![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারা দেখব বলে ছাদে উঠেছিলাম। চাঁদের আলোয় তা আর হলো না।
কিছুদিন আগেই ঘুরে এলাম মেহেরপুর থেকে। যাওয়ার সময় ভাবিনি এতটা ভাল লাগবে। প্রথম মুজিবনগর দেখার ইচ্ছে। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে মুজিবনগরের রয়েছে প্রগাঢ় সম্পর্ক। বলা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মস্থান।
মেহেরপুর নিয়ে অনেকের কাছ থেকেই অনেক কিছু শুনেছি। বিশেষ করে সেখানকার এক বন্ধু জানালো, মেহেরপুর দেখার মতো কিছু নেই। সবমিলিয়ে অনেকটা মন খারাপ করা অবস্থা নিয়েই মেহেরপুর গেলাম। আমার বিশ্বাস, প্রতিটি জনপদেই কিছু না কিছু আছেই দেখার মতো। বিশেষ করে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষের জীবন ধারা। সেখানকার অর্থনীতি। প্রাকৃতিক পরিবেশ। ইত্যাদির সঙ্গে খুব সহজেই পরিচিত হওয়া যায়।
মেহেরপুর গিয়ে দেখা গেল, আধুনিক যুগেও মানুষ অনেকটাই সামন্ত প্রথার মাঝে বাস করে। সেখানে তামাক চাষই প্রধান। এছাড়া আলু ও ধানও হয়ে থাকে। পেয়াজের পরিমাণও নেহাত কম নয়। সবমিলিয়ে মানুষের আর্থনীতিক অবস্থা ভাল হওয়ারই কথা। কিন্তু ভাল নয়। তামাক চাষ করা হয় অনেকটা নীল চাষের মতো। জমিতে তামাক চাষ করার আগেই এর দাম নির্ধারিত হয়ে যায়। কৃষককে ঋণ নিতে হয় ফেক্টরি মালিকের কাছ থেকে। যারা তামাক চাষের পর সবগুলো নিজেরাই কিনে নেয়।
এর বাইরে মেহেরপুরের উল্লেখযোগ্য হলো মুজিবনগর। সেখানে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ নিয়েছিল। তবে বর্তমানে তা একটি দর্শনীয় স্থানেই পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ যাচ্ছে সেখানে। অনেকটা তীর্থের মতো পরিণত হচ্ছে মুজিবনগর। এক সময় এর নাম ছিল বৈদ্যনাথ তলা। এখন মুজিবনগর। কয়েক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এলাকাটিতে আম গাছের বিশাল মিছিল। একটি সুদৃশ্য স্মৃতি সৌধ, মানচিত্র কমপ্লেক্স এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ম্যূরাল। সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকেই যেন ধারণ করছে মুজিবনগর। বিশাল মানচিত্রটি তৈরী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের আলোকে। কোথায় কি ধরণের যুদ্ধ হয়েছে তাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সবমিলিয়ে চমৎকার এক জেলা দেখে এলাম।
©somewhere in net ltd.