![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবেশবিদ হিসেবে নিজেকে বিবেচনা করি। ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে ভাবি এবং এর উপাত্ত সংগ্রহ করি। এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য দেখতে চাই।
যশোরে যুবলীগের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শিমুল কারামুক্ত : বিশাল শোভাযাত্রাসহ বরণ
আহসান কবীর যশোর অফিস
েজল থেকে ছাড়া পেয়েছে নওয়াপাড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল। গতকাল রাতে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরণ করে বিশাল গাড়িবহরসহ নওয়াপাড়ায় নিয়ে যায় অনুসারীরা। শিমুলকে বরণ করতে যশোর আসায় গতকাল সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীশূন্য হয়ে যায় শিল্পশহর নওয়াপাড়া।
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শিমুল নওয়াপাড়া পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে জাতীয় সংসদের হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাবের ‘কাছের লোক’ হিসেবে পরিচিত। কয়েক মাস আগে সে সাংবাদিকদের পিটিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে।
গতকাল রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায় আলমগীর হোসেন শিমুল। এর আগে সকালেই শিল্পশহর নওয়াপাড়ায় সাজ সাজ রব পড়ে যায়। দুই শতাধিক মোটরসাইকেল ও অর্ধশতাধিক মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার নিয়ে শিমুলের অনুসারীরা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার প্রস্তুতি নিতে থাকে। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরাও জড়ো হতে থাকেন কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে। অবস্থা বুঝে শিমুলের অনুসারীরাও কৌশল পাল্টায়। তারা গাড়িবহরের মূল অংশ শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রাজারহাটে রেখে দেয়। মাত্র কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা আসে জেলগেটে।
গতকাল যারা শিমুলকে বরণ করে নিতে গাড়িবহরে এসেছিল তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কোনো সুপরিচিত নেতাকে দেখা না গেলেও ছিল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই। নওয়াপাড়া শহরের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আক্তার, এস্কেন্দার ওরফে এসকেন, জয়, কাঙাল, বিপ্লব, জয়নাল, নূর ইসলাম, কামরুল, আলী, লিটন ওরফে লিটন খোঁড়া, কামাল, জুয়েল, আরিফ, রতনকে দেখা যায় বহরে।
গত ২৭ নভেম্বর গভীর রাতে যশোর ডিবি পুলিশের একটি টিম নওয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করে শিমুলকে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফারাজী মতিয়ার রহমানকে মারধর, মসজিদের ইমাম মাসুম বিল্লাহকে নির্যাতন, জামায়াত নেতা আবদুল করিমের হাত-পা ভেঙে দেয়াসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।
শিমুলের বাহিনী এলাকায় ‘গামছা বাহিনী’ হিসেবেও পরিচিত। যশোর ডিবি পুলিশের ওসি শামিম মুসা জানান, অভয়নগর থানায় শিমুলের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে।
ব্যবসায়ী ও নওয়াপাড়ার সাধারণ মানুষ জানান, অভয়নগরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে শিমুল পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা পর্যন্ত করার সাহস পেত না।
অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে গত ৬ মে আহূত হরতালের খবর ও ছবি সংগ্রহ করতে যশোর থেকে যাওয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাত সাংবাদিককে প্রকাশ্যে মারপিট করে শিমুলের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এ ঘটনার পর যশোরের সাংবাদিকরা শিমুলের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন। কিন্তু তত্কালীন পুলিশ সুপার কামরুল আহসান শাসক দলের স্বার্থ রক্ষায় শিমুলকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকেন। গত নভেম্বরে যশোরে নতুন পুলিশ সুপার যোগ দেয়ার পরদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠককালে সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে শিমুলকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র সন্ত্রাসী শিমুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। ২৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। গতকাল তার মুক্তির খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালত কাউকে জামিনে মুক্তি দিলে পুলিশের কী করার আছে?’
শিমুলের গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায়। বিয়ের পর সে নওয়াপাড়ায় মামাশ্বশুর বাড়িতে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর সে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাবের ‘কাছের লোক’ বনে গিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ক্ষমতার দাপটের কারণে স্থানীয় থানা পুলিশও তার টিকিটি স্পর্শ করতে পারেনি।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫
রিওমারে বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন কারন আওয়ামীলিগ একটী সন্ত্রাশী রাজনৈতিক দল।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৮
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: কোন সন্ত্রাসীর ছাড় দেয়া যাবে না
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: পুরা বাংলাদেশটাই একটা জেল (কে যেন বলসিলো)।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: FUCK !!! this is so not good !!!!!!!! কোনো সন্ত্রাসীরই ছাড় পাওয়া উচিত না!!! আওয়ামিলীগ ভালো আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছিল, যার মূলে ছিল তাদের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মপরিকল্পনা ও পদক্ষেপ... একই দেখছি!? আওয়ামিলীগ নিজের পায়েই নিজে কুড়োল মারছে...BNP আসুক কষ্ট পাবনা, তবে শুয়োরের বাচ্চা জামায়াত যদি ওদের পিছু নিয়ে ক্ষমতায় আসে, আমি না পর নিজের বিবেক কে ক্ষমা করতে, না পারব আওয়ামিলীগ কে ক্ষমা করতে....