![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।
ঢাকা: বৃষ্টিস্নাত ভোর গড়িয়ে সকাল হয়েছে। সকালের ঝিরঝিরে বাতাস ধরে ব্যস্ত হয়ে গেছে নগরবাসী। রাজধানীর সড়কগুলোতে তখন কেবল ছুটে চলা গাড়িকে আটকানো অথবা চলতে দেওয়ার লাল-সবুজ সংকেত বাতি। ফুটপাতে অফিস ধরার দৌড়।
এই চিত্রের ঠিক উল্টো পল্টন মোড় থেকে কাকরাইলমুখী সড়কের আইল্যান্ডে। পলিথিনের বস্তা আর রাস্তা থেকে কুড়োনো এক ব্যানার বিছিয়ে তখনো ঘুমোচ্ছে ১৩-১৪ বছরের এক কিশোর। তার বাহু গলে বুকে জায়গা করে নিয়ে ঘুমোচ্ছে একটি কুকুর। কুকুরের একটি হাত গিয়ে ঠেকেছে বালকের বুকে, যেন পরম নির্ভরতার ঘুম। আর কুকুরের মাথায় ঘুমন্ত কিশোরের হাত যেন স্নেহের পরশই বুলিয়ে দিচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেল কিশোর আর কুকুর দুই সখাই ঘুমের মধ্যে একাধিকবার ভঙ্গি বদলেছে।
জনাকয়েক লোক দেখছিলেন এই দুই ‘সখা’র ঘুম। দু’একজন এখানটায়ই থাকেন। তাদের কাছে জানা গেল, কিশোরের নাম মিলন। পল্টন এলাকার টোকাই। তার মাথার কাছে নিজের মতো ঘুমিয়ে আছে আরও একটি কুকুর। পাঁচ-সাত হাত দূরে গাছের সঙ্গে কাপড় ঝুলিয়ে ঘুমিয়ে আছে মিলনের আরও দুই বন্ধু। এদের পায়ের কাছে বসে আছেন সস্ত্রীক আবদুল হামিদ (৩২)। সঙ্গে তাদের ৩ বছর বয়সী কন্যা তানিয়া।
হামিদ বলছিলেন মিলন আর তার সঙ্গী কুকুরের বন্ধুত্বের গল্প, ‘ওই যে দু’টো কুকুর দেখছেন। ৭-৮ মাস আগে তাদের মা আমাদের আশপাশে থাকতো আসতো, সঙ্গেই ঘুমাতো। একদিন সে ৭টা বাচ্চা দেয়। বাচ্চাগুলো বড় হতে থাকে। মিলন ওই মা আর বাচ্চা কুকুরগুলোকে খাবার দিতো নিয়মিত।’
‘একদিন একটি বাসচাপায় মা কুকুরটির মৃত্যু হয়! বাচ্চাগুলো তখন খুব চেঁচামেচি করে। মিলন তখন কুকুরের এই বাচ্চাগুলোকে লালন-পালন করতে থাকে। কিন্তু ১-২ মাসের ভেতর একে একে পাঁচটি কুকুর মারা যায়। মিলনের আশ্রয়ে বেঁচে থাকে এই দু’টি।’ ছবি: জিএম মুজিবুর
হামিদ নিজেও টোকাই। তিনি বলেন, ‘এখন মিলনের জগত এ দু’টো কুকুরই। কুকুর দু’টোও বড় হয়েছে তাকে আশ্রয় করে। সেজন্য তারা আশ্রয় বলতেও বোঝে তাকে। মিলন যখন যেখানে যায় ওরাও সেখানে যায়। মিলন যখন ঘুমায় একটা তার কোলে থাকলে অন্যটা তার পাশে ঘুমায়।’
হামিদের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার পরও ঘুমোচ্ছিল কিশোর মিলন। মিলনের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে হলেও মন চাইলো না এই ‘গলাগলি’র ঘুম ভাঙতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
জিএমএম/এইচএ/
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৪
রাসেল সরকার বলেছেন: যথার্থই বলেছেন । এই ছবিটি রাষ্ট্র্ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি ।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এখান থেকে অামাদের সমাজ বাস্তবতার চিত্র ভেসে ওঠে
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৫
রাসেল সরকার বলেছেন: সহমত
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেবের সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলা
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৬
রাসেল সরকার বলেছেন: এই ছবি তারই স্বাক্ষর বহন করছে !!!!
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষ পশুর এ সখ্যতা দেখে খুব ভাল লাগলো, আবার মানুষের এই দুরবস্থা দেখে মনটা খারাপও হয়ে গেল।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৯
রাসেল সরকার বলেছেন: অপরাজনীতির ফসল
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: কঠোর বাস্তব। এই বয়সের একটা বাচ্চা তার মা বাবার সাথে নিজের বাড়িতে থাকার কথা। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই আমাদের।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০২
রাসেল সরকার বলেছেন: এই অসহায় নিরপরাধ মানুষগুলোর পূণবাসন না করে, ভাষ্কর্য এবং সাবমেরিন ক্রয়ের কি যৌক্তিকতা আছে ?
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সখ্যতা পুরোই হারিয়ে যায় নি তাহলে।।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
রাসেল সরকার বলেছেন: হারিয়ে যাচ্ছে বিবেক
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৬
তৌহিদ ইসলাম রোবন বলেছেন: কি বলবো ভেবেই পেলাম না!
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
রাসেল সরকার বলেছেন: আমিও বাকরুদ্ধ
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: এরকম দৃশ্য প্রায়শই দেখা যায়। জীবন অনেক কঠিন
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
রাসেল সরকার বলেছেন: স্রষ্টার বিচারিক আদালতে বিচার হবে, দুর্নিতি বাজ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক এবং সমর্থন কারীদের ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৬
মানবী বলেছেন: জীবন এখানে এমন হবার কথা ছিলোনা!
আমাদের কারো চেয়ে এই কিশোরের নাগরিক অধিকার এতোটুকু কম নয়। এই ছবিটি রাষ্ট্র্ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আমরা যে দিন দিন মনুষত্বহীণ জড়পদার্থ হয়ে পড়েছি তার প্রমান এই ছবি!
আমাদের বিবেকহীন সমাজটাকে তুলে ধরার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রাসেল সরকার।
ভালো থাকুন।