নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল ছিলো গায়ে হলুদ। আজ আমার বিয়ে। বলতে গেলে সারারাত ঘুমাইনি আমি। আমার জীবনের এই এতটুকু বয়সে যত রাত পার করেছি তার থেকে এই রাতটা একেবারেই আলাদা ছিলো। আমাদের মফস্বল টাউনের সেসব দিনে রাত ১১টা মানেই গভীর রাত ছিলো কিন্তু সেই রাতটাতে ১২ টা পার হয়ে যাবার পরেও রাত ২টা ৩ টা পর্যন্ত সারাবাড়িই জেগে রইলো। বিয়ে বাড়ির কাজের লোকজনের কর্মব্যস্ততার শব্দ, মুরুব্বীদের হাক ডাক, খাসী গরু জবাই এর শব্দ, পেঁয়াজ রসুন হলুদ মরিচবাটা এ সবকিছু নিয়ে বাড়ির মহিলারাও মনে হয় রাতে একেবারেই ঘুমায়নি কেউ কেউ। শুধু ছোট ছোট ছেলেপুলেদের হাকডাকই কমে এসেছিলো। দাদীমার পাশে শুয়ে ছিলাম আমি সারা রাত। উল্টোদিকে ফিরে আমি ঘুমের অভিনয় করছিলাম। আমার বন্ধ চোখের কোল দিয়ে জল গড়িয়ে বালিশ ভিঁজে যাচ্ছিলো কিন্তু কেনো বা কার জন্য তখন আমার আর সেই বোধ ছিলো না।
ভোরের দিকে মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমি। তবুও ভোরের বেলা দাদীমা যখন নামাজ পড়তে উঠলো, ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার। জানালা দিয়ে গাঢ় নীল আকাশ দেখা যাচ্ছিলো। পাখিদের কলকাকলী ভেসে আসছিলো কানে। আমি চুপ করে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম কাল থেকে আমার আর এ বাড়ির ভোর দেখা হবে না। এই যে এ বাড়ির পেছনের বাগানের কোনো এক ঝোঁপে বসে অদ্ভুত সূরে ডাকা কানাকুয়ো পাখির এই অদ্ভূত কুপ কুপ কুপ সূর আর শোনা হবে না আমার। এই যে জানালা দিয়ে গাঢ় নীল আকাশ ক্রমে ফরসা হয়ে আসছে এই জানালার আকাশটাকে আর দেখা হবে না আমার। হঠাৎ মনে হচ্ছিলো জীবনটা বদলে যাচ্ছে আমার। বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে আসছিলো।
দাদীমার নামাজ পড়া শেষ হতে ধীরে ডাকলেন তিনি আমাকে। প্রায় তখনই মা এবং সকল চাচীরাই দাদীমার ঘরে এলেন। আমি লেপ গায়ে জড়িয়েই বিছানার উপর গুটিসুটি বসলাম। চাচীরা আমার বিয়ে উপলক্ষে নানা উপহার নিয়ে এসেছিলেন। সেজোচাচী আমার কানে পরিয়ে দিলেন অদ্ভুৎ সুন্দর এক ঝুমকা। ঝুমকাটার আশ্চর্য্য এক ডিজাইনে চোখ আটকে গেলো আমার। এর আগে যত ঝুমকা দেখেছি তা গোলাকার ঢাকনির মত আর এই ঝুমকাটা যেন পাখির খাঁচা। লম্বাটে খাঁচায় যেমন বন্দী থাকে পাখি। সেই খাঁচাগুলোর মতন। মনে মনে এই ঝুমকার একটা প্রতিকী অর্থ দাঁড়া করাই আমি আজ। এক খাঁচা থেকে নীরুর আরেক খাঁচায় প্রবেশের সংকেত বুঝি ছিলো সেই পাখির খাঁচা ঝুমকাটাই। যাইহোক অন্যান্য চাচীরা কেউ চেইন, কেউ চুড়ি এসব নানা উপহার পরিয়ে দিচ্ছিলেন আমাকে। এমন সময় সকলের আড়াল থেকে বের হয়ে এলেন বড় চাচীমা তারপর আমার সামনে এসে বসলেন। আমার হাত দুটি টেনে নিয়ে পরিয়ে দিলেন তিনি হাঙ্গরমূখী দুটি বালা। বললেন,
- অনেক কষ্টের পরেও এই বালা দুটি হাতছাড়া করিনি আমি। ভেবেছিলাম খোকার বউকে দেবো। এটা তার বাবার দেওয়া প্রথম উপহার।
তারপর অঝর ধারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন চাচীমা। আমার দুচোখ বেয়েও নেমে এলো নিঃশব্দ কান্নার ধারা। তাকে কিছু জিগাসা করা হলো না আমার তবে আমি ঠিকই বুঝলাম এক বাড়ি লোকের সামনে কেনো সেই বালা তিনি আমাকেই দিয়ে যাচ্ছেন আজ? আমাদের নিশব্দ চোখের ভাষা পড়ে নিলো একে অন্যের মনের কথাগুলি। আমরা দুজন অসম বয়সী, একই ব্যথায় ব্যথিত দুটি নারী ছুঁয়ে গেলাম একে অন্যের মনের দুঃখটুকু নিশব্দ নীরবতায়। কেউ বুঝুক না বুঝুক আমরা জেনেছিলাম সেই কান্নার মানে তবে তখন ঐ পরিস্থিতিতে না বুঝে থাকার অভিনয়টাই আমাদের ও সকলের জন্য মঙ্গলের ছিলো।
বেলা ১০টার মধ্যেই কাজী এসে গেলো। বিয়ের পড়াবার সময়টুকুতে সারাবাড়ির হইচই কমে গিয়ে নেমে এলো এক অদ্ভুত চাপা গাম্ভীর্য্য। অপারেশনের আগে ঠিক যেমনটা হয় বা কোনো ফাঁসীর আসামীর রায়ের পরে। তেমনই মনে হল আমার। পাত্রপক্ষের দেওয়া গোসলের শাড়ি আর গয়না পরিয়ে বসিয়ে দেওয়া হলো আমাকে দাদীমার ঘরের বিশাল পালঙ্কটিতে আর পাত্রপক্ষ বসেছিলেন বৈঠকখানার ঘরে। সবার ভেতরেই কেমন গুজগুজ ফুসফুস ভাব। যেন জোরে কথা বললে এ বাড়ির সন্মান যাবে কাজী সাহেব ও পাত্র পক্ষের সামনে।
সেজোচাচী আর ছোটচাচীকে বসিয়ে দেওয়া হলো আমার পাশে। মা বলে দিলেন, খবরদার কবুল বলতে বললেই সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠে কবুল বলবি না। কয়েকবার বলার পর তারপর বলবি। আমি তো সেই কথা শুনে থ। মনে মনে হাসলাম। এরপর কাজীসাহেব ও তার সাথে পাত্রের চাচা খালু আরও কে কে আসলো জানিনা। আমাকে আধ হাত ঘোমটার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। এরপর কাজী সাহেব বললেন, নাটোর জেলার ... উপজেলার..... গ্রাম নিবাসী ওমুক হাসানের ছেলে তমুক হাসানের সাথে আপনার বিবাহ ......... হেন তেন কি কি তারপর বলেন কবুল.... মা বলেছিলো কয়েকবার বলার পর কবুল বলতে আর আমি মুখে একেবারেই খিল এটে বসে রইলাম। মা পেছন থেকে ধাক্কা দিলেন, দাদীমা বললেন, বলো নীরু, কবুল বলো। আমি আর বলিই না। কিছুতেই বলি না..... শেষে আমার পাশ থেকে সেজোচাচী বলে দিলো কবুল.... বাস কাজীসাহেব খুশি হয়ে গেলেন..... আলহামদুলিল্লাহ মাশাল্লাহ বলে উঠে দাঁড়ালেন তারা। আর সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেলো খোরমা, মিষ্টি শরবতের বিতরন, একে অন্যের মিষ্টিমুখের আনন্দ উচ্ছাস। এতক্ষন যেন সকলের দম আটকে ছিলো। তবুও শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। সেজোচাচী কবুল বলে দিলেও আমার সামনে বাড়িয়ে দেওয়া হলো বিশাল বড় এক রেজিস্ট্রী খাতা। সেখানে সাইন করতে হলো।
কাজীসাহেব আর পাত্র পক্ষের লোকজন বের হয়ে যেতে হঠাৎ মা আমাকে বুকে চেপে ধরে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলেন। মাকে আমার সকল সময় অতি নির্দয় আর আমার প্রতি অবিবেচক মনে হয়েছে সেই মায়ের এ হেন আচরণে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। হয়ত আমার সাথে সাথে অন্যান্যরা সকলেই। মাকে সবাই সান্তনা দিচ্ছিলো। আর আমি কোন ভাবনায় মগ্ন ছিলাম ঠিক মনে নেই। তবে হঠাৎ আমাকে বুকে চেপে ধরে মায়ের ঐ অবাধ কান্নার মানে আজও খুঁজে পাইনি আমি।
বিয়ে পড়ানো শেষ হলো কিন্তু বিয়ের আয়োজন মানে অতিথি অভ্যাগতদের খানাপিনা ছিলো দুপুরে। ছোটচাচী মীরা আপা আরও কয়েকজন মিলে আমাকে সাজাতে বসলেন। আজকালকার মত তখনকার দিনে আমাদের যশোরে বিউটি পারলার ছিলো না। কনেদেরকে বাড়িতেই মা খালা চাচীরা বা বড় বোনেরাই সাজিয়ে দিতেন। ছোটচাচী তার অসাধারণ করিৎকর্মায় সুনিপুন হাতে আমার চুলে বেঁধে দিলেন মস্ত এক বেনী খোঁপা। হাতে পায়ে নেইলপলিশ দিয়ে নক্সা করে দিলেন মীরা আপা। কাজল লিপস্টিক দেবার পর তখনকার দিনে বউ ভাব আনার জন্য কপাল জুড়ে লাগিয়ে দেওয়া হত চন্দনের নক্সা। কপালে টিকলী, টায়রা ঝাপটা মুকুট থেকে শুরু করে পায়ের পাতায় পঞ্চ অঙ্গুরীও কোনোটাই বাদ পড়লো না। মনে পড়লো দাদীমার সেই কথাটাই, আগের দিনে নাকি মেয়ে এক পাল্লায় দাঁড়া করিয়ে আরেক পাল্লায় সমান পরিমান সোনা মেপে দেওয়া হত।
আমারও ইচ্ছে করছিলো ঠিক ওভাবেই ওরকম কোনো দাড়িপাল্লার উপর দাঁড়িয়ে ওজন করে নিতে। হঠাৎ এক বিরাট বড় থালায় করে সেজোচাচী নিয়ে আসলেন অর্ধেক খাসীর মাথা, অর্ধেক রোস্ট আরও অর্ধেক অর্ধেক কিছু খাবার। এসেই আমার মুখে তুলে খাইয়ে দিতে শুরু করলেন সেই খানা পিনা। বললেন,
- খাও খাও আজ থেকে তুমি যার অর্ধাঙ্গিনী হলে তার অর্ধেক খানা খেয়ে শুভ সূচনা করো।
সেজোচাচী ছোট ছোট গ্রাস নিয়ে মুখে তুলে দিচ্ছিলেন বিরিয়ানী পোলাও যেন লিপিস্টিক নষ্ট না হয়। আর আমি ভাবছিলাম আমার চাচীমাদেরকে তো কখনও অমন চাচাদের আধা উচ্ছিস্ট খেতে দেখিনি তবে কেনো আমাকে এসব খেতে হবে? পরে বুঝেছিলাম এটা শুধু বিয়ে বাড়ির কৌতুকময় একটি আচারই ছিলো।
খানাপিনা শেষে আমাদের সেই বিশাল বাড়ির ভেতরকার উঠোনে রসুনচৌকিতে এনে বসানো হলো আমাকে। পাশে এনে বসানো হলো নতুন জামাইকেও। বেঁজে উঠলো সানাই, নহবৎ কাশি ঢোল। আসলে এই বাজনাটাই রোশনচাওকি কিন্তু ও বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে এমন করে মেয়ে জামাইকে পাশাপাশি বসিয়ে কিছু আনন্দ করা হত। আর সে সময় যে কারুকার্য্যময় চৌকিটার উপর বসানো হত সেই চৌকি বা স্টেজটার নামই হয়ে গিয়েছিলো রসুনচৌকি। এই অপূর্ব সুন্দর সেগুন কাঁঠের চৌকিটির নাম ছিলো ঐ অপূর্ব সুন্দর বাজনাটারই যে নামে সেও অনেক পরে জেনেছিলাম আমি। আমাদের ছোটবেলায় আমরা ঐ চৌকিটার নামই রসুনচৌকি ভাবতাম।
যাইহোক আমার মাথার রাঙ্গা চেলির অর্ধেক অংশ তুলে দেওয়া হলো নতুন জামাই এর মাথায় তারপর সামনে ধরা হলো একটি আয়না। এটা মূলত বাড়ির নারীদের অনুষ্ঠান ছিলো। বিয়ে উপলক্ষে আমাদের বাসায় আসা আমার নানীমা এই কাজটির দায়িত্ব নিলেন।নানীমা হাসি হাসি মুখে জিগাসা করলেন,
- ও নতুন জামাই আয়নার মধ্যি কি দেখতিসো? আসমানের চান নাকি বেহেস্তের হূরি?
- ও জামাই তুমি বোবা নাকি কালা? চুপ করে আছো কেন? লজ্জা পাইসো?
এমন নানা রকম রসিকতায় কাটলো কিছুক্ষন আর তারপর মিষ্টিমুখ করানো হলো বরের হাতে ধরে বউকে মুখে তুলে খাওয়ানো আবার বউ এর হাতে ধরে বরকে মুখে তুলে শরবৎ, মিষ্টি খাওয়ানো। আমাদের দেশে এই অনুষ্ঠানটিকে বলা হত শাহ নজর। জানিনা তার কারণ কি ছিলো।
এই অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পরিসমাপ্তি ছিলো কন্যাদান পর্ব। দাদীমা আমার হাতখানি নিয়ে তুলে দিলেন নতুন জামাই এর হাতে। বললেন, নীরু আমাদের অতি আদরের মেয়ে। আজ থেকে তোমার হাতে ওকে সম্প্রদান করে দিলাম। আজ থেকে ওর সকল দায় দায়িত্ব ভালো মন্দের ভার তোমার। তারপর আমার শ্বাশুড়িমার হাত ধরেও বললেন, আজ থেকে ও আর আমাদের মেয়ে নয়, আপনার মেয়ে। কোনো দোষ ত্রুটি করলে মাফ করে দেবেন নিজের মেয়ে মনে করে আরও আরও কি কি সব অনুরোধ উপরোধ। আমি নতুন বরের মুখের দিকে চাইনি বটে তবে শ্বাশুড়িমাকে যখন দাদীমা এসব বলছিলেন তখন ঘোমটার ফাক দিয়ে আড়চোখে চেয়েছিলাম। সেই প্রথম দিনের মতনই উনার ভ্রু দু'টি কোচকানোই ছিলো। যেন ছেলেকে বিয়ে করাতে এসে উনি বড় বিরক্তিতে পড়েছেন।
সে যাইহোক, শেষ মেষ রাঙ্গা চোলি আর বেনারসীতে সেজে গুজে মাঘ মাসের কনকনে শীতের সেই ভর সন্ধ্যায় আমি চললাম শ্বশুর বাড়ি। বিদায়কালে গাড়ি ঘিরে থাকা একবাড়ি মানুষ পাড়া প্রতিবেশী সকলকে ছেড়ে এগিয়ে চললো সেই ফুলপাতায় সজ্জিত বিয়ের গাড়ি। সন্ধ্যার আগমনে সারা বাড়িতে মিট মিট করে জ্বলে উঠেছে তখন বিয়ে উপলক্ষ্যে সাজানো টুনি বাল্বগুলি। আমি ঘোমটার ফাক দিয়ে শেষবারের মত আড়চোখে দেখে নিলাম আমার আজন্ম লালিত চিরচেনা সেই বাড়িটিকে। যে বাড়ির ছাদের ঘরটিতে সকলের অজান্তে চাপা পড়ে রইলো একটি বিফল অথবা সফল এক ভালোবাসার ইতিহাস।
আগের পর্ব
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০২
অপ্সরা বলেছেন: আচ্ছা মিররমনি।
তোমাদের দুজনের ছুটি শনি আর রবিবার তাই এই শনিবারে একটা পোস্টু দেবার টেরাই করি।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক বাড়ি লোকের সামনে খোকা ভাইয়ের বউয়ের জন্য রাখা এবং নিজের স্বামীর দেয়া প্রথম গহনা সেই বালা দুটো নীরুকেই বড় চাচি পড়িয়ে দিলেন। চাচি কান্না ধরে রাখতে পারেননি। নীরুও পারলো না কান্না ধরে রাখতে। এটাই স্বাভাবিক। একটা কঠিন মুহূর্ত ছিল এটা।
নীরুর সাথে কেউ গেল না? সাধারণত কম বয়সী কোন ভাগ্নি, ভাতিজী বা বোনকে সাথে দিয়ে দেয়া হয়।
যাক সুখে থাকুক নীরু, কয়েকদিন খারাপ লাগবে তারপর ডাক্তার সাহেবের প্রেমে পড়ে যাবে। নীরুকে বলবেন সে যেন ডাক্তার সাহেবকে বলে তাকে নিয়ে যেন মাঝে মাঝে সাইকেলে চড়িয়ে ঘুরায়। প্রথম ২/৩ বছর বাচ্চা কাচ্চা নেয়ার দরকার নাই। টোনাটুনির সংসার চলুক প্রথম কয়েক বছর। নীরু যেন আবার খোকাভাইকে চিঠি মিঠি না লেখে খেয়াল রাখবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
অপ্সরা বলেছেন: ভয়ে ছিলাম।
বিয়ে হলে তুমি আর মনিরা আপু মাব্বে কিনা.....
কিন্তু কি করবো বলো!! নিয়তির পরিহাস! আমার কি সাধ্য? তার বাবা মা কি আমার কথা শুনবে বলো?? কিছুতেই শুনলো না। বিয়েই দিয়ে দিলো
হা হা ওকে ডক্টর সাহেবকে বলে দেবো নো বাইচ্চা কাইচ্চা .....
প্রেম করার টেরাই করেন নইলে নীরু কিন্তু পালায় যেতে পারে...
নীরু মনে হয় খোকাভাইকে চিঠি লিখতে পারে যদি ডক্টর বিজি থাকে রোগী নিয়ে বেশি ....
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই যা, কোন নাটক ছাড়াই বিয়ে হয়ে গেলো !!!
অবশ্য বড়চাচির হাংগরমুখো বালা কম নাটকিয় নয়।
নীরুর মায়ের কান্না ! সেটুকু অবধারিত ছিলো।
আচ্ছা সাড়ে ভাইয়ার কি জ্বর ? খবর নাও তো !
লম্বা লেখায় একটাও ভুল ধরছে না? গভীর চিন্তায় আছি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভেবেছিলাম দু'জন মিলে আমার বারোটা বাঁজাবে। ভাববে আমিই বুঝি বিয়ে দিয়েছি।
বিয়ে কি আমি দিতে পারি বলো???
কালকেই বলেছি বাংলাদেশের মেয়েরা বাংলা সিনেমার মত - বাবা মায়াদের ভয়ে দেহ পাইবেক মন পাইবেক না .....
সাড়ে ভাইয়ার জ্বর না মানে শরীরে জ্বর নাহি.. ভাইয়ার এখন ভাবীজীর জন্য কুটনা কাটতে হচ্ছে। ঘর মোছা আর কাপড় কাঁচা সবে শেষ হয়েছে।
এরই মাঝে কুলিয়ে একটু কমেন্ট দিতে গেলো।
সকাল থেকে ভাবী তার কাজে এত ভুল ধরেছে যে এখন সবার ভুল সঠিক মনে হচ্ছে তাহার.....
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৩
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৭
অপ্সরা বলেছেন: ঐ বক!!!
বোবা বক কই থেকে আসছো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কথা বলো!!!!
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনিরা আপুর মন্তব্যে দুইটা ভুল পেলাম।
১। হাংগর বানান ভুল। সঠিক বানান হল হাঙর অথবা হাঙ্গর।
২। নাটকিয় বানান ভুল হয়েছে। সঠিক বানান হল নাটকীয়।
তবে ওনার কবিতাগুলি খুব ভালো মানের হয়। অনেক সময় নিয়ে গুছিয়ে লেখেন।
নীরু তো পালাতে চাইবে খোকা ভাইয়ের সাথে। আমার সাথে কেন পালাবে। মেয়েরা একবার সংসারী হয়ে গেলে তখন আর খোকাভাই, বোকাভাই এগুলির কথা মনে থাকে না। ডাক্তার সাহেব রোমান্টিক হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ইয়া খোদা!!!!!!!!!
এখন দেখছি পোস্ট ছেড়ে কমেন্টারের ঘাড়ে লাগছো......
মনিরা আপুর বানান ভুল!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা
জানো মনিরা আপু বাংলার পন্ডিৎ। আপু যদি ঐ বানান লেখে তো সেটাই সঠিক!
কাজেই নো পাত্তা নো পাত্তা বানান মানান নিয়ে আমরা ভাবি না...... আমাদের কাজ মনের আনন্দে লিখে যাওয়া আর পড়ে যাওয়া...... ধপ্পাস করে গাছ থেকে ফেলেও দেওয়া......
ইয়ে!!!!!!!!!!! ডাক্তর সাবকে কি রোমান্টিক বানায় দেবো নাকি!!!!!!!!!
কারণ তাইলে কোনো সমস্যা নেই দেহ পাবি মন পাবি না টাইপ। কেউ কুচ্ছু বলতে পাব্বে না..... কারণ উহা বৈধ ইন বাংলাদেশ!
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কিছুতেই বলি না..... শেষে আমার পাশ থেকে সেজোচাচী বলে দিলো কবুল.... বাস কাজীসাহেব খুশি হয়ে গেলেন.....
তাহলেতো বিয়ে হয়নি
সেজোচাচী কবুল বলে দিলেও আমার সামনে বাড়িয়ে দেওয়া হলো বিশাল বড় এক রেজিস্ট্রী খাতা। সেখানে সাইন করতে হলো।
ওহ, তাহলেতো বিয়ে হয়েছে
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা কবুল কিন্তু সত্যিই সেজোচাচীর বলা....... হাহাহাহাহাহাহা আগে দিনে তাই এমন করে অনেক বিয়েই আসলে চাচী মামী খালাদের সাথেই হয়েছে......
এই কারনেই (খুন/হত্যা) বিবাহ নিশ্চিত করতে হাত পায়ের রগ কেটে দেবার মত সাইন .......
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
তবে হঠাৎ আমাকে বুকে চেপে ধরে মায়ের ঐ অবাধ কান্নার মানে আজও খুঁজে পাইনি আমি।
মায়েরা সন্তানের ভালো চায় ।
যত নির্দয় মনে হোক, মা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এর পেছনে অবশ্যই কারন ছিলো ।
বড় চাচার ঘটনা নিশ্চয়ই মা জানতেন ।
এমন কোন ইতিহাস আছে যেটা মাকে খোকাভাই সম্পর্কে আতঙ্কিত করে ।
খোকার সাথে মেয়ের জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে মায়ের মনে এক অজানা ভয়, হিস্ট্রি রিপিট টাইপ ।
হয়তো সময়ের সাথে জানা যাবে সেটা ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: হুম ঠিক ঠিক ঠিক!!!
বড়দের কথা শুনতে হয় মানে বড়দের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশি তাই তারা আগে থেকেই সাবধান হতে বলে।
কিন্তু বড়রা যখন ছোট থাকে তখন সেটা মনে থাকে না.......
নীরুরও একদিন মনে থাকবে না .......
তার মেয়ের সাথেও হয়ত এমনই করবে সেও।
তবে আমি কিন্তু করবো না- বলবো যা তোর যদি রাস্তার ফকির মুচি মেথরও ভালো লাগে সেখানেই চলে যা .....বস্তিতে ঘর বাঁধলেও নো প্রবলেমো। আমি কিচ্ছু বলবো না.....অভাব যখন দরজা দিয়ে আসবে জানালা দিয়ে তখন আমার বাড়িতে ঐ মুচি মেথরকে নিয়ে আসিস। তাড়ায়েও দেবো না জব দেবো ......
কিসের জব ???
ভাবছি
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আহারে বিয়ে তাহলে হয়েই গেলো?
বেচার বড় চাচীমার জন্য কষ্ট পাচ্ছি ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ হয়েই গেলো! কি আর করা!
বিয়ে ঠেকানো গেলোই না...
বড় চাচীমার জন্য কষ্ট কেনো?
নীরুর জন্যও কষ্ট পাও।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
রসুনচৌকি কি আপু?
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
অপ্সরা বলেছেন: এটা একটা বাজনার নাম।
শানাই নহবৎ এইসব অনেক গুলা বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাজানো মিউজিক।
ইউটিউবে লিখলেই পেয়ে যাবে।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
নীরু আয়নায় কি দেখেছিলো ?
তার কেমন লাগলো সেটাতো বললো না ।
আজ থেকে ও আর আমাদের মেয়ে নয়, আপনার মেয়ে।
এরকম বলাটা আমার একদম পছন্দ হয়নি
উনার ভ্রু দু'টি কোচকানোই ছিলো।
সর্বনাশ ! সামনে যে কি হবে !!!
যে বাড়ির ছাদের ঘরটিতে সকলের অজান্তে চাপা পড়ে রইলো একটি বিফল অথবা সফল এক ভালোবাসার ইতিহাস।
আহা !
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৫
অপ্সরা বলেছেন: দেখেনি। চোখ বন ছিলো। হায় হায় এটা তো লেখা হলো না....
আজ থেকে ও আর আমাদের মেয়ে নয়, আপনার মেয়ে।
এরকম বলাটা আমার একদম পছন্দ হয়নি
এমনই বলে..... নিজেদেরকে ছোট করা। এতদিনের মেয়ে এক নিমিষে অন্যের করে দেওয়া..... এইভাবেই মেয়েদেরকে যুগে যুগে ছোট করেছে মানুষ.....
হ্যাঁ তার ভ্রু কুচকানো চেহারাই জানান দেয় তার স্বভাব হা হা
যে বাড়ির ছাদের ঘরটিতে সকলের অজান্তে চাপা পড়ে রইলো একটি বিফল অথবা সফল এক ভালোবাসার ইতিহাস।
হুম এমন অনেক অজানা ইতিহাস চাপা পড়ে থাকে হাজারো ইমারতের আড়ালে আড়ালে.....
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১১
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৬
অপ্সরা বলেছেন: ঐ বোবা!!!
ইউ নিড স্পীচ থেরাপী বক্কু!!!
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যে পণ্ডিৎ বানান ভুল হয়েছে। সঠিক বানান হল পণ্ডিত।
ডাক্তার সাহেব যদি রোমান্টিক না হয় তাহলেই সমস্যা হবে। তবে নীরু চাইলে তাকে রোমান্টিক বানাতে পারবে। কারণ নীরু রোমান্টিকতা চিলেকোঠা থেকে শিখে এসেছে। বিয়ে যখন হয়েই গেছে এখন আর কাবাব মে হাড্ডি না থাকাই ভালো। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনি অন্য কিছু দেখাবেন পাঠকদেরকে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩২
অপ্সরা বলেছেন: কে বলছে পন্ডিত!!!
আমরা যা লিখবো তাই রাইট বলছি না!!!!!!!!!!!!
যাইহোক হা হা হা নীরু চিলেকোঠায় এখনও যায়নি।
ডক্টর সাহেব থেকে বোর হয়ে খোকাভায়ের অভাবে তাকে চিলেকোঠায় পাঠায় দিতে পারি শুভ্রের কাছে।
জানোই আজকাল ডিজিটাল লাইফ.... ফেসবুকে শুভ্রকে পাইয়ে দেওয়া কঠিন নহে ......
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল এক বিয়েতে গিয়েছিলাম। আপনার পোষ্টের সাথে সেই বিয়ের বেশ মিল।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: কেমনে!!!
এত আদ্দিকালের মফস্বলের এক বিয়ে বাড়ির কাহানী।
এখন তো বিয়েতে গেলে বউ আর বর স্টেজে নাই। তারা আছেন আগানে বাগানে স্টেজের আড়ালে, সামনে চেয়ারের উপরে তলায় ছবি আর ছবি ভিডিও আর ভিডিও.......
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বলেছি খোকাভাইয়ের চিলেকোঠা। শুভ্রর চিলেকোঠার কথা বলিনি।
ডাক্তার সাহেবেরও চিলেকোঠা আছে নাকি?
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা ওহ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তাই বলো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
খোকাভায়েরটা ছাঁদের ঘর।
শুভ্রেরটা চিলেকোঠা.......
ডক্টরসাবেরটা রুফটপ সানরুম .......
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা বড় চাচীমা! খোকা ভাইয়ের কি খোঁজ পাওয়া গেল ? চাচীমা'রই কী হল তারপর? নীরুর দিন কেমন গেল শ্বশুর বাড়ীতে কপাল কুঁচকানো শ্বাশুড়ীর সাথে কীভাবে দিন কাটালো মেয়েটি? অনেক কিছু জানতে মন চাইছে।
আমাদের এলাকায় দেখি বর বউকে এক সাথে বসিয়ে বরের খাওয়া শরবত খাওয়ায় বউকে! আচ্ছা বউকেই কেন খেতে হবে এঁটো শরবত!
নীরুর সাথে আমার একটুখানি মিল হল আমিও মুখে কবুল বলিনি (সে এক মজার কাহিনী যা মনে করে হাসি পায় )।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০১
অপ্সরা বলেছেন: ঐ বলো বলো বলো!!!!!!!!!!!!
তোমার কবুল কে বলে দিয়েছিলো!!!!!!!!!!!!
হা হা হা দেখো আমি আগেই বলেছি এমন করে বাংলার মেয়েদের অনেক বিয়ে হয়েছে কবুল না বলেই!!!!!!!!!!!!! হাহা হা হা হা
তাই তো !!!!!!!!! বররের এটো শুধু বউ খায় !!!!!!!!! বউ এর এটো বরকে খাওয়ানো হয় না।
নীরুর মেয়ের বিয়েতে বরকেই এটো খাওয়ানো হবে!
আর চাচীমা শ্বাশুড়ির গল্পও বলা যায় কিনা দেখবো।
আমার সিনডেরেলার জুতা হারাই যাচ্ছে!!!!!!!!!!! মানে মাই টাইম ইজ ওভার...... অপসরা থেকে বিদায় নেবার সময় হলো......
২০ পর্বে এই সিরিজ শেষ করতেই হবে!!!!!!!!!!!
সামনে অনেক অনেক কাজ!!!!!!!!!!!
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধারাবাহিক এর প্রতিটি পর্বেই উন্নতি! মুগ্ধতা। +
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!!
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই গল্পের প্রথম পর্বে ছাদের ঘরের চিলেকোঠা লিখেছিলেন। পরে কখনও ছাদের ঘর বলেছেন আবার কখনও চিলেকোঠা বলেছেন। কোনটা সঠিক। নাকি একই অর্থ বুঝাচ্ছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: একই অর্থ- চিলেকোঠা= ছাদের ঘর= সানরুম রুফটপ.... এটা একটু আলাদা স্টাইলিশ এখানে কেউ থাকেনা শুধুই গাছপালা কৌচে সাজানো থাকে.....
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আহা খোকা ভাই এর জন্য মনটা হাহাকার করছে আমার, সত্যিই। খোকা ভাই এর সৌজন্যে নিচের কবিতাখানি।
"বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি
- কাজী নজরুল ইসলাম---চক্রবাক
বিদায়, হে মোর বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সাথী !
ওগো বন্ধুরা, পান্ডুর হ’য়ে এল বিদায়ের রাতি !
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ আমার জানালার ঝিলিমিলি,
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি ------
অস্ত-আকাশ-অলিন্দে তার শীর্ণ-কপোল রাখি’
কাঁদিতেছে চাঁদ, “মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকী |
নিশীথিনী যার দূর বন-ছায় তন্দ্রায় ঢুলু ঢুল্ ,
ফিরে ফিরে চায়, দু’-হাতে জড়ায় আঁধারের এলোচুল !”
চমকিয়া জাগি, ললাটে আমার কাহার নিশাস লাগে ?
কে করে ব্যজন তপ্ত ললাটে, কে মোর শিয়রে জাগে ?
জেগে দেখি, মোর বাতায়ন-পাশে জাগিছে স্বপনচারী
নিশীথ রাতের বন্ধু আমার গুবাক-তরুর সারি !
তোমাদের আর আমার আঁখির পল্লব-কম্পনে
সারা রাত মোরা ক’য়েছি যে কথা, বন্ধু পড়িছে মনে !
জাগিয়া একাকী জ্বালা ক’রে আঁখি আসিত যখন জল,
তোমাদের পাতা মনে হ’তে যেন সুশীতল করতল !
আমার প্রিয়ার !---- তোমার শাখার পল্লব-মর্মর
মনে হ’ত যেন তারি কন্ঠের আবেদন সকাতর |
তোমার পাতায় দেখেছি তাহারি আঁখির কাজল-লেখা,
তোমার দেহেরই মতন দীঘল তাহার দেহের রেখা |
তব ঝির্-ঝির্ মির্-মির্ যেন তারি কুন্ঠিত বাণী,
তোমার শাখায় ঝুলানো তারির সাড়ির আঁচল খানি !
. -------তোমার পাখার হাওয়া
তারি অঙ্গুলি-পরশের মত নিবিড় আদর ছাওয়া !
ভাবিতে ভাবিতে ঢুলিয়া প’ড়েছি ঘুমের শ্রান্ত কোলে,
ঘুমায়ে স্বপন দেখেছি,----তোমারি সুনীল ঝালর দোলে
তেমনি আমার শিথানের পাশে | দেখেছি স্বপনে , তুমি
গোপনে আসিয়া গিয়াছ আমার তপ্ত ললাট চুমি’ !
হয়ত স্বপনে বাড়ায়েছি হাত লইতে পরশখানি,
বাতায়নে ঠেকি’ ফিরিয়া এসেছে লইয়াছি লাজে টানি’ |
বন্ধু, এখন রুদ্ধ করিতে হইবে সে বাতায়ন !
ডাকে পথ, হাঁকে যাত্রীরা, “কর বিদায়ের আয়োজন !”
--আজি বিদায়ের আগে
আমারে জানাতে তোমারে জানিতে কত কি যে সাধ জাগে !
মর্মের বাণী শুনি তব, শুধু মুখের ভাষায় কেন
জানিতে চায় ও বুকের ভাষারে লোভাতুর মন হেন !
জানি-----মুখে মুখে হবে না মোদের কোনোদিন জানাজানি,
বুকে বুকে শুধু বাজাইবে বীণা বেদনার বীণাপানি !
হয়ত তোমারে দেখিয়াছি, তুমি যাহা নও তাই ক’রে,
ক্ষতি কি তোমার, যদি গো আমার তাতেই হৃদয় ভরে ?
সুন্দর যদি করে গো তোমারে আমার আঁখির জল,
হারা-মোমতাজে ল’য়ে কারো প্রেম রচে যদি তাজ-ম’ল,
--বল তাহে কার ক্ষতি ?
তোমাকরে লইয়া সাজাব না ঘর , সৃজিব অমরাবতী !--------
হয়ত তোমার শাখায় কখনো বসেনি আসিয়া শাখী,
তোমার কুঞ্জে পত্রকুঞ্জে কোকিল ওঠেনি ডাকি’ |
শূন্যের পানে তুলিয়া ধরিয়া পল্লব-আবেদন
জেগেছে নিশীথে জাগে নি ক’ সাথে খুলি’ কেহ বাতায়ন |
--সব আগে আমি আসি’
তোমারে চাহিয়া জেগেছি নিশীথ, গিয়াছে গো ভালবাসি’ !
তোমার পাতায় লিখিলাম আমি প্রথম প্রণয়-লেখা
এইটুকু হোক্ সান্ত্বনা মোর, হোক্ বা না হোক্ দেখা |-------
তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু, আর আমি জাগিব না,
কোলাহল করি’ সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না |
-- নিশ্চল নিশ্চুপ
আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধূর ধূপ !------
শুধাইতে নাই, তবুও শুধাই আজিকে যাবার আগে-----
ঐ পল্লব-জাফ্ রি খুলিয়া তুমিও কি অনুরাগে
দেখেছ আমারে ----দেখিয়াছি যবে আমি বাতায়ন খুলি’ ?
হাওয়ায় না মোর অনুরাগে তব পাতা উঠিয়াছে দুলি’ ?
তোমার পাতার হরিৎ আঁচলে চাঁদিনী ঘুমাবে যবে,
মূর্চ্ছিতা হবে সুখের আবেশ,----সে আলোর উত্সবে,
মনে কি পড়িবে এই ক্ষণিকের অতিথির কথা আর ?
তোমার নিশাস শূন্য এ ঘরে করিবে কি হাহাকার ?
চাঁদের আলোক বিস্বাদ কি গো লাগিবে সেদিন চোখে ?
খড়খড়ি খুলি’ চেয়ে রবে দূর অস্ত অলখ-লোকে ?
--অথবা এমনি করি’
দাঁড়ায়ে রহিবে আপন ধেয়ানে সারা দিনমান ভরি’ ?
মলিন মাটীর বন্ধনে বাঁধা হায় অসহায় তরু,
পদতলে ধূলি, ঊর্ধ্বে তোমার শূন্য গগন-মরু |
দিবসে পুড়িছ রৌদ্রের দাহে, নিশীথে ভিজিছ হিমে,
কাঁদিবারও নাই শকতি, মৃত্যু-আফিমে পড়িছ ঝিমে !
তোমার দুঃখ তোমারেই যদি, বন্ধু ব্যথা না হানে,
কি হবে রিক্ত চিত্ত ভরিয়া আমার ব্যথার দানে !
ভুল ক’রে কভু আসিলে স্মরণে অমনি তা যেয়ো ভুলি’
যদি ভুল ক’রে কখনো এ মোর বাতায়ন যায় খুলি’,
বন্ধ করিয়া দিও পুনঃ তায় !--- তোমার জাফ্ রি-ফাঁকে
খুঁজো না তাহারে গগন-আঁধারে----মাটিতে পেলে না যাকে !"
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া কবিতা পড়ে তো লেখার সময় যে টুকু মন খারাপ হয়েছিলো তার চাইতেও বেশি হলো।
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া কবিতা পড়ে তো লেখার সময় যে টুকু মন খারাপ হয়েছিলো তার চাইতেও বেশি হলো।
এটি আমার অন্যতম প্রিয় কবিতা, কেন জানি মনে হলো খোকা ভাই এর অন্তরের বীণার
তারে এই কবিতাটিরই প্রতিটি শব্দ, প্রতিটা চরণ যেন প্রতিদ্ধনি হচ্ছে, তাই দিয়ে দিলাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: আমারও প্রিয় কবিতা ভাইয়া।
গুবাক তরুর সারি নিয়ে ছোটবেলায় অনেক ভেবেছিলাম...
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: এ বাড়ির ভোর দেখা হবে না। এই যে এ বাড়ির পেছনের বাগানের কোনো এক ঝোঁপে বসে অদ্ভুত সূরে ডাকা কানাকুয়ো পাখির এই অদ্ভূত কুপ কুপ কুপ সূর আর শোনা হবে না আমারএ বাড়ির ভোর দেখা হবে না।
~একথাটুকু বুকের ভিতরে ভীষণ বাজলো আমার। ক্ষণিকের জন্য আমি যেন নীরু হয়ে গিয়েছিলাম!
আর এখানে এসে ব্যাপক দীর্ঘশ্বাস; আমি ঘোমটার ফাঁক দিয়ে শেষবারের মত আড়চোখে দেখে নিলাম আমার আজন্ম লালিত চিরচেনা সেই বাড়িটিকে। যে বাড়ির ছাদের ঘরটিতে সকলের অজান্তে চাপা পড়ে রইলো একটি বিফল অথবা সফল এক ভালোবাসার ইতিহাস।
খানা পিনায় মন উঠল না চাচীর ব্যাথায় সমব্যাথী!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫০
অপ্সরা বলেছেন: হুম
আমারও এমন হয় ভাইয়া।
কখনও হাসি কখনও কান্দি লেখার সময়।
পুরাই পাবনা মেন্টাল হয়ে যাই লেখার সময় হা হা
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
অপ্সরা বলেছেন: এই গান শোনো
ডাকে আমার ইচ্ছেগুলো .....
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
একলব্য২১ বলেছেন: বাহিরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর ফাঁকেই মোবাইলে দেখেছি তোমার লেখার নতুন পর্ব আসছে। এখন ভাবলাম তোমার লেখার পড়ি কিছুক্ষণ ফ্রী আছি। লেখা পড়ার আগেই ডলের কমেন্টটা পড়লাম।
কিছুতেই বলি না..... শেষে আমার পাশ থেকে সেজোচাচী বলে দিলো কবুল.... বাস কাজীসাহেব খুশি হয়ে গেলেন.....
কি ভয়াবহ ব্যাপার!!! এই রকম হয় নাকি। পুরাই মাথা নষ্ট।
না। এই লেখা এখন পড়া যাবে না। একদম সব কাজ শেষ করে অখণ্ড মনোযোগ নিয়ে।
আসছি পরে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা
হয় অনেকককককককককককক হয়!!!
তোমার বিয়ের সময় আমাদেরকে নিয়ে যেও।
একদম বউ এর গলা চেপে কবুল বলায় আনবো!
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু, তুমি শেরজাকে দিলে, আমায় এই গানটা দাও নাই কেনো
আমার পছন্দের গান, কি সুন্দর লিরিক……
লাল মাটির সরানে
মন আমার রইলো পড়ে জামবনে আর নদীর পাশে নীল আকাশে
সেখানে ধুলোয় মাখা রইলো পড়ে তোর চিঠি
বীরভূমের বিটি লো
বলনা কি সাধ মিটিলো
না পেলি আমাকে আর তোকেও আমি পেলাম না
ঝড়ে আম কুড়োয় এখনো কোন দস্যি ছেলে?
আমার আর রাখাল সাজা হলোনা
লাল মাটির সরানে
জামবনে দোলনাখানা ঝুলছে ফাঁকা
কষা জাম, বেগুনী জিভ, নুনের মোড়ক
কিশোরীর গেঁয়ো দু'চোখ হিংসে মাখা
তার সাথে খেলতে হবে খেলনা বাড়ি
আম-আটির ভেঁপু বাজায় এখনো কোন দস্যি ছেলে?
গোধূলীর গন্ধে আমায় ডাকিসনে লো
আমার আর রাখাল সাজা হবেনা
লাল মাটির সরানে
শুভর জন্য দিয়ে গেলাম ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: শেরজাভাইয়ার মন্তব্য পড়ে ঐ গান!
তোমার জন্য আরও আনবো নে!!!!!
লাগ কত্তে হবে না....
আপাতত বাংলাদেশের নদি মাঝি জেলে নদীতে জল তোলা বউ এসবের উপরে নাচ রেডি করছি।
বাংলাদেশের নদী ও মানুষ এর উপর নৃত্যনাট্য রেডি করতে হবে।
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
একলব্য২১ বলেছেন:
কি ভয়াবহ ব্যাপার!!! এই রকম হয় নাকি। পুরাই মাথা নষ্ট।
শুভ কিন্তু বিয়ের সময় কান পেতে শুনবে মেয়ে কবুল বললো কিনা, তা না হলে কিন্তু চাচী, ফুফু, খালা, মামি ওরা কেউ কবুল বললে তাদের কারো সাথে বিয়ে হয়ে যাবে
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমরা যাবো শুভভাইয়ুর বিয়েতে। ঘোমটা দেওয়া নিষেধ বউ এর। চোখ বন করতেও দেবো না।
ড্যাব ড্যাব করে বলতে হবে ক বু ললললললললললললললললল
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
নৃত্যনাট্য রেডি করে আগে আমাদের দাও,
আমরা আগে দেখবো, তারপর অন্য কেউ ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
অপ্সরা বলেছেন: আমি চাচ্ছি নদী ও বাংলাদেশ এই নিয়ে ছোটদের একটা নৃত্যনাট্য
বাচ্চাদের বয়স ৫ টু ৬ তাই অনেক কিছু মাথায় রাখতে হচ্ছে।
প্রথমে ইন্ট্রোডাকশন লিখবো। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ..... বাংলাদেশে রয়েছে এই নদী সেই নদী এমন কিছু বর্ণনা...
তারপর নদীমাতৃক এই দেশের নদীকে ঘিরে ওঠা জনপদে রয়ছে নদীভিত্তিক নানান জীবিকা... যেমন মাঝি, জেলে, বেঁদেনী ইত্যাদি ইত্যাদি... এই সব মানুষগুলোর জীবন নানা সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনার পরেও তারা দূর্বার সাহসী ও জীবন যুদ্ধে অপরাজিত সৈনিক এটাই আমার দেখানোর উদ্দেশ্য... শেখানোরও ....
আমি ভেবেছিলাম প্রথমে কলসী কাঁখে গায়ের মেয়েদের জল আনার দৃশ্য দেখাবো তাই জলকে চলেলো কার ঝিয়ারী ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এমন প্যানপ্যেনে গান বাচ্চারা হা করে তাকায় থাকবে।
তাই প্রথমেই দূর্বার মাঝিদের প্রবেশ করাবো-
নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে, ছলছলাইয়া চলুক রে নাও মাঝ দইরা দিয়া .. ( ছেলেরা)
কলকল ছলছলো নদী করে টলোমলো ঢেউ ভাঙ্গে ঝড় তুফানেতে, নাও বাইও না মাঝি বেষম দইরাতে ( মেয়েরা)
মানে দূর্বার সাহসীদের জন্য উদ্বিঘ্ন রমনীকুল এই গানা নাচবে। তবুও কি সাহসী যোদ্ধারা থামে? না তাই আবার মেয়েরা নামবে আর ছেলেরা উঠবে
তীর হারা ঐ ঢেউ এর সাগর পাড়ি দেবো রে....
এইবার আবার মেয়েদেরকে আনতে হবে এইখানের গানটা কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছি না
মানে মেলাতে পারছি না......
তারপর ছেলে মেয়ে দুই গ্রুপই এসে নোঙ্গর তোলো তোলো
এই গানের নাচবে
এখানেও শেষ হতে পারে কিংবা
ও আমার দেশের মাটি স্লো গানের সাথে শেষ হতে পারে। শেষে তারা স্টাচুর মত দাঁড়াবে। কিন্তু মাঝের ঐ গানটা খুঁজে দাও!!!!!
আর পারি না
২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মনে হচ্ছে কাহিনীতে এবার নতুন সুর বাজবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৩
অপ্সরা বলেছেন: অলরেডি বেজে গেছে ভাইয়া!
নীরুর বিয়ে হয়ে গেলো।
২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আহা এক্কেবারে খোকা ভাই এর মনের কথা। আমারতো মনে সেই লিরিক্স লিখেছে
যান ডল আপু আপনাকে এই গান দিয়ে দিলুম। এখন দুই বইনে গলাগলি জাড়িয়ে ধরে কান্দেন
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২১
অপ্সরা বলেছেন: একদম সেই লিখেছে আমারও মনে হয়। তাই তো দিলাম।
২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মেহেদি রাতে গান বাজনা হয়, আনন্দ হয় কিন্তু কবিতা আবৃত্তি হয় না। কেনোরে আপু
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫
অপ্সরা বলেছেন: আবৃতির দাম তো এমনিতেই কম.....
ভাইয়া এখন কেমন আছো?
২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০
একলব্য২১ বলেছেন: লেখা, মন্তব্য প্রতি উওর সব পড়লাম।
এই পর্বের অনেক হৃদয় স্পর্শী বাক্যে ছিল। অনেক পাঠকই সে সব বাক্যে কথা তাদের মন্তব্যে বলেছেন।
এমন সময় সকলের আড়াল থেকে বের হয়ে এলেন বড় চাচীমা........................অভিনয়টাই আমাদের ও সকলের জন্য মঙ্গলের ছিলো।
এই পুরো প্যারাটাই আমার কাছে হৃদয়বিদারক লেগেছে। আহা! হায় খোদা! ধরণী দ্বিধা হও।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৭
অপ্সরা বলেছেন: এই বিয়ে আনন্দময় শুধু ৩টি প্রাণীর জন্য হৃদয়বিদারক ছিলো।
৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
একলব্য২১ বলেছেন: "হঠাৎ সন্ধ্যা" নামক একটা ধারাবাহিক গল্প একজন লেখক সামুতে লিখছেন। তোমরা পড়ছ দেখে আমিও পড়া শুরু করি। আর এখন আনন্দের সাথেই পড়ি। লেখক গোড়াতেই বলেছেন এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কাহিনী। তারপরেও মজা করেই পড়ি। তবে প্রতিক্ষায় থাকি না।
কিন্তু তোমার লেখা আমি পড়ি এক অন্য রকমের বিশ্বাস নিয়ে।
তাই অন্যান্য পাঠকের মত মজা করেও আমি তোমাকে গল্পের মূল কাহিনী বদলাতে বলি না।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৮
অপ্সরা বলেছেন: যত মজাই করি না কেনো
তুমি কি ভেবেছো মূল কাহিনী মানে আমি যা লিখবো ঠিক করেছি তা মরলেও বদলাবো!!!!
জীবনেও না!!!!!!!!!!!
৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিটা দারুন
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০
অপ্সরা বলেছেন: লেখাটা এইবার পড়ো।
৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১০
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি কি পণ করেছ ২০ পর্বেই শেষ করবে। কেন? সময়ের অভাব। নাকি জোর করে শেষ করে দিবে।
কাহিনী যদি ডিমান্ড করে আরও ২/১ টা পর্ব বেশী দরকার। পাঠকরা যদি আর কিছু বিষয়ে আরও একটু ডিটেলস জানতে চায় সেক্ষেত্রে কি করবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩২
অপ্সরা বলেছেন: সময়েরও অভাব আবার জোর করেও না। এমনই ভেবে রেখেছি আগে থেকেই।
ডিমান্ড করলে আরও একটু বাড়াবো।
বা টাইম টু টাইম নীরু কি করছে কই গেলো কি খেলো হা হা সেসবও আনবো
৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: এই লেখা লেখার সময় তুমি যে মানসিক দশার মধ্যে দিয়ে যাও। তারপর লেখা শেষ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে তোমার কতটা সময় লাগে। এবং পোস্ট করার পর পাঠকে প্রতিক্রিয়ার জন্য কতটা উদগ্রীব থাকো। নাকি এগুলোর ঊর্ধ্বে চলে গেছ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: লেখা শেষ করার পরও অনেকদিন সেই লেখাতেই থাকি।
পাঠকের প্রতিক্রিয়া আমার কাছে মহা মজার বিষয়। কারণ অনেকেই দুষ্টামী করে। অনেকেসিরিয়াসলী বলে সবই মজার আমার কাছে।
৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: আর মাত্র ৫পর্বেই শেষ হবে ভাবতেই কেমন লাগছে! যাহোক এক সময় তো শেষ হবেই।
আমার মজার কাহিনী হল আমি বউ সেজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার বান্ধবী আর কলিগের সাথে কথা বলছিলাম এমন সময় ছোট মামা এসে বললে, "ছেলে …টাকা কাবিন দিবে, ঠিক আছে?" তার কিছুক্ষণ পর এক খাতা নিয়ে এসে বললেন এখানে সই করো। ভাবলাম লেখার কাজ শেষ হলে বুঝি পড়া ধরবে, মনে মনে পড়তে বসতে রেডি হচ্ছিলাম। একটু পর শুনি অমুকের কন্যার সাথে তমুক ব্যাটা কবুল পড়ে ফেলেছে!!
(পরে বুঝেছি মামাযে কবিনের পরিমান বলেছেন সেটাই ছিল মত নেওয়া)
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: যাক তবুও তোমাকে কবুল কবুল বলতে হয়নি.....
৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬
কাতিআশা বলেছেন: মাই ডিয়ার বিউটিফুল আ্যন্ড ট্যালেন্টেড আপুনি!!!!!!!!!!!..তোমার এই সিরিজ টা আমি শিঘ্রৈ শুরু করব পড়তে..খুব চাপে (এবং ব্যস্ততায়) আছি জানো আপু..মাঝে মাঝে উঁকি মারি ব্লগে..দু দিন ধরে ব্লগ দেখছি এবং পোস্টও করেছি লেখা ২টা, আবার কবে যে হাওয়া হয়ে যাব!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: জানি আপুনি!
তুমি অনেক বিজি।
তবুও আসো তাই আমি খুশি!
৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৩০
শার্দূল ২২ বলেছেন: নীরু কবুল বলেনি, বলেছে সেজো চাচি- পয়েন্ট টু বি নোটেড।
তাইতো বলি কোন রকম নাটকীয়তা ছাড়া এতো সহজে বিয়ে হয়ে গেলো কেন। নাটক তাহলে সামনে আছে। খোকা ভাই নিজে বোকা না হয়ে ডক্টরকে বোকা বানাবে কিনা কে জানে। সে যাই হোক আমার সাথে কবুল নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছে সেটাই বলি।
গ্রামের বাড়ি বলতে আমার ফুফুর বাড়িতে যাওয়া হতো আমাদের। সেখানে সহজ সরল বোকা সোকা এক বড় ভাই আসলো আমার কাছে। এসে বললো -শার্দুল সামনের মাসের প্রথম শুক্রবার আমার বিয়ে , আমার খুব শখ বিয়ে কারে (প্রাইভেট কার) করার এবং তুই আমার বিয়েতে থাকবি । ওনার আর্থিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ ছিলো। সাধারানত ওনারা বিয়ে করতে যায় সিএনজি নিয়ে। ওনার এমন নিঃষ্পাপ আবদার দেখে আমার মায়া লাগলো। তখন আমি বললাম ওকে আমার গাড়ি না দিলেও আপনার বিয়ের গাড়ি সাজানো এবং সকল বর যাত্রীর যাতায়ত ব্যবস্থা আমি করে দেবো এবং আমিও থাকবো।
মুখে রুমাল দিয়ে উনি বসে আছে, একবারের জন্য উনি মুখ থেকে রুমাল সরাচ্ছেননা। এমনকি ওনার হাত কাপছে। আমি ওনাকে ইজি করার ট্রাই করছি এটা সেটা বলে। এমন সময় কাজি আসলো তার দলবল নিয়ে, যথারীতি ওনাকে কবুল বলতে বললো উনি ভয়ে লজ্জায় কিছুই বলছেনা একবার আমার দিকে তাকায় আরেকবার কাজির দিকে। অনেক গরমের দিন ছিলো তিনি আমি সহ সবাই ঘেমে একাকার । উনি একটু বেশি ঘামছেন। তার উপর মোটা কাপড়ের শেরওয়ানি। আমি বিরক্ত হয়ে কাজি সাহেব কে বললাম এত গরমের মধ্যে এত দুর থেকে মোটা কাপড়ের শেরওয়ানি পড়েতো বিয়েই করতে আসে মানুষ, বলা লাগবেনা, আমি নিজের মুখে কবুল বলে ওনাদের বিদায় দিলাম। বউ নিয়ে বাড়ি নিয়ে গেলো আমি চলে আসলাম ঢাকা। এর দুইদিন পর আমাকে এক ফ্রেন্ড ফোন করে বললো - মিরা ভাইকে তুই তো বড় বিপদে ফেলে গেছিস। উনিতো মুফতি ইমাম মুয়াজ্জিন এক করে ফেলছে বিয়ে আসলে কার সাথে হয়েছে। মিরা ভাই সাথে নাকি তোর সাথে। আমি কথা গুলো শুনে হাসবো নাকি রাগ করবো বুঝতেছিলামনা। পরে মিরা ভাইকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানতে চাইলাম। তিনি সহজ সরল ভাবে বললো- আমারতো সমস্যা নাই, হুদা ভাই বলে বিয়ে করতে গিয়ে কবুল বলতে পারসনাই, বিয়ে করতে গেসোস কেন। শার্দুল কবুল বললো শুনলাম এখন হুজুরকে ডেকে জিজ্ঞাসা কর বিয়ে হয়েছে কিনা। আমি এক ধমক দিয়ে বললাম। বিয়ে করতে গেসেন আপনি- হুজুর কিভাবে বলবে? আর উপরে আল্লাহ বসে বসে কি ঘুমাচ্ছে ? উনি দেখেনি শেরওয়ানী কে পরেছে? এসব বলে দিলাম ঝারি তারপর গিয়ে উনি শান্ত হলো। আমি বেচারা লজ্জায় আর সেই থেকে ফুফুর বাড়ি কোনদিন যাইনি। হাহাহা
পরের পর্বে কি হয় দেখি।
শুভ কামনা সব সময়
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হুম নীরু বলেনি। তো কি ঘাড়ে ধরে সাইন করিয়ে নিলো তো।
তুমি তাইলে সেই বউকে নিয়ে আসো এইবার শার্দূল.....
হাজার হোক সেই তোমার প্রথম বউ।
শেরওয়ানী পরানো কথা বলে ধোকা খাইয়েছো সেটা এইখানে স্মীকার করে নিলে। এখন ধরা। কাজেই ঐ বিয়ে মানিনা ..... বউ মিরা ভায়ের না তোমারই ......
৩৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৩৭
সোহানী বলেছেন: দারুনভাবে লিখেছো। একেবারে বিয়ে বাড়ির খুঁটিনাটি বাদ পড়েনি।
সেজচাচীর কবুল বলাটা অনেক ভালো ছিল
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সত্যিই সেজোচাচীই বলেছিলো।
আর বিয়ে বাড়ির আরও অনেক খুঁটিনাটি আছে তো।
৩৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৪
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার ডায়বেটিকসের ঔষধ কিনে দিও । বেশি বেশি প্রেম !!! এত্ত প্রেম কই রাখি !! এইবার অন্তত এই হরিণ কে সুন্দারবন পাঠাও । বাঘের পাল্লায় পরুক তাতে বুঝি একটু সাস্পেন্স হয় !!! খোকা ব্যাটারে হাতের কাছে পাইলে ধইরা থাব্রাইতাম । বেশি ন্যাকামো করছে । তুই হইলি ব্যাডা মানুষ হয় প্রেমে পরবি নয় তো পরবি না এত্ত ঢং কিসের জন্য !!!!! ?????
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
অপ্সরা বলেছেন: হরিণ এখন কক্সেস বাজারে।
সমুদ্রে ডুবাই দেবো?
আসলেই বেটা কই নীরুকে নিয়ে পালাবে না তো পালায় গেলো কাপুরুষের মত।
৩৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
অপ্সরা বলেছেন: হুম! আসলেই...... যারে চিনেই না তারে বিয়ে করতে হলো......
৪০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
প্রামানিক বলেছেন: মর্মান্তিক ঘটনা
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া!!!! কেমন আছো??
৪১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
অপ্সরা বলেছেন: নামের একটা অংশ ধরতে পেরেছি। গোলাপী রঙ্গের বক তাই পিংকু না হয়ে গেরাইমা বক তাই পেংকু হয়েছে। বগ মানে বক...... আরও ভালো হত পেংকু বোবা নাম হলে।
তবে বোবার শত্রু নাই.......
তুমি মনে হয় সবার আসল শত্রু।
তাই ভেক ধরেছো বোবার।
৪২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১০
অপ্সরা বলেছেন: ঐ!!!
৪৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীরুর বাবা কি আগের কোন পর্বেই ইহধাম ত্যাগ করেছিলেন। খেয়াল করিনি মনে হয়। বেচে থাকলে বিয়েতে দেখা গেল না কেন। আমি একটু অমনোযোগী পাঠক তাই ভুল করতে পারি। কিন্তু আমার কৌতূহল হচ্ছে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১
অপ্সরা বলেছেন: না না ইহধাম ত্যাগ করেনি।
বাবার কথা খুব একটা আসেনি এই লেখায়......
৪৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিরুপমা কি মধুচন্দ্রিমায় চলে গেল নাকি? মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে পরের পর্বটা যেন দিয়ে যায়।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ একদম ঠিক মধুচন্দ্রিমায় গেছে।
তবে সেখানে গিয়ে লেখালিখি কি লিখছিলো ভুলেও গেছে।
৪৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
অপ্সরা আপু কোথায় তুমি???
শিগগিরি এসো। শিগগিরি…
সোহানীপু সেরকম শৈশবের বর্ণনা দিয়ে পোষ্ট দিয়েছে ....
তুমিও এখনই খোকা ভাইয়ের নতুন পর্ব নিয়ে চলে এসো ।
তারপর হয়ে যাক দুজনের স্মৃতিচারণের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
আর আমি বেটার ঘুমাতে যাই
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০
অপ্সরা বলেছেন: তুমি ঘুমাতে গেলে আমি পোস্ট দেই না ......
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: তোমার জন্য
৪৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: মফস্বল শহরের বিয়ের অপূর্ব সুন্দর বর্ননা। মন ছুয়ে গেল!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: আরও অনেক কিছুই ছিলো ভাইয়া। বলা হলো না.....
৪৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, বিয়ে বাড়ি আসলে বেশ ঘটনা বহুল স্থান। এক সাথে বেশ অনেক গুলো ছোটবড় ঘটনা ঘটে - কম বেশি সবই মনে রাখার মত এবং বলার মত।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: কিন্তু সব কিছু লেখা হলো না। বলাও হলো না।
যদি আরও সময় পাওয়া যেত আরও লেখা যেত। কিন্তু জীবনে সময় কমে এসেছে।
৪৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের শুরুতেই এমন মর্মস্পর্শী বিবরণ পড়ে কিছুক্ষণ থমকে থাকতে হয়। যেন বিয়োগাত্মক কোন একটা চলচ্চিত্র দেখছি।
দাদীমার পাশে শুয়ে পাশ ফিরে ঘুমের ভান করে নীরবে বালিশ ভেজানো এবং দাদীমা ফজরের নামায পড়ার সময় ঘুম ভেঙ্গে গেলে শুয়ে শুয়েই গাঢ় নীল আকাশ দেখে নীরুর মনে উদয় হওয়া যে ভাবনাগুলো চমৎকারভাবে বিবৃত করেছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সেজচাচীর পরিয়ে দেয়া ঝুমকোকে খাঁচার প্রতীকসম জ্ঞান করা এবং সেটা দেখে জীবনের এক খাঁচা থেকে অন্য আরেকটি খাঁচায় স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভেবে বুকে শূন্যতা অনুভব করার যে বর্ণনা অল্প কথায় দিয়েছেন, তা যে কোন সিনেমাটিক প্রেজেন্টেশনকে হার মানাবে। বিশেষ করে বড় চাচীমার নীরুর হাত দুটি টেনে 'হাঙ্গরমুখি বালা' দুটো পরিয়ে দেয়ার দৃশ্যটাকে ঐ বয়সের নীরু যেভাবে দেখেছে এবং বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টি দিয়ে আপনার কলমে ব্যাখ্যা করেছে, তার গভীরতা পাঠকের মনে রেখাপাত করে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২
অপ্সরা বলেছেন: এত মন দিয়ে লেখা পড়বার জন্য হাজার বার ধন্যবাদ দিলেও শেষ হবে না ভাইয়া।
লিখছিলাম ১৭
এমনিতেই মন খারাপ ছিলো।
তোমার মন্তব্য পড়ে আবার পড়লাম এই পর্বের শুরুটা।
আরও মন খারাপ হয়ে গেলো।
আমার লেখার যে সব জায়গায় কান্না পায় আমার সে সব যারা মন দিয়ে পড়ে তাদেরও মন খারাপ হয়ে যায়। সে আমি খুব বুঝতে পারি।
৪৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের শেষ লাইনটির নীচে চাপা পড়ে আছে 'একটি বিফল অথবা সফল প্রেমের ইতিহাস' এবং সেই সাথে অনেক দীর্ঘশ্বাস!
রশনচৌকির লিঙ্কটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। বাদ্য খুব ভালো লেগেছে। এমনিতেই শানাই শুনতে আমার ভালো লাগে।
তবে বাদ্যের মাঝে বিজ্ঞাপনের আতিশয্য বিরক্তিকর ছিল।
সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যগুলো বরাবরের মতই উপভোগ্য হয়েছে। শার্দূল ২২ এর অভিজ্ঞতাটাও বেশ মজার ছিল।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৩
অপ্সরা বলেছেন: হুম ভাইয়া।
কথা কথাই চাপা পড়ে থাকে আমাদের হৃদয়ের গভীরে!!!
৫০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তুমি ঘুমাতে গেলে আমি পোস্ট দেই না ......
তাহলে আমি চিরঘুমে চলে গেলে তুমি কি আর পোষ্ট দেবে নাহ ???
মিথ্যাবাদী
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
অপ্সরা বলেছেন: না দেবো না।
কিন্তূ তুমি পুচকি চির ঘুমে যাবে কেনো!!!!!
৫১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু নতুন পর্ব কবে দিবে।
তুমি লেখালেখির জন্য সাধারণত কতটা সময় প্রত্যহ ব্যয় কর।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
অপ্সরা বলেছেন: এখনই দিলাম তো!!! দেখো দেখো পড়ো!!!!!!!!
৫২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি পুচকি?
সোহানীপু বলেছে আমি দাদী, তুমিও ।
বলেছে আমি আসল নানী
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ তুমি নানী দাদী যাহাই হও তবুও পুচকি!!!
৫৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার ধারনা শুভ তোমাকে নিয়ে বই লিখছে ।
বইয়ের নাম একজন লেখিকার লেখার কাহিনী ।
সেখানে কিভাবে লেখো, কেনো লেখো, কতোটা সময় লাগে A to Z থাকবে ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ কিন্তু বইটার নায়িকার নাম কি হবে?
কবিতা নাকি নীলা নাকি অপ্সরা নাকি নাকি নাকি? ? ? কোনটা?
৫৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুভর বই রিলিজ হবে ।
শুভকে শুভকামনা ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
অপ্সরা বলেছেন: আমারও শুভকামনা!!!
প্রচ্ছদ আমি আঁকিবোক!
৫৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
একলব্য২১ বলেছেন: হা হা হা......মিরোরডল
এটা জানতে চাওয়াটা আমার একটা কৌতূহল। কারণ শায়মা আপু লিখতে ভালবাসে। সে ব্লগে লগ ইন করে নানান কাজ করে আর লেখালেখিটা তার মধ্যে পড়ে।
মলি আমাকে পচাইতে চেষ্টা করবা না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ যেমন এখন আমি নদী ও বাংলাদেশ নৃত্যনাট্যের স্ক্রিপ্ট লিখবো।
তারপর পাপেট শো লিখতে হবে।
বাগানের হাঁস টবের ঠোঁট আর পাখনা রং করতে হবে।
তারপর গিটার প্রাকটিস।
স্যুইমিং পুলের পানি ঠান্ডা তাই সাইকেলিং!!!!!!!!!!!!
ভাললাগে!!!!!!!!!!!!
৫৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
একলব্য২১ বলেছেন: এখনই দিলাম তো!!! দেখো দেখো পড়ো!!!!!!!!
পড়বো। পড়বো। কিছুক্ষণ পর। অন্য একটা কাজও করছি। যথারীতি আরামসে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে আরামসে পড়ো!!!!
৫৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: কিন্তু তোমার বইটার নাম বলে যেও।
দশভুজা নারী।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপ্সরা বলেছেন: ইয়েস!!!!!!!!!!
ভেরী গুড নেম!!!!!!!
কিন্তু ২০ ভূজা হওয়া যায় না!!!
৫৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুভর বই রিলিজ হবে ।
"দশভূজা নারী" বইটা আমি উৎসর্গ করবো মলির নামে। কেমন।
২০ ভূজা হওয়া যায় না!!
আর ভূজা বাড়ানোর দরকার নাই।
বইটার নায়িকার নাম কি হবে?
কি আবার মলি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা কিন্তু মলি নাম মিররমনির অসহ্য লাগে এই কথাটা মনে রেখো।
৫৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
শুভ আজ এই পোষ্টে আবার আরেক নতুন নাম হয়েছে ।
লেখক বলেছেন:
অঞ্জনা থেকে অ
অঙ্গন থেকে ঙ্গ
ডলি থেকে লি
হইয়া গেল অঙ্গলি
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
অপ্সরা বলেছেন: অঙ্গলি!!!!!!!!!!! হা হা
৬০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
একলব্য২১ বলেছেন: আয়নাপুতুল তোমার নাম নিয়ে আমি ঠাট্টা করি। কখনও ভেবো না তোমাকে আঘাত করার জন্য তা করি।
নামে কি আসে যায়...গোলাপকে যে নামেই ডাকো সে তো সুগন্ধ ছড়াবেই।
দারুণ একটা গান শুনতে মন চাচ্ছে। কি গান যে শুনি। বুঝতে পারছি না। মলি তোমার পছন্দের একটা গান দাও না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৫
অপ্সরা বলেছেন: আমার প্রিয় শোনো
৬১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: নীরুর জীবনে নয়া অধ্যায়ের সূচনা শুরু হল তাহলে.....খোকা ইতিহাসের সমাপ্তি....?
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩২
অপ্সরা বলেছেন: না না খোকা ইতিহাস তো শেষ হইয়াও হইবেক লাই শেষ!
৬২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মুদ্দাকির বলেছেন: মনে হয় খোকাভাই ড্রাগস নেয় নাই, আপনাকে ঝুমকার খাচায় আটকানোর জন্য উনাকে, আসল খাচায় আটকানো জরুরী ছিল।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৬
অপ্সরা বলেছেন: একদম সত্য কথা
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু, একটু পর আসছি । সামান্য বিজি ।