![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাপক মন খারাপ। দেশের যে কি অবস্থা... মাথায় কিছুই ঢুকে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪২ বছর হতে চললো। কত সরকারই তো এলো গেলো। শেখ মুজিব’স সরকার, জিয়া’স সরকার, এরশাদ’স সরকার, হাসিনা’স সরকার, খালেদা’স সরকার... আশ্চর্য লাগে, দেশের এই টিউমার যুদ্ধপরাধীগুলার বিচার দেওয়ার কথা কারো মনেই থাকলো না। এইটা নিয়ে কারো মাথাব্যাথাও ছিলো না। হঠাৎ করেই এতো বছর পরে মনে পরে গেলো “আরে, এই হারামীগুলারে তো এখনো বিচার করা হয়নায়”।
গতকাল এক হারামীর বিচারের রায় দিছে। রায় ফাঁসি শুনেই পোলাপান খুশিতে গদগদ। মিষ্টির দোকানী আরো বেশি খুশি। থামেন ভাই। রায় আর্যকর হইসে? যেই হারামী স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও এখনো বাঁইচ্চা আছে, অই হারামীর রায় কবে কার্যকর হইবো- কোন গ্যারান্টি নাই। তাই বলি কি, এখনি মিষ্টি খায়েন না। **কির পোলাটার লাশ দেইখা তারপরে পেট ভইরা মিষ্টি খায়েন। দরকার হইলে ভাতের বদলে মিষ্টি খায়েন তিন বেলা। :p আমি এই হারামীগো বিচার চাইনাই কখোনই, ডাইরেক্ট ফাঁসিতে ঝুলায়া দেয়া হোক।
মাঠপর্যায়ে আওয়ামীলীগ বিএনপিকে ভয় পায় না। কি রাজনীতিক কার্যক্রমে লোক আনয়ন, কি হরতাল-অবরোধ, সকল বিরোধীদলীও কার্যক্রমই সুসংবদ্ধভাবে প্রতিহত করে থাকে ঘরের পালা কুত্তালীগের পোলাপানরা। তাদের জন্যে এইটা কোন ব্যাপারই না। মাগার অক্ষন বিএনপি আর হরতাল দেয়না; হরতাল দেয় জামায়াত-শিবির। লউ ঠ্যালা। এইবার তো কুত্তালীগেও কুলাইতে পারে না। পিটায়া-কোপায়া এমন অবস্থা করসে যে, পুলিশও জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রমের ডিউটিতে যাইতে ভয় পায় এখন। আমার এক পরিচিত পুলিশ এর ডিউটি ছিলো পল্টনে। ২০০ টাকা ঘুষ দিলো এবং “স্যার, আমি ফোন দিলেই আপনি কিন্তু চলে আসবেন। উপরের লোক এসে লিস্ট দেখে মাঝে মাঝে চেক করে, সবাই আছে কিনা”- এটা শুনে সেই পুলিশ বাসায় চলে আসলো। কে চায় মাইর খাইতে?
সেদিন পেপার পড়ছিলাম। হেডিং দেখলাম “শাহবাগের আন্দোলন তথা গোটা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছে ভারত”। অনুভূতিশুন্য হয়ে গেলাম। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ওহ, বলতে ভুলেই গেছি, আমি “আমার দেশ” কিংবা “নয়া দিগন্ত”তে এই খবর পড়িনাই। (বলে দিলাম, তা না হলে কেউ কেউ বলতে পারেন যে আমি ছাগু-গো খবরের কাগজে এইটা দেখছি)।
বাসার নিচে এলাকার এক বড় ভাই এর দোকান। সেইখানে গেলাম আড্ডা দিতে। টিভিতে শাহবাগের আন্দোলন কভার করে নিউজ দেখাচ্ছে। সেটা দেখে ভাই জিজ্ঞাসা করলো “যাওনাই?”।
“না ভাই”।
“কয়দিন গেছিলা?”।
হাতের তিনটা আঙ্গুল দেখায়া দিলাম। ভাই দেখি হিসাব কইরা কয় “১২০০?”।
“মানে কি?”
“আরে মিয়া, ১২০০ টাকা পাইছো না?”
“ভাই, হুনা কথা নিয়া আমার লগে মজা লইয়েন না। আপনে তো এইটা হুনসেন। আন্দোলনে যান, যায়া যদি ১০০ টাকাও আনতে পারেন, আপ্নেরে ভরপেট খাওয়ামু।”
“শোনা কথা না মিয়া। তুমি তো হুদাই গেছো অইনে। আমগো আলামিন গ্যাছে লীগের মাধ্যমে। ৩০০ নিয়া আসছে।“
চুপ হয়ে গেলাম। বলার নাই কিছু। এইটা সত্য বলসে। রাস্তায় কেউ ক্যানভাস করলে আপনা আপনি সেটার আসেপাশে মজা দেখার জন্য লোকজন জুটে যায়। নিরীহ পথচারীরা কোন টাকা পয়সা পায় না। কিন্তু যিনি ক্যানভাস করেন, তার সাথের লোকজন দিন শেষে নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা পায় ঠিকই। শাহবাগের আন্দোলনের জন্য বিদেশ থেকে সাহায্য(!) আসছে অবশ্যই। (অবশ্য আমি এতো জোর দিয়ে বলছি কেন?)। কোন প্রমান নাই।
শাহবাগের আন্দোলনে নাকি আওয়ামীলীগের কোনই সমর্থন নেই। হাসতে হাসতে বাঁচি না। সর্বক্ষন সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতিকে দেখা যায়। দলের একটা হোতা থাকলেই তো হয়, একশোজন লাগে নাকি? কেউ কেউ বলে, “এইজন্যেই তো লীগের কোন নেতারে আমরা মাইক ধরতে দেই না”। যথার্থই বলেছেন। আচ্ছা, আপনারা কেউ আমাকে আওয়ামী জোটের বাকি ১৩ দলের নাম দিতে পারবেন? বড়ই বাধিত থাকিব। তারপর সেই লিস্টের দলগুলো কোন নেতা-পাতিনেতারা গণজাগরন মঞ্চে উঠেছেন কিনা, সেটা যাচাই করে দেখবেন।
আচ্ছা, মেনে নিলাম লীগের সম্পৃক্ততা নেই একদমই। মঞ্চ থেকে তো যুদ্ধপরাধী-রাজাকারদের বিচারই চাওয়া হচ্ছে। বেশ ভালো। আমিও এই **কির পোলাগো বিচার চাই। সবগুলার বিচার চাই। মঞ্চ থেকে তো নাম ধরে ধরে রাজাকারদের বিচার চাওয়া হচ্ছে। আপনি তো তরুন আন্দোলনকারী। একবার মঞ্চে উঠে মাইক নিয়ে লীগের কাপরের তলে লুকিয়ে থাকা কোন রাজাকারের নাম চিৎকার করে বলে ফাঁসি চান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, শ্লোগান শেষ করতে পারবেন না, তার আগেই মাইক হাতছাড়া হয়ে যাবে। যত বিচার চাওয়া হচ্ছে, সবাই জামায়াত কিংবা বিএনপি এর। অর্থাৎ আক্রোশটা বিরোধীদলের রাজাকারের উপরে। নিজের লুঙ্গির নিচে যে রাজাকারগুলা লুকিয়ে আছে, সেটা দেখেন না কেন? অবশ্য নিজের লুঙ্গি উঁচা করে কে দেখে ভেতরে কে/কি আছে? আগ্রহ অপরের লুঙ্গির নিচেই, সেটা যদি বিরোধীদলীয় হয় তাহলে তো আর কথাই নেই।
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে আরেকটা কথা শোনলাম। পোলাপান নাকি বাবা(ইয়াবা) খেয়ে টাল হয়ে থাকে, গাঞ্জার আসর তো আছেই। এইটা নিয়ে আর কি বলবো? কোন জনসমাবেশে যেয়ে আপনি যদি গাঞ্জা খান, আপনেরে থামাবে কে? তাছাড়া ব্যাপারটা তো ছোট না। এত মানুষের মাঝে কে বাবা খাচ্ছে না কে ডান্ডি শুকতেছে, সেটা দেখা তো সম্ভব না। তবে কথা সত্য। সেদিন দেখলাম এক লোকের চোখ খুলতেই কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বলেই যাচ্ছে “আমরা রাজাকারের ফাঁসি চাই। বাংলাদেশের মানুষের ফাঁসি হবেই”। :p
আর কত লুল দেখবো?
গত ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনার ভাঙ্গা হল, পতাকা পোড়ানো হল। এইটা যে জামায়াত-শিবিরের কান্ড, সেটায় কার কার সন্দেহ আছে হাত তুলেন। বাংলাদেশে থেকে কিভাবে বাংলাদেশের অবমাননা করে, সেটা ভাবলেই তো মেজাজে আগুন জ্বলে যায়। সেদিন ফেইসবুকে জামায়াতের গ্রুপে একজনকে দেখলাম পোষ্ট দিসে যে, সে আসলে বাংলায় পোস্ট করতে চায়নি কিছু। তার খুবই ইচ্ছা করছিলো উর্দুতে লিখতে। কিন্তু তার ভাইয়েরা সেই উর্দূ বুঝতে পারবে না বলে বাংলায় পোস্ট করেছে। আহারে উর্দূপ্রীতি। মন চায় লাথথি মাইরা এইগুলানরে ফাকিস্তানে পাঠায়া দেই। আবালগুলার কেন এরকম ফাকিস্তানপ্রীতি, সেটাই মাথায় ঢুকে না। ইসলামেই তো বলা আছে যে স্বদেশ সর্বাপেক্ষা বড়। মহানবী (সাঃ) ও মদিনায় হিজরতের সময় মক্কার দিকে চেয়ে চোখ মুছেছিলেন।
আরেক বিতর্ক “রাজিব ওরফে থাবা বাবা বিতর্ক”। বুঝলাম না, কেন অস্বীকার করা হচ্ছে যে রাজিব নাস্তিক ছিলো। মুসলিম যারাই ওর লেখা পরছেন, তারাই আক্রোশে ফেটে পরছে। ইসলাম অবমাননা করে লিখার অধিকার তাকে কে দিয়েছিলো? যাই হোক, এই লোক কে নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। নাস্তিক মানেই সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী। ব্যাস, তুমি অবিশ্বাস করবে, ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশি নাস্তিকতা মানেই সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস এবং ইসলামকে অবমাননা করে হাবিজাবি লিখা। অন্যান্য ধর্মের প্রতি এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ব্লগে এরকম ইসলাম অবমাননাকারী পোস্টের অভাব নেই। শুধু এক থাবা’র লেখা দেখেই যদি চান্দি গরম হয়, সব নাস্তিকের ব্লগের লিখা দেখলে তো এইগুলানরে কোপাইতে মন চাইবো।
ফিরে আসি শাহবাগ প্রসঙ্গে। নানা রকম কথা হচ্ছে এমনকি আওয়ামীলীগের ভেতরেই। “সরকারের ভেতরের একটি গ্রুপ মনে করে, আন্দোলনের ফসল আওয়ামী লীগের ঘরেই যাবে। কিন্তু আন্দোলন কতদিন অব্যাহত থাকবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না”। রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, এই আন্দোলন দেশের অর্থনীতিতে অনেক প্রভাব ফেলবে। এটা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয় যে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছু পরিবেশ প্রভাব ফেলে। রাজনৈতিক পরিবেশ তার একটা। এটা যত অস্থিতিশীল, অর্থনীতির জন্যে তা ততই উদ্বেগজনক। “এই আন্দোলন যদি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন দ্রুত এর নিষ্পত্তি করছেন না? কেন এই আন্দোলনকে আরো দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিচ্ছেন? এর মাঝে কি রাজনৈতিক কোন স্বার্থ বিদ্যমান?”। “এই সময়টা রপ্তানীর সময়। কিন্তু এতো হরতালের মাঝে কাঁচামাল আমদানিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে প্রায়ই।“।
এখন পর্যন্ত আমার সমীকরনে এসেছিলো যে, বাকি সবার ফাঁসি হবে। একজনের রায়ে তাই আসলো। বাকিগুলানের রায় দেখার অপেক্ষা। তবে নাটক কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখতে বসলে যেমন শুনি “অনুষ্ঠানের বাকি অংশ সংবাদের/বিজ্ঞাপনের পর”, তেমনি এখানে যেন না শুনতে হয় “বিচারের বাকি অংশ নির্বাচনের পর”!
পরিশেষে বলতে বাধ্য হচ্ছি, শেখ হাসিনা অতিব ধূর্ত এক জীব। সুকৌশলে তিনি জনতাকে লীগের সাথে একাত্ব করিয়েছেন। দেখা যাক, কি হয়। অন্তত আমি মৃত্যুর পূর্বে সব রাজাকার এর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া দেখতে পারবো তো?? আশা তো করতেই পারি, কি বলেন আপনারা??
০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
অক্ষরসৈনিক বলেছেন: কেন আপুনি? কেন পারবো না?
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
আিরফ এস এস মাহমুদ বলেছেন: ভাই, আপনার লেখনি ভালো। কিছু কিছু জিনিস বলছেন যেগুলোর পয়েন্ট আছে। কিন্তু আপনার লেখায় সৈনিক সৈনিক মিলিটারি অর্ডার এর গন্ধটা হালকা করে পাওয়া যায়। সিভিলিয়ান কাপড়ের নিচে হালকা মিলিটারি ইউনিফর্মের মত। জিনিসটার আবিষ্কার ভালো লাগে নাই।
সন্দেহ নাই আপনি মেধাবী। আপনার মেধা টা অন্য কোন ভাবে ব্যবহার করেন না কেন? বিল গেটসও হয়ে যাইতে পারেন, কিংবা মাদার টিরেজা। সেইটা কি বেশি ভালো না?
আমরা ম্যাঙ্গো পিপল, আমরা এমনিতেই কনফিউজড থাকি, তারমধ্যে আল্লামা সাইদি (আকা বাচ্চু রাজাকার) এর মত লোকজনের জ্বালাময়ী ওয়াজে আমাদের অনেকের মাথা গোল হয়ে যায়, অনেকে ইমানের তেজে বলীয়ান হয়ে যায়।
এতকিছুর পর আপনাদের মত শার্প ব্রেইনরা ও যদি ম্যাঙ্গো কে নিয়ে ঢিলাঢিলি করেন, তাইলে তো একসময় জনতা, পাবলিক পাগল হয়ে নিজের ভাইরেও কোপাবে। (আপনি কি সেইটাই চান?)
ভাই, দয়া করে কথা বলতে হলে ইউনিফর্ম পরেই বলুন, আর নইলে ইউনিফর্ম ছেড়ে সত্যিকারের আম জনতা হয়ে যান । মাঝখানেরটা করবেন না, সেইটা অতীশয় জঘণ্য কাজ (ইন্নাল মোনাফেকিনা ফি’দার কিল আসফারি মিন্ন নার (সুরা নিসা) - নিশ্চয় মোনফেকদের স্থান জাহান্নামরে .... ).
আপনি বিভ্রান্তি ছড়াবেন, আরেকজন দাঙ্গা হাঙ্গামা করে তার জবাব দেবে, তারপরে আপনি আবার সন্ত্রাস করবেন...... এইসব আর কতো? একটু ভাবুন। আপনাকে বলছি কারন আপনার চিন্তাশক্তি আছে। বানু কুরায়জা এমনি এমনি ঝাড় বংশ সহ লোপাট হয়নি। শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আিরফ এস এস মাহমুদ বলেছেন: উপরের পোষ্টের এই অংশটি পড়ুন:
আমরা ম্যাঙ্গো পিপল, আমরা এমনিতেই কনফিউজড থাকি, তারমধ্যে আল্লামা সাইদি (অথবা বাচ্চু রাজাকার) এর মত লোকজনের জ্বালাময়ী ওয়াজে আমাদের অনেকের মাথা গোল হয়ে যায়, অনেকে ইমানের তেজে বলীয়ান হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
ফারজানা শিরিন বলেছেন: না পারেন না ।