নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতায় ব্যাপক বিশ্বাসী। তবে অন্যকে অনৈতিক ভাবে হেয় করে কখনও স্বাধীনতা প্রয়োগে বিশ্বাসী নই।

ফারুক আহাম্মেদ

আমি ভাল থাকতে ভালবাসি।

ফারুক আহাম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুবে থাকতে পারিনি!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

শ্যামলী স্কয়ার সিনেমা হলে ঢোকার পর মনে হয়েছে কোন মিনি বাসে যাত্রা করার জন্য চেপে বসেছি। এত সীমিত জায়গায় কিভাবে সিনেমা হল হয়, না দেখা পর্যন্ত মেজাস খারাপ হবে না!!

গল্পে আসি। নান্দনিক একটা সামুদ্রিক পরিবেশ দেখে দৃষ্টি জুড়ায় আসছিল। কোনায় নামগুলো ভেসে উঠছিল একের পর এক!! এরপর তিশা এবং তার বান্ধবির অত্যান্ত স্লো মোশনের কথাবার্তা দেখে বিরক্তির সূচনা হয়েছে!! মূলত এটাই ছিল মুল সিনেমার শেষ দৃশ্য, যেটা পুরো কল্পনায় শেষ হয়েছে।

মেহের আফরোজ শাওন এই সিনেমা নিয়ে হুমায়ুন অাহমের বায়োফিক অভিযোগ করেছেন। জনপ্রিয় পরিচালক মোস্তাফা সরোয়ার ফারুকী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিনেমা দেখে যে কেউ কষ্ট না করে বুঝলেও চিন্তা করবে ৮০% মিলে যায় হুমায়ুন আহমেদের সাথে। যদিও সিনেমার শুরুতে গল্পটা কাল্পনিক দাবী করা হয়েছে।

মূল কথায় আসি। এই সিনেমার বিশাল একটা অংশ নিরবতা এবং স্লো মোশনে কেটে গেছে। এমনকি এক গ্লাস পানি পান করতেও সময় লেগেছে যথেষ্ট। গল্পের ধারাবাহিকতাও যথেষ্ট পরিমান অনুপুস্থিত ছিল। পরিস্কার বোঝা গেল পরিচালক ভূমিকায় নায়ক ইরফান খানের বাংলা উচ্চারণ ত্রুটিযুক্ত এবং ইংরেজী ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে হয়তো বাংলা ঢাকতে। যদিও পরিচালকের বিশাল কোন কৃত্বিতের ছোয়া নেই। ইরফান খান ভাল অভিনয় করেছেন একথা বললে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। অন্যদিকে নিজ মেয়ের বান্ধবির সাথে প্রেমের ব্যাপারটা থেকে বোঝা গেল অনেকটা জোর করেই বিবাহ পর্যন্ত গড়িয়েছে। বাস্তবে পাবলিক যদি শাওনকে এই কল্পনায় আনে বুঝতে বাকি থাকবে না শাওনের ইনসাইড মূলত ডার্ক সাইড ছিল। তিশার ছোট ভাইর একটা থ্রী কোয়াটার প্যান্ট সোফায় পড়েছিল। তিশা তার বাবা মারা গেছে ছোট ভাইকে পা ধরে ডাকছে। পা টুকুই দেখানো হইছে। ঘুম থেকে উঠার পর দেখানো হয়েছে শোফায় থাকা সেই প্যান্ট পরিহিত ছেলে হাঁটছে! তারমানে সে কি ন্যাংটা ঘুমাচ্ছিল!! মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই কোয়াটার প্যান্টও সময় নিয়ে দেখানো হয়েছে। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দরকারহীন বলা যায়! পরিশেষে একটা জড়াজড়ি দৃশ্যপটেই মারা গেল লেখক দাবিদার নায়ক!! রোমান্টিক মুহুর্ত থেকে হঠাৎ মৃত্যুতে চলে আসা জানান দিয়েছে ট্রু ফালতু এবং আবারো অসম্পূর্ণ!!! কমেডির লেসমাত্র নেই কিভাবে বিনোদন নেব সেই চিন্তা করতে করতে বিরতি এবং সিনেমা শেষ হইছে! এরপর হয়তো গুণী পরিচালক ফারুকী ভাল সিনেমা করলেও মানুষ তাকে বিশ্বাস করতে চাইবে না। আর হ্যা আমার লেখাও গল্পের মত অসম্পূর্ণ।

এই ছবি দেখার জন্য ৬০ উর্ধ্ব বয়স্ক বৃদ্ধের দরকার হবে। অলস অবসর কাটানোর জন্য এই সিনেমা তাদের জন্য আদর্শ হতে পারে বাট শিক্ষা না।

পজেটিভ দিক বলতে ছিল দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ। এত সুন্দর পরিবেশ বাংলাদেশে আছে এটা পুরো সিনেমা জুড়ে দেখালেও কেউ হতাশ হইতো না। অসসাধারন বলতেই হবে। অননেক সুন্দর আমাদের দেশ এই সিনেমা দেখলে বুঝতে সহজ হবে। সিনেমায় যে একটি গান ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজেছিল সেটাও যথেষ্ট ভাল বলতে হবে। তিশার অভিনয় স্বাভাবিক ছিল। এতটুকু ভাল লাগা থেকে ধন্যবাদ দেই পরিচাল মহোদয়কে কিন্তু ভীষণ বিরক্তি নিয়ে সল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা শেষ করতে নিজেকে যথেষ্ট ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিতে হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.