নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর একটি পৃথিবী চাই

পিট পলাশ

নিতান্ত অলস একজন মানুষ

পিট পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম্পিউটার কিনবেন বা আপগ্রেড করবেন করবেন ভাবছেন? তাহলে এই তথ্যগুলো হয়তো আপনার কাজে আসতে পারে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮



কম্পিউটার কি সেটা নিয়ে বর্তমান সময়ে কিছু বলার দরকার নেই। বেশি কথা না বলে কাজের কথায় চলে আসি। কম্পিউটার কেনার আগে আপনাকে ভেবে দেখতে হবে আপনি কম্পিউটারটি কি কাজে ব্যবহার করবেন। আপনার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে বাজেট হয়তো খুবই স্বল্প হবে অথবা আকাশছোঁয়া হবে।

প্রথমত, আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র হন তাহলে আপনার একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে, আপনি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে খুবই কোর আই সেভেনথ জেনারেশনের প্রসেসর ও ডিডিকেটেট গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ পাবেন। কনফিগারেশন ভেদে চেয়ে কম দামেও আপনি ল্যাপটপ পাবেন। তবে আরো কম দামে কিছুদিনের ব্যবহৃত ১ম বা ২য় জেনারেশনের
কোর আই প্রসেসরের ল্যাপটপ পাবেন। তবে এগুলো না কেনাই ভালো। কারণ, এগুলো কত দিনের ব্যবহার করা সে বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রতা কেউই সঠিক তথ্য জানেন না। আর একটু পুরনো হওয়ায় এগুলোর পার্টস পেতেও আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। ল্যাপাটপ কেনার সময় অবশ্যই এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম বেশি দেখে কিনবেন। র‍্যাম যতটা সম্ভব বেশি দেখে কেনার চেষ্টা করবেন।

যদি আপনি মুভি দেখা কিংবা টাইপিং অথবা দোকানের কাজের জন্য কম্পিউটার কিনতে চান সেক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই আপনি কম্পিউটার পেয়ে যাবেন।

যদি গ্রাফিক্স এর কাজ করার জন্য অথবা ফ্রিল্যানসিং এর জন্য কম্পিউটার কিনতে চান সেক্ষেত্রে একটু ভালো মানের কম্পিটার কেনাই ভালো হবে। সেক্ষেত্রে আপনার বাজেট ২৫ হাজার এর মত হলে ভালো হয়।

এখন আসি গেমিং পিসির ক্ষেত্রে। ভালো কনফিগারেশনের গেমিং পিসির বাজেট কমপক্ষে ৫০ হাজারের মত পড়বে।

এখন কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং কোনটার কি কাজ কেমন মানের কিনবেন সে বিষয়ে একটু ধারণা দেবার চেষ্টা করি।

মাদারবোর্ড

আপনার গলির চিপা রাস্তায় আপনি যেমন মার্সিডিজ ফুল স্পীডে চালাতে পারবেন না তেমনি একটা ভালো মানের মাদারবোর্ড না হলে আপনার কম্পিটার থেকে আপনি ভালো পাফরমেন্স আশা করতে পারেন না। কারণ, আপনার গাড়ি ভালো কিন্তু চালানোর রাস্তা নাই। তবে বর্তমানে নিম্নমানের মাদারবোর্ড খুব একটা কেনে না কেউ। মোটামুটি সব কোম্পানির মাদারবোর্ডই বেশ ভালো পারফরমেন্স দিচ্ছে। এক্ষেত্রে গিগাবাইট, এমএসাই, আসুস এর নাম উল্লযোগ্য। আপনি কি প্রসেসর নিচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করে মাদারবোর্ড বাছাই করবেন। মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ কতটুকু পরিমাণ র‍্যাম সাপোর্ট করে সেটুকু দেখে নেবেন। যত বেশি পরিমাণ র‍্যাম লাগাবেন তত ভালো পারপরমেন্স পাবেন। বিজনেস যারা করে তাদের সবাই ধান্দাবাজ। এজন্য দেখবেন দুদিন পরপর ডিডিআর থ্রি এর জায়গায় ফোর আসে। প্রসেসরের সকেট পাল্টায়- এসব বিজনেসের ধান্দা কেবলমাত্র। আপনি ডিডিআর ফোর র‍্যাম বা গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে চান কিন্তু আপনার মাদারবোর্ড সাপোর্ট করে ডিডিআর থ্রি। সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ডটাই পাল্টাতে হবে। এসব বিজনেসের ধান্দা, আর কিছু না। বর্তমানে ৪৫০০ থেকে শুরু করে ৫৫০০০ টাকা দাম পর্যন্ত মাদারবোর্ড পাওয়া যায়। কম্পিউটার নির্মাতা কোম্পানিগুলো ইচ্ছে করলেই আর্কিটেকচার না পাল্টে এসব কনতে পারে, কিন্তু বিজনেস পারপাসে তারা আর্কিটেকাচার পাল্টায় বেশিরভাগ সময়।

প্রসেসর

প্রসেসরের দুই ব্রান্ড ইন্টেল আর এএমডি। এদুটোর মধ্যে ইন্টেলের প্রসেসর বেশি নির্ভরযোগ্য। এএমডি প্রসেসরের দাম তুলনামূলক কম দাম, কোর বেশি এবং বিদ্যুৎশক্তি বেশি লাগে। তবে আগে এএমডি প্রসেসরের দীর্ঘস্থায়ীত্ব কম- এরকম একটা বদনাম ছিল। তবে বর্তমানে বেশ ভালো সার্ভিসই দিচ্ছে। এএমডি আর ইন্টেলের প্রসেসরের মাদারবোর্ড আলাদা। কারণ এদর সকেট সাইজ আলাদা। প্রসেসরের ক্লক স্পিড আর ক্যাশ মেমোরি অবশ্যই বেশি দেখে কিনবেন। র‍্যামের পাশাপাশি ক্যাশ মেমোরিতে প্রসেসর তার প্রাইমারি নির্দেশাবলি জমা রাখে। বড় সাইজের সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ক্যাশ মেমোরি কম হলে সফটওয়্যারটা ভালো পারফরমেন্স দিতে পারে না। লেখালেখি, মুভিদেখা, ফ্রিল্যানসিং এসব কাজের জন্য পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর প্রসেসরই যথেষ্ট। দাম পড়বে ৪৬০০ থেকে ৪৮০০ টাকা। কোর আই সিরিজের প্রসেসর সিরিজ ও জেনারেশন ভেদে ৯১০০ থেকে ১৩৩০০০ টাকা পর্যন্ত দাম পড়বে। জেনারেশন ভেদে প্রসেসরের স্পীড ও ইন্টিগ্রটেড গ্রাফিক্স এর উন্নতি ঘটেছে। প্রসেসরের জন্য অবশ্যই ভালো মানের কুলার লাগাবেন।

র‍্যাম

র‍্যাম এ রানিং সফটওয়্যারের ডাটা জমা থাকে। পোগ্রাম ক্লোজ করা হলে এর সকল ডাটা সাথে সাথে মুছে যায়। যত বড় সফটওয়্যার হবে তত বেশি র‍্যাম লাগবে। এজন্য বেশি পরিমাণ র‍্যাম লাগাবেন । বর্তমান সকল সফটওয়্যারের জন্য কমপক্ষে ৪ জিবি র‍্যাম থাকা জরুরী। গেমস এর ক্ষেত্রে সেটা ৮ জিবি। ৪ জিবি এর বেশি র‍্যাম লাগালে অবশ্যই ৬৪ বিট উইন্ডোজ ব্যবহার করবেন, নাহলে ৩২ বিট উইন্ডোজ ৪ জিবি এর বেশি র‍্যাম ব্যবহার করতে পারে না। অবশ্যই ভালো ব্যান্ডের র‍্যাম লাগাবেন।

গ্রাফিক্স কার্ড

গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে যদি আপনি গেইম আর প্রফেশনাল গ্রাফিক্স এর কাজ না করেন তবে আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ডের কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি গেমার হন তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড অবশ্যই লাগবে। গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে কোম্পানি দুটি- এনভিডিয়া আর এএমডি। গেইম কোম্পানিগুলোর ইন্জিনগুলো সব সময় এনভিডিয়া কমপাটিবল হয়। এজন্য এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহারে গেইম খেলায় আপনি ভালো পারপরমেন্স পাবেন। এএমডিতেও ভালো পারফরমেন্স পাবেন। এএমডির দাম তুলনামূলক কম। দাম ৩০০০ টাকা থেকে ৭০০০০ টাকা পর্যন্ত পড়বে। তবে আপনি যদি ৬ষ্ঠ/৭ম জেনারেশনের প্রসেসর ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে ৪-৫ হাজার টাকা দামের গ্রাফিক্স কার্ড না লাগানোই ভাল। ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড দিয়েই আপনি ৪-৫হাজার টাকা দামের গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরম্যান্স পাবেন। তবে গেইম খেললে গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতেই হবে। সেক্ষেত্রে আপনি কমপক্ষে এনভিডিয়া জিটি ৭৩০ ২ জিবি লাগাতে চেষ্টা করবেন। তবে ৭৩০ ডিডিআর ফাইভ এর জন্য আলাদা পাওয়ার দিতে হয় এবং এজন্য আপনাকে আলাদা পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে। ডিডিআর থ্রি যদি লাগাতে চান তাহলে জিটি ৭১০ এর বেশি লাগাতে পারবেন না। ডিডিআর থ্রি এর জন্য আলাদা পাওয়ারের দরকার হয় না।

হার্ডডিস্ক

ভালো ব্রান্ডের যেকোন সাইজের হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ওয়েস্টার্ণ ডিজিটাল, হিটাচি, সিগেট স্যামসাং- এদের হার্ডডিস্ক ভালো। তবে হার্ডডিস্ক ও র‍্যামের দাম সবচেয়ে বেশি ওঠানামা করে কম্পিউটার বাজারে।

পাওয়ার সাপ্লাই

ডিডিআর ফাইভ গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার না করলে সাধারণত আলাদাভাবে পাওয়ার সাপ্লাই কেনার দরকার হয় না। প্রয়োজনীয় ওয়াটভেদে পাওয়ার সাপ্লাই লাগাবেন। এন্টেক, কুলার মাস্টার, কোরশেয়ার- এদের পাওয়ার সাপ্লাই ভালো। ওয়াটভেদে দাম পড়বে ৩৭০০ থেকে ২১০০০ টাকা পর্যন্ত।

কেসিং

পছন্দসই ও মজবুত যেকোন কেসিং আপনি লাগাতে পারেন। তবে গেমিং পিসি হলে বেশ ভালো মানের কেসিং লাগানো ভালো। ১৮০০ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত মান ও ব্রান্ড ভেদে কেসিং এর দাম পড়বে।

মনিটর

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি মনিটরের সাইজ বাছাই করবেন। শুধু লেখালেখির কাজ বেশি করলে স্কয়ার শেপের মনিটর কেনা ভালো। স্কয়ার শেইপের মনিটর সাধারণত অফিশিয়াল কাজে বেশি ব্রবহার করা হয়। এছাড়া ওয়াইড স্ক্রিন মনিটর কেনাই ভালো। স্ক্রিন সাইজের উপর নির্ভর করে মনিটরের দামের তারতম্য হয়ে থাক। স্যামসাং, বেনকিউ, ডেল এদের মনিটর ভালো।

কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৩

সুমন কর বলেছেন: কাজের পোস্ট। অনেকের কাজে লাগতে পারে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পোস্টটি দেখে স্মৃতীর নখরে সাতরে এলাম।
এই সেই দিনের কাথ ৫০০ মেগাবাইট হার্ড ডিক্স রিপলাইস করেছিলাম ৪৮৬ ইন্টেল চিপ পিসিতে!
হুম সালটি ১৯৯৯ সাল। এবার বলুন কি ছিল সেই পিসিতে। আমরা এখন কোথায়!!
আপনার পোস্টটি দেখে অনেক আনন্দ পেলাম মনে।
এই হাতে লক্ষাধিক পিসি এসম্বেল ডি এসেম্বল করেছি ভাই।
আজ এখানে এসে ঠেকেছে। Deliver fantastic entertainment and gaming, seamless 4K Ultra HD, and 360 video with 7th Generation.
ভালো থাকবেন অজানাকে জানানো একটি মহৎ কর্ম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.