নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদকের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রতিবাদ....

পলাশ রহমান

লিখার মতো কিছু নেই।

পলাশ রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা অপেক্ষা করি, কবে একজন বিখ্যাত মানুষ মরবে সড়ক দুর্ঘটনায়, তাকে নিয়ে কিছুদিন মাতম করা যাবে

৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

ক) রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। বাড়িটি ঘিরে রেখেছে নানা জাতের ফুল আর ফলের গাছ। গাছগুলোর মধ্যে একটির নাম জেলসোমিনো (এক ধরনের ফুলের গাছ)। তার দুটি ডাল বাড়ির সীমানা পেরিয়ে ঝুঁকে পড়েছে রাস্তায়। তাতে ফুটে আছে থোকা থোকা ফুল। যারা ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন তাদের অনেক সময় মাথা একটু কাত করে যেতে হয়, নইলে জেলসোমিনোর ডাল দুটি মাথা ছুঁয়ে যায়। একদিন এক পথচারী হাত বাড়িয়ে ছিঁড়ে নেন এক থোকা ফুল। ফুল ছিঁড়তে দেখে ফেলেন গৃহকর্তা। গলায় কিছুটা ঝাঁঝ নিয়ে তিনি জানতে চান, আমার গাছ থেকে কেন ফুল ছিঁড়েছ? উত্তরে পথচারী বলেন- তোমার উচিত আমাকে ধন্যবাদ বলা, কারণ আমি শুধু ফুল ছিঁড়েছি, এখনো পুলিশকে ফোন করিনি। তোমার গাছের ডাল রাস্তায় ঝুঁকে পড়েছে। পথচারীর চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য তোমার শাস্তি হওয়া উচিত, লজ্জা হওয়া উচিত। গৃহকর্তা পথচারীর সঙ্গে আর কথা বাড়াননি। পরদিন দেখা গেছে গাছের ডাল দুটি আর নেই, কেটে ফেলা হয়েছে।

খ) দুই বন্ধু ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন ফুটপথ ধরে। তাদের পেছনে বাইসাইকেলে এক ভদ্রমহিলা। দুই বন্ধুকে অতিক্রম করতে তিনি পেছন থেকে বেল বাজিয়েছেন। এক বন্ধু ভদ্রমহিলার উদ্দেশে বললেন- এটা হাঁটার পথ, তুমি বেল বাজিয়ে আমাদের বিরক্ত করতে পার না। এই পথে সাইকেল চালানও উচিত নয়। ভদ্রমহিলা কোনো কথা না বলে লজ্জিতভাবে সাইকেল থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। যদিও তার হাঁটার মধ্যে বেশ ব্যস্ততা ছিল।

গ) ব্যস্ত রাস্তার পাশে সিগারেট কেনার জন্য গাড়ি থামান এক ভদ্রলোক। গাড়িতে ইমারজেন্সি লাইট দিয়ে দৌড়ে যান সিগারেটের দোকানে। দু’মিনিটের মাথায় ফিরে আসতেই পুলিশ তাকে ধরিয়ে দেয় দুটি ‘ফাইন’ এর রসিদ। ভদ্রলোক জানতে চান দুটি ফাইন কেন? বিনয়ের সঙ্গে পুলিশ জানায়, তুমি যেখানে গাড়ি রেখেছ এখানে পার্ক করার কোনো নিয়ম নেই। তুমি পার্কিং নিয়ম অমান্য করেছ, এজন্য একটি ফাইন। আর অপরটি হলো তুমি বিনা দরকারে গাড়িতে ইমারজেন্সি বাতি ব্যবহার করেছ। সিগারেট কেনা তোমার প্রয়োজন হতে পারে, তার জন্য তুমি ইমারজেন্সি বাতি জ্বালিয়ে আমাদের বা অন্য পথচারীদের বিভ্রান্ত করতে পার না। মানুষের মধ্যে ভীতির জন্ম দিতে পার না।

প্রবাসীদের কাছে ঘটনা তিনটি অপরিচিত নয়, বরং খুবই পরিচিত। পৃথিবীর উন্নত শহরগুলোতে যাদের যাওয়া আসা আছে তাদের কাছেও পরিচিত। শুধু পরিচিত নয় আমাদের ঢাকা শহরে। যার যা ইচ্ছে তাই করছে। যেভাবে খুশি অপব্যবহার করছে ফুটপথ, যানপথ। বাড়িতে নির্মাণের কাজ হচ্ছে? ইট, বালি, খোয়া, পাথর সব রাস্তায়। দোতলা, চারতলার উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়া হচ্ছে রাবিশ। ধুলায় সয়লাব চারদিক। পথের পাশে দোকান? দোকানের সামগ্রী, সাইনবোর্ড রাস্তায়। কারখানার হাতুড়ি-বাটালি নিয়ে রাস্তায় বসেই চলছে ঝালাইসহ সকল কাজ। মন চাইল ব্যস্ত গলির মুখে বসিয়ে দেয়া হলো চা, পান, বিড়ির টং। টুল বসিয়ে দেয়া হলো আড্ডার জন্য। খাবার, বই, খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সব রকমের পণ্যের পসরা মানুষ চলাচলের পথে। রেস্টুরেন্টওলারা রাস্তার জায়গাজুড়েই বসিয়ে দিল ভাজাপোড়ার চুলা। কয়লা পোড়া ধোঁয়ায় সব অন্ধকার। গামলা ভরা নোংড়া পানি ছুড়ে দিল রাস্তায়। কলা খেয়ে, ডাব খেয়ে সমানে ছুড়ছে রাস্তায়। মানুষের চলাচলে যে সমস্যা হতে পারে বা হচ্ছে সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। অডিওর দোকান থেকে বড় বড় সাউন্ডবক্স বসিয়ে দেয়া হলো রাস্তায়। উচ্চ শব্দে বাজিয়ে দেয়া হলো মিউজিক। কেউ বিরক্ত হলো কি হলো না, দেখার সময় নেই। ড্রেন পরিষ্কার করে ভ্যাড়ভেড়ে ময়লা কাদা রাস্তায় ঢেলে দিয়ে চলে গেল। কোনো দায়দায়িত্ব নেই। রাস্তা খুঁড়ে মাটির স্তূপ ফেলে রাখা হলো মাসের পর মাস। একজনের খোঁড়া শেষ, শুরু হলো অন্য জনের। রিকশা, ঠ্যালা, ভ্যান থেকে শুরু করে বড় বড় বাস ট্রাক পর্যন্ত যখন যেখানে খুশি দাঁড়িয়ে গেল, জিরিয়ে নিল। এমনকি পুলিশের গাড়িও। লম্বা সময় নিয়ে মাল উঠাল, নামাল। কোনো নিয়মশৃঙ্খলার বালাই নেই। আর রাজনৈতিক কর্মসূচি? সে কথা না বলাই ভালো। তাদের কাছে গোটা শহরটাই যেন হরিলুটের দেশ। এভাবে চলতে থাকলে বড় বড় পরিকল্পনা করা যাবে, কোটি কোটি টাকা খরচ করা যাবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। ঢাকার যানজট কমানো যাবে না।





ঢাকা শহরের মধ্যে ছোট বড় মিলিয়ে মোট কতটা গার্মেন্টস ও অন্যান্য কলকারখানা আছে? কতটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে? কতটা বড় বড় সুপার মার্কেট আছে? এগুলো কেন থাকবে শহরের মধ্যে? উন্নত পৃথিবীর কোথাও কি আছে? কোর্ট-কাছারি, সচিবালয়? তাও ব্যস্ত শহরের মধ্যে। পুরা দেশটাই ঢাকামুখী। শিক্ষা থেকে শুরু করে একজন পিয়নের বদলি পর্যন্ত ঢাকা ছাড়া গতি নেই। কেন? এইসব ‘কেনর’ সমাধান আগে করতে হবে। তা না করে ওভারব্রিজ, ডাউন ব্রিজ, হাইওয়ে, লোওয়েসহ অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করা যাবে। কোটি কোটি টাকার হরিলুট করা যাবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। অনেকে বলেন পর্যাপ্ত রাস্তা নেই। রাস্তা যা আছে তারই তো সঠিক ব্যবহার নেই, কি করে বুঝব পর্যাপ্ত রাস্তা নেই? পর্যাপ্ত রাস্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনা থাকতে হবে। রাস্তার ব্যবহার চলাচলের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। মিটিং মিছিল করে দিন রাত রাস্তা বন্ধ রাখলে আর যার যেভাবে খুশি অপব্যবহার করলে গোটা ঢাকা শহরের মাটিকে রাস্তা আর আকাশকে ওভারব্রিজে পরিণত করলেও সমস্যার সমাধান হবে না। ঢাকার যানজট কমবে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হবে না। বরং রাস্তার অপব্যবহার আরও বাড়বে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা কমবে। যোগাযোগমন্ত্রী তার দাপ্তরিক কাজ ফেলে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। ক্যামেরার সামনে রাস্তার সংস্কার কাজ তদারকি করেন। এটাকি মন্ত্রীর কাজ? এজন্য কি একজন মন্ত্রী দরকার হয়? কেন তিনি দপ্তরে বসে নির্দেশ দিলে সেই মোতাবেক কাজ হয় না? এই ব্যর্থতা কার? কেন তিনি তার দপ্তরে বসে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেন না? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কেন চিহ্নিত করেন না যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো? ২০ বছর বা ৪০ বছরের জন্য দীর্ঘ একটি পরিকল্পনার খসড়া কেন তৈরি করেন না? রাস্তা ভেঙে গেলে, ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সংস্কারের জন্য কেন সড়ক রক্ষা তহবিল নেই তার হাতে? ছোট-খাটো সব বিষয়ে কেন তাকে ধরনা ধরতে হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে? রেল বিভাগ নিয়ে কেন সরকার বা মন্ত্রীর কোনো দীর্ঘ পরিকল্পনা নেই? উন্নত রেল ব্যবস্থা নির্মাণের কোনো গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকর পরিকল্পনা নেই, অথচ রেলে নিয়োগ দিতে সরকার, মন্ত্রীকে তৎপর দেখা যায়। কেন? উন্নত বিশ্বে শুধু দূরপাল্লার জন্য নয়, কমদূরত্বের জন্যও রেল ব্যবহার করা হয়। স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, প্রতিদিনের চাকুরে সবাই রেলে যাতায়াত করেন। আমাদের দেশে তার কোনো বালাই নেই, পরিকল্পনাও নেই। অথচ মন্ত্রী আছেন বহাল তবিয়তে। সঠিক এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে রেল ব্যবস্থা উন্নত করলে এমনিতেই সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। কমতে বাধ্য হবে। কিন্তু আমাদের সরকাররা সে পথে যায় না। যেতে চায় না।





ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মানুষ রাস্তায় গাড়ি চালায়। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের মধ্যে ৭০ ভাগ লাইসেন্স জাল বা পরীক্ষা না দিয়ে টাকায় কেনা। এইসব লাইসেন্স ছাড়া বা জাল লাইসেন্সধারী মানুষ শুধু প্রাইভেট গাড়ি চালায় এমন না। তারা প্রায় সবাই পাবলিক গাড়ি চালায়। বড় বড় ট্রাক, লরি চালায়। সরকার, মন্ত্রী সবাই জানে। কিন্তু কিছু করে না, বলে না। বিআরটিএ নাকি শ্রমিক সংগঠনগুলোর কাছে অসহায়! বিআরটিএ অসহায় মানে সরকার অসহায়। এই অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দুর্নীতি রোধে সরকার কেন এত অসহায়? বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে তো সরকারকে অসহায় দেখা যায় না। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে তো সরকারকে অসহায় দেখা যায় না। যেখানে মানুষের বাঁচামরার প্রশ্ন সেখানে কেন সরকার এত অসহায়? এই অসহায়ত্ব কিসের? ইচ্ছার না অনিচ্ছার?





ঢাকার যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে যে পদক্ষেপগুলো দরকার সবার আগেÑ

১) গার্মেন্টস ও সকল কলকারখানা শহরের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় সুপারমার্কেট শহরের মাঝে থাকতে পারবে না। আদালত, সচিবালয়সহ যেসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের যাতাযাত কম সেসব প্রতিষ্ঠানও মূল শহর থেকে দূরে নিয়ে যেতে হবে।

২) রাস্তার সকল প্রকার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কেউ ব্যক্তিগত কাজে রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে না। যেমন রাস্তার উপর নির্মাণসামগ্রী রাখা, দোকানের সরঞ্জাম বা সাইনবোর্ড রাখা ইত্যাদি।

৩) গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বা যে বিভাগই রাস্তা খুঁড়বে- রাস্তা মেরামত করে দেয়ার দায়িত্ব তাদেরই থাকবে। তারা যেমন রাস্তা খুঁড়বে, কাজ শেষে তেমনই রাস্তা করে দিতে হবে। কাজ চলাকালীন সময় প্রয়োজনীয় মাল সামানা বা রাবিশ কোনো অবস্থাতেই রাস্তার অখোঁড়া অংশে রাখতে পারবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। যারা ড্রেন পরিষ্কার করবে তারাও কাদা ময়লা রাস্তায় রেখে যেতে পারবে না। রাস্তা নোংরা হয় বা মানুষের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করে এমন কোনো কিছু রাস্তায় ফেলা যাবে না।

৪) শহর বাসের সার্ভিস বাড়াতে হবে। নির্দিষ্ট দামের একই টিকেট থাকবে গোটা শহরের জন্য। নিয়মিত যাত্রীদের জন্য মাসিক টিকেট করার ব্যবস্থা করতে হবে। মূল শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য আলাদা বাস থাকবে। দূরপাল্লার কোনো বাস শহরে প্রবেশ করবে না।

৫) স্কুল, কলেজ, অফিস শুরু এবং শেষের সময় অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাসের পরিমাণ বেশি থাকবে। হাসপাতাল, মার্কেট ও শিল্প এলাকার জন্য নিয়মিত বাসের ব্যবস্থা থাকবে।

৬) প্রতিদিন সব নম্বরের প্রাইভেট গাড়ি চলতে পারবে না। একদিন এক এক সিরিয়ালের প্রাইভেট গাড়ির চলাচল বন্ধ থাকবে। শহরের বাইরের প্রাইভেট গাড়িও সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

৭) নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে পার্কিং করা যাবে না। পার্কিং এর জন্য ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দিতে হবে। বড় বড় সকল প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৮) চলাচলের জন্য ছাড়া রাস্তার সকল প্রকারের অপব্যবহার বন্ধে আইন ও তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তার নিরাপদ ব্যবহার ও বিধিনিষেধ স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সহজ করে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক নাটকের মতো করে তুলে ধরতে হবে।

৯) ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ, নবায়ন, বাতিল ও সাময়িক সময়ের জন্য বাতিলের আইন শক্তভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

১০) ড্রাইভিং পরীক্ষা দুই ভাগে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে লিখিত বা টিকমার্ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নেয়া যাবে। দুই পরীক্ষার মাঝে সময়ের ফারাক থাকতে হবে কমপক্ষে এক মাস। কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে এক মাস পরে পরবর্তী পরীক্ষায় ফের অংশ নেয়া যাবে। ড্রাইভিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

১১) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ড্রাইভ করলে লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ডির আইন প্রয়োগ করতে হবে।

১২) আইন অমান্যকারীদের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে। গুরু আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং এ মামলা পরিচালিত হবে আলাদা কোর্টে। মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে মামলা পরিচালনার খরচসহ শাস্তি ভোগ করতে হবে। কোনো যানবাহনের দ্বারা যদি রাস্তার বা রাস্তার আশপাশের কোনো কিছুর ক্ষতি হয়, তবে তা মেরামতের খরচ ঐ যানবাহনের মালিকের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। কোনো রাস্তা নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে ভেঙে গেলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে তা মেরামত করে দিতে বাধ্য করতে হবে।

১৩) এসব কাজের খরচ মেটাতে জরিমানার টাকা আদায়ে শক্ত হতে হবে। জরিমানার টাকা দিতে বিলম্ব হলে দিনপ্রতি টাকার পরিমাণ বাড়াতে থাকবে।

১৪) ব্যক্তিমালিকানার প্রতিষ্ঠান শহরের বাইরে নেয়ার সকল প্রকারের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের মালিকের উপর থাকবে। সরকার শুধু সময় বেঁধে দেবে এবং সহযোগিতা দেবে।

১৫) সর্বোপরি সদিচ্ছা ও আইনের শাসন থাকতে হবে। দীর্ঘ এবং উন্নত পরিকল্পনা নিয়ে সারা দেশকে ট্রেন সার্ভিসের আওতায় আনতে হবে।





এক সময় আমাদের দেশে কলেরা ডায়রিয়ায় মানুষ মারা যেত। এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম পর্যন্ত মানুষ মরে সাফ হয়ে যেত। এখন আর কলেরা ডায়রিয়ায় মানুষ মরে না। মরে সড়ক দুর্ঘটনায়। কলেরা বা ডায়রিয়ায় মানুষ মরত বছরে একবার বা দুইবার। সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মরে প্রতিদিন। সব কিছু যেন গা সওয়া হয়ে গেছে। আমরা অপেক্ষা করি, কবে একজন বিখ্যাত মানুষ মরবে সড়ক দুর্ঘটনায়! তাকে নিয়ে কিছুদিন মাতম করা যাবে। ভারি ভারি কথা বলা যাবে। অথচ প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের শরীর থেঁতলে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। এভাবে আর চলে না, চলতে দেয়া যায় না। মুখে মুখে দিন বদল না করে সত্যিকারের দিন বদল করা দরকার। এখন না করলে হয়ত আর সময় পাওয়া যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা মন্ত্রী, এমপি বা কোনো মহাশয় চেনে না।

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

বেলাল আরাফাত বলেছেন: ভাল লিখেছেন ..।

৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

পলাশ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন লিখেছেন, তবে এসব নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই ভাই। একজন তার বাপের আর আরেকজন স্বামীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে দেশটাকে আর দেশের মানুষকে যথেচ্ছ ব্যাবহার করে যাচ্ছে।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

পলাশ রহমান বলেছেন: এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.