নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলা চিঠি (দুর্বার ২২)

দুর্বার ২২

চিকিৎসা শাস্ত্রের অতি নগন্য একজন ছাত্র. নিজে কম ঘুমাই, রোগীর নিশ্চিন্ত ঘুমের আশায়!!!!

দুর্বার ২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল -অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৩

বাংলাদেশের দক্ষিনবঙ্গের রোগাগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা সেবার শেষ আশ্রয়স্থল খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল. এই এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ. ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ বেড হসপিটাল মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৬ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে পরিবর্তিত হয়.এটি খুলনার বয়রাতে অবস্থিত.
কলেজটির প্রথম ব্যাচ গুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫০ জন. সিট সংখ্যা বৃদ্ধিতে এখন প্রতি ব্যাচে ১৪৩ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে. বর্তমানে চলতি ব্যাচগুলো হল কে -২১, কে -২২, কে -২৩, কে -২৪ এবং কে -২৫ .ইন্টার্নশিপ এ আছে কে -২০ ব্যাচ.
কলেজটিতে ডেন্টাল ইউনিট চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি.
অধ্যক্ষ ডাঃ আবদুল্লাহ আল মাহবুব এবং উপাধ্যক্ষ ডাঃ শুধাংশু কুমার বল্লভ স্যারের তত্বাবধানে প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটির একাডেমিক কার্যক্রম চলছে.

কলেজটির মূল ভবন ৫ তলা, ৪ টি লেকচার গ্যালারী ও
একটি কনফারেন্স রুম এবং ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী টিউটোরিয়াল রুম বিভক্ত. কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য শুধুমাত্র গ্যালারী ১ এ এসি চালু থাকলে ও অন্য গুলোতে নাই.
ভবনের ৪র্থ তলায় শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ সিটের একটা লাইব্রেরী এবং পাশেই শিক্ষকদের জন্য একটি লাইব্রেরী রুম অবস্থিত যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত. ৫ম তলায় নতুন লাইব্রেরী রুম প্রতিষ্ঠার কাজ অপূর্নাঙ্গ অবস্থায় আছে.লাইব্রেরী রুমে শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য একটি মুক্তিযুদ্ধ কর্নার আছে.

ভবনের সামনে রয়েছে বহুল প্রতিক্ষীত শহীদ মিনার যেটা আয়তনে বাংলাদেশের যে কোন মেডিকেল কলেজ শহীদ মিনারের চেয়ে বড় যেটা এখন ও অপূরনাঙ্গ অবস্থায় আছে.
ভবনের পিছনে রয়েছে নির্মানাধীন অডিটোরিয়াম রুম. অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এটার নির্মাণ কাজ হয়ত বা কখন ও শেষ হবে না.শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য রয়েছে কলেজ ক্যান্টিন .

আবাসনের জন্য আছে :
১.ছাত্রদের জন্য : আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র হল, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হল, আর নামহীন একতলা বিল্ডিং, ইন্টার্নদের জন্য শহীদ মর্তুজা হল.
এক তলা বিল্ডিংয়ের এতই নাজুক অবস্থা যে, যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে. সমস্ত বিল্ডিং জুড়ে ফাটল তারপর ও সিট স্বল্পতার কারনে সেখানে প্রায় ৮০ জন ছাত্রের আবাস
২.ছাত্রীদের জন্য :৩ টি লেডিস হোস্টেল এবং ১ টি ইন্টার্ন হোস্টেল.
শিক্ষক, নার্স এবং কর্মচারীদের জন্য রয়েছে আবাসনের সুব্যবস্থা.
এছাড়া ও আছে সুদৃশ্য বাগান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ব্যায়ামাগার, হোস্টেল ক্যান্টিন.

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে খুমেক একাডেমিক শিক্ষায় এবং খুমেকহা চিকিৎসা সেবায় অনন্য ছিল . প্রত্যেক ব্যাচে ২-৫ জন প্লেস করত এবং প্রায় শতভাগ পাশের হার ছিল ..কে -৪ ব্যাচ থেকে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ফাইনাল প্রফে ১০ জনের ৯ জনই খুমেক থেকে প্লেস করছিল.
বিভিন্ন কারন, উপযুক্ত তত্বাবধানের অভাব, শিক্ষক সংকট ইত্যাদি কারনে আজ খুমেক একাডেমিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবার খুব নাজুক অবস্থা.

ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট প্রায় অচল বলা যায়. দীর্ঘদিন ধরে কোন শিক্ষক নেই .পরীক্ষা ও ক্লাসের নাজুক অবস্থা. কিন্তুু প্রফ পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ধরা খেতে হয়.আর পাশ করে গেলে ও থেকে যায় অপরিসীম অপূর্ণতা যেগুলা দেখার কেউ নাই.
কমিউনিটি মেডিসিন, সার্জারি ডিপার্টমেন্ট সহ অ্ন্যান্য অনেক ডিপার্টমেন্টে রয়েছে শিক্ষক ঘাটতি..

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (খুমেকহা) যেটা এখনও ২৫০ নামে পরিচিত. নামকরণের সার্থকতা আছে. ২০০৮ সালে এটি ৫০০ বেডে উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, সরন্জ্ঞামাদি সেই ২৫০
বেডের মতই আছে .
হসপিটালের জরুরি বিভাগে প্রতিনিয়ত ১২০০ -১৫০০ রোগী ভর্তি থাকে. এবং বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ১০০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে.
অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ও
পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা সহ অসংখ্য জেলার রোগাগ্রস্ত মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে ২৫০ বেড হসপিটাল যেটা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র চিকিৎসক ও সেবিকাদের আন্তরিকতা কারনে.
হসপিটালের তত্বাবধানে আছেন ডাঃ আনন্দ মোহন সাহা স্যার
পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য নির্মানাধীন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট যেটা হসপিটালের মূল ভবনের পিছনে. এই ভবনের পিছনে আছে আধুনিক চিকিৎসা সুব্যবস্থার জন্য পরমানু চিকিৎসা কেন্দ্র.
ইতিমধ্যে দুইটি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন চালু হয়েছে.
আশা করি অচিরেই এর কার্যক্রম চালু হবে এবং অন্যান্য নতুন বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েশন চালু হবে

সমাজসেবামূলক কাজের জন্য আছে সন্ধানী .নানা প্রতিকূলতার কারনে কয়েক বছর ধরে সংগঠনটির কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে.
এতসব প্রতিকূলতার মাঝে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশকৃত অনেক শিক্ষার্থী আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বহাল আছেন.বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও তাদের পদচারনা কম নয়.

খুলনা মেডিকেল কলেজ একটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হলেও রয়েছে চাওয়া পাওয়ার অপরিসীম অসামন্জ্ঞতা .যথাযথ কতৃপর্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, খুলনা মেডিকেল কলেজের এই অবকাঠামোগত, একাডেমিক এবং সেবা সংক্রান্ত অপূর্ণ জিনিস, বিশেষ করে শিক্ষক সংকট দূর করবেন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল কে ১০০০ বেডে উন্নীত সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং অন্যন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পূরন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আধুনিক চিকিৎসার সুব্যবস্থা করবেন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খুলনা মেডিকেল কলেজের হাল নাগাদ সংবাদ জনানোর জন্য । সেই ১৯৮০ সনে শেষ বারের মত খুলনা গিয়াছিলাম । এখন এর দুরাবস্থার হাল দেখে খারাপ লাগছে । একটি বিভাগীয় শহড়ে বাস্থিত হাসপাতালটি ২০০৮ এ ৫০০ বেডে উন্নিত হলেও এখনো ২৫০ বেডের অবকাঠামো নিয়ে চলছে ভাবতে অবাক লাগে । দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তুলা দরকার । এই পোস্টটি হতে পারে আন্দোলনের সুচনা পর্ব ।
শুভেচ্ছা থাকল আন্দোলনের সাফল্যের প্রতি ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৩

দুর্বার ২২ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.