নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধৈর্য্য একটি মহৎ গুন ।

লাবনী আক্তার

সত্য কাঁদে নিভৃতে, সাথে তার থাকে শুধু মহাকাল। সত্যের দীপশিখা চিরদিন জ্বলে । সত্য কখনো মিথ্যাকে করে নাকো ক্ষমা।

লাবনী আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ চারশ পঁয়ষট্টি দিন অতঃপর..

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮



ছবি-গুগুল


পথ চলতে চলতে বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছি । বার বার মরেও কিভাবে বেঁচে আছি সত্যিই ভাবায় আমায়। অদ্ভুত সব ঘটনা গুলো ঘটছিল একের পর এক। ভাঙ্গা গড়া খেলার পুতুল হয়ে গেছি। নিস্তব্ধ আমি, বার বার শুধু মচকাই ভাঙ্গি না কখনো। একদিন হয়ত ভেঙেই যাব, আর খুঁজে পাবেনা কেউই।

দুপুরের নির্জনতা ভেঙ্গে ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। হঠাৎ কি মাথায় চাপল হ্যান্ড পার্স আর ছাতা হাতে নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য আপাতত জানা নেই। বাইরে বের হওয়ার পর অটোগুলো ডাকছিল- আফা আসেন, কই যাইবেন? আমার নিরস উত্তর – যাবোনারে ভাই । কিছুক্ষণ হাঁটার পর বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম অনেকটাই। সামনেই একটা শপিং মল। ঢুকে গেলাম শপিং মলে। এটা সেটা দেখছিলাম। আম্মা কে একটা শাড়ি কিনে দিতে হবে। আম্মা মুখ ফুটেই চেয়েছিলেন , হাত খালি থাকাতে গতমাসে দিতে পারিনি। আম্মার শাড়ি পছন্দ করতে করতেই হটাৎ চোখে আটকে গেল নেভিব্লু পাঞ্জাবীটা। বুকের ভেতরে কেমন যেন ধাক্কা খেলাম। মনে হচ্ছে পাঞ্জাবীটা আমার দিকেই চেয়ে আছে। নেভিব্লু রঙের পাঞ্জাবী তার খুব পছন্দের ছিল। শাড়ি আর পাঞ্জাবীটা নিয়েই বের হয়ে আসলাম। এতক্ষনে বৃষ্টি কমে গিয়েছে।


আম্মা শাড়ি পেয়ে বেশ খুশি হয়েছে। পছন্দ হয়েছে তার। আর আমি পাঞ্জাবীটা লুকিয়ে চুপি চুপি রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে গেলাম। কেমন যেন চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে আসছে। বুক ফেটেই কান্না আসছে। এর মাঝেই আম্মা ডাকতে লাগল- নীলু কাপড় চেঞ্জ করে নে মা, ভিজে গেছিসত। জ্বর আসবে। আম্মার কথায় হাসি পেল। মনে মনে শুধু আম্মাকে বললাম জ্বর এলে তাতে কি আসে যায়? বুকের ভেতর যে বড় বড় গর্ত হয়েছে তা কি আম্মা আপনি দেখতে পাচ্ছেন? আমি যে আর বইতে পারছিনা।

চারশ পঁয়ষট্টি দিন ছিল তার সাথে কাটানো জীবনের সবচেয়ে রঙ্গিন মুহুর্তগুলো । চারশ ছেষট্টি আর সাতষট্টি এই দুইদিনেই অপরিচিত হয়ে গেল সে। অদ্ভুত না? ঠিক যেন আকশের মতন। এই রৌদ্দুর আবার পরক্ষণেই মেঘলা। মুছে হয়ত দিয়েছে আমার সব স্মৃতি কিন্তু এই মন থেকে কি পেরেছে মুছে দিতে সবকিছু? আমি সত্য ছিলাম আছি। ছেড়ে যেয়োনা বলে নিজেই ছেড়ে গিয়েছে। ভুলে যেয়োনা বলে নিজেই ভুলে গিয়েছে।


সে যখন খুব অপরিচত হল ঠিক সেদিন রাতেই খবর এল গ্রাম থেকে বাসায় ফেরার পথে আব্বা এক্সিডেন্ট করেছে। আব্বার লাশের দিকে নিস্পলক চোখে চেয়েছিলাম। সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায় কেন?

দেখতে দেখতেই এক বছর চলে গেল। কোন কিছুতেই যেন আর ভালো লাগেনা। সবকিছুই নিরস, প্রাণহীন মনে হয়। আকাশের বুকে চাঁদ উঠে আগের মতই কিন্তু কেন যেন আমাকে আর টানে না। রোজ রোজ একইভাবে কেটে যায় ।
বড় আপা আজ ওয়ারড্রব গুছাতে গিয়ে আবিস্কার করল পাঞ্জাবীটা। জিজ্ঞেস করেছিল এটা কার। ভারী গলায় বলেছিলাম –যেখানে আছে সেখানেই রেখে দাও। প্রশ্ন না করলেই খুশি হবো। আপা বুঝে গিয়েছিল সব কিছুই। কারন আপা সবই জানত। রাতে খেতে বসে আপা আমাকে বলল কেউ তোমাকে ফোন দিবে। ভদ্র ভাবে কথা বলো। অনেক হয়েছে পাগলামি করোনা । আম্মার বয়স হয়েছে। তোমাকে নিয়ে চিন্তা করে করে অসুস্থ থাকে। আশা করি তুমি এসবই বুঝবে। সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলাম আর কথা না বাড়িয়ে শুধু মাথা নাড়ালাম।


আজ নিয়ে চার দিন কথা হল লোকটার সাথে । তার নাম সবুজ। সবুজ মানুষের কিভাবে নাম হয় বুঝিনা, এটাত একটা রঙের নাম। অদ্ভুত নাম! তাকে বলেছিলাম এই কথা তাই শুনে সে অট্ট হাসি দিয়ে বলল – আপনার নাম যে নিলু, নীল থেকে নিশ্চয় নীলু হয়েছে বলেই হো হো করে হাসতে লাগল আবার। আমার মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল। বললাম- দেখুন আমার নাম নীলুফা, আদর করে সবাই নীলু ডাকে।
- ও আচ্ছা তাই বলুন। আমিত ভেবেছিলাম...।
- আমি ফোনটা রাখব।
- প্লিজ রাগ করবেন না, আরেকটু কথা বলুন না নীলু? এমন করছেন কেন? প্লিজ প্লিজ প্লিজ!
- আচ্ছা বলুন, শুনছি।
- অভয় দিলে একটা কথা বলার ছিল।
- অভয় দিব মানে? আমি কি বাঘিনী নাকি? আজব!
- সরি আমি কিন্তু তা বলিনি । নীলু আগামিকাল আসুন না দেখা করি। সামনা সামনি বসে গল্প করা যাবে। প্লিজ না করবেন না।
- আচ্ছা কোথায় আসতে হবে জানিয়ে দিয়েন। আর হ্যাঁ আমি কিন্তু টাইম মেইন্টেইন করি, এক মিনিট দেরি হলে কিন্তু চলে আসব।
- বাবাহ! আচ্ছা ঠিকাছে ম্যাডাম। আমাকে ঠিক করতে আপনিই পারবেন। হাহাহা।
- কি , কি বললেন?
- না না কিছু বলিনিত। আচ্ছা আপনি ছেলেদের কি পোশাক পছন্দ করেন?
- মুখ ফসকেই বেড়িয়ে গেল পাঞ্জাবী।
- আচ্ছা , ধন্যবাদ।
- ধন্যবাদ কেন?
- না এমনি। আচ্ছা আপনি কিন্তু শাড়ি পড়ে আসবেন এটা আমার অনুরোধ।
- আর কত অনুরোধ করবেন শুনি?
- যত ইচ্ছে ততবার অনুরোধ করব। আচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ুন দেখা হবে কাল।

ফোন রাখার পর তার কন্ঠস্বর, তার হাসি কেন জানি কানের কাছে বার বার বাজতে লাগল। আমি কি তার প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি নাকি? অসহ্য! কিসব ভাবছি আমি। সবকিছু কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছিনা। বিয়ের জন্য সবাই খালি পীড়াপীড়ি করছে। আপা অনেক বলার পর এই ছেলেটার সাথে বাধ্য মেয়ের মত কথা বলছি। আমি কি একটু একটু করে পরিবর্তন হচ্ছি? সবুজকে কি আমার ভালো লেগে গেছে? উফ! মাথা ঘুরাচ্ছে আমার।


ম্যাজেসে জানিয়ে দিল সবুজ বিকেল চারটায় একটা রেস্টুরেন্ট এ অপেক্ষা করবে। অস্বস্থি লাগছে আমার। অনেকদিন পর শাড়ি পড়লাম। সময় মত পৌছে গেলাম আমি। হঠাৎ মনে হল আমি তাকে চিনব কিভাবে? আপা অনেকবার বলেছিল ছবিটা দেখতে কিন্তু আমিত না দেখেই ছবি রেখে দিয়েছিলাম। উফ! বিরক্ত লাগছে এখন। ফোন বেজে উঠল। রিসিভ করার পর সে বলছিল সামনের দিকে তাকান ম্যাডাম। দূর থেকেই একনজর তাকে দেখে নিলাম। সময়মতই এসেছে।

কিন্তু কি অদ্ভুত কান্ড! সে মেরুন কালার পাঞ্জাবী পড়ে এসেছে। আমিও মেরুন কালার শাড়ি পড়েছি একদম ম্যাচিং হয়ে গিয়েছে। কেমন যেন লজ্জা লাগছে। সামনা সামনি বসলাম দুজন। বলল টাইমলি আসছি কিন্তু। আমি লজ্জায় কিছু বলতে পারছিলাম না। কি খাবো জিজ্ঞেস করল। এটা সেটা বলার পর বলল আমাকে- আমি মেরুন কালার পাঞ্জাবী পড়ে আসব বলেই কি মেরুন কালারের শাড়ি পড়ে এসেছেন?
- মানে ?
- নীলু আপনি কিভাবে জানেন আমি মেরুন কালার পছন্দ করি?
- আমি জানি নাকি আশ্চর্য যে আপনি মেরুন কালারের পাঞ্জাবী পড়ে আসবেন? মেরুনত আমার পছন্দের কালার।
- আরে এটাত আমারো প্রিয় কালার। আমিও কি জানি নাকি যে আপনি মেরুন কালারের শাড়ি পরে আসবেন? অদ্ভুত না? দুজনের প্রিয় কালার একটাই।


কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করলাম দুজনেই। কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। সবুজ নীরবতা ভেঙ্গে বলল।

- মেরুন পাঞ্জাবীওলাকে পছন্দ হয়েছে? আমার কিন্তু মেরুন শাড়িওয়ালীকে ভীষন পছন্দ আগে থেকেই। শুধু আপনি হ্যাঁ বললেই আমার বাড়িতে আপনাকে নিয়ে আসতে পারি সারাজীবনের জন্য।
- সবুজ এমন ভাবে কথাগুলো বলল যে ফিক করেই হেসে দিলাম। কেন জানি আমি নিজেকে গম্ভীর করে রাখতে পারিনি। সবুজ খুব মজা করেই কথা বলে, ভালো লাগে। মাথা নিচু করেই অনেকক্ষণ হাসলাম।

সবুজ আমার হাত ধরে বলল –ছাড়ব না কিন্তু হাত। আমি উত্তর পেয়ে গিয়েছি.........।





মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

হামিদ আহসান বলেছেন: সুপাঠ্য গল্প৷ ভাল লাগল ......।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

সাইফুল মনোয়ার নিশাদ বলেছেন: নীল পাঞ্জাবী যার জন্য কিনেছিল সেই মানুষটা হয়ত নেই, শিওর থাকেন আমি নীলুর সাথে দেখা হলে নীল পাঞ্জাবীটা চাইবো আর বলব ওসব রেখে কষ্ট না পেয়ে এই গরিব লুকটারে দেন, দোয়া করব।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: হাহাহা! পাঞ্জাবী পেয়ে কিন্তু ভালো ভাবে দুয়া করতে হবে! :P :D



ধন্যবাদ হে কবি! ভালো থাকবেন।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০২

সুমন কর বলেছেন: সুখময় সমাপ্তি ভালো লাগল। ছোট গল্প হিসেবে বর্ণনাও চমৎকার।

১ম লাইক দিলাম। !:#P

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: ১ম লাইকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। :D

গল্পে ভালোলাগা পেয়ে ভালো লাগল ।


ভালো থাকবেন সুমন দা।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লাগা রইল

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

জুন বলেছেন: মেরুন পাঞ্জাবীওয়ালাই সই । ভালো মনের মানুষ হওয়াটাই আসল লাবনী । বাইরে সুন্দর কিন্ত মনটা কুৎসিত এমন মানুষরা নরকের কীট সম বলতে পারো । তাদের কখনই ভালো হয়েছে বলে শুনি নি ।
তবে দারুন লাগলো রোমান্টিক গল্পটি ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপা, আসলেই বাইরে সুন্দর কিন্ত মনটা কুৎসিত এমন মানুষরা নরকের কীট সম


আপা আপনাকে কিন্তু মিস করছিলাম। এখানে পেয়ে ভালো লাগল। গল্প পাঠ, সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপা।


জুনাপা সবসময় সুন্দর, সুস্থ থাকবেন। আর সুন্দর সুন্দর ভ্রমন লেখা আমাদের উপহার দিবেন। :)

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছাড়ব না কিন্তু হাত। আমি উত্তর পেয়ে গিয়েছি........:)

গভীর অনুভবে এভাবেই হৃদয় বুঝে নেয় সবকিছূ :)

মেরুন পাঞ্জাবী পরে দেখা করতে ইচ্ছৈ হয় ;) =p~ =p~ =p~

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: আহা! এমন করেত কেউই বললনা। :P

মেরুন পাঞ্জাবী আছে যখন ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমারো ৩ টা মেরুন শাড়ি আছে। ;) =p~ B-))


গল্প পাঠ, মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

সদা ভালো থাকুন।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

যাযাবরমন বলেছেন: আপনি তো খুব ভাল লেখেন! আপনারআগের লেখাগুলোও পড়তে হবে।
আচ্ছা ১ম দেখাতেই মেরুন পাঞ্জাবী নেভিব্লু পাঞ্জাবী স্থান দখল করে নিলো, এত তারাতারি হয়?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম । আমি খুব ভালো আসলে লিখিনা সেটা আমি জানি। তারপরও আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে লিখতে উৎসাহ দিবে।

সময় মানুষকে অনেক কিছুই করতেই বাধ্য করে। নীলুর একাকীত্ব, কষ্ট, চারপাশ হয়ত তাকে পরিবর্তন হতে সাহায্য করেছিল। এ কারনেই নেভিব্লুর জায়গায় মেরুনের স্থান হয়েছিল সহজেই।

আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

টয়ম্যান বলেছেন: আপা ভলোলাগলো আপনার সহজ সরল পানজাবির গল্প :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হুম! নেভিব্লু বাদ ,এবার একটা মেরুন পাঞ্জাবী কিনতে হবে । :P

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

লাবনী আক্তার বলেছেন: =p~ =p~ =p~



মায়াবী চোখের ভাবির কি মেরুন পাঞ্জাবী পছন্দের কিনা ভালো করে জেনে নিয়েন? ;)

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: শুধু গল্পে নয় বাস্তবেই মেয়েরা পরিবর্তনশীল।
তাইতো কবি গুরু বলেছিলেন......আকাশের রং, আর নারীর মন...............বাকীটা সবারই জানা
তাই বলার প্রয়োজন নেই মনে হয়।

একটা কল আর এক পলক দেখা যে নারীর নতুন জীবনের গল্প একে দিতে পারে তা আমি বিশ্বাস করি।
যা আপনার গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন।

কবি আরো বলেছেন............
নারী কভু নাহি চায় একা হতে
কারো এরা দেবী, এরা লোভী
যত পূজা পায়, ততো চাই আরো
ইহাদের অতি লোভী মন একজনে
তৃপ্ত নয় এক পেয়ে সুখী নয় যাচে
বহুজন !!

আশা করি আপনি বুঝে নিয়েছেন আমার মূল ভাষ্য তাই আমার আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই মনে হয়।


১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: আপনি বলেছেন 'শুধু গল্পে নয় বাস্তবেই মেয়েরা পরিবর্তনশীল' - মেয়েরা বলতে কি আমি সমগ্র নারী জাতিকেই ধরে নিব?

যদি নারী জাতিই হয় তবে এর মাঝে আপনার মা, বোন, প্রিয়তমা সবাই আছে, কি বলেন? নারী পরিবর্তনশীল নাহলেত অনেক প্রব্লেম হত। কোন কোন নারী ১৫/৩০ বছর সংসার করার পর যখন তার স্বামি আরেকটা বিয়ে করে তখন সেই নারী সব দুঃখ ভুলে গিয়ে সন্তান কে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে। নারী পরিবর্তন না হলে কিন্তু এটা সম্ভব ছিল না। যাক বেশি কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা। নারী বিদ্বেষী কথা আমার মোটেই ভাল লাগেনা। ভালো মন্দ নারী পুরুষ উভয়ের মাঝেই আছে। আপনি এক তরফা ভাবে বলতে পারেন না মেয়েরা পরিবর্তনশীল। সমাজ ব্যবস্থা বলুন, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক সব কিছুই মানুষ কে পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। আর সময়ে নারী পুরুষ সবাই পরিবর্তন হয়।

কবির কথা না বলে নিজের কথা বলুন। কবি নিজেও যে পরিবর্তনশীল ছিলেন না তা আপনি কিভাবে জানেন? সে নিজে একজনের মধ্য তৃপ্ত ছিল তা কি আপনি বলতে পারবেন?

গল্পের চরিত্র নিয়ে কথা বলুন। এখানে বদলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে। কাউকে আঁকড়ে ধরে মরে যাওয়া বেঁচে থাকা নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


ভালো থাকবেন।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!

সুন্দর গল্প!!!!!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

লাবনী আক্তার বলেছেন: পরীবু!!!!!!!!


এত্তগুলা ধন্যবাদ নাও। :D

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: প্রেম ভালবাসাকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে জীবনটাকে ঠেনে ঠেনে সংসার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া মানে
এই নয় যে নারী নারী সংসারি হয়ে পুণ্যস্নান করলো।

চারশ পঁয়ষট্টি দিন অতঃপর.. নতুন করে আবার স্বপ্ন, নতুন কাউকে পাওয়া, নতুন কিছু স্বাদ আহ্লাদ জন্মানো
এতো নারীর(প্রেমিকা) নিত্য নতুন বায়না হয়ে গেছে।

আপনি কি বলতে পারেন প্রেমের প্রতারণায় কারা এগিয়ে, নারী নাকী নর?
আপনি কি বলতে পারবেন দেশে কতো জন চিরকুমারী আছেন?
আমি আপনার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো হাজার হাজার চিরকুমার।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: :| |-)

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বারবার মচকানো ভালো আপু, ভীত শক্ত হয় :)
সুন্দর থাকুন!

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: হুম! ঠিক বলেছ অভি!

তুমিও ভালো থেক সবসময়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.