নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধৈর্য্য একটি মহৎ গুন ।

লাবনী আক্তার

সত্য কাঁদে নিভৃতে, সাথে তার থাকে শুধু মহাকাল। সত্যের দীপশিখা চিরদিন জ্বলে । সত্য কখনো মিথ্যাকে করে নাকো ক্ষমা।

লাবনী আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ জীবনও প্রভাত এলো বিদায়ও বেলা

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭




আজ বাড়ি ফিরে যাব না। ইচ্ছে করছেনা ফিরে যেতে।

চারপাশ অন্ধকার হলে আমি অন্ধকার দেখব খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে। তারপর ফিরে আসব। হেঁটে হেঁটে কতটা দূর চলে এসেছি জানিনা। শুধু এটুকু উপলব্ধি করতে পারছি কোথায় যাচ্ছি সেটাই জানিনা। আর একটুও অবসাদ নেই । এতো সাহস আমি কোথায় পেলাম তাই ভাবছি। মানুষ যখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তখন আসলেই মাথায় বুঝি কিছু কাজ করেনা। তার মানে কি এখন আমার হিতাহিত জ্ঞান নেই? কি আজগুবি কথাবার্তা ভাবছি, ধ্যাৎ!

আমার এখন এই পথ চলা কেই উপভোগ করা উচিত। অলস দুপুর, সুর্যের প্রখর তাপ , আর এই তাপে মানুষের প্রান যায় যায় অবস্থা। আমার কাছে অবশ্য ছাতা আছে। কিন্তু ব্যাগ থেকে বের করতে ইচ্ছে করছেনা। সুর্যের তাপে গায়ের রংটা আরো পুড়ে যাবে। এমনিতেই আমি একটু কালো। আরেকটু কালো হই না সমস্যা কি? গায়ের রংটাই কি সব? ওতো সুন্দর কই ওর মনটাতো দেখি অনেক ছোট। গায়ের রঙের সাথে কোণ মিল নেই। না এসব চিন্তা বাদ। ওকে নিয়ে ভাববার সময় এখন নেই আমার। এই সময়টুকু শুধুই আমার।

ইস! কি অদ্ভুত সুন্দর নদী। অদ্ভুত ই লাগছে আমার কাছে। জানিনা আজ সব কিছুই কেন এতো অদ্ভুত লাগছে। সামনে একটা ব্রীজ আছে দেখছি। কি সুন্দর টলমল জল বয়ে যাচ্ছে। নদীর জল কেন আমাকে এত কাছে টানছে? কি সুন্দর দুটি প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে জলের উপর দিয়ে। চোখ দুটি জলে ঝাপসা হয়ে আসছে। জলের দিকে তাকিয়ে আমি হারিয়ে যাচ্ছি আমার অতীতে। দুটি আবছা ছায়া জলের উপর। একজন আরেকজনের গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। কি মধুর সেই দিনগুলো ছিল। নৌকা থেকে জলের ভেতর পা দিয়ে বসে থাকার মজাই আলাদা। শান্ত নদী, মৃদু মৃদু হাওয়া, মিষ্টি বিকেল, আকাশের নীল নীল মেঘ, মাতাল করে দিয়েছিল সবকিছু।


আরে এখানে কি করছেন আপনি? পড়ে যাবেনতো?
নিশ্চয়ই এই মেয়ের কোন মতলব আছে। আত্মহত্যা করবে মনে হয়।
-এই যে শুনছেন?
-সংবিত ফিরে পায় লাবন্য।
-জ্বি আমাকে বলছেন? আরে এখানে এত মানুষ কেন?
-জ্বি ম্যাডাম আপনাকেই বলা হচ্ছে। ব্রীজের নিচে তাকিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে কি করছেন? পরে যাবেন তো?
- কেন? নদীর জল দেখতে মানা নাকি?
- এই ভরদুপুরে কেউ নদীর জল দেখে?
- নদীর জল দেখতে কি নির্দিষ্ট কোন সময় আছে নাকি?
-এই মেয়েটা পাগল নাকি?
-হাহাহাহা! ও আপনারা কি মনে করেছেন আমি আত্মহত্যা করব? চিন্তা করবেন না। আমি ও পথের যাত্রি নই ভাই সকল। আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি।


এক ঝাক পাখি উড়ে যাচ্ছে। পাখিদের মত যদি হতে পারতাম। কি ভালই না হত! ইচ্ছে মত এখান থেকে সেখানে উড়ে যেতাম। কাউকে কিছু বলাই লাগত না। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু খেতেও ইচ্ছে করছেনা। সাইড ব্যাগে ফল আছে , সাথে একটা ছুরিও আছে। কেউ যদি কিছু বলেনা একদম খুন করে ফেলব। খুনের নেশায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। আজতো বাসায় যাব না আমি। রক্ত গরম হতে লাগল। আজ খুব যত্ন করে ওকে খুন করব। একটুও আমার খারাপ লাগছেনা। না একটুও খারাপ লাগছেনা। মাথায় কি সব আজগুবি চিন্তা ভাবনা আসছে, ভাবতে ভালই লাগছে আবার খুব হাসিও পাচ্ছে।

ইস! পড়ন্ত বিকেলের এই সুর্যের আলোটা এত ভালো লাগে আমার। কি অপরুপ সুন্দর এই গ্রাম! সব কিছুই ভালো লাগছে আজ। সন্ধ্যায় যদি জোনাকি পোকা দেখতে পেতাম খুব ভালো লাগত।

সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ছে। আমার জন্মদিনে একটা গিফট পাঠিয়েছিল ও। আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। ও বলছিল রাতে ঘুমানোর আগে লাইট অফ করে বক্সটা খুলতে। ঠিক রাত ১১ টায় ঘরের জানালা , দরজা লাগিয়ে দিলাম। লাইট অফ করে দিলাম। আমি একদম আশা করিনি, আমার প্রত্যাশাও ছিল না যে ও এমনটি করবে। বক্স খোলার সাথে সাথেই এক ঝাঁক জোনাকি পোকা বক্স থেকে বের হচ্ছিল। কি যে ভালো লেগেছিল আমার! উফফ! পুরো ঘর জোনাকির আলোয় আলোকিত হয়েছিল। আর ঠিক তখনি ওর ফোন দিল
-কেমন লাগল গিফট?
-আমি শুধু কাঁদছিলাম। কিছুই বলতে পারছিলাম না। শুধু বললাম ভালোবাসি। পাশে থেকো। হারিয়ে যেয়োনা।
ওর সহজ স্বীকারোক্তি
- পাশে রব সারাটি জীবন।



ছয়টা বেজে গেছে । ওর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসছে। ম্যাসেজ আসল ।
‘আপু বদমাইশ টা কে ধরে আনছি , আপনি কখন আসবেন? ওরে থাপড়াইয়া মনের সাধ আগে মিটাই নেই” ।
ম্যাসেজটা পড়ে মাথায় রক্ত উঠে গেছে। সাথে সাথে ফোন দিল লাবন্য ।
-হ্যালো বর্ষন ! একটা টাচও তুমি ওর গায়ে দিবেনা। আমি বলে দিলাম। একটা টাচও না।
- কি বলেন আপু? যেই বদমাইশ আমার আপুর চোখের জল ঝরাইছে তারে এমনে এমনে ছেড়ে দিব? কোনদিনও না।
- প্লিজ বর্ষন। তোমার আপুকে তুমি ভালোবাসতো? তাহলে আমার কসম তুমি ওকে কিছু করোনা।
-আপনি আসবেন কখন?
- আমি আসব না বর্ষন।
- কি বলছেন? ওকে না কি জিজ্ঞেস করবেন? ওর মুখোমুখি না হতে চাইলেন?
-হুম চেয়েছিলাম! এখন আর চাইনা। বর্ষন যেই মানুষ টাকে আমি এত অনুরোধ করেছিলাম শেষ দেখা করার জন্য সেই মানুষটার সামনে যেতে আমার সত্যি ঘেন্না হচ্ছে। ওর কাছেতো আমার আকুলতা ব্যাকুলতার কোন দাম ছিল না। আমার যন্ত্রণার কথা জানার পরও একটা বার ওর মনে হয়নি শেষ দেখা করার কথা।
-আপু আপনি কাঁদছেন? আমার কিন্তু মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। এই গাধার বাচ্চার জন্য কাঁদছেন? যে আপনার ভালবাসার মূল্য দিতে জানেনা, তার জন্য.........। ওর হাত পা আমি ভেঙ্গে দিব। আর আমি চাই আপনি এসে ওর গালে দুইটা চড় দিয়ে যাবেন।
- না প্লিজ না এমন করোনা। যাকে এত ভালোবাসি তাকে আমি মারতে পারবনা। হ্যাঁ আমার মনে হত ওকে চড় দিতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। কিন্তু আমি যে ওকে ভালবাসি!
- যে আপনাকে অপমান করেছে মানুষের সামনে তাকে ভালবাসেন?
- বর্ষন মানুষের কাছে বড় হওয়া খুব সহজ, কিন্তু নিজের কাছে কিভাবে বড় হবে? সে একদিন নিজের কাছেই লজ্জিত হবে। আর সেই লজ্জা তাকে শেষ করে দিবে। আমাকে নাহয় মানুষের সামনে ছোট করেছে কিন্তু ওর মনের কাছেতো ও নিজেই ছোট। সেটা কতটা লজ্জার সেটা কি জানো?


আকাশে বিদ্যুৎ চমাকাচ্ছে, একটুও ভয় লাগছেনা। কখন আকাশ এতো কালো মেঘে সাজল ? একটুও বুঝতে পারিনি। ঝম ঝম করে বৃষ্টি ঝরে পড়ছে। পাগলের মত ছুটাছুটি করছি আমি। এত ভালো লাগা কোথায় ছিল? বুকের ভেতর সব কষ্টগুলো কোথায় হারিয়ে গেল? হে বিধাতা! কয়েকশ বছর বাঁচতে ইচ্ছে করছে আমার। বৃষ্টির জলে আমার সব কষ্ট ধুয়ে নিয়ে গেছে। একটা গান খুব মনে পড়ছে

“ আঁচলের ফুলগুলি করুন নয়নে
নিরাশায় চেয়ে আছে
মোর মুখোপানে
বাজিয়াছে বুকে যেনো কার অবহেলা
ভাঙ্গিল খেলা
জীবনও প্রভাত এলো
বিদায়ও বেলা
মোর না মিটিতে আশা
ভাঙ্গিল খেলা
..............................
........................
ফিরিবেনা কূলে মোর
বিরহের ভেলা
মোর না মিটিতে আশা
ভাঙ্গিল খেলা "

সকাল বেলা পুরো গ্রামের মানুষ জড়ো হয়েছে। কারন শাড়ি পড়া কালকের সেই মেয়েটির লাশ পড়ে আছে নদীর কিনারায়। কেউ কিছুই বুঝতে পারছেনা। কে এই মেয়েটি কি তার পরিচয়?

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

যুবায়ের বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল শেষের লাইনটা পড়ে।
গল্প চমৎকার হয়েছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। মন খারাপ হলে বলব আমার লেখা সার্থক। পাঠকের মন ছুয়ে গেলেইতো লেখার সার্থকতা।

ভাইয়া ভালো থাকবেন।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: গল্প ভাল লাগলো ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভালোলাগা পেয়ে ভীষণ ভালো লাগল ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপুরে - ছবি আর গল্প সব মিলিয়ে দারুন এক অনুভূতি হলো!!!

অনেক শুভকামনা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

লাবনী আক্তার বলেছেন: 8-| 8-|

আপু আমার লেখা সার্থক। এই যে দারুন অনুভুতি হল আপনার এটাই আমাকে সাহায্য করবে পরবর্তী লেখার জন্য। আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সদা ভালো থাকবেন ।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

জেরিফ বলেছেন: -আমি শুধু কাঁদছিলাম। কিছুই বলতে পারছিলাম না। শুধু বললাম ভালোবাসি। পাশে থেকো। হারিয়ে যেয়োনা।
ওর সহজ স্বীকারোক্তি
- পাশে রব সারাটি জীবন।
কথা দিলাম :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: হিহিহিই!

তুমি কথা দাও
আমি সবকিছু
যাব ভুলে.. ;) ;)


অনেক ধন্যবাদ জেরিফ গল্পটা পড়ার জন্য। ভালো থেকো।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধূস!!!!!!!!!!!!!!!

মাইরেই ফেললেন!!!!!!!!!!!!!!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

লাবনী আক্তার বলেছেন:

মরে গেল ; আমি কি করব? :P :P

ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য।

ভালো থাকবেন।

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: এত সুন্দর বর্ণনায় কি চমৎকার একটা গল্প! যখন বৃষ্টি নামলো, লাবন্যের সাথে সাথে পাঠকের মনও নেচে উঠবে নিশ্চিত । কিন্তু শেষে এটা কি হলো??


এভাবে মরে যাওয়া অন্যায় !!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: হুম! ভাইয়া আমিও আপনার সাথে একমত , এভাবে মরে যাওয়া অন্যায়। :P :P

প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

তুষার মানব বলেছেন: এই গল্প যেন সত্যি না হয় X((

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

লাবনী আক্তার বলেছেন:

সত্যি কেন হবে?

এটাতো গল্প। :(

ভালো থেকো।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

লিরিকস বলেছেন: ফিরিবেনা কূলে মোর
বিরহের ভেলা
মোর না মিটিতে আশা
ভাঙ্গিল খেলা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: আঁচলের ফুলগুলি করুন নয়নে
নিরাশায় চেয়ে আছে
মোর মুখোপানে
বাজিয়াছে বুকে যেনো কার অবহেলা



ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: মানুষের কাছে বড় হওয়া খুব সহজ, কিন্তু নিজের কাছে কিভাবে বড় হবে? সে একদন নিজের কাছেই লজ্জিত হবে। আর সেই লজ্জা তাকে শেষ করে দিবে। আমাকে নাহয় মানুষের সামনে ছোট করেছে কিন্তু ওর মনের কাছেতো ও নিজেই ছোট। সেটা কতটা লজ্জার সেটা কি জানো?

অসাধারণ হয়েছে আপু!!!!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: তাই??

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর এত্তগুলা ভালোবাসা রইল। ভালো থেকো।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মানুষের বিচার্য হওয়া উচিৎ মনুষ্যত্ব, কোন ধর্ম, বর্ণ বা গোষ্ঠী নয়। ভালোবাসার মূল ভিত্তি হল পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস। যখন এই বিশ্বাসের দেয়ালে চির ধরে কিংবা দেয়ালটি ভেঙে যায়, তখন সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা দায় হয়। তারপরও বলবো আত্মহত্যা কখনো কোন সমাধান এনে দিতে পারে না। তবে যখন কেউ আত্মহত্যা করে, তখন কষ্টের সীমারেখাটা অনুধাবন করা যায়। তাই এটা সহজেই অনুমেয় যে, লাবণ্য অনেক কষ্ট নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু লাবণ্যর মধ্যে একটা বিষয় বেশ লক্ষণীয় ছিল যে, শত কষ্টের মধ্যে থেকেও সে তার ভালোবাসার মানুষকে সামান্য আঘাত করতে চায় নাই।

আমার মনে হয় অনুগল্প এক বা দুই প্যারায় হলে ভাল ৷ আর সার্থক শব্দ নির্বাচন কিন্তু বৃহৎ বাক্য অনেকাংশে ছোট করে দেয় ৷ ছোট গল্পের প্লটই এ গল্পের বিবেচ্য ৷ অনুগল্প হিসেবে আকৃতি কিঞ্চিৎ দীর্ঘ হয়েছে আরো নাতিদীর্ঘ হলে পাঠক কিছু প্রশ্নোত্তর খুঁজতে বারবার গল্পটি পড়তে বাধ্য হত নিশ্চয় ৷ বাক্য গঠনে আরেকটু যত্নবান হলে ভাল হত অনেক সময় যথার্থ শব্দ ব্যবহারে বাক্যের রূপান্তর ঘটে পাঠক মনে ৷ যাই হোক চূড়ান্ত বিচারক কিন্তু লেখক নিজেই ৷ কলম বা কাঁচির মালিক আপনার চিন্তাশক্তি ৷

অনুগল্প প্রসঙ্গে জনাব শাহরিয়ার সোহেল তার প্রবন্ধে বেশ সুন্দর বলেছেন। সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

“অনুগল্পে আসলে অনুভবের বিষয়টি থাকে প্রকটতরভাবে। ঠিক কবিতা নয়, আবার ঠিক ছোটগল্পও নয়; এর মাঝামাঝি অনুগল্পের অবস্থান। অনুগল্প মূলত ফোরডাইমেনশন বা চতুর্মাত্রিক। সব দিক থেকেই যার বিশ্লেষণ করা সম্ভব। একটি লাইনের অর্থ বহুভাবে বিশ্লেষিত হবে, তবে অপ্রাসঙ্গিক বা শৃঙ্খলহীনভাবে নয়।অদৃশ্য সুতার বাঁধনি থাকবে অবশ্যই। ছোটগল্প যদি নৃত্য হয়, অনুগল্প হবে একটি সার্থক ভাবমুদ্রা। তবে সেই ভাবমুদ্রা থেকে নৃত্যের পুরোটুকুই আস্বাদন করাসম্ভব হবে। ছোটগল্প সমাজের কথারূপ ব্লু-প্রিন্ট, অনুগল্প সম্ভাবিত সমাজের কথাকলি নির্দেশ। অনুগল্প কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, সুনিয়োজিত ঘটিতের ওপরএক সারি অর্থবহ শব্দের টেরাকোটা নির্মিতি।
অনুগল্পের বলার প্রয়াসটি বিদ্যুৎ চমকের মতন; যা এক মুহূর্তে সমস্ত আকাশ চিনিয়ে দেয়, দেখিয়ে দেয় এবং যা শুধু অবাকই করে না, মোহিত করে। সে আসেসংক্ষিপ্ত অবয়বে পূর্ণতার ব্যাপ্তি নিয়ে। যেন কচুপাতার ওপর টলমলে শিশিরে সমস্ত আকাশ। a neat critical wisdom is must there. একটি পূর্ণ বিজ্ঞতার ছাপঅবশ্যই অনুগল্পে থাকবে। অনুগল্পের ভাষা হবে অবশ্যই সংক্ষিপ্ত ও ঘনত্বসমৃদ্ধ। অনুগল্পে লিখতে হলে চাই সমূহ ভাষা, ভোরের ভাষা; যা সমস্ত দিনকেইআলোকপাত করে। কবিতার মতো ব্যক্তিক ভাষা বা সন্ধ্যা ভাষা নয়। যদি বলা হয়, কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে, সে আগে মরে নাই। এটাই কিন্তু সমূহ ভাষারউদাহরণ।
অনুগল্প পিকাসোর গোয়ের্নিকা বা মাতিসের আকাশের মতো বৃহৎ; তবে অনুগল্প ব্যঞ্জিত করে না, ব্যক্ত করে।
অনুগল্পের শব্দকে অবশ্যই প্রতীকী হতে হবে। প্রতিটি শব্দ থেকে মূর্ছিত হবে অসংখ্য গুঞ্জন, যেমন : গঙ্গা শব্দটি অনুগল্পে ব্যবহৃত হলে, এর অর্থ অনেক প্রকারহতে পারে। এটি হতে পারে লৌকিক নদী, পবিত্র তরল পদার্থ, একজন দেবী বা অসংখ্য myth-এর ধারক। পাঠকই খুঁজে নেবেন কিভাবে শব্দটি লেখক ব্যবহারকরেছেন।
অনুগল্পের দর্শন ব্যাপক, ভয়াল, খণ্ডিত চিত্রকল্প। অনুগল্পে সব কিছু বলে দেয়া হয় না, শুধু ইঙ্গিত করা হয়। পাঠক সেই ইঙ্গিত অনুযায়ী এগিয়ে যাবেন।”

সব শেষে তাই বলবো এটাকে ঠিক অণুগল্প না বলে ছোট গল্প বললেই মনে হয় ভালো হবে। আমি নিজেই অণুগল্প লেখার চেষ্টা করছি। এই ব্লগে কয়েকটা পোস্টও দিয়েছি কিন্তু এখনো কোনটাকে সার্থক করে তুলতে পারি নাই। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ লাবনী আক্তার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: মানুষের বিচার্য হওয়া উচিৎ মনুষ্যত্ব, কোন ধর্ম, বর্ণ বা গোষ্ঠী নয়। ভালোবাসার মূল ভিত্তি হল পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস। যখন এই বিশ্বাসের দেয়ালে চির ধরে কিংবা দেয়ালটি ভেঙে যায়, তখন সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা দায় হয়। তারপরও বলবো আত্মহত্যা কখনো কোন সমাধান এনে দিতে পারে না।

হুম আপনার সাথে সহমত। আত্মহত্যা কোন সমাধান এনে দিতে পারেনা। আসলে মানুষ যখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তখন তার পক্ষে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।

গল্পের নাম পরিবর্তন করেছি। ছোট গল্প লিখে দিয়েছি।

অনুগল্প হিসেবে আকৃতি কিঞ্চিৎ দীর্ঘ হয়েছে আরো নাতিদীর্ঘ হলে পাঠক কিছু প্রশ্নোত্তর খুঁজতে বারবার গল্পটি পড়তে বাধ্য হত নিশ্চয় ৷


ধন্যবাদ আপনার এমন মতামতের জন্য। শিখলাম এবং মাথায় রাখলাম।
আপনি বলেছেন বাক্য গঠনে আরেকটু যত্নবান হলে ভাল হত অনেক সময় যথার্থ শব্দ ব্যবহারে বাক্যের রূপান্তর ঘটে পাঠক মনে ৷
গল্পটা আমি বৃহস্পতিবার অর্ধেক লিখেছিলাম আর বাকীটা কাল পোস্ট দেয়ার আগে লিখেছিলাম। আসলে আমার মত কম সময়ে লিখে মনে হয় না কেউ পোস্ট দেয়। আমার মেইন প্রব্লেম হল আমি যাই লিখিনা কেন এডিট করতে আমার ভীষণ আলসেমি লাগে। তারপও কম সময়ে এডিট করি। আমি জানি লেখায় সময় বেশি দিলে লেখা ভালো হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে যা হয় তা হচ্ছে লেখার সময় বেশ আগ্রহ নিয়ে লিখি কিন্তু লেখার শেষে এডিট করতে আর ইচ্ছে করেনা । সময় দিতে আর ইচ্ছে করেনা। :( বাক্য গঠনে আরেকটু যত্নবান হতে চেষ্টা করব।
অনুগল্প প্রসঙ্গে জনাব শাহরিয়ার সোহেল তার প্রবন্ধে যা বলেছেন তা দেয়ার জন্য খুব কৃতজ্ঞ।

অনুগল্পের বলার প্রয়াসটি বিদ্যুৎ চমকের মতন; যা এক মুহূর্তে সমস্ত আকাশ চিনিয়ে দেয়, দেখিয়ে দেয় এবং যা শুধু অবাকই করে না, মোহিত করে। সে আসেসংক্ষিপ্ত অবয়বে পূর্ণতার ব্যাপ্তি নিয়ে। যেন কচুপাতার ওপর টলমলে শিশিরে সমস্ত আকাশ।


বেশ ভালো লাগল এই কথাগুলো।

চমৎকার একটা কমেন্ট দিলেন। বার বার পড়লাম আর মুগ্ধ হলাম। আর গল্পটা এত সুন্দর করে বিশ্লেষণের জন্যও আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার কমেন্ট পড়ে সত্যি শিখলাম অনেক কিছু এবং উপকৃত হলাম।

ভালো থাকবেন।

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১২

মাসুদ ০০৭ বলেছেন: আমার মনে হয় , এমন গবীর অনুভূতির পিছনে কিছুটা বাস্তবতা আছে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

লাবনী আক্তার বলেছেন: এমনি মনে হল আপনার?

হয়ত আছে হয়তবা নেই। থাকনা কিছু কথা গোপন। হিহিহি।


অনেক ধন্যবাদ মাসুদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪০

মাহবু১৫৪ বলেছেন: শেষ লাইনটার জন্য গল্পটার আলাদা একটা আবহ পেলাম

খুব ভাল হয়েছে লেখা

+++++++

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: তাই বুঝি? 8-| 8-|


অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশী বলা হয়ে যাবে কিনা জানিনা , মুগ্ধ হয়েই পড়ছিলাম !

অনেক ভালো হয়েছে আপু !

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০১

লাবনী আক্তার বলেছেন: তাই? মুগ্ধ হয়েছে জেনে ভালো লাগল খুব।


অনেক ধন্যবাদ অভি। ভালো থেকো।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪২

বাকপ্রবাস বলেছেন: শুধু সুন্দর নয়, খুবই সুন্দর, এক কথায় অনন্য, আপনার এটা পড়তে গিয়ে আমার মাঝেও কিছু প্লট ঘুরপাক খেল। ধন্যবাদ লাবনী আক্তার আপানকে।

বিদ্রোহী বাঙালী, ধন্যবাদ আপনাকেও খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন, তার জন্য।

অণুগল্প এর আকারটা একটু দেখা যেতে পারে, আমিও কিছুদিন আগে মনে হল অণুগল্প লিখা যায় কিনা একটু চেষ্টা করি, তখন ভাবলাম অণুগল্প জিনিসটা কি সেটাইতো জানিনা, গুগুলে সার্চ দিয়ে একটা পেলাম সেটা সামু ব্লগেরই, পড়ে ভাল লাগল আমিও একটা লিখলাম, তবুও মনে খটকা লাগল অণুগল্প আসলে কি? তার সাইজটা কি হবে?

তারপর পেলাম ভান্ডার http://kaljoyeepongtimala.com/ দেখতে পারেন সাইটটা

একটা গ্রুপ আছে অণুগল্পের সেটার লিংক দিলাম ঘুরে আসলে ভাল হতে পারে, কারন আপনার লিখার হাত অনন্য, শুধু সাইজটা কি হবে সেটা ধরতে হবে, হয়তো অবাক হবে, কবিতার চাইতে ছোট হয়ে যাচ্ছে অণুগল্প সেটা গল্পের প্রয়োজনে হচ্ছে, যাই হোক লিঙ্কটা দিলাম Click This Link

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিদ্রোহী বাঙালী নিশ্চয় আপনার ধন্যবাদ পেয়ে গেছেন।

লিঙ্ক টা দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সময় করে দেখে নিব।

ভালো থাকবেন।

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //মানুষের কাছে বড় হওয়া খুব সহজ, কিন্তু নিজের কাছে কিভাবে বড় হবে?//

কথাগুলো ভালো লাগলো :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

ভালো থাকবেন।

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: #:-S #:-S #:-S #:-S :|| :|| :|| :||

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: কি বুঝব?

মন খারাপ হল?
গল্প পচা লাগল?

নাকি কোনটাই না? :|

ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য।

১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ভাল একটা গল্প লিখেছেন। মুগ্ধতায় পেয়ে বসেছিল।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: :!> :!>

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া গল্প পড়ার জন্য আর কমেন্টের জন্য।

ভালো থাকবেন।

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বি হনেস্ট গপ টা তেমন জমেনি।

তয় জোনাকি উপহার দেয়ার ব্যাপারটা অনেক রুমান্টিক হইছ। লাইকড ইট

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: আমি জানি অনেক ব্লগার আছেন যারা মিথ্যে করে বলে ভালো লাগল। সেই মিথ্যে ভালো লাগার চেয়ে এই যে আপনি বললেন " বি হনেস্ট গপ টা তেমন জমেনি" তাতে আমার ভালো লাগল। মিথ্যে ভালো শুনার চেয়ে সত্য সমালোচনা শুনাই ভালো আমি মনে করি।

আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। একেকজনের কাছে ভালোলাগা মন্দলাগাও একেক্ রকম । আপনার কাছে ভালো লাগেনি আবার কারো কারো কাছে ভালো লেগেছে।

যাক , গল্পের জোনাকির ব্যপারটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।


১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বর্ণনা শৈলী আমাকে চমৎকার লেগেছে সেই সংগে গল্পটিও। ধন্যবাদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

ভালো থাকবেন।



২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

অদৃশ্য বলেছেন:




লাবণ্য কিভাবে মারা গেল___ আবেগে নাকি আনন্দে, খুব জান্তে মন চাইছে

লিখাটি আবেগে টইটুম্বর___

শুভকামনা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

লাবনী আক্তার বলেছেন: আনন্দে নিশ্চয় মারা যায়নি। গানের কথা বাজিয়াছে বুকে যেন কার অবহেলা

লাবন্যর বুকের মাঝেও কারো অবহেলা ছিল। সেই অবহেলা সে সহ্য করতে পারেনি। পারেনি বলেই বৃষ্টি ভেজা শেষে ব্রিজের কাছে এসে দাড়ায় আর নদীর জলের দিকে তাকিয়ে থাকে অনেক্ষন। তার বার বার মনে হতে থাকে কেউ তাকে চরম অবহেলা করেছে। এই অবহেলা সহ্য করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। এই জল তাকে খুব কাছে টানছে। আজতো বাড়ি ফিরে যাবেনা সে। তার হিতাহিত জ্ঞান সে হারিয়ে ফেলেছিল। আর তাই মৃত্যুর পথকেই সে বেছে নেয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

২১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

অদৃশ্য বলেছেন:




লাবণ্য কিভাবে মারা গেল___ আবেগে নাকি আনন্দে, খুব জান্তে মন চাইছে

লিখাটি আবেগে টইটুম্বর___

শুভকামনা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: :) :)

২২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: ভাল্লাগলো

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভালোলাগা পেয়ে ভালো লাগল।

অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: অনেক আলোচনা, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ হয়েছে লেখাটিকে নিয়ে ৷ সংক্ষেপে বলি, প্রথম লাইনে যে শুরুটা করেছেন সেখানেই কিন্তু গল্পের গতি বা মোটিভ অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গেছে ৷ পরবর্তীতে প্রচণ্ড আবেগে নিয়ে লেখাকে বেশী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নাই ৷ সহজ সরল ভাষা সাবলীল পড়তে ভাল লাগলেও মনে রাখার মত লাইন অনেক কম মনে হল ৷ সবই আমার মতামত ৷ ভাল থাকবেন ৷

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: আমার সব লেখাই সহজ -সরল ভাষায় লেখা। আমি ওত ভালো লেখিকা নই তাই হয়ত মনে রাখার মত কোন লাইন নেই গল্পে। শখের বশেই লেখালেখি করি। আর তাই পড়ে অনেকেই উৎসাহ দেয় । আর এই উৎসাহ নতুন কিছু লিখতে আমাকে সাহায্য করে।

আর লেখার মাঝে সমালোচনাতো থাকবেই। কারো কাছে লেখা ভালো লাগবে কারো কাছে মন্দ লাগবে কারন আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য যা আমাকে পরবর্তীতে লেখার সময় আরো সচেতন করে তুলবে। মনে রাখার মত কোন লাইন লিখতে চেষ্টা করব।

ভালো থাকবেন আপনিও।

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সকাল রয় বলেছেন:
অনেক সুন্দর

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা দাদা! :)


ভালো থাকবেন।

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: লাবন্যরা বুঝি এভাবেই চলে যায়! :(

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

লাবনী আক্তার বলেছেন: :( :(


সবাই হয়ত চলে যেতে পারেনা। কেউ কেউ গুমরে গুমরে মরে। সেই মরাটা কেউ দেখেতে পায়না।

গল্প পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকেবন।

২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প কবিতা মিলে দূর্দান্ত।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। আর শেষের কথাগুলো কিন্তু কবিতা নয় গান, নজরুল সংগীত।

ভালো থাকবেন।

২৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

নাসীমুল বারী বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন , চমৎকার ও সার্থক ছোট গল্পের জন্য্। অতঃপর আমি একটু দ্বিধাগ্রস্থ- 'বিদ্রোহী বাঙালী' ও 'বাকপ্রবাস' এর মন্তব্যে। দুজনেই এ গল্প প্রসঙ্গে বলেছেন 'অনুগল্প' অথচ শিরোনামে আছে 'ছোটগল্প'। আমি অবশ্য আজ (১৭-০৪-২০১৪) সন্ধ্যায় লাবনীর উঠোনে এসেছি। তবে কি আগে এটি 'অনুগল্প' হিসেবে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছিল? বিদ্রোহী বাঙালীর মন্তব্যের জবাবে লেখক বলেছেন 'গল্পের নাম পরিবর্তন করেছি। ছোট গল্প লিখে দিয়েছি।'
যাক আমার অনুভবের কথা বলি- সাহিত্যের নবীনতম শাখা 'ছোটগল্প'। ছোটগল্প ক্ষণিক অনুভবের বিষ্ফোরিত চিত্রপট। গল্পের অনুভব বার বার মনের কোণে দোলা দেয়। পাঠকও একটা ফাকা তৈরি করে গল্পকে নিয়ে ভাবতে। আর এই হলো সার্থক ছোটগল্পে অবয়ব। লাবনীর এ গল্পটি ঠিক তেমনি একটা সার্থক গল্প। গল্পের প্রয়োজনেই চরিত্রের মৃত্যু- যথার্থই। তাই বলে 'খুন',' আত্মহত্যা'- এসবকে উৎসাহিত করছি না। আসলে পরিচ্ছন্ন সাহিত্যের চরিত্র নিয়ে কেউ কলুসিত ভাবনা ভাবে না বলে আমার বিশ্বাস।
আরও আরও লেখার জন্যে আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমার ভূবনে স্বাগতম।

২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: নাসীমুল বারী আপনার মন্তব্যরর উত্তর সময় করে পরে দিব।

২৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৯

মায়াবী ছায়া বলেছেন: ভাল লাগলো আপু।।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.