![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতালির রাজধানী রোমের কোল জুড়ে বয়ে গেছে তাইবার নদী। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এই নদীর তীরে এসে অবগাহন করেন অবারিত সৌন্দর্য লীলা। নদীর পাশেই পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি।
নিত্যদিনের মতো গত ১২ মে ২০১৫ তারিখের বিকেলটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। তাইবার নদীর কুলকুল স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নদীর তীরে পিলপিল করে বাড়ছিল সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটকের সংখ্যা। এ সময় হঠাৎ করেই ৫৫ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীর পানিতে। সাঁতার না জানা ওই নারী ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকেন নদীর গভীরে। এ দৃশ্য দেখে হাজার হাজার পথচারী, পর্যটকেরা ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েন মোবাইলে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে। অবশ্য কয়েকজন পুলিশকে ও দুর্যোগে সাহায্যকারী সংস্থা ভিজিলে দেল ফুওকোকে ফোন করেন। কিন্তু কেউই সাহস করে এগিয়ে যাননি ওই নারীকে উদ্ধার করতে।
এ সময় ওখানেই উপস্থিত ছিলেন ৩২ বছর বয়সের বাংলাদেশি যুবক সবুজ খলিফা। তিনি সাতপাঁচ না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেন মৃতপ্রায় ওই নারীকে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তাঁরা ওই নারী ও সবুজ খলিফা—দুজনকেই নিয়ে যায় হাসপাতালে। ইসরায়েলি নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পুলিশ সবুজকে নিয়ে যায় স্থানীয় থানায়।
জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ইতালিতে বৈধ ভাবে বসবাসের অনুমতি নেই সবুজ খলিফার। পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রোমের পুলিশ প্রধান ও সরকারের উচ্চ মহলে। তাঁরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া ইসরায়েলি নারীকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করায় সবুজকে ধন্যবাদ জানান। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে সবুজের হাতে তুলে দেন এক বছরের জন্য ইতালিতে বৈধ ভাবে বসবাসের কাগজ—পেরমেচ্ছ দি সোজর্ন উমানিতারি।
পুলিশের ধারণা ইসরায়েলি ওই নারী হয়তো আত্মহত্যার জন্য তাইবার নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।
স্থানীয় একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, ইতালির সাধারণ নিয়মানুসারে সবুজ খলিফা যদি আগামী এক বছরের মধ্যে কোনো একটি চাকরি জোগাড় করতে পারেন তবে তার কাগজ নবায়ন করা হবে এবং তিনি স্থায়ী ভাবে ইতালিতে বসবাসের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ইতালিতে বেলাল নামের আরেক বাংলাদেশি যুবক ইতালিয় একটি টেলিভিশনের জরিপে সেরা সৎ (Honest) মানুষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই খবর টিভিতে প্রকাশের পর তাঁকে নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন ইতালিয় এক নারী।
১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২০
পলাশ রহমান বলেছেন: হুম, আসলেই ভালো।
২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২২
ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশের প্রকট বেকার সমস্যা।
১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
পলাশ রহমান বলেছেন: আমাদের রাজপ্রভুদের তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না!
৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:০১
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: বাঙালীর তুলনা নেই
১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:২০
পলাশ রহমান বলেছেন: সব কিছুতে তুলনাহীন হওয়া কিন্তু ভালো না।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: সাধারন খেটে খাওয়া মানুষেরাই আমাদের বাংলাদেশের অহংকার। আর রাজনীতিবিদগুলি হচ্ছে জন্জাল।
৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩৫
পলাশ রহমান বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
নিওন2014 বলেছেন: আসল খেটে খাওয়া মানুষ গুলো প্রবাসের জনজাল পরিষ্কার করে দেশে সোনা পাটাচ্ছে, আর দেশে অবস্থান রত সাহেবরা দেশের বুকে জনজাল তৈরি করে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। এটাই হয়তো আমাদের ও সবুজ খলিফার দুর ভাগ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, ভালো সবুজ।