নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানীর পশু: মধ্যবিত্তরা হক আদায় করতে পারছে না

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

পত্রিকা ওয়ালারা বলছে, দেশের চাহিদা "১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসেবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।"

প্রথম কথা হল, এই জরিপ কিভাবে হল, কে করল, কবে করল? আমি বা আমার ১৩ সদস্যের যৌথ পরিবার কেন বাদ পড়ল? বা আমার এলাকার ১২০০ মানুষের কেউই এই জরিপের কথা জানল না কেন। মনে হয়, জরিপটা দৈব্য ঘটনা প্রাপ্ত।


আমাদের পাশাপাশি দুটি বাসায় ২০১৮ পর্যন্ত ৪টি গরু ও ৪টি ছাগল কোরবানী দেয়া হত যেটা কিনা এখন ১টি গরু ও ২টি ছাগলে নেমে এসেছে। কারন দেখা গেছে পছন্দ মত পশু, হাটে পাওয়া যায়নি বা হঠাৎ পশুর হাট ফাকা, গরু/ছাগল নেই।




আর একটি প্রধান কারন হল, বিশ্ববাজারের অযুহাতে দেশের পশু পালকরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারন নাকি খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি। খাদ্যের মূল্য বিশ্ববাজারে যত না বেড়েছে, মধ্যস্বত্ব্য ভোগীরা তার চেয়ে বেশি বাড়িয়েছে। এমন নয় যে, গরুকে শুধু দানাদার খাদ্যই খাওয়াতে হয়। সাইলেস আছে, উন্নত প্রজাতির ঘাস আছে, ইউরিয়া পদ্ধতি আছে, আরও বহু খাদ্য পদ্ধতি আছে।

আসলে ব্যাপার হল, হুজুগে বাঙ্গালি। কেউ একজন দাম বাড়ায়ে দিল, টাকা ওয়ালার সেই দামে কিনল, ব্যাস হয়ে গেল। শহরের এই দেখা দেখি গ্রামে গঞ্জেও বাড়ল। আর একবার বাড়লে তা আর পরে সামন্জস্য করে না।

ভারতে এখনও গরুর মাংস বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮০টাকা কেজি, খাসির মাংস প্রায় ৪০০টাকা। ওরা পারে বাংলাদেশের খামারিরা পারে না। কারন এরা করবে না। একটা কৃষকের ঘরে ঘাস, খড়, সবজির উচ্ছিষ্ট সবই থাকে। তাকে ওষুধ ছাড়া তেমন কিছু কিনতে হয় না। সেও খামারিদের সাথে তাল মিলিয়ে উচ্চ দামেই ব্রিক্রি করে।

আর কোরবানির হাটে এসবের সাথে যোগ হয়, দালাল + ব্যাপারী। ৮০ হাজারের গরু হয়ে যায় ১ লাখ, ৫০ হাজারের গরু ৭০। গতবছর টিভিতে খবরে ঢাকার এক কষাই বলল, আমরা ৪০০টাকায় গোসত দিমু, যদি চাদাবাজি আর সিন্ডিকে্ট বন্ধ করেন। ৬৫০টাকা লাগব না। ঢাকার আমরা দাম কমালে, সারা দেশেই দাম কমব।

ঘটনা সত্য। কিন্তু কেন চাদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে? সরকার, কৃষি সম্পদ মনত্রানলয়, বড় খামারিরা কেউই নাক গলাবে না। কারন শর্ষের ভেতরেই ভুত। আমজনতা অবশ্য ৭৫০ থেকে ৭৮০টাকা কেজিতেই খাচ্ছে। কিন্তু খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিক্রেতাদের লস নেই। তারা কম পরিমানে বিক্রি করছে বেশি দামে। পরিশ্রম কম, মুনাফা বেশি।

আমি পশুর হাটে এমনও শুনেছি, ভাই এতো দামাদামি করেন কেন, একটা আইফোন কিনতেও তো ৮০ হাজার লাগে, আর দুবছর কষ্ট করছি গরুর পেছেনে, তাও ২০ হাজার টাকা বেশি লাগতেছে? অন্য সময়ে যে খাসি ১০ থেকে ১২ হাজার, সেটা কোরবানীর হাটে চাইল ২৬ হাজার, ২৫ হলে দেবে। বললাম ডবল কেন? স্যার একটা স্মার্ট ফোন কিনতেও ২০ হাজার লাগে, এই ১০ কেজির খাসির দাম কেমনে ডবল লাগে কন?

কিচ্ছু বলার নাই্। হাসিনা ববু সবার হাতে মোবাইল তুলে দিছে, ঘরে ঘরে টিভি দেয়েছে। বিক্রেতারা বোধায় লিস্টের বাইরে ছিল।

আসল কথায় ফিরে আসি। আসলেই দেশে পশু সংকট রয়েছে। সরকার স্বীকার করতে নারাজ। কেননা এত ব্যর্থতা প্রমানিত হয়। ভোটের এজেন্ডায় কৃষিতে স্বয়ং স্বম্পূর্ন সেই চাপাবাজিটা করতে পারবে না। আর রাঘব বোয়াল খামারীরাও বলবে যথেষ্ট গরু আছে দেশে। কারন হল, মুনাফা লোভী আচরন। তাছাড়া কুয়োর ব্যাঙের কাছে ওটাই সমূদ্র। জন সমূদ্র বলে একটা জিনিস আছে, সেটা ভুলেই যায়। ১৮ কোটির দেশে ৯২ ভাগ মুসলমান যার সিংহভাগ দবিদ্র সেটা মনে থাকে না। এসি রুমে বসে, গরীবের মাথা ঘোরে কেন বুঝবে কিভাবে?


ইউটিউবে সমসাময়িক ভিডিও আর নিজে কিছু হাটে গিয়ে আমার যেটা ধারনা, দেশে কোরবানির পশুর অনেক ঘাটতি রয়েছে। বর্ডার গুলোর পশু আমদানির সুয়োগ দেয়া দরকার। গুটি কয়েক ব্যাবসায়ীর কথা না ভেবে ঈদুল আযহা উৎসব কে উৎসবের মতই হতে দেয়া দরকার।

আমরা সামর্থবানরা যদি নায্য দামে বেশি পশু কিনতে পারি, তাহলে বেশি পশু কুরবানি হবে। বেশি কোরবানী হওয়া মানে, অভাবী, নিম্নবিত্ত, এতিম ও দুস্থরা মাংস খাবার সুযোগ পাবে। আমরা তো মন্ত্রী বা জন প্রতিনিধিদের মত বা বিত্ববানদের মত লোক দেখানো কোরবানী দেই না। টিকটক বানাই না। ফেসবুকে লাইভে এসে দুগাল হেসে গর্ব করি না বড় কোরবানী নিয়ে।

কাজেই বডার খুলে দেয়া হোক। পশু আমদানি হোক, গরীবরা মাংস খেতে পাক। দেশের টাকা কিছুটা ভাল কাজে লাগুক। অর্থ তারল্য কিছুটা সংকুচিত হোক।










মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ফ্রিজের কল্যাণে এখ গরিবরা কোরবানির মাংস খেতে পায় না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এই সময়ে
প্রয়োজনে একটি গরু সাত জনে দিক তবুও আমি বর্ডার খোলার পক্ষে নই।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

অপলক বলেছেন: যদি গরীবের অংশ আপনার ফ্রিজে ঢোকে, তাহলে আপনার গোশত খাওয়াই শুধু হেয়েছে, কোরবানী হয়নি।

নিজে খাব না, অন্যকেও খেতে দেব না.. এমন চিন্তা থেকে সরে আসা উচিত। বরং আশা করুন, হালাল টাকায় সবাই একাই একটি করে কোরবনী দেবে। আগে চামড়ার টাকাও গরীবরা পেত। এখন সিন্ডিকেটের পকেটে। ধনীদের আর কত ধনী বানাবেন? বিশ্বে সব চেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি বেড়েছে বাংলাদেশে। আমাদের দূরদৃষ্টি চিন্তা ভাবনা না থাকায়, আর্থিক আর সামাজিক ব্যবধান তৈরী হচ্ছে।

আজকে ৭ ভাগে দিচ্ছেন, পরের বার আর কোন ভাগেই দিতে পারবেন না যদি এভাবে চলতে থাকে।

২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

নতুন বলেছেন: কাজেই বডার খুলে দেয়া হোক। পশু আমদানি হোক, গরীবরা মাংস খেতে পাক। দেশের টাকা কিছুটা ভাল কাজে লাগুক। অর্থ তারল্য কিছুটা সংকুচিত হোক।


বর্ডার খুলে দিলে যেই গরু আপনি কিনবেন সেটার টাকা কোথায় যাবে? দেশের টাকা দিয়ে ২/৪ দিনের গোস্ত খাবার জন্য ভারত থেকে গরু কিনতে হবে?

বরং আশা করুন, হালাল টাকায় সবাই একাই একটি করে কোরবনী দেবে।

দেশে হালাল টাকায় কোরবানি দিতে হলে দেশে কতজন কোরবানী দিতে পারবে বলে আপনার মনে হয়?

কোরবানীর উদ্দেশ্য কি বছরে ১দিন সব পরিবার ১টা করে পশু কুরবানী দেওয়া? দরিদ্রদের মাংস খাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া?

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

অপলক বলেছেন: হয়ত কথাগুলো বোঝেন নি অথবা আপনার বাস্তবতা ভিন্ন।

মা. বোনের. স্ত্রীর ৮০% কাপড়, কসমেটিকস ভারতীয়/পাকিস্তানী, যে সোনা মুড়িয়ে বিয়ে দেয় সেটাও কোন না কোন অংশ চোরাই পথে এসেছে, সে হীরার নাকফুল/ আঙটি উপহার দিচ্ছেন, সেটাও চোরাই (কারন বাংলাদেশে কোন বৈধভাবে হীরা আমদানী হয়না), যে চিনি খাচ্ছেন, তার ৩০% বডার দিয়ে রাতের আধারে ঢোকে, মশলা সেটাও। যারা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজা খায় তার সবটুকুই তো প্রতিবেশী দেশ থেকে আসছে। সে টাকা কোথায় যাচ্ছে?

আমি তো ধর্মীয় একটি উপলক্ষ্যকে সুযোগ দিতে বলেছি, যেখানে সরকার রাজস্য পাবে। উপরের কোনটাতে কি সরকার রাজস্য পায়?
কোরবানীর উদ্দেশ্য তো পশু জবাই নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি আর পুরষ্কারের আশায় হালাল পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা একটা নির্দিষ্ট দিনে। আমি বুঝিয়েছি, সামর্থবানরা হালাল টাকায় বেশি কুরবানী দিলে, সেই উপলক্ষ্যে গরীবরা পরিমানে বেশি মাংস পাবে।

আপনি যদি খামারী হন, তাহলে নায্য দামের কথা ভাবুন, অতিরিক্ত মুনাফার কথা নয়। ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

নতুন বলেছেন: আপনি যদি খামারী হন, তাহলে নায্য দামের কথা ভাবুন, অতিরিক্ত মুনাফার কথা নয়। ধন্যবাদ


আপনি যতবেশি টাকার গরু কিনে কুরবানী দেবেন সৃস্টিকর্তা তো তত বেশি সন্তুষ্ট হবে। আপনি ১০০ টাকার একটা গরু কিনে সৃস্টিকর্তার উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন!!!

তখন সৃস্টিকর্তা কি মনে করবেন?

আপনি অল্প টাকায় সটকাটে সস্তা জিনিস সৃস্টিকর্তা কে দিতে চাচ্ছেন কেন?

আপনি যখন আপনার প্রিয় মানুষকে উপহার দেন তখনও কি সস্তা খোজেন? মানুষের জন্য যদি আপনি দামী উপহার কিনে দিচ্ছেন আর সৃস্টিকর্তার জন্য সস্তা জিনিস খোজেন এটা কি ঠিক?

১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

অপলক বলেছেন: আপনি যতবেশি টাকার গরু কিনে কুরবানী দেবেন সৃস্টিকর্তা তো তত বেশি সন্তুষ্ট হবে।

আপনি তো ভাই নতুন হাদিস প্রনেতা। মনগড়া কথা বলেছেন। কোথাও এমন বলা নেই। বরং বলা হয়েছে, সুস্থ্য সবল সুন্দর পশু নির্বাচন করতে। বেশি দামী মানেই মনের ভেতর অহংকার জন্মাবে। অহংকার শব্দটা খুব ভয়ঙ্কর। ইবলিশের চেয়ে আর কেউ বেশি ইবাদত করেনি। শুধু অহংকারের কারনে সে হয়ে গেল অভিশপ্ত শয়তান।

মনে রাখবেন, আল্লাহ অন্তর্জামী। তিনি সবার মনের খবর রাখেন। অদৃশ্য জগতের ব্যাপারে তার চেয়ে আর কে জ্ঞানী আছে? হা্ড্ডি চামড়ার মানুষের সাথে আল্লাহ পাককে মিলাবেন না। ৮৬ বছরের ইবাদত আল্লাহ এক গ্লাস পানির বিনিময়ে ইমানদার ব্যক্তিকে নি:স্ব করে দিয়েছেন, শোনেননি সে কথা? আবার এক মৃত প্রায় বিড়ালকে পানি পান করানোর জন্যে নিশ্চিত জাহান্নামীকে আল্লাহ মাফ করছেন, হয়ত সেটাও জানেন।

কুরবানী উপহার নয়, এটা ত্যাগ / উৎসর্গ। আল্লাহর কোন কিছুতেই অভাব নেই। তাঁর কোন উপহার লাগে না। মূর্তি পূজারীদের দেব দেবীদের লাগে। সকাল সন্ধ্যায় বারো মাসে তের বার...

৪| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও খবরটা দেখে কাল ভাবছিলাম ' নিরিক্ষাটা কিভাবে কোন উপায়ে করল??' যেমন তার আগের দিন বলা হল দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে গিয়ে সম্ভবত ৭২.৪ বছর হয়েছে- এটাও কিভাবে বের করল আমার মাথায় আসছে না!!!
নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশে গরু চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। কদিন আগে পেয়াজের দাম যখন আকাশচুম্বী হচ্ছিল তখন পেয়াজ আমদানীতে অনুমতি দেয়া মাত্র পেয়াজের দাম কমে গেল - অথচ সরকার বলেছিল, দেশে পেয়াজের চাহিদার তুলনায় এত বেশী উদ্বৃত্ত আছে যে, কিছু পেয়াজ রপ্তানীও করা সম্ভব!!
গরুর দাম কমলে খামারিরা মার খাবে সেটা ঠিক তবে এর একটা বিহিত হওয়ার দরকার।

১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

অপলক বলেছেন: সচেতন নাগরিকের মত মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।

খামারিরা মার খাবে না, তবে অতিরিক্ত মুনাফা করতে পারবে না আমাদের জিম্মি করে...

৫| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ নামে ধামিক কামে না। কোরবানীর পশুর দাম এতো বাড়ার কারন মধ্যসত্বভোগী দালালেরা। কিছু মানুষের অহংকার, টাকার দেখানো।

ব্যবসায়ীরা সকল ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মুনাফা করতে চায় তাই যে কোন কিছুই উতপাদনে খরচ বেশি হয়। সেটা প্রভাব সব খানেই পড়ে।

এটা বিরাট একটা দুস্টচক্র। এর থেকে বের হতে হলে সমাজে সবাইকে মানবিকতা ভিক্তিক নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। কারন বর্তমানের ধর্ম ভিক্তিক নৈতিকা মানুষকে ভালো পথে পরিচালিত করছেনা। মানুষ এখন ধর্মের কথা মানেনা।

বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের দূনিতির পরিমান আমাদের মতন নামে র্ধামিক সংক্ষাগরিস্ট দেশের চেয়ে কম।

মানুষ ভালো হলে সেটার সুফল সমাজের সবাই পাবে। ভালো মানুষ বানানোর চেস্টা শুরু করতে হবে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

অপলক বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আগে একটা প্রবচন শুনুন, "মিথ্যা তিন প্রকার: ১.মিথ্যা ২. ডাহা মিথ্যা ৩. পরিসংখ্যান"।

আমাদের জরিপটাও হয়তো এরকম কিছু হয়ে থাকলেও হতে পারে। আপনি জরিপ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা অবশ্যই ভ্যালিড।

সাপ্লাই এন্ড ডিমান্ড থিওরি অনুযায়ী সরবরাহ বাড়লে দাম কমার কথা, কিন্তু মাংসের দাম তো আসমানে উড়তাছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই শুনে আসছি আমরা গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে গেছি (বলুন মাশাআল্লাহ )। কিন্তু তাতে আমার মতো যারা কোনো মতে টেনেটুনে প্রতি বছর ছোটখাট একটা গরু কোরবানি দিয়ে ফেলি তাদের কি কোন উপকার হয়েছে? হয় নাই। বড় খামারিদের লাভের হিসেব স্বয়ংসম্পূর্ন হয়েছে। পাশের দেশের বাংলাদেশি টাকায় ২৮০ টাকার মাংস যদি ৮০০ টাকায় কিনে খেতে হয় তাহলে এমন স্বয়ংসম্পূর্ন দিয়া আমি কি করিব?

সবকিছুই বৃহৎ পুঁজিপতিদের পেটে চলে যাচ্ছে, যাবেও।

আল্লাহ তুমি এই দ্যাশের তথাকথিত ব্যাবসায়ীদের মানুষ বানাও।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

অপলক বলেছেন: মানুষ বানাও মানুষ বানাও মানুষ বানাও মানুষ বানাও মানুষ বানাও .....বানাও বানাও বানাও..... ওওওওও




চোর চাট্রার দেশে কি আর হবে... ৩ টা আলাদা সরকার দেখেছি... যে লাউ সেই কদু...

৭| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ১। গরুর মাংস বেশি খাওয়া ভালো না।
২। লোকজন এখনও এতটা নিষ্ঠুর হয়নি। কোরবানীর গরু তিন ভাগ হয়। দরিদ্ররা পায়। ভালোই পায়।
৩। আমি ফ্রিজে মাংস রাখি না। আমার নিজের ভাগেরটাও বিলিয়ে দেই। খেতে ইচ্ছা করলো ১/২ কেজি কিনে আনি।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

অপলক বলেছেন: আমিও। আসুন কোলাকুলি করি... ঈদ মোবারক

৮| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমি কোরবানীই দেই না।আমার অত হিসাব কিতাবের দরকার নাই।ডাক্তারের নিষেধ আছে গরুর মাংস খাওয়ার।তার পরও মাঝে মধ্যে খাই।

৯| ১৬ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশী বাটপার গরু বিক্রেতাদের কন্ট্রলে আনার জন্য সারা বছর ভারতীয় গরুর আমদানী চালু রাখার দরকার আছে। কোরবানীর সময় তো অবশ্যই ।

একটা গরুর দাম ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা ওজন বারোশত কেজি । ভেবে দেখুন কি পরিমানের বাটপারি । যখন গরুর মালিক কে জিজ্ঞাসা করা হলো এতো দাম কেনো সে দাত দেখিয়ে বললো শখের দাম নাকি অনেক । কোরবানী মানুষ শখ করে দেয় ?

বেশিরভাগ খামারি কোরবানি উপলক্ষে গরু পালে এবং দাম চায় আকাশ কুসুম। বিশ লাখ পনের লাখ । টাকা কি আকাশ থেকে আসে না কি তাদের প্রো-পিতামহ টাকা রেখে গেছে সেই টাকা তারা দাবি করে । এই সব বাটপার গরুর দালালদের প্রতিহত করতে হবে ।

১৯ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪

অপলক বলেছেন: ছোটরা শেখে বড়দের দেখে, পথভ্রস্টরা স্বপ্ন দেখে ধনী হবার। তাই হয় বাটবার। যে দেশে শাষকরাই বাটবার, সেদেশে কি আর করবেন?

আমরা সাধারন মানুষরা জীম্মা হয়ে গেছি, বাটপারদের কাছে...

২মাস আগে শ্রীলঙ্কায় ডিম ছিল ৬৩টাকা হালি, ভারতে তখন ২৪ টাকা খুচরা বাজারে। শ্রীলঙ্কান সরকার ভারত থেকে ২১টাকা হালি পাইকারী রেটে ডিম আমদানি করল। বাংলাদেশে তখন ৫২টাকা। বাংলাদেশও পারত, করেনি। এবার পেঁয়াজ ১০০টাকা প্রায়, সরকার এখন সুযোগ দিয়েছে। দাম ৩ দিনের ব্যবধানে ৩৫টাকা হয়েছে। সাধুবাদ জানাই। দেশের সাধারন মানুষদের বাঁচাতে হবে, বাটপারদের নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.