![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।
এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর অন্য হাতে রণতূর্য নিয়ে তাঁর আর্বিভাব ।
নজরুল তার সঙ্গীতে একবার বলেছিলেন: “দূর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুঠির হতে ।“
যখন একদিকে দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং অন্যদিকে বাংলার মুসলিম নেতৃবৃন্দের মাধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ চলছে, তখন এই পরিস্থিতিতেও তিনি কেবলমাত্র আল্লাহকেই চাচ্ছেন । পরে এক সভায় চিত্ত রায়ের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় যে, এ সময় ফজলুল হক তাঁকে মন্ত্রীর দায়িত্বভার দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার আকাঙক্ষা তিনি ত্যাগ করে এসছেন তখন প্রায় পনের বছর আগে । এ রকম কোনো প্রস্তাব আর তাঁকে প্ররোচিত করার ক্ষমতা রাখে না ।
“এ কি আল্লা’র কৃপা নয় ? কবিতায় বলেছেনঃ-
লোভ আর ভোগ চাহে যারা, নাই তাদের ধর্ম জাতি,
তাদের শুধু এক নাম আছে, রাক্ষস ব’লে খ্যতি !
হউক হিন্দু, হউক ক্রীশ্চান, হোক সে মুসলমান,
ক্ষমা নাই তা’র, যে আনে তাঁহার দুনিয়ায় অকল্যাণ !
দরবেশ কবি নজরুল ! আল্লাহ নিবেদিত প্রাণ ! ইসলামী দুনিয়ার অন্যতম সাধক কবি ।
‘দরিদ্র মোর পরমাত্মীয়” কবিতায় উচ্ছারণ করেছেনঃ-
দরিদ্র মোর ব্যাথার সঙ্গী, দরিদ্র মোর ভাই,
আমি যেন মোর জীবনে নিত্য কাঙালের প্রেম পাই !
ইসলাম অনুষ্ঠান- সর্বস্ব ধর্ম নয় । ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা আর এতে পুরোহিততন্ত্রের অনুমোদন নেই । ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সব কিছুই তাওহীদরেছালাতের অর্ন্তগত । তাওহীদরেছালাত ভিত্তিক মুসলিম জাতীয়তায় ভাষাকে অন্তরায় করার কোনো সংস্থান নেই । তাওহীদরেছালাত ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা পুরোপুরি সাম্যভিত্তিক ।
নজরুল যখন আধ্যাত্মিকতার শিখরে, তখন তিনি “নারী” কে কোন দৃষ্টিতে দেখছিলেন, তার স্বাক্ষর বহন করে “নারী” কবিতাঃ-
হায় ফিরদৌসের ফুল !
ফুটিতে আসিলে ধূলির ধরায় কেন ?
সে কি মায়া ? সে কি ভুল ?
.....................
................
মাতা হ’য়ে তুমি দিয়াছ এ মুখে প্রথম স্তন্য-রস,
স্নেহ-অঞ্চলে বাঁধিয়া এ ঘর ছাড়ারে করেছ বশ ।
যখনি পলাতে চাহিয়াছি বনে, কে তুমি অশ্রুমতী,
কাঁদিয়াছ মোর হৃদয়ে বসিয়া, রোধ করিয়াছ গতি ?
আসলে, বিশেষভাবে এ সময়টায় ছিলো তাঁর পুরোপুরি সাধক জীবন । এ সময় তিনি কোরআন, হাদীস, উপনিষদ, বেদ-বেদান্ত, বাইবেল, এিপিটক প্রভৃতি বিভিন্নধর্মীয় শাস্ত্র আগের তুলনায় অনেক বেশি গভীর অভিনিবেশ সহকারে অধ্যয়ণ করেছেন ।
“হুল ও ফুল” কবিতায় দেখছিঃ কতিপয় নামধারী মুসলমান, কীসের ভিত্তিতে জানি না, তখনও কবিকে কাফের বলা ছাড়েন নি ।ঃ-
হায়রে দুনিয়া দেখি মৌলানা মৌলবীতে একাকার,
আমিই একা হেথা কাফেরদের দাদা আমি একা গুনাগার !
যে জীবন একদিন চুরুলিয়ার পীর হাজী পাহলোয়ানের পবিত্র মাজার শরীফে খাদেমের দায়িত্বভার এবং মসজিদের ইমামতির মারফত শুরু হয়েছিল ...
কাজী নজরুল ইসলামকে নাস্তিক তথা কাফের কেবল গায়ের জোরেই বলা যায় কিন্তু সমসাময়িক কালে তার মতো সত্যিকারের আস্তিক দ্বিতীয় জন কেউ ছিলেন কিনা তা বলা কঠিন ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৫
রাসেল সরকার বলেছেন: শুভ কামনা রইল ...... ।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫৯
রাসেল সরকার বলেছেন: অনেক অনেক শুকরিয়া ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, আসলে কাজী নজরুল ইসলামের তুলনা কেবল কবি নিজেই। তার কোন তুলনা নেই ----