নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতীকের ব্লগ

'মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপারে তুই মূল হারাবি'

প্রতীকহ্যাপি

চিন্তা ও তৎপরতায় বিশ্বাসী

প্রতীকহ্যাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের গাঁথাকারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সশ্রদ্ধ প্রণতি

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বাঙালির অনেক তরল আবেগ আছে-তাকে অনেকে রবীন্দ্রনাথ বানিয়ে ফেলেন, আবার অনেকে তাকে সাহিত্যিক হিসেবেই গণ্য করেন না। এ দুই চরমের মাঝে পড়ে সাহিত্যিক হিসেবে তার প্রকৃত মূল্যায়ন একপ্রকার হয়নি বললেই চলে। তাঁর মৃত্যুর পর ফারুক ওয়াসিফ ' মৃদু মানুষের ঈশ্বর' শিরোনামে মর্মে আলোড়ন তোলা একটি লেখা লিখেছিলেন। যদিও তা একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা নয়, তবে সেখানে একটি দিশা পাওয়া যায়। আমি নিজে হুমায়ূনের সব লেখা পড়িনি, যেটুকু পড়েছি তার ভিত্তিতে কয়েকটি মন্তব্য করতে চাই:

১. হুমায়ূন আহমেদ সমাজের চোখে মানুষের 'ভাল' ও 'মন্দ' উভয় সত্তার মাঝেই মানুষকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করতেন।

২. ভাল মানুষেরও যে খারাপ কিছু থাকতে পারে আবার খারাপ মানুষেরও যে ভাল কিছু থাকতে পারে এ-ব্যাপারটি তার গল্পে ধরা পড়ত।

৩. বাঙালির বৈশিষ্ট্যসূচক গুণ আবেগকে তিনি পাগলা ঘোরায় সওয়ার করে ছেড়ে দিতেন।

৪. পারিবারিক বন্ধনকে খুবই হৃদয়গ্রাহ্য করে উপস্থাপন করতেন।

৫. বিংশ শতকের ৭০ ও ৮০-এর দশকে শহুরে মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনের সংসারে অভাব-অভিযোগ, তিক্ততার মাঝেও চিরায়ত বন্ধনগুলো অটুট থেকেছে তার গল্পে, পরম মমতা ও ভালবাসায়।

৬. অভাব অভিযোগের মাঝেও তার চরিত্রগুলো বিদ্রোহ করেনি। টানাপোড়েনের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপৃত না হয়ে তারা অন্তর্লোকে ডুব দিয়ে বেচে থাকাটাকে সহনীয় করে তোলার চেষ্টা করে।

৭. চরিত্রগুলোর নির্ভিক সত্যভাষণের মধ্য দিয়ে সামাজিক সম্পর্কগুলোর চাচাছোলা স্যাটায়ার করেছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.