সাচু ভাইয়ুর উপর খেপে উঠলে কেনো!!! #:-S


এদেরকে বলেছো বলেছো মিররমনিকে যেন ভুলেও বলতে যেও না।

তাইলেই হয়েছে কিন্তু আগেই বলে রাখলাম।

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিরোর এর কি কারণে মন খারাপ?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: সে উত্তর জানতে হলে আমার ৯ নং পর্বে যাই্তে হইবেক......

মিররমনির নিজের মুখেই উত্তর আছে তবে হ্যাঁ সেই পর্বের কমেন্ট পড়তে গেলে পড়তে পড়তে সকালও হতে পারে।

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খেপি নাই। ফান।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: ওহ তাই বলো!!

আমি ভাবলাম তুমি ওদের উপর বুঝি খেপে উঠলে হঠাৎ! হা হা

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭

একলব্য২১ বলেছেন: একলব্য সাহেব আপনি একদম সবার শেষে মন্তব্য করবেন।

Swear upon God আমি তো কমেন্টই করতে চাই না। কমেন্ট করতেও যোগ্যতা লাগে আর আমি আমার লিমিটেসন জানি। আমার জন্য সব থেকে ভাল হলো চুপচাপ পড়া। যেমনটা আপনার লেখার ক্ষেত্রে করি। কিন্তু শায়মা আপু ক্ষেত্রে যদি এই কাজ করি তবে উনি আমার টেংরি ভেঙ্গে দিবে। টেংরি ভেঙ্গে দিলে ছয়মাস বিছানায় পড়ে থাকতে হবে। :|

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১১

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ!

কারণ আমার কাছে তুমি সব থেকে যোগ্য আমার পোস্টের কমেন্টের জন্য!! :)

৬ মাস বিছানায় পড়ে থাকলে তো আমরা তোমাকে দেখতে সোজা বৈদেশ চলে যাবো!!

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৪

একলব্য২১ বলেছেন: প্রচ্ছদ সিলেকশন ভালো হয়েছে।

খুব হযবরল অবস্থায় আছি। শাকিব খান, রাত্রি, অপু, বুবলি, পূজা এই নাটকে শেষ কোথায়। মন জলদি জানতে চায়। কিন্তু ভাইজান তো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন, বুবলি সব বলবে বলে এখন খামুশ হয়ে আছে মাঝে মাঝে এফবিতে দুচারটে ছবি পোস্ট করছেন। এই নাটকে শেষ কোথায় জানতে মন চায়। এত সাসপেন্স ভাল লাগে না। :D :P

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: সময় থাকলে সব প্রচ্ছদ নিজেই আঁকতাম।

যাইহোক শাকিব বুবলী অপু এদের নিয়ে যা হচ্ছে তা পর্দার বাইরের নাটক। যা আসলে সবার জীবনেই হয় তবে তা কেউ জানে না।

প্রতিটা জীবন মানেই এক এক গল্প।


তুমি কি আর জানতে চাচ্ছো।

আমি জেনে গেছি।

কেউ বলেনি তবুও জেনেছি

বলবো?

২১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একলব্য পূজা ভালো মেয়ে। ও ক্যারিয়ার সচেতন ভং চং এ নেই। মেয়েটির ট্যালেন্ট আছে। ও ভালো করবে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ভালো ট্যালেন্ট এসব বড় কথা না।

বড় কথা হলো ঐ চাকচিক্য ও ক্ষনিকের মোহময় জগৎ আর পূজার বয়স তো তেমন বুদ্ধি করে খুব কঠিন শঠতা বা কুচক্রী বু্দ্ধি এড়িয়ে চলার জন্যও উপযুক্ত না।

আর ঐ রঙ্গিন জগত এমনই এক জগৎ আমার মনে হয় তা আর দ্শটা সাধারন মানুষের জগত থেকে কিছুটা আলাদা। একটু অবাস্তবের ঘোরে পড়ে মানুষ। তাই অনেক কিছুই উল্টা পাল্টা হয়ে যায়।

২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৪

একলব্য২১ বলেছেন: পূজা ভালো মেয়ে।

প্রথম আলোতে পূজার একটা সাক্ষাৎকার পড়লাম। আমারও তাই মনে হলো। সে শাকিবের খপ্পরে পড়বে না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: শাকিবের খপ্পরটা কেমন তা অপু বা বুবলী না বুঝলেও
এই দুই প্রকাশিত ঘটনার পরেও যদি কেউ না বুঝে ও স্বেচ্ছায় যা করবে তাই করে তাহলে তো কারো কিছু বলার নেই।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪০

একলব্য২১ বলেছেন: আমার মনে হয় বুবলি সাথে শাকিবের ডিভোর্স হয়নি।

আমি এইও ভাবছি আমি বা আমরা এই ব্যাপার নিয়ে এত উৎসুক কেন। আমাদের কি বিনোদনে আঁকাল যাচ্ছে।

তুমি যদি জানো তবে বল শায়মা আপু।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার মনে হয় ডিভোর্স হয়েছে এবং না হলেও হবে। কারণ পূজার বিরোধটা নিয়েই বুবলীর রাগ। ঠিক যেমন অপুর রাগটা ছিলো আসলে বুবলীর উপর।

আমার এই ব্যপার নিয়ে তেমন ভাবনা ছিলো না । কিন্তু তারা বিনোদনের লোক বলে আমরা দেখেছি।

আমার জানা মানে আমার দৃঢ় ধারনা।

শাকিবের মনস্তত্ব ও চরিত্রগত যে দিকটা আমার মনে হয়েছে সে একই বাক্য বলে সেই ২০ বছর বয়স থেকেই মেয়েদেরকে ভুলিয়েছে।

এবং আমি তার অভিনয় না দেখেও বুঝতে পেরেছি সে এতই ভালো অভিনেতা যেই অভিনয়ে এই মেয়েগুলো ভুলেছে এবং তার কথা মেনেও নিয়েছে। এই ব্যপারে তাকে পুরষ্কার দেওয়া যেতে পারে।

যাইহোক শাকিব বলেছে-

১। তুমি আমার জীবন তুমিই আমার একমাত্র মরণ। আমার উপর বিশ্বাস রাখা আর ........উপর বিশ্বাস রাখা একই। এটা এতই ভালো অভিনয়ে বলেছে যে সেই গরীব এক্সট্রা মেয়েটা সেও ভুলেছে হালের শিক্ষিত বুবলীও ভুলেছে। আমার বদ্ধমূল ধারনা সে ঐ মেয়েটাকেও বলেছিলো। যেন বাচ্চার কথা না বলে কারণ বাচ্চা আছে বা ম্যারিড জানলে তার নায়ক হিসাবে দাম থাকবে না তার স্বপ্ন ঝরে যাবে। ঐ মেয়েটা তাই মেনেছে।

২। এরপর অপু সাথেও একই কথাই বলেছে। তাই অপু সন্তানের কথা লুকিয়েছে এবং বুবলীর সাথে নতুন সম্পর্ক দেখার সাথে সাথে ভুল বুঝতে পেরে সামনে এসেছে।

৩। এরপর যখন বুবলীকেও একই কথাই বলেছে। তবে অপুকে দেখার পর বুবলী কেনো চুপ থাকলো এটাই অবাক আমি! অভিনয় কি এতই সুক্ষ যে বুবলী আরেক অভিনে্ত্রী হয়েও বুঝলো না!!


৪। পূজাকেও হয়ত বলেছে কিন্তু তাকে নিয়ে আমি ভাবিনি। তবে শুনেছি পূজার সাথে শাকিবকে ধরে ফেলেই সে ঐ ছবি দিয়েছে।


শাকিব স্মীকৃতি দিক বা না দিক বুবলীর সাথে তার বনবে না।

ভালো অভিনয় সিনেমায় চলে জীবনে তেমন চলে না।

আর পূজাও মনে হয় সাবধান হবে। না হলেও আমার কোনো দুঃখ নেই এটাও তার চয়েজ..... :)

২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাকিবের দোষ দিয়ে লাভ নাই। নায়িকা গুলো শয়তান আছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: নায়িকাগুলো শয়তান ও বোকা ...... শাকিবও শয়তান এবং বোকা ওকে??? :)

২৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপু@ পুজার সাথে সাকিবের প্রেম বা ফিজিকাল রিলেশন হয়নি। এটা সিউর। পুজার বি এফ অন্য কেউ। ও তাকেই বিয়ে করবে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: যাকে ইচ্ছা তাকে করুক আমার কি???

পূজাকে তো আমি চিনতামও না।

শাকিবের জন্যই চেনা হলো ....

২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভালো লাগলো। চোর ধরার গল্পটা একেবারেই অভাবনীয় ছিলো। বাড়ির মানুষগুলো দেখা যাচ্ছে বেশ মানবিক, যেটা খুব ভালো ব্যাপার।

আর উপরের ছবিটাও দূর্দান্ত। তোমারই আঁকা না কী?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: নীরুপমার দাদু অমনই ছিলো তো ভাইয়া।
না তারা উপরে উপরে মানবিক ছিলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে অমানবিক। বিশেষ করে মেয়েরা।


না না আমার আঁকা ছবি না ভাইয়া।

নেট থেকে নেওয়া .....

২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আসবানে-পরে...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

অপ্‌সরা বলেছেন: আসবানে যশোরের লোকেরা বলে।

তুমি কোন দেশী ভাইয়া?

২৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিদিনের ঘন্টার উপরে জার্নি! এই ফাঁকে পড়ে নিলাম।
কুমড়ো বড়ি দিয়ে মাগুর মাছ ~ আহ কতদিন খাইনা। আমারতো ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল!
শেষের সেই কষ্টের কথাগুলো শুধু মেয়েদের জন্যই প্রযোজ্য নয়- ছেলেদের জন্য একইভাবে খাটে।
ছেলেরা কবিতা সাহিত্য গল্পে বলে মন হালকা করে আর মেয়েদের কষ্টগুলো মনের চার দেয়ালে আটকে থেকে সারাজীবন গুমরে কাঁদে।

পরের পর্বের অপেক্ষায়!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা কুমড়ো বড়ি সে নীরুপমার দাদীমার হাতের মত কেউ পারে না....

হুম এইটুকু জীবনে কত শত যে বিঁধি নিষেধ.....

২৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর। চলতে থাকুক পাঠকপ্রিয় এই সিরিজ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!!! :)

৩০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি একটু পিছিয়ে পড়েছি। এক এক করে এগিয়ে আসছি....

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আসো আসো এগিয়ে আসো ভাইয়া। :)

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




সেটাই দেখছি, প্রেমের জন্য মানুষ কতো সাহসী হয়ে উঠে ।
যদিও চোরের মতো প্রবেশ । অপরাধবোধ থেকে মনে হয় চোর চোর লাগছিলো :)
ওই সময়ই হাঁসদের প্যাক প্যাক, বিষয়টা মজার ছিলো ।

আসলে এবয়সের মেয়েকে নিয়ে মায়ের টেনশন করাটা খুব স্বাভাবিক ।
বাসায় তৈরি করা তেল দেওয়ার বিষয়টা নতুন জানলাম ।
একান্ত নিভৃতে নিজের মনের সাথে যে ভাবনাগুলো, এর ভালোলাগা অন্যরকম ।

দাদুর এই আচরণটা ভালো লেগেছে । পুলিশের কাছে দেবার আগে তাকে খেতে দিয়েছে ।
ক্ষুধার্ত মানুষের এভাবে খাওয়া দেখলে আমারও মন কেমন করে আপু :(



০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা চোরের মত প্রবেশ করলেও দারোগার মত গাক গাক করে ছুটে আসলো রাজহাসগুলো!!!!!!!!!

হ্যাঁ আমিও আমার লাইফে নীরুদের বাসাতেই অমন তেল দেখেছি......

দাদুর আচরণ অবশ্য আনপ্রেডিক্টেবল ছিলো।

৩২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৩

একলব্য২১ বলেছেন: একটা প্রশ্নে করবো করবো বলে করা হচ্ছে না। আচ্ছা নীরুর মা এত কঠিন কেন। সব কিশোরীর মা তো এমন করে বলে শুনিনি। উনার মেজাজ এত তিরিক্ষি কেন। অন্য কোন কারণ আছে কি।

খোকাভাইই কি নীরুর প্রথম প্রেম। নাকি তার আগেও কার প্রতি ভাল লাগা ছিল নীরুর।

বরাবরের মত আবারও বলবো সব প্রশ্নের উওর দিতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেহ দেয়নি। :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৭

অপ্‌সরা বলেছেন: তখনকার দিনে অনেকেই হয়ত এমন ছিলেন। কিন্তু নীরুর মা আরও এক কাঁঠি উপরে ছিলেন। আমি জানিনা তার জীবনে কি ঘটনা ছিলো কিন্তু তার ধারণা ছিলো তার মেয়ে সব খানেই অনিরাপদ। তাই বাড়তি চিন্তা ও প্রহরা শুধু একটু না অনেক অনেক বেশি করে ফেলতেন। তবে লাভ নেই.... কাউকেই ওভাবে আটকানো যায়না।

খোকাভাইও নীরুর প্রেম কিনা কে জানে? নীরু এমনিতেই একটু পন্ডিৎ ছিলো আর কি। এক্সপেরিমেন্টাল এবং ক্রিয়েটিভ হা হা


আমার সব চেয়ে হাসি লাগে একেক গল্প পড়ে তোমার মাথায় এত প্রশ্ন আসে!!!!!!

হা হা হা নো প্রবলেম সহজ কথা যায় না বলা সহজে.... আমি সহজ কঠিন সবই সহজেই বলতে পারি.....

৩৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

একলব্য২১ বলেছেন: নীরুর এক্সপেরিমেন্টাল প্রেম না আবার খোকাভাই আর তার মাকে আশ্রয়হীন করে। এই ভয়টা আমার মধ্যে কাজ করছে। X((

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা নীরুর জন্য আশ্রয় হারাবে কেনো?

হারালে নীরুর মায়ের জন্যও হারাবে।

সব দোষ তার তো!!! :( :((

৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫০

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

একটা প্রশ্ন। তুমি তোমার বৃদ্ধাকালটা কিভাবে কাটাতে চাও। মানে তুমি হয়তো বলবে আরে আমি তো বৃদ্ধাই হবো না। সেটা ১০০% ঠিক আছে। কিন্তু তারপরও আমি জানতে চাই আর আমার প্রশ্নটাও সরল স্বাভাবিক অর্থেই বুঝিয়েছি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০২

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি জানিনা আমি বৃদ্ধকাল পর্যন্ত বাঁচবো কিনা।
আমার কোষ্ঠিতে লেখা ছিলো আমার আয়ুষ্কালে অনেক বাঁধা বিপত্তি শাররিক ঝামেলা হতে পারে আফটার ৭০।

তবে আমি কোষ্ঠি মোষ্ঠি জ্যোতিষী রাশি মাশি মানিনা।

যাইহোক আমি যদি সত্যিই অনেকদিন বাঁচি।

সবার আগে ইচ্ছা আমি লিখতে চাই। নিজের ডায়েরী। সেই ডায়েরী হয়ত কেউ কখনও পড়বেও না তবুও আমি লিখবো আমার বাবা, আমা মা আমার এই জগতে যারা ভালোবেসেছিলো , মন্দ বেসেছিলো সবার কথা। তোমার কথাও হয়ত লিখবো যদি বেঁচে থাকি। তবে সেই লেখায় থাকবে প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষেরাও হয়ত। এই বিষয়ে অবশ্য কয়েকদিন ধরেই ভাবছি।

ব্লগের প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষেদের নিয়ে নির্দ্ধিধায় লিখবো। তবে আমি জানি অপ্রিয় মানুষ যারা হয়ে গেলো তাতে কষ্ট পাবে। আমি ভেবে দেখলাম সেই অপ্রিয় মানুষগুলোও আমার কারনে কষ্ট পাক আমি আসলে চাই না।

যাইহোক আমার আর একটা ইচ্ছে আছে যদি বেঁচে থাকি তবে সাগরের পাড়ে বা বনান্তরে বা পাহাড়ের উপরে শান্ত নিরিবিলি কুটিরে থাকতে চাই। সেই বাসাটা মোটেও রাজপ্রাসাদ না হোক সেটা হোক কোনো স্বর্গীয় শান্ত কোমল শান্তির বাসা। একা একা কি আর তখন কাজ করে খেতে পারবো? নিশ্চয়ই না। কোমরে বাত হবে, হাপানি টাপানিও হয় কিনা কে জানে তাই দু একজন কাজের লোক লাগবে হয়ত। :( কি জ্বালা হা হা

মানুষ বৃদ্ধ বয়সের নিসঙ্গতাকে ভয় পায়। আমি পাই না..... কারন সবার ভেতরে থেকে মানুষ সব সময়ই নিসঙ্গই থাকে। সবাই তাই থাকে হয়ত। আর আমার সঙ্গীরা বাস করে আমার ভেতরে। আমার একাকীত্বের সাথী তারা আজীবন। ককখনও আমাকে ফেলে যায়নি তা আমার নিজের সত্বা, নিজের ভালো লাগা, নিজের সৃজনশীল বিদ্যাগুলি, হয়ত তখন আমি আর নাচতে পারবো না, গাইতেও পারবো না হয়ত কবিতাও আবৃতি করতে পারবোনা কাঁপা কাঁপা গলায় ...... জানিনা ১০০ বছর বয়সে মানুষ সে সব পারে কিনা.......

ছবি আঁকার জন্য যে একান্ত নিরিবিলি সময় প্রয়োজন তার বড় অভাব আমার এই ব্যস্ততম জীবনকালে। জানিনা তখন সময়ের অভাব ফুরোলেও আমার হাত দুইটা তখন আর ছবি আঁকতে পারবে কিনা...... আমি তখনও ছবি আঁকতে চাই ......।

আর একটা ইচ্ছা আছে........

একজনকে দেখতে চাই ...... আর একটাবার মরনের আগে হলেও .....

৩৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০২

একলব্য২১ বলেছেন: এটা আমি কি ধরনের প্রশ্ন করলাম। মাথাটা ঠিক নেই আজ। মুছে দাও ৩৪ নং প্রশ্নটা এটি সহ। তুমি কি ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকবে তা আমি জানি। বলতে হবে না। আমি তোমাকে একটু একটু চিনতে পারি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আমিও ভাবি আমাকে নিয়ে এই পুচকিটা কি ভাবে যে কত কিছু!!!

হা হা আচ্ছা তোমার কি আর কারো কথা এইভাবে ভাবতে ইচ্ছা করে বা ভাবো তুমি?? হা হা হা

আমার ধারনা আমার প্রথম লেখা চিলেকোঠা পড়ে তুমি তার প্রতি ইঞ্চি আমার জীবন থেকে নেওয়া ধরে নিলে তারপর একে একে আরও কঙ্কাবতীর কথা, বরুনার কথা বা খোকাভাই পড়ে সবগুলোর সাথে আমাকে মিলাতে পারো না। সব সময় তোমার সেই চিলেকোঠা মন খুঁজে ফেলে কোনটা আমি আর কোন মানুষটাই আমার মনের মানুষ ছিলো হা হা হা ।

একটা গান আছে জানো? ও মন জানো না তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা ?? হা হা এই রকম ব্যপার আসলে।

তুমি আমাকে একটু একটু চেনো সবাই ঐ একটুই চেনে আর যারা আমাকে ভেবেছিলো অনেক চেনে তারাও আসলে ঐ একটুও চেনে।

আর যারা খেপে গিয়ে বলে তোরে আমার চেনা হইসে..... তারা আমাকে আসলে চেনেই না হা হা হা

৩৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

কালকে অতি তুচ্ছ কারণে হঠাৎই আমার মন খারাপ হয়। এতই তুচ্ছ যে আমি বললে তুমি হাসবা। যাইহোক তারপরই আমি সামুতে ঢুকি দেখি তুমি অনলাইনে। আর আমার মাথায় পুরাণও এই ভাবনাটা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ফেলি অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে। পরোক্ষনই আমার তীব্র অনুশোচনা হয় এই কারণে যে, ওপেন ব্লগে আমি কিভাবে এই একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্নটি করলাম। তাই তোমাকে অনুরোধ করি এবং এখনো করছি প্রশ্নটি উওরসহ তুমি মিছে ফেল বা ফেলতে পারো। বিশ্বাস করো প্রশ্নের প্রায় নব্বই শতাংশের উওরই আমার অনুমেয়।

আরো অনুমান করতে পারি তুমি ধীরে ধীরে অনেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারো। তার ক্ষেত্র তৈরি আছে বা তৈরি হয়ে যাবে।

আচ্ছা তোমার কি আর কারো কথা এইভাবে ভাবতে ইচ্ছা করে বা ভাবো তুমি??

সামুর ব্লগে ২ জন আর ক্ষুদেকে কি নেয় আমি ভাবি। চাই বা না চাই এই ভাবনা আমার মাথায় চলে আসে। কারণ তাদের লেখা কমেন্ট আমি পড়ি। আর তারা আমার ভাবনার সাথে জড়িয়ে যায়।

কাগজে পড়েছিলাম ভিক্টর ব্যানার্জি নামে ওপার বাংলায় এক শক্তিমান অভিনেতা আছে। উনি নাকি এখন হিমালয়ের নৈনিতাল না মৌসোরী নামক শৈল শহরে নির্জন স্থানে বসবাস করেন। যদিও আমি জনঅরণ্যে থাকতেই বেশী পছন্দ করি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: তোমাদের আজকাল এত তুচ্ছ কারণে মন খারাপ হচ্ছে কেনো?
অবশ্য জগতে সকলি তুচ্ছ। বড় কোনো কারণে মানুষের মন খারাপ হয় না , বড় কোনো কারণে বিবাদ হয় না ...... সবই তুচ্ছ.....

আর আমাকে যা কিছুই জিগাসা করো না কেনো আমি তার উত্তর দিতে পারি। আমার কোনো প্রশ্নকেই ভয়ও লাগে না বা আমি তেমন কিছু মনেও করি না। তোমার প্রশ্ন দেখে রাগ তো করিওনি বরং ভেবেছি এত কিছু ভাবো তুমি আমাকে নিয়ে। হা হা

তুমি জানো আমি এমনটা চাই কিন্তু আমি তা করতে পারবো কিনা জানিনা। হ্যাঁ আমি চাইলে হবে না তা তো আর নয়। কিন্তু এ জগতে পরিবেশ পরিস্থিতি সময় সুযোগ মানুষকে যে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে আসে সে তা কখনই আসলে জানে না।

আমি জানি এই ভার্চুয়াল জগতও আমাদের জীবনের একটা পার্ট।

যেমন তোমাদেরকে না দেখেও আমি জানি কেউ আছো তোমরা এই পৃথিবীর বুকে। যাদেরকে এই চর্মচক্ষে দেখিনি বটে তবে মনের চোখে দেখেছি। :)

৩৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৪

একলব্য২১ বলেছেন: কারন সবার ভেতরে থেকে মানুষ সব সময়ই নিসঙ্গই থাকে। সবাই তাই থাকে হয়ত।

একদম। আমিও তার বাহিরে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২১

অপ্‌সরা বলেছেন: নিসঙ্গতা আসলে মানুষের নিজের সাথে নিজের সময়। নিজের ভাবনা নিজের পছন্দের কাজ নিজের মত করে বাঁচা।

৩৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪০

একলব্য২১ বলেছেন: সাগরের পাড়ে বা বনান্তরে বা পাহাড়ের উপরে শান্ত নিরিবিলি কুটিরে থাকতে চাই।

আমি জানি শায়মা আপু এটা কথার কথা। আমারও সে রকম কোন গ্রামে মানে পাকা দোতলা বাড়ী, বাঁধান পুকুর, গাছপালা ইত্যাদি নিয়ে শহরের কোলোহলমুক্ত বাকী জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু সেটা কি আর হবে। তবে আমার বাকি জীবনটা সাব আরবানে থাকতে খুব ইচ্ছা করে। মেইন শহরে আর থাকতে ভালই লাগে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: তাহলেই বুঝো জনারন্যে যতই থাকো মানুষের মন চায় একাকী নিরজন....... :)

৩৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,




আগের পর্বে কচুরীপানা ফুলকে অবহেলার যে কথা বললেন, তাতে বলতেই হয়- কচুরীপানা হলো আগাছা জাতীয়, ঝাঁড়ে বংশে বাড়ে । আগাছা বলে তাই ফুলেরও কদর নেই। যেমন আমাদের বস্তিগুলোতে বাচ্চারা্ও ঝাঁড়ে বংশে বাড়ে অথচ তাদের মাঝে্ও কিন্তু অনেক দেবশিশুর মতো সুশ্রী বাচ্চা দেখা যায়। এদেরও তো তেমনি কদর হয়না!

এই পর্বের শেষে, ইচ্ছের বিরূদ্ধে মেয়েদের বিয়ে নিয়ে বলেছেন - " এটা্ও কি একপ্রকার খুন নয় ?" নীরার মতো সেইসব মেয়েদের মনের দরজা খুলে দেখলে যে হাহাকার বের হয় তা মনে হয় মান্নাদে'র এই গানটির সাথে মিলে যায় ---
"মানুষ খুন হলে পরে
মানুষেই তা বিচার করে,
হয়না খুনির মাপ।
তবে কেন পায়না বিচার
নিহত গোলাপ--
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে নেয়া নিহত গোলাপ ?"



০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: একদম যথার্থ গান ভাইয়া.....

কচুরিপানার ফুলও আসলে ঠিক এমনই ফুল বস্তিগুলোতে যে দেবশিশুরা অবহেলায় বেড়ে ওঠে। :(

৪০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমাদের বাড়িতে একবার এক নং সরিষার তেল চুপচুপা করে মেখে দুই খান চোর এসেছিল, গভীর রাত ছিল উনাদের ধরা যায়নি বা বলা যেতে পারে মেঝচাচা ধরতে ধরতে হাত ফসকে গেল আর কি............। আহা কি দৌড় .........

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ চোর গায়ে তেল মেখে আসলে পিছলায় যায়।

৪১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা প্রথম প্রেমের সুন্দর অনুভূতি
কী সুন্দর লিখেছ আপি

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ !!! :)

৪২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫

অঙ্গনা বলেছেন: আপনের এই সিরিজ ফলো করি।
বিজি অনেক । লেখেন ফ্রি টাইমে পড়বো ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা ওকে ওকে......

কিন্তু তুমি আর লেখো না কেনো?

৪৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুসলিম পরিবারের বধুদের টিপ পড়াটা বৈসাদৃশ্য লাগলো। যেখানে সম্ভবত দুটি পর্ব আগে যেদিন স্কুলের শেষ দিন অনুষ্ঠানের যাওয়ার জন্য ছোট চাচীর শাড়ি পরে পরিবারের প্রথা বিরোধী মুখে লিপস্টিক লাগানোর কথা বলেছিলেন বা এরকম কিছু একটা বোধহয় পড়েছিলাম।
দাদুভইয়ের চোরের প্রতি মর্মস্পর্শী হবাটা খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক যাই এবার পরের পর্বে...

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ আর টিপ পরতো । তবে বিয়ের আগে মেয়েদেরকে লিপিস্টিকও লাগাতে দিত না হা হা

৪৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: ঘটনা যেদিকে এগুচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে নীরুর বিয়ে আসন্ন....

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ তুমি তো আসল ভবিষ্যৎ বক্তা! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.