নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই বাড়ির সালিশ দরবার বিচার আচার যে কোনো আনন্দ অনুষ্ঠান মানে কোনো কিছুতেই কখনও আমি বড়চাচীকে সামিল হতে দেখিনি। যেমনই খোকাভাই এ বাড়ির বড় ছেলের একমাত্র সন্তান হয়েও কখনও কোনো দাবী খাঁটাতে আসেনি তেমনই চাচীমাও কখনও এ বাড়ির কোনো কিছুতেই অংশ নিতে আসেনি। কিন্তু আজ উনি কোথা থেকে ছুটে এসে আমাকে মায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন। তারপর আমাকে পেছনে ঠেলে মায়ের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ালেন। বললেন, ওকে মাফ করে দাও। ছোট মানুষ ভুল করেছে, আমি ওকে বোঝাচ্ছি তুমি শান্ত হও দয়া করে। আর মেরো না। আমি হাত জোড় করছি.....
মা মনে হয় অবাক হলেন তবুও কেনো যেন থেমে গেলেন। মায়ের এ হেন আচরনে দাদীমা ভীষন ক্ষুব্ধ হলেন। এই চিৎকার চেচামেচি মায়ের অমন রণরঙ্গিনী মূরতি এসব দেখে ভীষন রাগে তিনি মাকেই তিরষ্কার করতে শুরু করলেন।
- বৌমা তোমাার সাহস হয় কি করে অতো বড় মেয়ের গায়ে হাত তোলার?
মা বারান্দার সিড়ির উপরে বসে হাপাচ্ছিলেন। ঐ ক্রোধে উন্মাদ হয়ে উঠে মারধোর আর হঠাৎ নিজের অমন আচরনে নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন বোধ হয়। দাদীমা তিরষ্কার করেই চললেন। বড় চাচীকে ডেকে বলে দিলেন আজ থেকে নীরু তার সাথেই থাকবে মা যেন তাকে একটাও কথা না বলতে আসেন। বড়চাচীমা তার ঘরে নিয়ে গেলেন আমাকে, আঁচল দিয়ে আমার চোখ মুছিয়ে দিলেন। ফিসফিস করে বললেন, বাবা মায়ের কথা শুনতে হয়। তারা সন্তানের সবচাইতে ভালোটুকু চান। তুমি জেদ করো না, মন খারাপও করো না। মা যা বলেন তাই শোনো। আজ হয়ত আমার কথা তোমার পছন্দ হবে না তবে একদিন বুঝবে কেনো আমি এই কথা বলেছিলাম। আমি ফোপাচ্ছিলাম, চাচীমা আমার মাথায় চুমু খেয়ে আমার হাত ধরে দাদীমার ঘরে নিয়ে এলেন। আমার ঐ সাত সকালেই ভীষন ক্লান্ত লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো আমি হেরে যাচ্ছি....... ডুবে যাচ্ছি অতলে....আমার ভীষন ঘুম পাচ্ছিলো....
- দাদীমার জন্য ঘরেই খাবার দেওয়া হয়েছিলো। চাক চাক করে চকচকে সবুজ কাকরোল ভাঁজি আর কাঁচা আটায় বানানো বড় বড় দুখানা রুটি। দাদীমা আমাকে ডাকলেন,
- আয় আমার সঙ্গে খাবি।
আমি কিছু না বলে তার কাছে বসলাম। দাদীমা বড় করে এক টুকরো রুটি ছিড়ে কাকরোল ভাঁজি দিয়ে মুড়িয়ে আমার মুখে দিলেন। কাকরোল ভাঁজির পাশেই ছিলো আরও দুটি ছোট ছোট বাটি। নারকেল দুধে রান্না করা পাখির মাংস আর আরেকটা বাটিতে ছোলার ডালের ডালনা। আমি রুটি দিয়ে ঐ পাখির মাংস আর ছোলাডাল খেয়েছি বটে তবে ঐ সবুজ চকচকে একদম না ভেঙ্গে যাওয়া ঐ অপূর্ব স্বাদের ভাজি আমার জীবনে আর কোনোদিনও এর আগে বা পরেও আর খাইনি।
আমি দাদীমার ঘরেই রয়ে গেলাম। তবে ঐ সব পাত্রী দেখার মেহমানদের আপ্যায়নের সকল তোড়জোড় দাদীমার ঘর থেকেই চলতে লাগলো। সন্ধ্যায় ছোটচাচী বসলেন ফর্দ করতে। মেহমানদেরকে কি কি খাওয়ানো হবে? সেজোচাচা আসলেন দাদীমাকে জানাতে উনাদেরকে কোথায় বসানো হবে। কি কি আয়োজন হবে। পাত্রী দেখানো হবে নাকি আনুষ্ঠানিক ভাবে নাকি যেন হঠাৎ বাড়িতে বেড়াতে আসা মেহমানদের সাথেই ছেলেমেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে এমন একটা ভাব। এ সকল জল্পনা কল্পনা চলতেই লাগলো বাকী ৫টা দিন ধরে।
দাদু যতই বললেন মেয়ে বিয়ে দেবো কি দেবোনা পরের ব্যপার কিন্তু উনাদের আপ্যায়নের যেন ত্রুটি না হয় এইদিকেই শুধু খেয়াল রাখতে কিন্তু ওইদিকে মেয়ে দেখানোর সকল বন্দোবস্তই আমার চাচীরা এবং মা দাদীমারা শুরু করলেন তলে তলে। কোন শাড়ি পরানো হবে, কোন গয়না, কেমনে দেখানো হবে যেন কোনোভাবেই আমাদের বাড়ির সন্মান না যায়। আমি নীরব রইলাম। কোনোভাবেই নিজেকে সান্তনা দিতে পারছিলাম না যে এই বিয়ে আসলেও বন্ধ হবে। সকলের আচার আচরণ ও সকল তোড়জোড়ে বুঝাই যাচ্ছিলো তারা প্রস্তুত।
দাদীমার ঘরে থাকায় খোকাভায়ের সাথে যোগাযোগ আরও কমে এলো। একমাত্র উপায় দাদীমার গভীর ঘুমের ঘোর আর রাতের আঁধার। আর সেটাই করলাম আমি। খুব চুপিসারে এর মাঝেই উঠে এলাম ছাদের ঘরে। রাত তখন মনে হয় দুটো পেরিয়েছে। চারিদিক শুনশান। সিড়ির গোড়ায় টিমটিম করে এক বাল্ব জ্বলছিলো। আমি পা টিপে উঠে এলাম ছাদে। নিশুথী রাতের এক ঝলক হিমেল হাওয়া। সেদিন মনে হয় পূর্নিমা ছিলো আকাশ ভেঙ্গে চাঁদের আলো পুরো ছাঁদ ছেয়ে ছিলো। আমি খোকাভায়ের ঘরে না গিয়ে সেই নিশুথী রাতের হিমেল হাওয়ায় বুক ভরে শ্বাস টেনে নিলাম। ঠান্ডা শীতল বাতাস বইছিলো। ভেসে আসছিলো হাসনা হেনার মাতাল গন্ধ। আমার মনের গুমোট আর আর এতক্ষন দাদীমার ঘরের ঐ মশারীর ভেতরের গুমোট মিলে আমি গুমরে মরছিলাম হয়ত আর তাই ঐ নিশুথী রাতের এক ঝলক খোলা হাওয়া আমার প্রাণ জুড়িয়ে দিলো।
ছাদের উপর উঠে থাকা ঝুপসী নিমের গাছের পাতাগুলো ভূতের মত দোল খাচ্ছিলো সেই বাতাসে। আকাশে ভাসছিলো হলুদ রং পূর্নিমা চাঁদের আলোয় আশ্চর্য্য আলোময় রঙ্গের মেঘগুলো। নারকেল গাছের পাতারা যে রাতের শুনশান নীরবতায় বাতাসে অমন ঝিরিঝিরি সূরের মূর্ছনা তোলে তা আমি আগে দেখলেও সেদিন বোধ হয় নতুন করে জানা হলো। আমি ছাঁদে এসেছিলাম লুকিয়ে খোকাভায়ের সাথে দেখা করতে কিন্তু কয়েকদিন ধরে আমার বদ্ধ মনের সকল আবদ্ধতা হঠাৎ ঐ নিশুথ রাতের হিমেল হাওয়া এক নিমিষে কাটিয়ে দিলো। কয়েক মুহুর্ত বা মিনিট কয়েক আমি মনে হয় আনমনা ছিলাম অথবা আমার মনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐ ঝড়ে বিপর্যস্ত আমি
হঠাৎ কিছুক্ষনের জন্য শূন্য হয়ে পড়েছিলাম।
হঠাৎ খোকাভাই পিছে এসে দাঁড়ালো, খুব আস্তে ডাক দিলো,
-নীরু
আমি চমকে তাকালাম। অবাক হলাম!
- খোকাভাই তুমি ঘুমাওনি!
- সেই কবে থেকে অপেক্ষা করে আছি। তুই কি একটাবারও আসার সময় পাস না?
ঐ চাঁদনী রাতের ঝকঝকে আলোতে আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম খোকাভায়ের চোখের নীচে কালী। আমি ফুপিয়ে উঠলাম।
-খোকাভাই তুমি কি ঘুমাওও না!
খোকাভাই আমাকে জড়িয়ে রাখলো। কতটা সময় মনে নেই আমার।
আমরা গিয়ে বসলাম নীচু পানির ট্যাংকটার উপরেই। আমি বললাম,
-খোকাভাই ! আমাকে ওরা বিয়ে দিয়ে দেবে। তুমি দেখো। ওদের সকল পরিকল্পনাই আসলে শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা....
খোকাভাই নিরুত্তর রইলো। আমি উতলা হয়ে বললাম,
-কথা বলছো না কেনো?
খোকাভাই বললো, কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না নীরু।
- যদি আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তোমার কষ্ট হবে না খোকাভাই?
খোকাভাই তবুও নিরুত্তর রইলো। তারপর বললো,
- নাহ।
আমি খুব অবাক হলাম! এক বুক বিস্ময় নিয়ে আবারও প্রশ্ন করলাম,
-নাহ!!
খোকাভাই হাসলো। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
- আমার আর কোনো কিছুতে কষ্ট হয় না নীরু।
সেই দীর্ঘশ্বাস আর সেই কথাতে কি ছিলো জানিনা কিন্তু আমার বুকটা ফেটে গেলো। কারণ আমি জানি, আমি বুঝতে পারি খোকাভায়ের কষ্টটা। আমি জানি কতটা কষ্ট সহ্য করতে করতে সকল কষ্টই একদিন ভোঁতা হয়ে যায়। আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম খোকাভায়ের বুকে। খোকাভাই আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে বসে রইলো। তারপর বললো,
- ভেবেছিলাম তুই কখনও আমাকে ছেড়ে যাবি না। কেনো যে এমন বোকার মত ভেবেছিলাম জানিনা। আসলে বাস্তব বা কঠিন সত্যটা জানা সত্ত্বেও আমি নিজেই জানতে চাইনি। নিজের মনের কাছে নিজেকে লুকিয়েছি। তোকে ছাড়া আসলে এখন আর কিছুই ভাবতে পারি না আমি। আমার কেউ ছিলো না শুধু তুই ছিলি। এই পুরো পৃথিবীতেই আমি একলা ছিলাম। তুই এসে জোর করে ঢুকে পড়েছিলি আমার পৃথিবীতে। এখন আমার পৃথিবীটাই তুই। তোকে ছাড়া আমার কষ্ট হবে না। তোকে ছাড়া আমার পৃথিবীটাই মরে যাবে। তুই হয়ত একটা সময় আমাকে ভুলে যাবি।আমি পাষানের মত সব সয়ে যাবো। আমি আরও বেশি জড়িয়ে ধরলাম খোকাভাইকে। তারপর বললাম,
- আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই না খোকাভাই। চলো পালিয়ে যাই আমরা?
- কোথায় যাবো?
- যে কোনো কোথাও। প্রদীপদের বাড়ি বা অনেক দূরে। যেখানে কেউ আমাদেরকে চিনতে পারবেনা। জানতেও পারবেনা। সত্যিই চলো খোকাভাই। যাবে বলো? বলো না? আমি একের পর এক প্রশ্নে আর জোরাজুরিতে খোকাভাইকে বিপর্যস্ত করে তুললাম। খোকাভাই বললো,
- আচ্ছা দেখি কি করা যায়?
আমি কিছুটা আশস্ত হলাম খোকাভায়ের কথায়।
তারপর অনেকক্ষন বসে রইলাম আমরা। আজান পড়ার কিছু আগে সকলের অগোচরে ফিরে এলাম নীচে এক বুক আশা নিয়ে।
কিন্তু পরদিন থেকে ফের খোকাভাই নিরুদিষ্ট হয়ে গেলো। কেউ সেটা খেয়ালও করলো না। এমনকি চাচীমাও না। আমি খুব অবাক হলাম! প্রথম যেদিন ফিরলো না সেদিন রাতে আমি আশা করেছিলাম বড় চাচীমা নিশ্চয় দাদীমাকে কিছু বলবেন। কিন্তু আমাকে আশ্চর্য্য করে দিয়ে চাচীমা কিছুই বললেন না। খোকাভাই ফিরলো না। সেদিনও না, তারপর দিনও না, তার পরের দিনও না। খোকাভায়ের কি হলো এ বাড়ির কারো তাতে মাথা ব্যাথা নেই। এমন কি তার মায়েরও নেই। শুধু আমার এই দুই চোখ তাকে খুঁজে ফিরছিলো। তার পদশব্দ শোনার জন্য দুই কান উদগ্রীব ছিলো। কিন্তু খোকাভাই নামের এত বড় ছেলেটা বাড়ি থেকে সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে গেলো তবুও কারো কোনো চিন্তাই রইলো না।
ডিসি সাহেবের ফ্যামিলী আসবেন এবং সেই আপ্যায়নে সম্পূর্ণ হলো সকল আয়োজন। শুধু হাতী আর ঘোড়া আর ব্যান্ড পার্টিটা আনাই বুঝি বাকী ছিলো। যাইহোক এই কদিন দাদীমা আমাকে হলুদ চন্দন সর, মাখন আরও আরও কি কি সব সারা গায়ে লাগিয়েছেন। হরতকী আমলা ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুইয়েছেন। আমি আর কিছু বলিনি। কি বলবো! আর কাকেই বা বলবো! খোকাভাইই হারিয়ে গেছে। আর কার কাছে যাবো আমি!
যদিও সেদিন ছোটচাচীর কথায় প্রতিবাদ করেছিলাম আর তাতেই মা আমাকে অত মারধোর করেছিলো সেই আমিই স্বেচ্ছায় সব মেনে নিলাম। এই আমি আর বাগানে যাই না, ছাঁদেও ঊঠি না এমনকি উঠোনেও না। দাদীর ঘর আর বারান্দা এই টুকুই আমার হাঁটা চলার স্থান হয়ে পড়ে। দাদী নিজেই আমার চুল, ত্বক, দাঁত এমনকি চোখের সৌন্দর্য্য বর্ধনেও উদ্যোগী হয়ে উঠলেন। আলু শসা কেটে কেটে চোখের উপর দিয়ে শুয়ে থাকতে বলেন রোজ দুপুরে। দাঁত যেন সাদা ধবধবে দেখায় তাই দিনে তিনবার নিমপাতা, কাঁচা হলুদ আরও কি যেন দিয়ে কুলি করায়। আমি সব কথা শুনি। দিনে দিনে আমি ঐ ডিসি সাহেবের বৌ এর কাছে পাত্রী দেখাবার জন্য যোগ্য হয়ে উঠি।
আমি আর কোথাও যাই না। কথাও কম কম বলি। সবাই ভাবে মা ওদিন অমন করে মারধোর করাতেই আমি অভিমান করেছি। কথা বলি না। চাচীরা আমাকে বুঝায় মা যা করেন ভালোর জন্যই করেন আমি যেন মন খারাপ না করে থাকি। আমি যেন হাসিখুশি থাকি। আমি কিছুই বলি না। হাসিও না এবং কাঁদিও না। আমি পাষান হয়ে যাই খোকাভাই বলেছিলো পাষান হয়ে সে সব সয়ে যাবে। আমিও খোকাভায়ের মত পাষান হয়ে যাই। সেই পাষানে লিখে রাখি কোনো এক নীরুর জীবনের ইতিহাসগুলি....
এদিকে এসে গেলো সেই মাহেন্দ্রক্ষন। যথারিতী রোববার চলে এলো। সে ছিলো এক শীতের বিকেল। বিকেলের সেই সোনারোদে এই কদিনের নিরন্তন পরিচর্যায় পুরো বাড়ি ঝলমল করছিলো। ডিসি সাহেবের পরিবারের আগমন উপলক্ষে প্রতিটা কানি ঘুঁচিও ঝকঝকে তকতকে করে তোলা হয়েছিলো। আলমারী থেকে বের হয়েছিলো ঝা চকচকে সোনার মত ঝিলিক দেওয়া কাসা পেতলের ডিনার সেট। পুরো বাড়ি এক অজানা গুরু গম্ভীর ভাব নিয়ে কেতা দূরস্ত হয়ে অপেক্ষা করছিলো উনাদের আগমনের। কালীগঞ্জ থেকে আনানো হয়েছিলো বিখ্যাত বিরিয়ানী পাচক আলাউদ্দিনকে।
যাইহোক গোলাপী রং কাতান শাড়ি আর দাদীমার সিন্দুক থেকে বের করা চওড়া বিছাহার আর কান পাশা পরিয়ে দেওয়া হলো আমাকে। ছোটচাচী তার বিখ্যাত খোঁপা বেঁধে দিলেন আমার চুলে। বাড়ির আর সব ছেলেপুলেরা উঁকিঝুকি মারছিলো এই তামাশা দেখবার জন্য কিন্তু তাদেরকে কড়া শাসনে চোখ রাঙ্গিয়ে এই মহান কার্য্য দর্শন থেকে দূরে রাখা হলো।
সেই বিকেলে কনে দেখা আলোয় বিয়ে দেবে কি দেবেনা এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দে ভোগা দাদুও আমাকে ওদের সামনে নিয়ে যেতে একেবারেই কুন্ঠিত বোধ করেন না। তাদের কাছে ডিসি সাহেব নিজেই যেমন সন্মানীয় লোক ঠিক তেমনই পাত্রও বিদেশ ঘোরা বড় ডাক্তার। পাত্রের বাবাও বাংলাদেশের একজন গন্যমান্য ব্যক্তি। আর ডিসি সাহেবের মোটা সোটা বিশাল লম্বা বউটা আমার হাত ধরে হাসি হাসি মুখে বসে থাকলো। মূলত সেই আমাকে পছন্দ করেছিলো কোথাও কখনও দেখে। আমি কারো দিকেই তাকাই না। মা বলে দিয়েছিলো আমার বেশরমের মত ড্যাব ড্যাব করে সবার দিকে তাকায় থাকবি না। হাসবিও না। এইখানে হাসা বারণ। আমি আমার স্বভাবসুলভ আচরনে বলতে চাচ্ছিলাম তাইলে কি কাঁদবো? কিন্তু জিগাসা করিনি আমি। আমি নিজেই ঠিক করে নিলাম আজ থেকে হাসি কান্না ব্যথা বেদনা অভিমান সব বিসর্জন দিলাম আমি।
পাত্র ও পাত্রের মা দুজনই যে আসবেন এই সম্পর্কে আমার বাড়ির লোকজন ঠিক অবগত ছিলো না। কিন্তু ডিসি সাহেবের বৌ এর সাথে সাথে ডিসি সাহেব স্বয়ং এলেন, সাথে পাত্র, পাত্রের মা ও একজন বন্ধুও এলেন। পাত্র এসেছে নাকি সে দেখতে কেমন ,কানা না খোড়া কিছুই দেখলাম না আমি। মা আর চাচীদের কথা মোতাবেক চোখ নামিয়েই বসে রইলাম। ডিসি সাহেবের বউ তার বড় ননাস অর্থাৎ পাত্রের মাকে বললেন, কি মেজু দেখলে তো মেয়ে দেখতে এক্কেবারে যেন একটা পুতুল! পাত্রের মা কোনো কথা বললো না। আমি এক ঝলক চোখের আড়ালে দেখলাম তাকে। শুকনা চিকন চাকন জলপাই রং কাতান শাড়ি পরনে। কপাল কুচকে রয়েছেন যেন বিরক্তিতে। পাত্র দেখা হলো না আমার আসলে ইচ্ছেই করলো না। পাত্রের মা ব্যাগ থেকে বের করে এক ছড়া সাদা পাথর সেটিং নেকলেস গলায় পরিয়ে দিলেন। সেটা নাকি আমেরিকান ডায়ামন্ড। সত্যিকারের রিয়েল ডায়ামন্ড না দিয়ে আমেরিকান ডায়ামন্ডের সেট দিলো কেনো সে প্রশ্ন আমার মাথায় তখন আসেনি।
যাইহোক তাদের জন্য নানা রকম খানা পিনা মন্ডা মেঠায়ের আয়োজন ছিলো। বাড়ির সকলেই তাদেরকে নিয়েই ব্যস্ত ছিল। আমি দাদীমার ঘরে প্রায় একাকীই বসে ছিলাম। হঠাৎ আমাদের বাড়ির বিবিসি সিএনএন রুমা এসে আমার কানে ফিসফিস করে বললো নীরুপা জানিস খোকাভাই নাকি খুব খারাপ সঙ্গে পড়েছে। আমি চমকে উঠলাম! খারাপ সঙ্গে পড়েছে মানে! খারাপ সঙ্গ মানে কি? রুমা আরও ফিস ফিস করে বললো,
- কেনো জানিস না? ইশ নেকী! খোকাভাই যে অনেকদিন হলো বাড়িতে ফেরে না জানিস না তুই?
আমি মনে মনে ভাবলাম তাইলে কেউ এই বাড়িতে খোকাভায়ের খবর রাখে! কই কখনও দেখিনি তো। উপরে বললাম,
- না জানিনা। আমি এখন শুধু আমার নিজের খবর জানি।
রুমা হি হি করে হাসতে লাগলো। হ্যাঁ তা তো জানবিই। এখন তো তুমি নবাব নন্দিনী।রাণী সাহেবান, শাড়ি পাবেন বাড়ি পাবেন গাড়ি পাবেন। কত গয়নাগাটি পরে বউ সাজবেন। এ্যই এই হার কি দাদীমা তোকে দিয়ে দিয়েছে!
আমার এমন রাগ লাগছিলো। কোথায় খোকাভায়ের খবর বলতে এসে শাড়ি গয়নার হিসাব শুরু করেছে কুটনীটা। আমি বললাম,
- খোকাভায়ের কি হয়েছে বলছিলি?
রুনি মুখ বেঁকিয়ে বললো,
- কি আর হবে! তার বাবাও যেমন ছেলেও তো তেমনই হবে। মা বলেছে তার বাবাও নাকি খুব অবাধ্য ছিলো তাই তো কিনা দাদু তাকে তাজ্য করলো।
আমি অধৈর্য্য হয়ে উঠলাম। ওকে ধমক লাগালাম।
- এত মাতবরী করা লাগবে না। খোকাভাই কি করেছে বল।
রুনি যা বললো তা শুনে আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে এলো। রুমি বললো,
- কাল রাতে নাকি কলেজপাড়ায় কিছু নেশা করা ছেলেদেরকে পুলিশ এরেস্ট করেছে। আমাদের গুনধর খোকাভাই তাদের মধ্যে রয়েছেন। আজ সকালে থানা থেকে ফোন দিয়েছিলো। এত ঝামেলা থাকায় কেউ তাকে আজ বের করে আনতে যায়নি। কাল সকালে সেজোচাচা যাবেন। এর আগেও যখন খোকাভাই নিরুদিষ্ট ছিলো কিছুদিন তখনই নাকি তাকে ঐ নেশাখোর সঙ্গ থেকেই ধরে আনা হয়েছিলো।
আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। খোকাভাই এটা কি করলো! কেনো করলো! তার কিসের এত দুঃখ! কিসের এত অভিমান! তবুও আশা জেগে রইলো কালও যদি সে ফিরে আসে তবুও রক্ষা। যেভাবেই হোক খোকাভাইকে নিয়ে আমি চলে যাবো এ বাড়ি ছেড়ে। অনেক অনেক দূরে। যেই আমাদেরকে আর কেউ কখনও কোথাও খুঁজে পাবে না, কোথাও ধরতে পারবে না সেই তত দূরেই চলে যাবো আমরা। খোকাভাইকে আর কোনো দুঃখ পেতে দেবোনা...... অনেক কষ্ট পেয়েছে সে তার এই এতটুকুন জীবনে। আর কোনো কষ্ট পেতে দেবো না আমি তাকে.....
আগের পর্ব
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: এই গল্পে পরিনতির পরেরও কিছু পরিনতি আছে। খোকাভাই এই গল্পের নায়ক হলেও এই গল্প মূলত নায়িকার চোখে দেখা খোকাভাই ও তার নিজের চারিদিকের পারিপার্শ্বিকতা এবং তার বিবাহ পরবর্তী জীবনের কিছু অনুভূতি বা বোধ নিয়ে.....
অতীব কমন ঘটনা হয়ত কিন্তু প্রতিটা মানুষের জীবনই কিছু নিজস্ব স্বকীয়তার উপরে দাঁড়িয়ে আছে।
সে সব গল্পই আসলে জীবন নাট্য.....
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: উপন্যাস পড়া একরকম ছেড়েই দিয়েছিলাম। প্রবন্ধ আমার প্রিয়, তারপর কবিতা। কিন্তু আপু, তোমার এই মহাকাব্যিক উপন্যাস যে আমাকে নেশা ধরিয়ে দিয়েছে! যদিও পড়াশোনা করার সময় আমার একদম নেই বললেই চলে, এখানে কিঞ্চিৎ উপস্থিতি কাজের ফাক-ফোকর গলিয়ে অনেক কায়দা করে।
যাইহোক, এটা না পড়লে তোমার লেখনীর শক্তি জানা হতো না। শুভকামনা।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া একসময় যখন আমি স্কুলে পড়ি সেভেন এইটে মনে হয় তখনই শরৎচন্দ্রের লেখা পড়ে ভাবতাম মেয়েদের এত দুঃখ কষ্ট বেদনার কথা ঐ লোক একজন ছেলে মানুষ হয়ে জানলো কি করে!
রবিঠাকুরের গান শুনে ভাবতাম কেমন করে লেখে এসব!
যদিও আমি আসলে লেখা নিয়ে কখনও রাইটার হতে চাইনি কিন্তু আমার লিখতে অনেক ভালোলাগে। কত কিছু দেখে গেলো এ দুচোখ লেখা হলো না। গতবছর আমাদের লিও ডালমেশিয়ান ডগটা যখন মারা গেলো। যেই লিও এতটুকু শব্দ হলে লাফ দিয়ে ওঠে সেই লিও মুখ থুবড়ে দু পা ছড়িয়ে পড়ে ছিলো। শত ডাকেও আর উঠলো না এই বেদনা কি রকম বেদনা বা বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠা কষ্ট তা কি আমি কখনও লিখতে পারবো?
কত কিছু দেখে গেলো এই দুচোখ, লেখা হলো না। লিখে কি হবে জানিনা তবুো লিখতে ইচ্ছে করে। সময় নেই জীবনে।
তবুও তোমরা কেউকেউ পড়ো তাই ভালো লাগে। অনেক হাসি আমি অনেক কাঁদিও। নিজের লেখার সবচেয়ে বড় ফ্যান আসলে আমি নিজেই।
ভাইয়া লেখাগুলো আসলে মনে হয় আমার নিজের ডায়েরীর লেখা তাই সামু ডায়েরী কখনও বন্ধ হয়ে গেলে আমার অনেক কষ্ট হবে।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩০
একলব্য২১ বলেছেন: ভীষণ ঘুম পেয়েছিল। ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু এই পর্ব পড়ার পর ঘুম উধাও।
এ পর্যন্ত পড়া ১৩ পর্বের মধ্যে কোনটি সেরা। পড়ার সময় কেন জানি এই প্রশ্নটি আমার মাথায় আসে। আজকের পর্বও দুরন্ত। এ বলে (পর্ব) আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ।
পর্ব শেষ করে বসে ছিলে আয়নাপুতুলের জন্য। সব রেডি অথচ পোস্ট করতে পারছো না। এই ভার বহন করাটা কষ্টের ছিল না।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: কিন্তু আয়নাপুতুল তারপর ঘুমায় গেলো!
আমাকে পোস্ট করতে বলে নিজেই ঘুম!
এখন তাকে কি শাস্তি দেওয়া যায় বলো!
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকে রাগ করলেও করতে পারে, তারপরেও না পড়েই একটা লাইক ঠুকে দিলাম।
অবশ্য ২০ পর্ব শেষ হলে তো পড়া শুরু করবো তাই না!! পাপ বোধহয় খুব গুরুতর হবে না!!!
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তোমার পড়া লাগবে না ভাবীজীকে পড়তে দাও।
আমার কঙ্কাবতী দুজনে মিলে পড়তে আর এখন ভাবীকে পড়তেই দাও না কেনো?
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার ভাবী আজকাল আমাকে ব্লগে দেখলেই ক্ষেপে যায়। বায়ুচড়া রোগ হয়েছে মনে হয়। মাথা ঠান্ডা হোক, তারপরে চেষ্টা করবো। আসলে ওই সিরিজটার সাথে ও কিভাবে যেন একেবারে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। ব্লগে এমনিতে আসে না। মাঝে-মধ্যে আমার পোষ্টের মন্তব্য বা অন্যের পোষ্টে আমার করা মন্তব্য পড়ে, গোয়েন্দাগিরি করার জন্য।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা গোয়েন্দাগিরি কেনো করে বুঝেছি তুমি যেন কারো সাথে আমার মারামারি না লাগিয়ে বসো সেই থেকে তোমাকে বাঁচাতে।
তবে এই পোস্ট প্রথম থেকে পড়তে দাও এটার সাথেও একাত্ম হয়ে যাবে নিশ্চয়ই!!!!!!!
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪
কামাল৮০ বলেছেন: আগেকার কনে দেখানোর বর্ণনা খুব সুন্দর হয়েছে।আসল চিত্রটা উঠে এসেছে।
কষ্টটা শুধু খোকা ভাইদের হয় নীরুদের হয় না।খোকা ভাইয়ের মনে হয় আগের কোন ব্যর্থ প্রেমের অভিজ্ঞতা আছে।
যখনকার ঘটনা তখন রোববার ছুটি ছিল।সচেতন ভাবে লিখেছেন।আগের কোন লেখা থেকে প্রকাশ করছেন।
অনেক দিন পর বড় কোন লেখা পড়ছি।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০১
অপ্সরা বলেছেন: অনেকদিন পর বড় লেখা পড়ছো মানে আমার লেখা তাই তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংকস আর ভালোবাসা ভাইয়া।
না আগের কোনো লেখা থেকে প্রকাশ করিনি। তবে আমি ২০১০ এ খোকাভাই নিয়ে সিরিজ কবিতা লিখেছিলাম কিছু কিছু। সেসন তখনকার দিনের সামুতে অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছিলো।
সমুদ্রকন্যা বলেছিলো শীর্ষেন্দুর ধ্রুবর মত আরও কিছু উপন্যাসের প্রিয় নায়কের সাথে সাথে আমার খোকাভাইও নাকি তার অনেক প্রিয়।
মিররমনি আর একলব্য ভাইয়া আমার লেখা অনেক ভালোবাসে তাই তাদের জন্যই সেই সিরিজ কবিতা গল্পাকারে লেখা শুরু করেছিলাম। এখন তোমরাও কেউ কেউ পড়ো!
তাই আমি ধন্য!
না খোকাভায়ের কোনো ব্যর্থ প্রেম ছিলো না। খোকাভাই নীরুর বড় চাচার ছেলে। এই বড়চাচা বাড়ির তাজ্য পুত্র ছিলো। চাচা মারা যাবার পর চাচী তার ছেলে মানে খোকাভাইকে নিয়ে উঠেছিলো নীরুর দাদু এবং খোকাভায়ের দাদুর বাড়িতে। কিন্তু তাজ্য পুত্র থাকায় এবং এত বছর পর এভাবে দীনের মত ফিরে আসায় খোকাভাইদের কোনো সন্মান ছিলো না ও বাড়িতে।
তাই খোকাভাই নিজেকে গুটিয়ে রাখতো। ভেতরে ভেতরে ক্রোধ জন্মাতো হয় তো। কিন্তু নিজেকে কখনও এ বাড়ির যোগ্য কেউ মনে করতো না ...
কষ্ট যে কার হয় আমি তো জানিনা ভাইয়া।
কার বেশি কার কম সেটাও জানিনা ....
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
বড়চাচী, দাদু, সেজচাচা এরা সবাই ভালো মানুষ ।
পাখির মাংস, কি মজা !
মায়েরতো পাহারায় থাকার কথা, কেমন করে ছাদে গেলো?
পূর্ণিমার আলোয় রাতের বর্ণনাটা অনুভব করতে পারছি ।
সারপ্রাইজড হলাম না খোকার নিউজে কারন গতবার অনুমান হয়েছিলো, চাচা নিয়ে আসলো কিন্তু কাউকে কিছু বললো না,
হয়তো কোন ঝামেলায় জড়িয়ে গেছে যেটা সবাইকে বলা যায়না ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৬
অপ্সরা বলেছেন: আর অন্যগুলা খারাপ মানুষ ছিলো কিছু কিছু হা হা ....
পাখির মাংস আমাদের যশোরে নারকেল দুধ দিয়ে রাঁধা হয়! সেটা কিন্তু অমৃত!
না দাদীমার ঘরে দিয়ে মা নিশ্চিন্তে ছিলেন। তাই পাহারায় থাকেনি।
সেই রাতে রাত ছিলো পূর্নিমা
গান ছিলো ফাল্গুনের হাওয়াতে .....
হুম!!! খোকাভাই যে অম কাজ করতে পারে তাতে তো একমাত্র সারপ্রাইজড হবার কথা নিরুর কারণ সে ভালোবাসায় অন্ধ ছিলো ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: মিররমনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শার্দূল কি বলে দেখো!!!!!!!!!!!
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১২
একলব্য২১ বলেছেন: খোকাভাই নেশাখোর বা মাদকাসক্ত এটা নীরু আগে টের পায়নি। কোন আলামত নীরু চোখে ধরা পড়েনি আগে।
কি ধরনের নেশা করতো খোকাভাই।
খোকাভাই বাড়িতে আসেন না এই নিয়ে বড় চাচির কোন হেলদোল ছিল না। তারমানে তিনি কি জানতেন তার ছেলে নেশাখোর। না কি জেনেও পুরো ব্যাপারটা যেন পাঁচ কান না হয় তাই চুপ করে ছিলেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৮
অপ্সরা বলেছেন: খোকাভাই প্রথমবার কিছুদিন লাপাত্তা থাকার পর নীরু প্রথম তার ঘরে সিগারেটের প্যাকেট দেখেছিলো আর কিছু চোখে পড়েনি।
ব্যপারটা এমন সেজোচাচা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি এনে ঐ প্রথম নেশার ধাক্কাটা হয়ত সামলেছিলো। তার মনের কষ্ট দুঃখ আঁচ করেই তাকে বাবার স্নেহে সাইকেল কিনে দিয়েছিলো।
এরপ হয়ত খোকাভাই নেশা করেনি কিছুদিন। নিরুর প্রেমে মত্ত ছিলো। আবার যখন নীরুকে হারিয়ে ফেলার নিশ্চিৎ সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন সে ঐ নেশার আড্ডায় ফের চলে যায়।
এত কিছু নীরূ জানে না তো। সে শুধু কেবলি ভাবে এইসব......
হ্যাঁ জানতেন মনে হয়। ঐ বিয়ে বাড়ির মাঝে তিনি কোনো গন্ডোগোল চাননি.....
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২২
একলব্য২১ বলেছেন: হুম! তোমার speculation যথার্থ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমার সব কিছুই যথার্থ তোমার কাছে ভাইয়ু!!
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই যাতনাময় পর্বটা
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া ১৩ তে চলে এসেছো।
যাইহোক
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে .....
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৭
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমার পূর্ণিমা রাতের বর্ণনা শুনে আমার এই গানটা মনে পড়ে গেল। সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা |
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: আমারও তো এই গানই মনে পড়েছে ভাইয়ু!!!!
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
ঢাকাতে প্রচুর ডেঙ্গু হচ্ছে। তুমি কি ধরনের সর্তকতা নিচ্ছে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯
অপ্সরা বলেছেন: সারা বাড়ি বিকাল ৪টা থেকেই দরজা জানালা বন্ধ!
বাগান আর বাড়ির আশে পাশে কোনো পানি যেন না জমে থাকে তা সর্বদা দেখা
মশার অষুধ কাওরান বাজার থেকে আনায় স্প্রে করা হয় সকাল বিকাল
তাই বাসায় মশা নেই বললেই চলে........
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৩৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: যে কথাটা মাথায় করে তোমার পোষ্টে আসি সেটা অলরেডি আকলব্য২১ ভাই বলে ফেলেছে। এরপরও যদি কিছু বলতে যাই তো তোমার নীরুর বিপক্ষে যাবে। গল্পের নায়ক খোকা ভাই নয় এটা পরিষ্কার, গল্পের নায়িকা নীরু নিজেই।
তোমার ভাবনা থেকে জন্ম নেয়া গল্পের মধ্যে আমার একটু সিরিয়াস হতে ইচ্ছে করছে। আর সিরিয়াস হবোনা কেন। ভাবনা তো পরিবেশ সমাজ থেকেই আসে। আর নীরুর জীবন তো আমাদের দেশে এখনো চলোমান। নারী স্বাবলম্বী হোক হতে হবে এমন স্লোগান মুখরীত সমাজ। কেউ ওদের বলে দেয়না এই স্বাবলম্বীটা কিসে? মেধা মনে শিক্ষায় নাকি শুধুই অর্থনৈতিক। একটা নারী স্বাবলম্বী মানেই কেন অর্থনৈতিক অবস্থা কে বুঝে। এখনো কেন সমাজ যোগ্য পাত্র বলতে অর্থনৈতিক দিকটাই শুধু মনে করে ? একটা ইউরোপ আমেরিকার কানাডার পাত্রের সামনে কত দেশীয় ভালোবাসা তথা শিক্ষিত যুবকের মাথা ভুপাতিত হয় তা সবাই জানে । সমাজ এমন ভাবে এটাকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে যে এখন কোন লেখক পর্যন্ত তার গল্পের মেয়েকে শিক্ষিত বেকার বা গরীবের কাছে বিয়ে দিতে চায়না, দিলে নাকি সেটা বাংলা সিনেমার মত হয়ে যাবে। আমাদের লেখিকারও তেমনি ভাবনা এখানে দেখা যাচ্ছে । অধিকাংশ মেয়ে তার বয়সের ১৮ থেকে ২৫ পর্যন্ত দোয়েল চত্বরে বসে বাদাম খেয়ে প্রেম করে শেষে তাকে ছেড়ে পাড়ি দেয় আমেরিকার কানাডার ব্যবসায়ীর হাত ধরে। কারণ হিসেবে দাড় করায় সে নেশা করে কিংবা অন্য আরও অনেক কিছু। অথচ এই আমেরিকা কানাডা মদ ছাড়া এক মুহুর্তে যায়না কারো । সিগারেট খেলেই কি মানুষ অযোগ্য? প্রতিটা ক্রিয়েটিভ মানুষের হাতে সিগারেট মানায় কিংবা সিগারেট ক্রিয়েটিভের হাতেই যায়। গাদা গাদা বই পড়ে মুখস্ত করা মানুষ গুলোর শুধু ভাষা আর লেখাই সুন্দর । এরা পৃথিবীর জন্য তেমন ভুমিকা রাখেনা। আমি দেখেছি আমার নেশা করা বন্ধুটাই সব চেয়ে বেশি উপকারি সমাজে।যে কারো যে কোনো বিপদে রাতের অন্ধকারে ছুটে আসে তারাই।এই তাদের কে ভালোবাসলে ওদের হৃৎপিন্ড চিপে খাওয়া যায়। এদের ভালোবেশে নিজের মেধা দিয়ে সমাজে কেউ দাড় করায়না, শুধু পারে নীরুদের মত কিছু লোভি মেয়ে ছেড়ে গিয়ে জমিদারের বউ হতে।
এক আজব দুনিয়া শুধু মাত্র ভালো কাপড় স্বর্ণ অলংকার গাড়ি বাড়ির জন্য অন্যের ভালোবাসাতো দুর নিজের ভালোবাসাও পায়ের নিচে পিষে হাত ধরে অন্যের দৌড় দেয় দালানে।
তারপর?
তারপর কি হয় জানো? সেই মেয়ের গালে বুকে লেগে থাকে ইট সুরকির ক্ষয়ে যাওয়া শুধুই ধুলিকণা। এমন হাজার হাজার জলন্ত উদাহারণ আমার কাছে আছে।
হাহাহা শায়মা বিয়ে ভাঙ্গো। খোকা ভাইকে নিয়ে ভাগো। তাকে বলো যা ইচ্ছে তা খাও,মদ খাও আর মোয়া, জেলে থাকো আর জলে। ঘরে থাকো আর বারান্দায়, পনির খেয়ে বাচোঁ নাহয় শুধুই পানি, সোনার খাঁচা নাহয় লোহার বেঢ়ী, পাজেরো হোক আর পায়ে হাটা আমাকে নিয়ে যাও। শুধু তোমার গালের সাথে গাল রেখে চোখ মেলে আকাশ দেখাও। এই হোক জীবনের জংশন। দেখবে খোকা ভাই সাহস করে হাত বাড়িয়ে দিবে ।
যত গরীব প্রেমিক ধনী প্রেমিকার হাত ছেড়েছে এই দুনয়াতে সেটা শুধু একটা মাত্রই কারণ, প্রেমিকার চোখে সে দেখেছে আভিজাত্যের আভা। তাই প্রেমিক সাহস পায়নি সাহস দেখায়নি।
গল্প শুধু গল্প নয়, গল্প হোক জীবনের বীজ।
শুভ কামনা সব সময়
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: তুমি তো খোকাভায়ের বিরুদ্ধে যাবে না জানিই ই আমি!!!!!
সব দোষ নীরু ঘোষ না!!!!!!!!!
হা হা আমিও বাংলা সিনেমার মত নায়িকাকে বড়লোকের সাথে বিয়ে দিচ্ছি না!!!!!!!!!!
ওকে ওকে মনে রেখো নেক্সট সিরিজে এমনই ফকিরের সাথে বিয়ে দেবো আমার নায়িকার!!!!!!!!!!!! যে নায়িকা ফকিরটাকে পিটাই বড়লোক বানাবে..... নাকি চাও দুজনই দুঃখ দারিদ্রে থেকে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাক!!!!!!!
ঐ আমার নীরুর তো কিছু করার ছিলো না!!!!!!!!
ওকে তো ওর বাবা মা চৌদ্দ গুষ্ঠি আটকায় রাখলো!!!!!! আর পড়লে না কানা যে নীরূ নিজেই খোকাভায়ের সাথে পালাতে চাইলো। কাপুরুষ খোকাভাই তো তারপরদিন থেকেই গায়েব ভয়ে!!!!!!!!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১২
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা শায়মা বিয়ে ভাঙ্গো। খোকা ভাইকে নিয়ে ভাগো। তাকে বলো যা ইচ্ছে তা খাও,মদ খাও আর মোয়া, জেলে থাকো আর জলে। ঘরে থাকো আর বারান্দায়, পনির খেয়ে বাচোঁ নাহয় শুধুই পানি, সোনার খাঁচা নাহয় লোহার বেঢ়ী, পাজেরো হোক আর পায়ে হাটা আমাকে নিয়ে যাও। শুধু তোমার গালের সাথে গাল রেখে চোখ মেলে আকাশ দেখাও। এই হোক জীবনের জংশন। দেখবে খোকা ভাই সাহস করে হাত বাড়িয়ে দিবে ।
যত গরীব প্রেমিক ধনী প্রেমিকার হাত ছেড়েছে এই দুনয়াতে সেটা শুধু একটা মাত্রই কারণ, প্রেমিকার চোখে সে দেখেছে আভিজাত্যের আভা। তাই প্রেমিক সাহস পায়নি সাহস দেখায়নি।
গল্প শুধু গল্প নয়, গল্প হোক জীবনের বীজ।
শুভ কামনা সব সময়
ওকে ওকে তাই হবে তাই হবে...... নেক্সট গল্প লেখার সময় তুমি প্লট বলে দিও......
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:৪৯
সোহানী বলেছেন: প্রথম তিনটা পর্ব পড়েছি। আর এবারের কনে দেখার আয়োজন আর খোকা ভাইয়ের নিরুদ্দেশ পড়লাম। বরাবরের মতই ভালো লাগলো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনি!!!!!
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: যদিও গল্পের পটভূমি, চরিত্রগুলো চেনা পরিসরেই অহরহ দেখতে পাই- তবুও সুন্দর লেখনী/উপস্থাপণে আরও বেশী জীবন্ত মনে হচ্ছে। চমতকার ধারাবাহিক!
শুভ কামনা। +
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক অনেক থ্যাংকা ভাইয়া।
আসলেই এসবই আমাদের জীবনের গল্প!
চেনা কথা চেনা কাহিনী...... তবুও লিখতে ইচ্ছা করে।
পড়ার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পথ এখন দুই দিকে মোড় নিচ্ছে। দেখা যাক গল্প কোন পথে হাঁটে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ পথ দুই দিকে।
এখন নীরুর আরেক জীবন দেখা গল্পের শুরু।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
শার্দূল যাদের কথা বলেছে সেই ক্যাটাগরিতে শুধু মেয়েরা না, একশ্রেণীর নারী এবং পুরুষ আছে প্রেম করবে একজনের সাথে, তাকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখের জন্য বিয়ে করে ফেলে অন্যজনকে । তারা অনেক স্বার্থপর টাইপের হয়ে থাকে । সত্যিকার অর্থে ভালোবাসলে মানুষ কখনোই তার ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে যায়না । নো ম্যাটার হোয়াট প্রিয় মানুষটির সাথেই সুখ দুঃখে একসাথে থাকতে চায় । এটাই হওয়া উচিৎ । কিন্তু এই গল্পের প্লটে কি হতে যাচ্ছে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না, যেহেতু শেষ হয়নি । আরেকটা বিষয় হচ্ছে এরা দুজনেই কিশোর কিশোরী । তাই আদৌ জীবন কি বুঝতে শেখেনি তখনও । তাই ভুল করার চান্স আছে । এই বয়সে ভালোলাগাকে ভালোবাসা বলেও ভুল করতে পারে । দেখা যাক স্টোরি কোথায় যায় ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: সেটাই তো!!!!!!!!
নীরুর কি কিছু করার আছে নাকি??
বাড়ি থেকে পালিয়ে বেশি দূর যাবার আগেই তো কোতল হয়ে যাবে। তবুও খোকাভাই যদি একটু সাহসী হত!!
সে তো নিজেই পালায় গেলো!! কি করবে এখন আর নীরু?
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
একলব্য২১ বলেছেন: পর্ব ১৩ পর্যন্ত ঘটনা অনুযায়ী তখনকার আবেগী কিশোরী আজকে পরিণত নারী নীরুর কি অনুশোচনা হয়, আত্মগ্লানিতে ভুগে খোকাভাইকে সেই বয়সে প্রেমে জড়িয়ে তার জীবনটা এ রকম নেশাগ্রস্ত ছন্নছাড়া করে দিবার জন্য।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০
অপ্সরা বলেছেন: খোকাভাই তার প্রেমের জন্য নেশাগ্রস্ত হয়েছে আমি তেমনটা মানি না।
চাইল্ড সাইকোলজী বা বুড়াদের সাইকোলজী কোনটা যে খোকাভায়ের ক্ষেত্রে কাজ করবে তা বলা কঠিন কারণ রবিঠাকুরও টিন এইজ বয়সের ছেলেদের বিড়ম্বনার কথা লিখে কোনো কূল কিনারা পায়নি।
খোকাভায়ের যে বয়স পরিবেশ বা পরিস্থিতি ছিলো তাতে নীরু বিরু শিরু তার জীবনে কেউ না আসলেও হয়ত সে নেশাতেই যেত।
কারণ খোকাভায়ের সবচাইতে বড় সমস্যাটাই ছিলো এখানে হতাশা।
তার নিজের দাদার বাড়িতে প্রাপ্য সন্মান না পাওয়া।
এবং তার কারণ বাবার তাজ্য পুত্র হওয়া।
পিতৃবিয়োগ অকালে......
ভবিষ্যতের স্বপ্ন ভেঙ্গেচুরে যাওয়ার ভয় এসবই তাকে আসলে ভেতরে ভেতরে হতাশ করে তুলেছিলো।
এসব কোনোটাই কিন্তু হতাশ হবার উদ্দীপক না যদি কারো মনোবল থাকে। কিন্তু বেশিভাগ ছেলেমেয়েরাই এই বয়সে মাথার উপর ছাতা সরে গেলে এতটুকু কলঙ্ক লেগে থাকলেও হতাশ হয়ে পড়ে।
আমাদের দেশের সামাজিক রুলস মান সন্মান প্রথা ও কুসংস্কার যতদিন না বিলুপত হয়ে খোকাভাইরা কখনও ১০০% মনোবল ফিরে পাবেনা।
আমি কখনও কোনো কিছুর কোনো কোনো কিছুকেই দায়ী করি না।
আমি মানুষের প্রতিটা পরিনতির জন্য তার নিজ কর্মকে দায়ী করি।
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: তাহলে এখন নীরুর কি নিজের প্রতি ক্ষুব্ধ হন, আবেগী হয়ে কিশোরী বয়সে খোকাভাইয়ের মত ভঙ্গুর মনোবল সম্পন্ন মানুষের সাথে নিজেকে প্রেমে আবদ্ধ হওয়াকে।
নাকি ঐ বয়সটাই ঐ রকম। অত তো বিচার বিশ্লেষণ করার জ্ঞান অভিজ্ঞতা থাকে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
অপ্সরা বলেছেন: না নীরু এক্সেপটেবল!
মনেরে আজ কহ যে
ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে!!!!!!!
নীরু কখনও তার ভুল বা শুদ্ধের জন্য আত্মগ্লানিতে ভুগে না কারণ পৃথিবীতে যা সামনে আসে তা মানুষ ভালো জানে বলেই গ্রহন করে, সেই ভাবে চলে। সেই সময়ের শুদ্ধ এই সময়ে ভুল ভাবাটা অন্যায়!
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
সেই বয়সে প্রেমে জড়িয়ে তার জীবনটা এ রকম নেশাগ্রস্ত ছন্নছাড়া করে দিবার জন্য।
শুভটা পাকা ঝুনা নারকেল
সো ফার কাহিনীতে কোথাও কি এটা উল্লেখ হয়েছে যে খোকা এই কারনে নেশাগ্রস্ত ।
যদি কেউ ড্রাগ নেয়, যদি, তবে সেটা সে করছে নিজের ইচ্ছায় আর কারণটা চাপিয়ে দিবে আরেকজনের ওপর এটা কিরকম কথা!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
অপ্সরা বলেছেন: বুঝা গেলো শুভভাইয়ুও ব্লগের বর্তমান ভাইরাসে আক্রান্ত!
নারী বিদ্বেষ ভাইরাস হা হা
২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল,
আমি যা বলেছি তা পর্ব ১৩ পর্যন্ত ঘটনাবলী মাথায় রেখেই।
শুভটা পাকা ঝুনা নারকেল
হা হা হা......আমি শায়মা আপুকে লেখা সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন করে গল্পের নিগূঢ় সত্যটা জানার চেষ্টা করি। অনেক সময় সেই প্রশ্নটা খুব রুঢ় হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো আমি শায়মা আপুকেই এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারি কারণ তার maturity কারণে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
অপ্সরা বলেছেন: হি হি শুভভাইয়ু!!!!!!!
আমি তো ভেবেছিলাম ব্লগের বর্তমান ভাইরাসে আক্রান্ত হইলা!!!!!!!!!
২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
তারমানে বাকি সবাই immature
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
অপ্সরা বলেছেন: হি হি পিচ্চুরা এমন ভাবে অনেক বড়
আমার ক্লাসে একটা বাচ্চা বলে বেশি কথা বলবা না আমি এখন ৫
হা হা হা
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
একলব্য২১ বলেছেন: নীরু কখনও তার ভুল বা শুদ্ধের জন্য আত্মগ্লানিতে ভুগে না কারণ পৃথিবীতে যা সামনে আসে তা মানুষ ভালো জানে বলেই গ্রহন করে, সেই ভাবে চলে। সেই সময়ের শুদ্ধ এই সময়ে ভুল ভাবাটা অন্যায়!
দেখ! মিরোরডল শায়মা আপুর matured answer.
তারমানে বাকি সবাই immature
তুমি আমার কথা নিয়ে juggling করতাছো। হা হা...
পরে আসবো। এখন ব্যস্ত। ভালো থাকো। আর শুনো আমার মহামূল্যবান পরামর্শ ঠিকমত পালন কর।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২
অপ্সরা বলেছেন: পালাও কেনো!!!!!!!!!
কিসের ব্যস্ত শুনি!!!!!!!
আর পরামর্শ আবার কি!!!
২৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "আমার সিথানে দুঃখ পৈথানে দুঃখ
দুঃখ ডানে-বামে।
তবুও আমি প্রেম করিলাম
শ্যাম কালিয়া (খোকা ভাইয়ের )'র সনে রে" ------------
কৈশোর প্রেম বড়ই বেসমাল ও দুরন্ত হয়।
সবই ভালো লাগে।
আর এই বয়সের মেয়েরা একটু আউলা-ঝাউলা(নিস্কর্মা-বাউন্ডুলে-অপদার্থ) ছেলেদের পছন্দ করে ( নিজের কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে এই কৈশোর প্রেমের )।
মেয়েরা কেন এরকম আউলা-ঝাউলাদের সাথে প্রেম করে ?
এ এক বড় বিষ্ময় ।
হয়ত গতানুগতিক জীবন থেকে কিছুটা ভিন্নতা বা থ্রিলের কারনে নাকি খারাপ একজনকে ভাল করার আশায় - জানিনা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আউলা ঝাউলা ছাড়া অন্য বেশি পন্ডিৎদের উপর মাতবরী করতে পারে না তাই লাইক করে না।
ভাইয়া কি সব পোস্ট লেখো!!!!!!!!
শিরোনাম পড়ে আমার চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়
ভেতরে ঢুকে চক্ষু হয় দই বড়া।
২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
পালাচ্ছি না। সিরিয়াসলি বিজি। একটা কাজ করছি। তোমাদের মত enlighten মানুষদের সাথে আড্ডা দেওয়াটা ভাগ্য।
সময় থাকলে আয়নাপুতুলের সাথে একটু রগড় করতাম।
@মোহামমদ কামরুজজামান ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে অনেক হাসলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: কেনো কেনো এত হাসি কেনো???
তোমার উপরেও কেউ এমন মাতবরী করেছিলো নাকি!!!!!!!!!
এবার আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও, আমাকে তো অনেক প্রশ্ন করো-
তুমি কি আউলা ঝাউলা নাকি একদম পরিপাটি ফিট ফাট!!!!!!!
২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আনলাকি থার্টিন পর্বটাই পড়লাম। পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। কিশোর বয়সীদের এমন আবেগ সত্যিই খুব দুর্দান্ত হয়। জানিনা গল্পের শেষটায় বিরহই থেকে যাবে নাকি খোকা ভাইয়ের সাথে নীরুর মিলন ঘটবে। যাই ঘটুক, আমার তো কিছু করার নাই, সামনের দিন গুলোতে আমি খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করবো।
...............ভালো থাকবেন আপু, সব সময়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৬
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
কেমন আছো?
আগে কত শত পোস্ট লিখতে।
আজকাল আর আসোই না বলতে গেলে।
এত বিজি হয়ে গেছো আজকাল!
জানি সবাই বিজি হয়ে গেছে।
আমিও অনেক বিজি হয়ে পড়েছি।
তবুও আমরা আছি।
আমাদেরক ভুলে যেও না।
অনেক মন দিয়ে পড়েছো আমার এই লেখাটা সেটা জানি।
আর আমিও অনেক মন দিয়েই লিখেছি যতটুকু সময় পেয়েছি তাই নিয়েই.....
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৭
একলব্য২১ বলেছেন: এবার আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও, আমাকে তো অনেক প্রশ্ন করো-
তুমি কি আউলা ঝাউলা নাকি একদম পরিপাটি ফিট ফাট!!!!!!!
আমি নিরামিষ মানুষ। অধূমপায়ী মদ প্রায় স্পর্শই করি না বলা চলে। তবে কালে ভদ্রে দুচার পেগ খেতে আপত্তি নেই। যদিও গত ৫/৬ বছরে সেই সুযোগ হয়নি। মাথার চুলের কাটিং ৩ নম্বর মানে প্রায় আর্মি কাটিং। clean shaved. আমার মামাতো বোনরা আমাকে একদম চাঁছা মাকুন্দা বলে। আজকাল আবার trimmed beard চেহারা বেশ চলছে।
ওকে শায়মা আপু।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!!!!!!!!!!!
ভেবেছিলাম আলাভোলা ভালা ভালা পালা মানে পোলা তুমি!!!!!!!
কিন্তু এখন তো এট্টু চিন্তায় পড়লাম......
২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: নীরুর খোকা ভাই ময় পৃথিবী।
কপাল কুঁচকে ঐ শুকনো পুকনো মহিলা মানে পাত্রের মা মনে হচ্ছে ক্যাচাল লাগাবে। ছেলে ডাক্তারি পাশ করেছে মানে তিনি ছেলের জন্য বৃটিশ রাজবংশের পাত্রী খুঁজছেন
ভুরিভোজ ভাল ছিল- দাওয়াত দিয়ে আইতাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: এটা কেবল মেয়ে দেখা হলো।
বিয়েতে নিশ্চয় দাওয়াৎ দেবো ভাইয়া!
২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
একলব্য২১ বলেছেন: আচ্ছা নীরুকে দেখতে এসে ছেলের মা কেন নেকলেস পড়িয়ে দিল। প্রথম দিন এসে পাত্রী পক্ষের সাথে তেমন কথাবার্তা না বলে বা তাদের অনুমতি না নিয়ে বা বিয়ের ডেট ঠিকঠাক না করে কেন নেকলেস পড়ালো।
@মোহামমদ কামরুজজামান ভাইয়ের কথা পড়ে হাসলাম এই কারণে যে কামরুজ্জামান ভাই খুব একটা ভুল বলেননি। পুরান ঢাকার অনেক বড় বড় রংবাজদের বউদের দেখলে কথার সত্যতা পাওয়া যায়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৬
অপ্সরা বলেছেন: আগের দিনে মেয়ে পছন্দ হলে পাত্রপক্ষ কোনো না কোনো উপহার দিত। এটারও একটা কারণ আছে। আর পাত্রের মায়ের পাত্রী পছন্দ হয়ে গেছিলো। নেকলেস দেওয়া এটারই কারণ।
হ্যাঁ কামরুজ্জামানভাইয়া অনেক মজা করতে পারে আর অনেক জানেও।
৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদন দেরী করে পোষ্টে আসলে মন্তব্য করার কিছু থাকে না । সবাই সব বলে গেলো যে
পরেরবার থেকে শুরুতে মন্তব্য করবো তাতে নিজেকে বেশ বিশ্লেষক বলে মনে হয়
হুমায়ুনের দারুচিনি দ্বীপ বইতে দেখেছিলাম জরি কে হীরের সেট বিয়ে পড়ানোর আগে দিতে চায় নি, আর এই দেখলাম দেখতে এসছে বলে আমেরিকান ডায়মন্ডের নেকলেস দিলো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আপুনি ঠিক তাই.....সত্যিকারের ডায়ামন্ড না দিয়ে আমেরিকান ডায়ামন্ড!
কথা কিন্তু সত্য!!
৩১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: তবে তাই হোক পরের গল্প হবে আমার ভাবনা থেকে, ধনীর দুলালীকে আমি রিক্সাওয়ালা দুলাল মিয়ার সাথে বিয়ে না দিয়ে ছাড়ছিনা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে তাহাই হইবেক শার্দূল।
তুমি দুলালমিয়ার পার্টটুকু লিখে দিও ওকে???
৩২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
একলব্য২১ বলেছেন: ঐ নেকলেসটা এখন কোথায় আছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এটা তো গল্পে গল্পে বলতে হইবেক!!
এখুনি বলা যাইবেক লাই.....
৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
নায়কের নাম দুলাল হলে কিন্তু ওই গল্প পড়বো না
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৬
অপ্সরা বলেছেন: তাইলে রিক্সাওয়ালার নাম কি দেবো???
৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সময় থাকলে আয়নাপুতুলের সাথে একটু রগড় করতাম।
রগড় কি?
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৭
অপ্সরা বলেছেন: রগড় মানে ফান.....
তবে নেগেটিভ অর্থে বলে মনে হয় ...
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
তবে কালে ভদ্রে দুচার পেগ খেতে আপত্তি নেই।
আবার বলছে
যদিও গত ৫/৬ বছরে সেই সুযোগ হয়নি।
এখনও পিচ্চি । তারমানে ৫/৬ বছর আগে আরও পিচ্চি ছিলো, সেসময়ই দুচার পেগ চলতো ।
আপু বুঝতে পেরেছো, তোমাকে বলেছিলাম না শুভ একটা ঝুনা নারকেল ইঁচড়ে পাকা ।
এখন দেখো
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৮
অপ্সরা বলেছেন: শুধু ঝুনা নারকেল ইচড়ে পাকা!!!!!!
পুরাই বর্ণচোরা আম!!!!!!!
৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: আয়নাপুতুল,
রগড় কি?
এখন আর সেই মুড নাই, মলি।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৯
অপ্সরা বলেছেন: কোন ম্যুড! রগড়ের???
এটা কি পুরান ঢাকয় বলে নাকি পিচ্চুভাইজান?
৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
একলব্য২১ বলেছেন: এক খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড Iowa State Univ. এ architecture engg. পড়তে যাবে। সেই খুশিতে একটা পুরা বোতল তিন বন্ধু গিলছিলাম। তারপর ওর ঘরের কার্পেটে বমি করে ভরে ফেলছিলাম। সেটা স্কচ ছিল। প্রাণ ভরে খাইছিলাম। সে রকম আরও একবার প্রাণ ভরে খাইতে মঞ্চায়। হে হে হে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ওকে ঠিক আছে।
সত্যি কথা বলার জন্য তোমাকে ১০০ তে ১০০ দেওয়া হলো......
যদিও মাতাল আমি ভুই পাই..... টিকটিকির চেয়েও বেশি !!!!!!!! হা হা হা
৩৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তাইলে রিক্সাওয়ালার নাম কি দেবো???
কেনো সে রিকশাওয়ালা তাই তার নাম দুলালমিয়া হতে হবে
রিকশাওয়ালার নাম কি নভো হতে পারে নাহ ?
গরীব হয়েছে বলে কি সুন্দর নাম থাকবে না !
তাই যদি না থাকে, খোকাভাইয়ের মতো গল্পের নায়ক হবে রিকশাওয়ালা ভাই
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে কিন্তু নভো নাম কে দেবে তার মা নাকি প্রেমিকা আর প্রেমিকা নাকি আমার বড়লোকের মেয়ে হতে হবে। মানে শার্দূল বলেছে।
এমন অবাস্তব গল্প কেমনে লিখি!!!!!!!!
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ওহ আরেকটা কথা!
নভো কি শুভর ভাই হবে?
মানে নভোর ভায়ের নাম কি শুভ হবে!!!
৩৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
এখন আর সেই মুড নাই, মলি।
মলি পলি ডলি যে নামে খুশি ডাকতে পারে ।
কিন্তু মনে আছে টুটি চেপে মৃত্যুর কথা !
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
অপ্সরা বলেছেন: মনে নাই মনে হয় !
৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
নভো একটা উদাহরণ ।
বলতে চেয়েছি একটা ভালো নাম হতেই পারে, দুলালমিয়া না ।
শুভ হলে মন্দ হয়না
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৪
অপ্সরা বলেছেন: হা হা
সবচেয়ে এইটাই ভালা নাম!!!!!!!
৪১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: বুঝার ভুল হয়ত। বাদ দাও।
সত্যি কি আমাদের মানে আমি, ডল আর চুয়াত্তর ভাইয়ের জন্য তোমার স্বাভাবিক সাবলীল লেখা ব্যাহত হয়, শায়মা আপু। যেহেতু আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করি বলে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৫
অপ্সরা বলেছেন: না হয় না!
আমার কোনো কিছু ব্যহত করা কি এতই সহজ!!!!!!!!!
৪২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
তোমরা দুইজন মারামারি ঝগড়াঝাঁটি করো, আমি ঘুমাতে যাই
গুডনাইট !
[ytork7YL3Hq5U]
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি কি তোমাদেলকে মাত্তে পালি!!!!!!!!!
৪৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০
একলব্য২১ বলেছেন: গুডনাইট ডলি।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২
অপ্সরা বলেছেন: সত্যিই চলে গেছে ঘুমাতে মিররমনি!!
৪৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪
অপ্সরা বলেছেন: তাই চমকিত মন চকিত শ্রবণ তৃষিত ব্যকুল আঁখি.....
৪৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২২
একলব্য২১ বলেছেন: স্যরি শায়মা আপু,
আমার কথায় বা কোন শব্দ ব্যবহারে যদি দুঃখ পেয়ে থাকো। instantly অনেক কিছু লিখি তো। একটু এদিক ওদিক হতে পারে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪০
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না তোমার কথায় দুঃখ পাইনা।
যাদেরকে আমি ভালো জানি তারা মাঝে মাঝে একটু এদিক ওদিক কথা বলে ফেলে মানে মানুষ তো ভুল হতেই পারে।
আমি যেহেতু জানি তারা আদতে মানুষ ভালো তাই রাগ লাগে না।
যেমন কামরুজ্জামান ভাইয়া একদিন কবিতা আপার পোস্ট পড়ে ওভার এক্সাইটেড হয়ে গেছিলো। আর এমন এক মন্তব্য করে ফেললো যে আমার মত প্রতুৎমন্নমতী মানুষও হোচট খেলাম। হা হা কেমনে আনসার দেই!
কারণ আমি জানি ভাইয়া ফান করতে গিয়ে এমনই মজা পেয়ে গেছে যে কোথায় লিখছেন মনে ছিলো না তার।
আমি সাধারণত হাজার ফান করলেও সব সময় কন্ট্রোলে রাখি নিজের ভাষা শব্দ ও যে কোনো রকম আচরণ। কিন্তু সবাই কি আমি?
তাই সত্যি যারা ভালোমানুষ কিন্তু একটু বোকামী করে ফেলেন তাদের উপর আমার রাগ লাগে না।
কামরুজ্জামান ভাইয়াকেও আমার তেমনই মনে হয়। একটু বোকা তা না মানে যাই বলুক আর করুক ভাইয়ার ব্যবহার খুবই অমায়িক । তাই ভাইয়া যেন কষ্ট না পায় তার কিছু ভুল হলেও সে ব্যপারে আমি সাবধান থাকি।
আমরা এখানে লিখে লিখে মনের ভাব প্রকাশ করি তাই মাঝে মাঝেই বুঝতে একটু উল্টা পাল্টা হয়ে যায়।
সেদিন রাতে যখন রগড় লিখলে তখনই আমার একটু ভয় হচ্ছিলো মিররমনি রাগ করতে পারে। মানে ফান এর খাঁটি বাংলা রগড় হলেও এই শব্দ ব্যবহারে বাক্য একটু অন্যরকম হয়ে কানে লাগে তাই আমি ভাবলাম হয়ত পুরান ঢাকার মানুষেরা এমন করেই বলে। হা হা
যাইহোক আমি তোমার উপর রাগ করি না। কারণ তোমাকে ইনোসেন্ট এন্ড কিউরিয়াস মনে হয়।
৪৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
আমি এখনই তোমাকে অনুরোধ করতে চাচ্ছিলাম ডিলিট ইট। যাক বাবা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
তুমি ঠিকই বলেছ। রগড় শব্দটা ইতরামি অর্থই বুঝায়। সেটাও ভুল শব্দের ব্যবহার ছিল আমার। আসলে আমি ওর নাম নিয়ে আবার ফাজলামি করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পরে মনে হল না, এটা করা ঠিক হবে না।
যাক বাবা শব্দ ব্যবহার আমি আরো সর্তক থাকবো। শায়মা আপু, নাকে খত দিব!!!
আর যাই করো মলির (!) কথা শুনে নায়কের নাম শুভ রেখ না, প্লীজ।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না না শার্দূল যেটা রাখতে বলবে সেটাই রাখবো।
কারণ সে বলেছে সে আমার সাথে এই গল্প লিখতে হেল্প করবে।
হা হা দাঁড়াও তোমাকে একটা কবিতার লিংক পাই যদি দিয়ে যাবো।
থাক আর নাকে খত দিতে হবে না।
৪৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরাও আমাদের দাদীকে দাদীমা বলে ডাকতাম। আমাদের দাদীমা খুবই সুন্দরী ছিলেন। তবে ভীষণ পর্দানশীন। ছোটবেলায় যখন তার সাথে আমি কখনো 'সাকাই বাড়ি' (আত্মীয়দের বাড়ি) বেড়াতে যেতাম, তখন তার রিক্সার সামনে কিংবা গরুর গাড়ির ছই এর সামনের অংশটুকু একটা শাড়ি বা চাদর দিয়ে পেঁচানো থাকতো, যেন কেউ কোনভাবে তাকে দেখতে না পারে। যাহোক, আমার স্মৃতিকথা থাক, এবারে আসি গল্পের কথায়।
এ যাবত পড়া ১৩টি পর্বের মধ্যে এ পর্বটিই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি হৃদয়স্পর্শী বলে অনুভূত হয়েছে। অনুমান করি, এ পর্বটি লিখতে গিয়ে আপনি অনেক কেঁদেছেন (আপনি নিজেই অনেক জায়গায় লিখেছেন যে গল্প লিখতে গিয়ে অনেক সময় আপনি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসান)। এ কাহিনী নিয়ে সুন্দর একটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা যেত, যা দেখে বিশেষ করে মহিলা দর্শকরা কেঁদে বুক ভাসাতো।
খোকা ভাইএর পরিণতি যেমনটি হবার মত ছিল, তেমনটিই হতে যাচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া,
দিনাজপুরের চৌধুরীবাড়ির লোকজনদেরকে দেখেছি তারা গাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাড়ির বৌদেরকে গরুরগাড়ি করে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠাতেন। গরুর গাড়ি করে বৌরা বেড়াতে যাবেন এটাই তাদের সম্ভ্রান্ত পরিবারের বৈশিষ্ঠ ছিলো। সেই গরুগুলি ছিলো তাগড়া বিশাল দেহী, গায়ে মাছি পিছলে পড়া তেলতেলে। আর সেই গাড়িগুলিও লাল টকটকে শালু কাপড়ে মোড়ানো থাকতো।
হ্যাঁ খোকাভায়ের পোরশান লিখতে গিয়ে কেঁদেছিলাম।
পরের পর্বে বেশি কেঁদেছি ভাইয়া হা হা এখন হাসছি।
হুম এসব গল্প তো আসলে চেনা গল্পই।
৪৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: আগেকার কনে দেখানোর বর্ণনা খুব সুন্দর হয়েছে। - আমিও একমত তার সাথে।
আগের মত এবারেও শার্দূল ২২ এর মন্তব্যটা (১৩ নং) বেস্ট অভ অল! বিশেষ করে তার দীর্ঘ মন্তব্যের দুটো কথা খুব ভালো লেগেছেঃ
* একটা ইউরোপ আমেরিকার কানাডার পাত্রের সামনে কত দেশীয় ভালোবাসা তথা শিক্ষিত যুবকের মাথা ভুপাতিত হয় তা সবাই জানে!
* গল্প শুধু গল্প নয়, গল্প হোক জীবনের বীজ।
এ পর্বের প্রতিমন্তব্যগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেই নয়। সযত্নে করা হৃদয়গ্রাহী প্রতিমন্তব্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: কামালভাইয়া আমার প্রিয় পাঠকদের একজন।
শার্দূল আমার অনেকদিনের চেনা এবং অনেক প্রিয় মানুষ।
মাঝে মাঝে আমি মন দিয়ে জবাব লিখি আর মাঝে মাঝে ফান দিয়ে..
৪৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পর্বটা খুব খুব ভাল হয়েছে। কনে দেখাবার বর্নণা পড়ে খুব ভাল লাগলো। নিরু আর তার মায়ের সম্পর্কটা বেশ জটিল যেটা আগেই মনে হয়েছিল। এ পর্বে সেই সম্পর্কের টানাপোড়েন সুন্দর ফুটে উঠেছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া..... ভালো বলার জন্য।
আর ১১ পর্বে উত্তর দিয়েছি এটা শুধু নিছক লাভস্টোরি নহে..... সামাজিক অর্থনৈতিক পাররিপার্শ্বিক জীবন দর্শনের গল্প....
৫০| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মুদ্দাকির বলেছেন: খোকা ভাইয়ের নেশা করা ঠিক হইল না, দুঃখ ডিল করতে হবে পূর্ন চেতনায়, চেতনা নষ্ট করে দুঃখ থেকে পালায়ে লাভ নাই!! গোলাপী রঙের কাতান শাড়ীটা চোখার নিচে ভাসছে...............। সুন্দর বরই সুন্দর।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভালোই তো মনের চোখ দিয়ে দেখে নিলে!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে এই পর্ব।
খোকাভাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এটা জানার পরে গল্পের পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত। আগ্রহ কমে গেল।