নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতায় ব্যাপক বিশ্বাসী। তবে অন্যকে অনৈতিক ভাবে হেয় করে কখনও স্বাধীনতা প্রয়োগে বিশ্বাসী নই।

ফারুক আহাম্মেদ

আমি ভাল থাকতে ভালবাসি।

ফারুক আহাম্মেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারণ সেবার অবস্থা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

মিরপুর ডেন্ডাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে এক অসহায় বৃদ্ধ রোগী দেখতে গেছিলাম। চুয়াডাঙ্গা হতে বোনকে সাথে নিয়ে এসেছেন। উনার বোনও বৃদ্ধা। পরিবারের অনুমুতি নিয়ে ভাইকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন সুচিকিৎসার জন্য। ঢাকায় পরিচিত তেমন আত্মীয়স্বজন নেই। খোজখবর নেবার জন্য মুটোফোনই একমাত্র সম্বল। খুব কাছের মানুষরাও তাকে দেখতে আসে না। মানুষ অসহায় হয়ে পড়লে চারপাশে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। অসহ্য অসহায়ত্বে রোগী নিজেই বিরক্ত। হাল্কা কথা শুনে মনে হয়েছে শিক্ষিত মানুষ। কথায় উচ্চমাত্রার ভদ্রতা এবং ভালবাসা অাছে।

সড়ক দূর্ঘটনায় এই বৃদ্ধের দাঁতের একপাশ আলগা হয়ে আছে। জরুরী অপারেশনের প্রয়োজন। কচ্চপ গতির সরকারী ব্যবস্থায় বৃদ্ধ যথেষ্ট কষ্ট পাচ্ছেন। চারদিকে রোগীদের অনিয়ন্ত্রিত শব্দদূষণ এবং নোংরা গন্ধ থৈ থৈ করছে। ডক্টরস রুমে ডাক্তার নেই। কখন থাকেন ঠিকমত কেউ বলতে পারে না। নার্সের সেবায় রোগীরা অতিষ্ট। তবুও নার্সরাই রোগীর শেষ দৃশ্যমান ভরসা। ডাক্তার নিয়মিত রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করে না। ইন্টার্নি ডাক্তার আসেন রোগীর অবস্থা দেখার জন্য। ব্যবস্থা ঝুলে থাকে ডাক্তারের জন্য। নার্সরাই ডাক্তারের ভূমিকা পালন করে।

সরকারী হাসপাতালে দালালচক্র আর চেম্বার বানিজ্যে সেবার বিসর্জন হয়ে যায়। ডাক্তার পেশাটা এখন ভয়াবহ প্রতারনা হয়ে উঠেছে। রোগীদের ভেতরে আতংক দিয়ে অর্থ কেড়ে নিচ্ছে নিরবে। অসময়ের কাছে মানুষ অসহায়।

চিকিৎসা ব্যবস্থা মানেই নিরব আতংক নয়!! ভাল মানের সেবার জন্য আন্তরিক ডাক্তার পাওয়া সহজ হয় তখনই যখন টাকার অংকটা বেশি হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ডাক্তার বানাতে গিয়ে এদেরকে শুধু দক্ষতা দিচ্ছে, মানুষ বানাচ্ছে না; এরা নিজের থেকে অমানুষে পরিণত হচ্ছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৭

ফারুক আহাম্মেদ বলেছেন: চাঁদ ভাই, আজকে একটা সরকারী হাসপাতালে গেছিলাম কেমন সেবা দেয় দেখতে। সেখানে গ্রাম থেকে আসা মানুষের সাথে যে ধরণের ব্যবহার করে বলে বোঝানো সম্ভব না। রোগীকে প্রশ্নে জর্জরিত করে বলে কাল আসেন! অাজকে ভর্তি করানো যাবে না! অসহায় রোগীর পক্ষ নিয়ে অনুরোধ করেছি শোনেনি! ডাক্তারকেও বলেছি তিনিও বিরক্ত! অথচ এই রোগীকে গতকাল বলেছে আজকে আসতে। রোগী দেখলে ওদের প্রচুর ভাব বাড়ে!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.