নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতায় ব্যাপক বিশ্বাসী। তবে অন্যকে অনৈতিক ভাবে হেয় করে কখনও স্বাধীনতা প্রয়োগে বিশ্বাসী নই।

ফারুক আহাম্মেদ

আমি ভাল থাকতে ভালবাসি।

ফারুক আহাম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। বন্ধু এবং শত্রু চিনতে ভুল করেই চলছে বাংলাদেশ। এই ভুলের চিত্র কেউ প্রকাশ না করে বরং ভুলকেই শুদ্ধ বলে চালিয়ে যাচ্ছে কিছু চাটুকার।সব মিলিয়ে ব্যর্থতা এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার। সরকারেরর যা করা উচিৎ ছিল তা করতে পারেনি। উল্টা প্রকাশ পেয়েছে রাজনৈতিক এবং সামরিক ভাবে দেশের কাঠামো খুবই দূর্বল। মিয়ানমার পাত্তা দেয়নি এসব কারেণই। যদিও সরকার প্রচারের চেষ্টা করছে We have lot of achievement.

কি করা উচিৎ ছিল সেটা হয়তো আমার চেয়ে ভাল বোঝার কথা ছিল সরকারের। তবুও বলি সরকারের চেষ্টার ভেতরে ভাল একটা স্টেইপ ছিল জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বলা। তবে ট্রাম্পের কাছে এভাবে বলাতে কোন অর্জন নেই বরং আত্মসম্মানের বিসর্জন ছিল। সরকারকে প্রথমে চিন্তা করা উচিৎ ছিল বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের কাছে রোহিঙ্গা নির্যাতনের চরম বার্তা তুলে ধরা। প্রধানমন্ত্রী এবং স্মার্ট পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্‌রিয়ার আলম এই বার্তা বিশ্বে প্রচার করলে তুমুড় সাড়া ফেলতো। সুন্দর এবং বিচক্ষণ কথাবার্তায় শাহরিয়ার আলমের মমত যারা আছেন তাদের নিয়ে সফর করা। সেক্ষেত্রে চীনদেশ, রাশিয়া, ফ্যান্স, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ মানবধিকার রক্ষিত দেশে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা যেত। মানবধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তাদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রতিনিয়ত তুলে ধরা।

পৃথিবীর যেখানে বাংলাদেশী মানুষ আছে তাদের সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যোগাযোগ করে সংঘটিত করে রোহিঙ্গা নির্যাতনের অমানবিক দৃৃশ্য ভিজুলাইজ আকারে প্রচার করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ, খুনসহ নির্যাতনের করুন দৃশ্য নিয়ে ইংরেজি ভাষায় প্রমান্য চিত্র তৈরি করে ইন্টারন্যাশনাল টিভি চ্যানেলগুলোতে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেলেও প্রামান্য চিত্র প্রকাশ করা উচিৎ। যোগাযোগ করতে হবে সারাবিশ্বের সাথে। সবাই দেখবে কিভাবে মানবতা খুন হচ্ছে মিয়ানমারে। অবশ্যই সফলতার মুখ দেখবে বাংলাদেশ।

এতক্ষন পড়ে হয়তো মনে হতে পারে তাহলে সরকার কিছুই করছে না? হ্যা করছে। কিভাবে কাকে কোন কাজ করতে হবে এই সমন্বয় সরকারের ভেতরে নাই। এজনই ভালো রেজাল্ট আসছে না।

যোগ্য কুটনৈতিক তৎপরতা এবং মিয়ানমারের সামরিক হুমকি কৌশলে মোকাবেল করতে হবে। চুপ করে থেকে মোকাবেলা হয় না। স্ট্রং ভয়েজে বোঝাতে হবে বাংলাদেশ দূর্বল না। বাংলাদেশ শান্তি চায় যুদ্ধ নয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। বন্ধু এবং শত্রু চিনতে ভুল করেই চলছে বাংলাদেশ। "

-এগুলো কেমন ধরণের ভাবনা, বাংলদেশ কি রোহিংগা ইস্যু সৃস্টি করেছে যে, এতে বাংলাদেশের "সুবিধা, অসুবিধা করার " প্রশ্ন আছে?

রোহিংগাদের পক্ষে বিপক্ষে কোন জাতি যাবে, কারা তাদের সাহায্য করবে, সেটা কি বাংলাদেশের উপর নির্ভর করে? বাংলাদেশ কি রোহিংগাদের এখানে এনে এই সমস্যার সৃস্টি করেছে?

বিশ্বে কোনদেশ কি কারণে বাংলাদেশের মত দেশের বন্ধু হতে পারে? আপনার কতজন বন্ধু আছে?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

ফারুক আহাম্মেদ বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ এ কথা আমার না বিবিসির এবং ফল সরুপ রোহিঙ্গারা এখনও আমাদের দেশেই অবস্থান করছে।

বন্ধু এবং শত্রু চিনতে ভুল করেই চলছে বাংলাদেশ বলতে ভারতের কথা বোঝাতে চেয়েছি। একদিকে তারা আমাদের সাথে আছে দাবী করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। গত কিছু দিনের প্রথম আলোর খবরগুলো একটু মনযোগ দিয়ে পড়লে আশা করা যায় আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু সৃষ্টি করেনি একথা ঠিক। আপনার নিশ্চয় মনে থাকার কথা এই রোহিঙ্গা ইস্যু নতুন কিছু না। অতীতেও হয়েছে। মিয়ানমার তখন থেকেই সফলতার সাথে রোহিঙ্গা পুশইন করেছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আজকে এই ভয়াবহ দূর্গতি বাংলাদেশের ঘাড়ে।

বিশ্বে বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে প্রয়োজন অত্যন্ত দক্ষ কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনা। সেটার ঘাটতি বহুকাল ধরে। খোজ নেন সব বুঝবেন।

আমার বন্ধু সংখ্যা একদম খারাপ না। ভালোই আছে।

মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



"স্ট্রং ভয়েজে বোঝাতে হবে বাংলাদেশ দূর্বল না। বাংলাদেশ শান্তি চায় যুদ্ধ নয়। "

- বার্মার প্রতি আপনার ভাষায়, "স্ট্রং ভয়েজে "টা কি হতে পারে, একটু লিখুন!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

ফারুক আহাম্মেদ বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী, আপনার কৌতূহলের জন্য জানাচ্ছি যে, স্ট্রং বলতে বোঝাতে চেয়েছি মিয়ানমার প্রায় ১৯ বার বাংলাদেশের আকাশ সীমা লংঘন করেছে। ১৭ বার আকাশ সীমা লংঘন করার পর প্রতিবাদ করেছে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে।

এই ব্যবস্থাটা প্রথমবারেই নিতে পারতো এবং সতর্ক করতে পারতো। কূটনৈতিক ভাবেও বিশ্বকে জানান দেয়া যেত। যাতে করে সবাই বোঝে তারা উস্কানি দিচ্ছে। এটা না করাকে দূর্বলতা বোঝাতে চেয়েছি।

আবারও ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ডিপ্লোম্যাটিক ফেইলিয়োরটাই বড় ধরণের সমস্যা করে দিলো রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের | কোনো দেশেরই সক্রিয় ও কার্যকর কোনো সমর্থন পেলাম না আমরা জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে | সবসময় চীনের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্কের কথা বলি কিন্তু এবার তাদেরও পাশে পাওয়া গেলো না শুধুমাত্র একদর্শী বৈদেশিক নীতির জন্য ! আপনার লেখাটা ভালো লাগলো | ধন্যবাদ |

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

ফারুক আহাম্মেদ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তারপরও বলি চীন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র একথা ঠিক। কিভাবে তাদের থেকে আমরা সুযোগ নিয়ে দেশের উন্নতি করতে পারবো সেটা বোঝার ঘাটতি বাংলাদেশের আছে।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোহানী বলেছেন: সহমত!

হাঁ আবারো আমরা দেখিয়ে দিলাম ব্যার্থ কিভাবে হতে হয়। সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়া বা শত্রুকে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা.......... প্রতিটি পয়েন্টে সহমত। অনেক পরের দিকে কেউ হয়তো প্রধানকে বুঝিয়েছে এ ইস্যু নিয়ে নোবেল পাওয়া যেতে পারে অমনি সবাই ছোটা শুরু করলো............. রাস্ট্রীয় সিদ্ধান্ত মাথা থেকে না আসলে এমনটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক পত্রিকা ভালোই কাভারেজ দিয়েছিল তখন, আমরা ঠিকভাবে এগোতে পারলে একটা সমাধানে আসা যেত।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

ফারুক আহাম্মেদ বলেছেন: আমাদের দেশ তেলবাজির উপরে চলছে। একারণে ভাল মন্দ বা টেকশই উন্নয়নের চেয়ে বড় কথা হয়ে দাড়ায় তেলবাজি করা।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.