নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর একটি পৃথিবী চাই

পিট পলাশ

নিতান্ত অলস একজন মানুষ

পিট পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নটর ডেম কলেজের কিছু কিংবদন্তী শিক্ষকের পরিচয় এবং উক্তি ( পর্ব-১)

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

স্বনামধন্য নটরডেম কলেজের কিংবদন্তীতুল্য অনেক শিক্ষক রয়েছেন । তাদের পরিচয় ও কিছু উক্তি তুলে ধরে আজকের এই পোস্ট লিখলাম । বিশেষ করে যারা এই কলেজে নতুন তাদেরকে তাদের শিক্ষক সম্পর্কে একটু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি এই পোস্টে ।
শ্রদ্ধেয় জহরলাল সরকার স্যার, বিভাগীয় প্রধান, গণিত বিভাগ


কলেজের কথা মনে হলেই প্রথমে তাঁর কথা মনে পড়ে । কোমল-কঠিন মিশ্রিত সুন্দর মনের মানুষ তিনি । তাঁর ক্লাসে তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন রকম জ্ঞান দিয়ে থাকেন । বিগত ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি । ক্লাসে তাঁর যে উক্তিগুলো কমন সেগুলো হল-

"চক্ষুর সাথে মনের সংযোগ না ঘটিলে মেধার বিকাশ ঘটে না ।"

"টেলিফোনের অপর প্রান্তে যে মহিলার সাথে তুমি কথা বল, সে তোমার মায়ের চেয়ে তোমাকে বেশি ভালবাসে না ।"

"এই তুই ক্লাসে কথা বইলছিস কেন? যা বাইরাইয়া যা ক্লাস থেকে । অসৎ ছেলে ।"

"ক্লাসে কথা বলবা না স্যার । যদি বল তাহলে আইজকে যেকটা আংক করাব প্রত্যেকটা ১০০০ বার করে নিয়ে আসতে হবে ।"

" তোর বাপে কত কষ্ট করে তোর জন্যে টাকা পাঠায় । আর তুই ক্লাসে বসে ঘুমাস । অসৎ ছেলে । সকালের নাস্তা একদিন একটু ভাল না হইলে চিল্লাপাল্লা শুরু করিস । কিন্ত তুই কি তোর বাপকে ঐ নাস্তা খাওয়াতে পারবি?? পারবি না ।"

"তোরা তো নামায-রোযা করিস নারে বাপ । নামায রোযা কর, মনে শান্তি পাবি ।"

"আরে ওয়াজ মাহফিলে লোক যায় তবারক যেদিন দেয় ঐদিন । বদমাইশের দল ।"

আর হ্যাঁ, গণিত বিভাগের শুধুমাত্র বিদ্যুৎ স্যার ছাড়া সবাই জহরলাল স্যারের ছাত্র । কেউ কেউ আবার জহরলাল স্যারের ছাত্রেরও ছাত্র ।
তবে পুরো গণিত বিভাগকেই করেজের লেজেন্ডারি বিভাগ বলা চলে ।

শ্রদ্ধেয় মিজানুর রহমান ভূঁইয়া স্যার, বিভাগীয় প্রধান, জীববিজ্ঞান বিভাগ




দেখে দাড়ি টুপি ওয়ালা একজন ধার্মিক মানুষ মনে হলেও যারা তাঁর ক্লাস করেছে শুধু তাঁরাই জানে মিজান স্যার কি জিনিস । মূলত জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও সকল বিষয় পাঠদানে উনি সমান পারদর্শী । ক্লাসে তাঁর মাথা গরম করা কথা ও ছাত্রদের বিভিন্ন ভাবে পঁচানোর কারণে কলেজের ছাত্র মহলে "বোমা মিজান" নামে উনি সুপরিচিত । "শুয়োর, পকেটমার, রিক্সাওয়ালা, ব্রয়লার, ছিঁচকা চোর" প্রভৃতি শব্দ তাঁর অতি প্রিয় । অধিকাংশ সময়েই উনি ক্লাসের ৮০% সময় গল্প-গুজব ও গালাগালিতে ব্যয় করেন ও বাকি সময় ঝড়ের গতিতে পড়ান । কিন্তু এই সময়েই তিনি মারাত্মক ভালো পড়ান । তাঁর ক্লাসের একটি নমুনাঃ

স্যার ক্লাসে ঢুকলেন । "বস, বস সবাই বস ।" এরপর ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে তিনি হাজিরা নেন । এরপর হয়তো কোন এক অভাগা ছাত্রকে জিজ্ঞেস করেন," এই তুমি কও, গত ক্লাসে কি পড়াইসি?"

অধিকাংশ সময়েই ঐ ছাত্র কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে । তখন তিনি শুরু করেন, "কি অইল কও । হেহ্, আমি জানি তো তুমি কইতারবানা । আমি দেহি তো অন্যান্য ক্লাসে তুমি দারুণ শয়তানি কর । শুয়োরের মত এমন করলে চলবনি?? দেহনা শইলডারে কি বানাইছে, এক্কেরে শুয়োরের মত ।

"ক্লাসে তো তোমরা মনযোগ দেও না । জানলা দিয়া খাড়াইয়া খাড়াইয়া কোচিং কর । ঐহানেও কোন মনযোগ নাই । ...ঐ ..........ঐ পোলা খাড়াও............ বেঞ্চির উপরে খাড়াও ।.......... কি বাড়িততে কি এইডি শিখাইছে তোমারে যে কেমনে আরেকজনের জায়গা দখল নেওন লাগবো??????

"শোন ক্রিমিনালের বৈশিষ্ট হল তিনটা । এক নাম্বার, বাট্টু অইব । দুই, হাঁটার সময় পকেটে হাত দিয়া হাঁটব । তিন, কারো চোখের দিকে তাকায়া কথা কইব না । তোমার সব কিছু ঠিক আমি করতে পারলেও তুমি যে বাট্টু ,এইডা সাইজ করুম কেমনে । শোন তুমি তোমার চেয়ে লম্বা মাইয়া বিয়া করবা । তাইলে তোমার পরের জেনারেশন ভালো হইতে পারে ।"

পাশ থেকে কেউ,"স্যার, লম্বা এক জনের সাথেই ওর.........."
স্যার,"হুম, রাইট চয়েজ ।"

তো চল পড়ালেখা করি ।...................."

এরপর পড়ালেখা হয় । কখনো কখনো স্যার টিফিন টাইম মেরে দেন বা অন্য ক্লাসের কিছু সময় মেরে দেন ।

তবে মানুষ হিসেবে এই দুজনই অসাধারণ ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হে হএ হএ.।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হা হা হা দারুণ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.