![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতীক ওমর
আমাদের গ্রামের বাজারে একটি ক্লাবঘর ছিলো। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় নিজের বাড়ির সাদাকালো টেলিভিশনটি ওই ক্লাবঘরে এনে সবাই মিলে বিশ্বকাপের আমেজ উপভোগ করতেন এজন শিক্ষক। তিনি আর্জেন্টিনার ভক্ত ছিলেন। আমি নব্বই দশকের কথা বলছি। খেলায় কোন পক্ষ গোল দিলে সেই গোলের দৃশ্য রিপ্লে করে দেখাতো মাঝেমধ্যেই। আমরা দেখতাম ওই শিক্ষক তার পছন্দের দলের গোল রিপ্লে দেখলেও খুশিতে আবার গোল হয়েছে ভেবে চিল্লে উঠতো। আশেপাশে আর কোন দর্শক চিল্লে না ওঠায় তিনি কিছুটা হতভম্ব হয়ে যেতেন। পরে বুঝতে পারতেন গোলটি আগের ছিলো। নতুন গোল নয়। রিপ্লে গোলে তার চিল্লে ওঠা অন্যরা উপভোগ করতো।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাই, বিবানবন্দর, ফতেহআলী ব্রিজ নিয়ে বগুড়ার কিছু আবাল মুর্খ ফেসবুক লেখকদের উল্লাস রিপ্লে গোলে চিল্লে ওঠার মতই।
বগুড়ার কোন প্রকল্পের থ্রিডি ডিজাইনের ছবি পেলে কিছু অতি উৎসাহি ফেসবুক লেখকরা সেটিকে এমন ভাবে মাখিয়ে ফেলেন যেন কাজ টি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন উদ্বোধনের বাকি মাত্র। আমরা বছর দেড়েক আগে দেখলাম ফতেহ আলী ব্রিজের একটি থ্রিডি ডিজাইন ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। দালাল, তেলবাজ কিছু ফেসবুক সম্বাদিক এমনভাবে লেখালেখি শুরু করলেন যেন ব্রিজটি শেষের দিকে এখন উদ্বোধনের প্রহর গুণা হচ্ছে। অথচ ওই আবালদের লেখালেখি মাখামাখির প্রায় এক বছর পর কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি সেখানে আজো চলমান। কাজ কবে শেষ হবে আল্লাহই ভালো জানেন। ওই আবাল লেখকদের আর কোন খবর নেই।
এর আগে বগুড়া বিমারবন্দর দেখার জন্য কোন বেসরকারি কোম্পানির কয়েকজন দালাল এসে ঘুরে গেলেন। তখনও আমাদের গোত্রীয় ভাইয়েরা এবং ফেববুক লেখকরা মুর্খের মত উল্লাস প্রকাশ করলেন। ততকালীন একজন সাংসদ বিমানবন্দর তার উদ্যোগেই চালু হচ্ছে এমন ভাব নিয়ে মিডিয়ার সামনে লেকচার দিলেন। সেই বিমানবন্দরে এখনো কাউয়া ওড়ে, বিমান নয়। তেলবাজ ফেসবুকার আর সরকার ভক্তনেতাদের তারপরও জ্ঞান ফেরেনি। বিমানবন্দরটি নিয়ে আর কোন আওয়াজ নেই কারো মুখে।
এর পর আসি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন। বিশ বছর আগে থেকে আমরা এই প্রকল্পটির কথা শুনে আসছি। রাজনৈতিক নেতারা এটাকে মূলা হিসেবে জনগণে সামনে ঝুলিয়ে তিন চারটা নির্বাচন পার করেছেন। কাজ হয়নি। এরপর প্রকল্পটির অনুমোদনের গন্ধ নাকে আসার সাথে সাথে বগুড়ার তথাকথিত....রা এবং ফেসবুক লেখকরা আবারো ফেসবুক মাখিয়ে ফেললেন। নেতারা রেললাইন যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলেন রাতারাতি। ব্যানার ফেস্টুনে সাতমাথা ছেয়ে গেলো তখন। মুর্খদের মাখামাখি দেখে মনে হলো হয়তো যেকোন দিন থেকে ওই পথে ট্রেন চলবে।
অথচ ওই প্রকল্পের আসল খবর হলো: প্রকল্পটি অনুমোদন হয় প্রায় ৬ বছর আগে। প্রথম দফায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল গত বছর জুনে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পের মূল কাজ শুরুই হয়নি। এরপর সময় বাড়ানো হয় এক বছর। এখন প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর মাত্র দেড় মাস। সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত রেলপথের ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরুই হয়নি। এ ছাড়া ভারতের তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে এখন পর্যন্ত এলওসি ছাড় না হওয়ায় অন্ধকারে রয়েছে প্রকল্পটি। এমনকি এলওসি ছাড়ের বিষয়ে সাত মাস আগে ভারতে চিঠি দেয়া হলেও তার কোনো ফিরতি বার্তা আসেনি রেলওয়ের কাছে।
এর আগে ভারতীয় লোনে খুলনা -মংলা রেলপথের কাজ চৌদ্দ বছরেও শেষ করতে পারেনি আমাদের মহদয়গণ।
এজন্য বগুড়ার আবালদের বলি কোন কিছু না জেনে দালালী করতে যাইয়েন না। থ্রিডির নকশা দেখে খুশিতে বেহুশ হয়ে পড়েন না।
্আরমাদের গ্রামের বাজারে একটি ক্লাবঘর ছিলো। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় নিজের বাড়ির সাদাকালো টেলিভিশনটি ওই ক্লাবঘরে এনে সবাই মিলে বিশ্বকাপের আমেজ উপভোগ করতেন এজন শিক্ষক। তিনি আর্জেন্টিনার ভক্ত ছিলেন। আমি নব্বই দশকের কথা বলছি। খেলায় কোন পক্ষ গোল দিলে সেই গোলের দৃশ্য রিপ্লে করে দেখাতো মাঝেমধ্যেই। আমরা দেখতাম ওই শিক্ষক তার পছন্দের দলের গোল রিপ্লে দেখলেও খুশিতে আবার গোল হয়েছে ভেবে চিল্লে উঠতো। আশেপাশে আর কোন দর্শক চিল্লে না ওঠায় তিনি কিছুটা হতভম্ব হয়ে যেতেন। পরে বুঝতে পারতেন গোলটি আগের ছিলো। নতুন গোল নয়। রিপ্লে গোলে তার চিল্লে ওঠা অন্যরা উপভোগ করতো।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাই, বিবানবন্দর, ফতেহআলী ব্রিজ নিয়ে বগুড়ার কিছু আবাল মুর্খ ফেসবুক লেখকদের উল্লাস রিপ্লে গোলে চিল্লে ওঠার মতই।
বগুড়ার কোন প্রকল্পের থ্রিডি ডিজাইনের ছবি পেলে কিছু অতি উৎসাহি ফেসবুক লেখকরা সেটিকে এমন ভাবে মাখিয়ে ফেলেন যেন কাজ টি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন উদ্বোধনের বাকি মাত্র। আমরা বছর দেড়েক আগে দেখলাম ফতেহ আলী ব্রিজের একটি থ্রিডি ডিজাইন ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। দালাল, তেলবাজ কিছু ফেসবুক সম্বাদিক এমনভাবে লেখালেখি শুরু করলেন যেন ব্রিজটি শেষের দিকে এখন উদ্বোধনের প্রহর গুণা হচ্ছে। অথচ ওই আবালদের লেখালেখি মাখামাখির প্রায় এক বছর পর কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি সেখানে আজো চলমান। কাজ কবে শেষ হবে আল্লাহই ভালো জানেন। ওই আবাল লেখকদের আর কোন খবর নেই।
এর আগে বগুড়া বিমারবন্দর দেখার জন্য কোন বেসরকারি কোম্পানির কয়েকজন দালাল এসে ঘুরে গেলেন। তখনও আমাদের গোত্রীয় ভাইয়েরা এবং ফেববুক লেখকরা মুর্খের মত উল্লাস প্রকাশ করলেন। ততকালীন একজন সাংসদ বিমানবন্দর তার উদ্যোগেই চালু হচ্ছে এমন ভাব নিয়ে মিডিয়ার সামনে লেকচার দিলেন। সেই বিমানবন্দরে এখনো কাউয়া ওড়ে, বিমান নয়। তেলবাজ ফেসবুকার আর সরকার ভক্তনেতাদের তারপরও জ্ঞান ফেরেনি। বিমানবন্দরটি নিয়ে আর কোন আওয়াজ নেই কারো মুখে।
এর পর আসি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেললাইন। বিশ বছর আগে থেকে আমরা এই প্রকল্পটির কথা শুনে আসছি। রাজনৈতিক নেতারা এটাকে মূলা হিসেবে জনগণে সামনে ঝুলিয়ে তিন চারটা নির্বাচন পার করেছেন। কাজ হয়নি। এরপর প্রকল্পটির অনুমোদনের গন্ধ নাকে আসার সাথে সাথে বগুড়ার তথাকথিত....রা এবং ফেসবুক লেখকরা আবারো ফেসবুক মাখিয়ে ফেললেন। নেতারা রেললাইন যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলেন রাতারাতি। ব্যানার ফেস্টুনে সাতমাথা ছেয়ে গেলো তখন। মুর্খদের মাখামাখি দেখে মনে হলো হয়তো যেকোন দিন থেকে ওই পথে ট্রেন চলবে।
অথচ ওই প্রকল্পের আসল খবর হলো: প্রকল্পটি অনুমোদন হয় প্রায় ৬ বছর আগে। প্রথম দফায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল গত বছর জুনে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পের মূল কাজ শুরুই হয়নি। এরপর সময় বাড়ানো হয় এক বছর। এখন প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর মাত্র দেড় মাস। সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত রেলপথের ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরুই হয়নি। এ ছাড়া ভারতের তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে এখন পর্যন্ত এলওসি ছাড় না হওয়ায় অন্ধকারে রয়েছে প্রকল্পটি। এমনকি এলওসি ছাড়ের বিষয়ে সাত মাস আগে ভারতে চিঠি দেয়া হলেও তার কোনো ফিরতি বার্তা আসেনি রেলওয়ের কাছে।
এর আগে ভারতীয় লোনে খুলনা -মংলা রেলপথের কাজ চৌদ্দ বছরেও শেষ করতে পারেনি আমাদের মহদয়গণ।
এজন্য বগুড়ার আবালদের বলি কোন কিছু না জেনে দালালী করতে যাইয়েন না। থ্রিডির নকশা দেখে খুশিতে বেহুশ হয়ে পড়েন না।
©somewhere in net ltd.