![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
প্রথমেই বলি, নীচের সব চিন্তা ভাবনা আমার ব্যক্তিগত। লেখাটা কোন পেপার পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে না, বিধায় এলোমেলো ভাবে হয়ত লিখে যাব। প্রয়োজনে ক্লাসিফাইড পরে করব:
১. সব সংস্থার সম্বন্বয় :
ঢাকা শহরে বা যে কোন নগর উন্নয়ন প্রকল্লে সব সংশিষ্ট সংস্থা গুলোর কাজ শুরুর আগেই পেপার ওয়ার্ক করা দরকার এবং সম্বন্বয় করা দরকার। কাজের প্রত্যেকটা ধাপে সম্ভাব্য সকল বাধা/সমস্যা ও সেসবের দ্রুত সমাধানের প্রস্তুতি রাখা। একটি অংশের কারনে যেন অন্য অংশের কাজ থেমে না থাকে, তার জন্যে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা নিজ নিজ অবস্থানে স্বচ্ছ ও জবাবদিহির ভেতর থাকা। এসবের মূল লক্ষ্য হবে, দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ ভাল কাজ উপহার দেয়া। কনসট্রাকশানের কাজে ধীর গতি মানেই পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতি, কাজের মানের ক্ষতি, সম্পদের অপচয়, জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি, কর্মঘন্টা নষ্ট, অর্থনীতিতে পরোক্ষ নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার।
২. আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার:
নগর উন্নয়ন মূলক কাজে এবং ভবন নির্মানকালে আধুনিক ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। কম শ্রমিকে কম সময়ে আর্থিক শাশ্রয়ের সাথে কাজ উদ্ধার করা যায়। ভারি বস্তু কনা বা ধূলা বালি বাতাসে কম মেশে, শব্দ দূষণ কম হয়।
৩. সবুজ বেস্টনী বা গ্রীন বেল্ট:
শহরের প্রত্যেকটা দ্বিমুখী যানবাহন চলাচলের রাস্তায় ৫ফুট বা তার বেশি চওড়া ডিভাইডার রাখা দরকার। যেখানে ঘন কিন্তু আকারে ছোট পাতা বিশিষ্ট বহু বর্ষজীবি গাছ লাগানো দরকার। ঘণ পাতা বাতাসের ধূলাবালি আটকাতে পারে বেশি। তারওপর পাতার আকার যদি ছোট হয় তাহলে, শব্দ শোষণ করবেও বেশি। অন্যদিকে ঘন পাতা বিশিষ্ট গাছ হওয়ায় পাখির আশ্রয় স্থল হতে পারবে সহজে। ছায়া দেবে তুলনামূলক ভাবে বেশি। একসময় রাজশাহীতে পদ্মার তীর ঘেষে সবুজ বেষ্টনী তৈরীর কাজ হাতে নেয়া হয়েছিল, যাতে গরমকালে চরের প্রচন্ড গরম হাওয়া শহরে ঢুকতে বাধা পায়।
৪. যানবাহন এর এক্সট আকাশমুখী করন:
আমাদের দেশে ৯৯% জীবস্ম জ্বালানীর গাড়ীর ধৌয়া নির্গম নল পেছনে এবং কোন কোন টার এক্সট পাইপ রাস্তার দিকে নিম্নমূখী বাকা করা। এতে যেটা হয়, ধৌয়ার বাতাস রাস্তার ধূলা বালি , কাঠের গুড়া, কয়লার গুড়া, শুকনো কাদা মাটির গুড়া ইত্যাদি সহজে উড়িয়ে ফেলে। যে কনাগুলো ১০-৩০ ফুট পর্যন্ত অনায়াসে অন্ধকার করে ফেলে। শ্বাস নিশ্বাসের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। ইচ্ছে করলেই এই অযাচিত ধূলা ওড়ানো বন্ধ করা যায়, যদি এক্সট / সাইলেন্সার পাইপ আকাশ মূখী করা হয়।
৫. জেনারেটরের এক্সট পা্ইপ:
ঢাকা চট্রগ্রামে অসংখ্য গার্মেন্টস, শিল্পকারখানা বা আবাসিক বহুতল বিল্ডিং আছে, যারা বড় বড় জেনারেটর কমবেশি সারা বছর ব্যবহার করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, জেনারেটরের ধৌয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ ভেবে দেখে না। ইচ্ছে করলেই জেনারেটরের এক্সট পাইপ এক্সটেশান করে বিল্ডিঙের টপ ফ্লর পর্যন্ত নেয়া যায় এবং যদি নিয়মিত এয়ার ফিল্টার ক্লিন করা হয়, তাহলে সহজেই এ সমস্যার সমাধান হবে এবং বায়ূ দূষণও কমে যাবে।
৬. ইটভাটার সময় নিয়ন্ত্রন:
কোন কোন ইটভাটা সারা বছরই চালু থাকে। আমরা জানি আমাদের দেশে মৌসুমী বায়ূর প্রভাব বেশি। বায়ূ তার গতিপথ পরিবর্তন করে। উদাহরন স্বরুপ, ঢাকা গাজিপুরের চারপাশের ইটভাটাগুলোকে উত্তর দক্ষিণ এই দু ভাগে ভাগ করতে পারি। শীতকালে ৩ মাস উ্ত্তরের ইটভাটা বন্ধ রাখতে হবে, কারন ভৌগলিক অবস্থানের কারনে উত্তর কোণের বাতাস দক্ষিণ বা দক্ষিণ পূর্বে যাবে। সাথে ইট ভাটা ধৌয়া ও খনিজ কয়লা থেকে উৎপন্ন ক্ষতিকর গ্যাস বয়ে নিয়ে আসবে। দক্ষিণের ইটভাটার জন্যে ঠিক উল্টো সময় ঠিক করা যেতে পারে। মনে রাখবেন, প্রচন্ড শীতে বা প্রচন্ড গরমে বাতাস যখন কম গতিতে থাকে, তখনি দূষিত বায়ূ আমাদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। আমরা যদি, দূষিত বাতাস কম উৎপন্ন করি বা শহরমূখী হতে না দেই, তাহলেই ঢাকার বায়ূ দূষণ বহুলাংশে কমে যাবে।
৭. ব্যক্তিগত গাড়ির সীমিত ব্যবহার:
বায়ূ দূষণ কমাতে হলে, জ্বালানীর ব্যবহার কমাতে হবে, মানে গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। বেশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করলে, স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তায় ট্রাফিক বাড়বে। বেশি ট্রাফিক বা জ্যাম মানেই বেশি সময় গাড়িতে অবস্থান। মানে এসি চালাতে হবে, ইঞ্জিন অন রাখতে হবে। মানে বেশি জ্বালানী পোড়ানো। অর্থাৎ এটা দাড়ায় যে, বাতাসে বিসাক্ত ধৌয়া বেশি, তাপমাত্রা বেশি, মানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নিজেরাই বায়ূ দূষণ ঘটাচ্ছি। সরকার ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারে বা জনগন কে নিরুসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্দ্যোগ নিতে পারে।
৮. বহুতল ভবনে বাগান রাখা:
সকল সরকারী বেসরকারী বানিজ্যিক ভবনগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ফন্টইয়ার্ড গার্ডেন বা ছাদবাগানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আবাসিক বিল্ডিং মালিকদেরকেও উৎসাহিত করতে হবে। যে কোনো গাছের পাতা CO2 বাতাস থেকে নেয়, জলীয়বাষ্প + O2 ছাড়ে। তাই সহজেই পাতায় ধূলাবলি আকৃষ্ট হয় এবং জমা পড়ে। একটা বাগান পরিচর্যায় পানি ছিটানো বা দেয়া একটি আবশ্যিক কাজ। কাজেই যখন বাগান পরিচর্যা করা হবে, পানির প্রয়োগ হবে, গাছ তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া চালাতে থাকবে, অটোমেটিক তা বায়ূদূষণ ষংকোচনে প্রভাব ফেলবে।
৯. জলাভূমির স্বরুপ পরিবর্তন বন্ধ:
ডোবা নালা পুকুর বা খাল, এসবের ভরাট করার অনুমোদন রাষ্ট্রীয় ভাবে বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি পুকুর কে আবাদি জমিও বানিয়ে ফেলে তবে, তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। জলাভূমি নষ্ট করা বা কমিয়ে ফেলা পরিবেশের জন্যে খুবই মারাত্মক একটা ব্যপার। শুধু এই পয়েন্ট টা নিয়ে লিখতে বসলে, আরও একটা বড় ব্লগ হয়ে যাবে। চিন্তাশীলরা একটু ভেবে দেখবেন।
১০. জলাভূমির পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরন:
শুধু ঢাকায় ১৭ খাল পাওয়া গেছে, যেগুলো মৃত। ৬ খালের পানি নড়ে না। ময়লা, মশা মাছি, কাদা আর বায়ো গ্যাসের ভাগার। অথচ কাগজে কলমে ঢাকায় ৭৭টা খাল রয়েছে। খাল তো ময়লা বা বর্জ্য ফেলার জায়গা না। আপনি ফেলবেননা , অন্যকেও ফেলতে দেবেন না। খাল ডোবা পুকুর এসব স্পঞ্জের মত কাজ করে। প্রচুর বৃষ্টিতে পানি দ্রুত শুষে নেয়। শহর তলিয়ে যাওয়া থেকে অনেকটা বাঁচায়। অন্যদিকে ব্যবহার যোগ্য হলে সংকট মুহূর্তে, সে পানি ফায়ার সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবে। যে শহরে যথেষ্ট জলাভূমি থাকে সেখানে বায়ূর আদ্রতা এবং উষ্ণতা আরামদায়ক অবস্থায় থাকে।
১১. ড্রেনেজ/সুয়ারেজের পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরন:
যদি ড্রেনগুলো পরিষ্কার থাকে তাহলে, বায়োগ্যাস কম উদগিরন হবে। পানি সহজেই তাপ শোষন করে। ড্রেনের চলমান পানি শহরের তাপ শোষন করে দ্রুত শহরের বাইরে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে সলিড বা থকথকে কাদায় ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেন বাতাসে দূর্গন্ধ ছড়ায়, উপচিয়ে রাস্তায় ছড়ায়। অতিরিক্ত গরমে সেসব কাদা-পানি বাতাসে মিশে গিয়ে বাতাসের মান খারাপ করে।
১২. কাস্টোমাইজ ফেব্রিকস ব্যবহার:
পৃথিবীর খুব কম জায়গাতেই এই পদ্ধতিতে বাতাসের ধুলা বালি কমানো হয়। ফুটওভার ব্রীজের রেলিঙে, রোড ডিভাইডার বা রোড সাইড কন্সট্রাকশন সাইটে বিশেষ ধরনের ফেব্রিক টাঙ্গানো হয়, বাতাসের ভাসমান ধূলাবালি ধরতে এবং ধরে রাখতে। সপ্তাহে একদিন বা প্রতিদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করা হয়, পুন:রায় ব্যবহার করার জন্যে।
১৩. নগরমুখী চাপ কমানো:
শহর বা নগরমুখী চাপ বাড়ে যদি গ্রামাঞ্চল কে উৎপাদনমুখী করা না যায় এবং প্রসাশনিক কাজ উপজেলা বা থানা পর্যায়ে করা সম্ভব না হয়। কিন্তু আজব দেশ বাংলাদেশ। এখানে প্রায় ৩০০০ গার্মেন্টসের জন্যে ঢাকা শহরে সব কর্মী কে টেনে আনা হয়েছে। তাদের জন্যে বহু বাজার , মার্কেট, যানবাহন, স্কুল মাদ্রাসা, ব্যাংক তৈরী হয়েছে। সেসবের জন্যে আরও কর্মী আনতে হয়েছে। এক কথায় ঢাকা শহর কে চাপের চাপে ফেলা হয়েছে। তার প্রভাব ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে গেছে। নগরবিদরা কি এমন টা করতে পারতেন না যে, ফ্যাক্টরীগুলোকেই অনান্য জেলায় ছড়িয়ে দিতে, ঢাকায় কর্মী টেনে না এনে? হবিগঞ্জ, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রামে বর্তমানে অনেক গার্মেন্টস মালিক তাদের ফ্যাক্টরি সরিয়ে নিচ্ছেন, যেটা খুবই আশার কথা। এগুলোর পাশাপাশি সরকার আরও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরী করতে পারে। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা হয়ে না গিয়ে ঢাকার বাহির দিয়ে যেতে পারার ব্যবস্থা করা। বর্তমানে মহাসড়কের ডিজাইন এমন যে, দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যেতে হলে, ঢাকাকে ক্রস করতেই হয়। এদিকে উত্তরাঞ্চলের ১৬টা জেলা বগুড়া শহরের উপর জিম্মি। কারন বগুড়া ক্রস না করে উত্তরাঞ্চলে ঢোকা বা বাহির হওয়া যায় না।
১৪. গনপরিবহনের মান উন্নয়ন:
গনপরিবহনের সার্ভিস যদি আন্তর্জাতিক মানের করা যেত, তাহলে বায়ূ দূষণ বহুলাংশে কমে যেত। প্রাইভেট কার, মটরসাইকেল ব্যবহার কমে যেত। জালানী কম পুরতো। জ্যাম কম থাকায় কর্মঘন্টা বাচত। অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলত। আমাদের গনপরিবহনে সিকিউরিটি নেই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষিত হয় না, নোংরা, অপ্রতুল সিট বা বাহন, কাঙ্খিত রুট না থাকা, যত্রতত্র স্টপেজ ইত্যাদি ইত্যাদি।
১৫. বিল্ডিং এ কাঁচের ব্যবহার সীমিতকরন:
একটা কুশিক্ষিত হুজুগে জাতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া খুবই ক্ষ্টকর। সিভিল বা আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকই জানে একটা বিল্ডিঙের জন্যে কি ভাল আর তার চারপাশটার জন্যে কি খারাপ। কিন্তু সমস্যা হল, ক্লাইন্ট নিজে। তারা সবসময় ই বেশি বোঝে, বেশি স্বপ্ন দেখে। সেভাবেই ডিজাইন হয়। সে ডিজাইনও ক্লাইন্ট শতবার চেন্জ করে মৃত্যুপুরী বিল্ডিং বানিয়ে রাখে। সংক্ষেপে বলি, কাচের ভেতর দিয়ে তাপ সহজে প্রবেশ করতে পারে, বের হতে পারে না। দ্বিত্বীয়ত, কিছু কিছু কাঁচ আলো ও তাপ বিকিরন করে আশাপাশের পরিবেশের তাপ খুব দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। কোন এলাকার তাপ বেশি হলে, আদ্রতা কমে যায়, শুষ্ক বাতাস ধুলাবালি বহনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
১৬. ক্যামিক্যাল ইন্ডাসট্রি ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান :
বিভিন্ন ক্যামিক্যাল ইন্ডাসট্রি, ব্যাটারীর রিসাইকিলিঙ কম্পানি, ওষুধের ফার্মাসিটিউক্যাল কম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান কে বাতাসে মেশে এমন যে কোন উপাদাকেই পিউরিফাই করতে হবে, সহ্য ক্ষমতার মাত্রা যাতে অতিক্রম না করে। ওষুধ কম্পানির পাশ দিয়ে গেলে আমরা সহজেই এমোনিয়া গ্যাসের মাত্রাধিক্য অনুভব করি। আবার ব্যাটারি ফ্যাক্টিরি পাশে সালফিরিক এসিড ও সীসার পোড়ানোর গন্ধ। স্বর্ণালঙ্কার পোড়ানোর জায়গায় না্ইট্রিক এসিড। এরকম অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত বায়ূ দূষণ ঘটাচ্ছে। যা আইনের আওতায় আনা দরকার। লাইফ স্টক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎছিষ্ট ও পয়ো: নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা থাকা দরকার। এমনকি তাদের নিজস্ব বায়ো গ্যাস প্লান্ট থাকা জরুরী।
১৭. রাস্তায় পানি ছিটানাে:
প্রচন্ড খরায় শুষ্ক বায়ূতে রাস্তা ঘাট বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অপদ্রব্য সহজেই মিশে যায়। সেক্ষেত্রে পানি স্প্রে করে সাময়িকভাবে বায়ূতে ভারি কনা কমিয়ে আনা যায়।
১৮. সাইকেলিঙের পথ বানানো:
জনগনকে সাইকেলিং এ উৎসাহিত করুন, পথ বানিয়ে দিন, ঢাকা শহরের ১০% বায়ূ দূষণ কমে যাবে। শহরের উপর চাপ কমে যাবে। শারীরিক কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে। বায়ূ দূষণ কম হওয়ায় মানুষের রোগ বালায় কম হবে।
১৯. এয়ার পিউরিফায়ার:
শিল্প কারখানায় মালিকরা বড় আকারের এয়ার পিউরিফায়ার মেশিন বসাতে পারে। অন্য দিকে অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে এক রুমে ৩০ জনের বেশি অবস্থান করে, সেসব স্থানে এয়ার পিউরিফায়ার ডিভাইস বসাতে হবে।
২০. হিট এন্ড ডাস্ট প্রুফ কোটিং:
বর্তমানে অনেক পেইন্ট বেরিয়েছে, যেগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলাবালি বা কালি , কম আকড়ে ধরে। দমকা হাওয়া বা যানবাহনের দ্রুত গতির কারনে সৃষ্ট গতিশীল বাতাসে সেই অতিমাত্রায় আকড়ে থাকা পূর্বের মত ধূলাবালিও পাবে না, বাতাসে মিশবেও না। অনন্ত নি:শ্বাস নেবার মত অবস্থা থাকবে। ঢাকায় কোন কোন রাস্তায় বাচ্চারা এত কষ্টে স্কুল কলেজে যায় যে, ভীষণ খারাপ লাগে। নিজেদেরও কষ্ট হয়।
বিদ্র: আমি জানি এতো বড় নন-হট-টপিক লেখা ৫০ জন পাঠকও পড়বে না। তবুও নিজের চিন্তাভাবনাগুলো সময়ের পাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখলাম। কোন এক দিন হয়ত নিজেই ফিরে এসে পড়ব।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭
অপলক বলেছেন: দারুন বলেছেন।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজধানী স্থানান্তর করতে হবে। এটা ছাড়া ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৯
অপলক বলেছেন: এখনই এত হতাশ হচ্চেন কেন? এখনও পথ খোলা আছে...
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩
নকল কাক বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য একটি স্বাধীন বায়ু মান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (Independent Air Quality Regulatory Authority - IAQRA) গঠন করা হলে, এটি বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তদারকি করবে এবং জনসাধারণের সামনে তাদের পারফরম্যান্স প্রকাশ করবে।