নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিজভী আহমদ খান

ইসলাম প্রকৃত জীবন ব্যবস্থা।জীবন ব্যবস্থা নিয়ে টানাটানি সহ্যকর নয়।

রিজভী আহমদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীরা কেন বেশি জাহান্নামে যাবে; নাস্তিকদের জবাব

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

নাস্তিকদের প্রশ্ন নারীরা কেন
বেশী জাহান্নামে যাবে; এর মাধ্যমে কি তাদের
বঞ্চিত করা হয় নি?
ইনশাআল্লহ উক্ত বিষয়ের যুক্তি খন্ডন করব।তার
আগে জেনে নি, কারা জান্নাতে যাবে?
"(আর হে নবী) যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে,
আপনি তাদেরকে এমন জান্নাতের সুসংবাদ দিন, যার
পাদদেস নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। (২:২২৫)
--এখানে কিন্তু নারী পুরুষ আলাদা করা হয় নি।
আরেকটি আয়াত দেখিঃ
"অবশ্যই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী,মুমিন পুরুষ ও মুমিন
নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও
সত্যবাদী নারী,ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল
নারী,বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও
দানশীল নারী,রোযা পালনকারী পুরুষ ও
রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ
ও যৌনাঙ্গ হেফাযতারী নারী, আল্লহকে অধিক
স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্য
আল্লহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান।"(৩৩:৩৫)
--এ আয়াতের পর অভিযোগটা শিথিল হয়ে যায়।
কিভাবে সমতা বিধান করলেন মহান আল্লহ!
জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ
রাখা হয় নি। ঈমানদার, মুমিন হোক
সে নারী কিংবা পুরুষ তার জন্য রয়েছে জান্নাত।
--এবার তাদের অভিযোগ আনা হাদিস
নিম্নে দেওয়া হলোঃ-
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্নিত নবী (সাঃ) বলেছেন,"
আমি জান্নাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলাম তার
অধিকাংশ অধিবাসী ফকীর আর জাহান্নামের
প্রতি দৃষ্টি করে দেখলাম তার অধিকাংশ
অধিবাসী মহিলা।(তিরমিযী)
~~এখানে একটা লক্ষনীয় বিষয়, হাদিসটিতে কিন্তু
বলা হয় নি যে, পুরুষরা বেশি জান্নাতে যাবে?
বরং ফকির অর্থ্যাৎ গরীবরা বেশি যাবে।
তাহলে কি আপনি বলবেন, আল্লহ ধনীদের বঞ্চিত
করেছে?
::ধরুন বাংলাদেশের এস.এস.সি. ২০১৫ সালের রেজাল্ট
হলো ২৫% পাশ এবং ৭৫% ফেল।
তাহলে কি আপনি বলবেন,বাংলাদেশ সরকার ঐ ৭৫%
ছাত্রের সাথে ইনসাফ করেন নি? নিশ্চয় এমন কথা বলবেন
না।বরং বলবেন, ঐ ছাত্ররা পাশ মার্কস অর্জন
করতে পারে নি,তাই ফেল করেছে।ঠিক
তেমনি অধিকাংশ মহিলারা পরকালের সম্বল
অর্জনে ব্যর্থ হবে,তারা আল্লহর নিষেধ করা কিছু গর্হিত
পাপ করবেন যার জন্য তারা অধিকাংশ
জাহান্নামে যাবে।
// মহানবী (সাঃ) কে একজন মহিলা এই একই প্রশ্ন
করেছিল,তিনি তখন বলেন," তোমরা স্বামীদের
প্রতি বেশি বেশি অকৃতজ্ঞ হও এবং লানত (অভিসম্পাত)
বেশি বেশি করে কর।(বোখারী)
এখানে মহিলারা তাদের এ ত্রুটির
কারনে জাহান্নামে বেশি যাবে বলে উল্লেখ
করেছেন।তিনি এখানে না ইনসাফি কিছু বলেন নি।
তারা যদি এ ত্রুটি বাদ দিতে পারে হয়তো ইনশা আল্লহ
তারা জান্নাতে যাবে।যেমন- বলা হয়েছে যে,
যারা সুদ খায় তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
তাহলে কি আপনি বলবেন, আল্লহ সুদখোরদের
সাথে ইনসাফ করেন নি? নাকি সুদ খাওয়া ছিল তার
নিজের দোষ এবং সে তার নিজের দোষের কারনেই
জাহান্নামে যাবে।বরং আল্লহ তাকে জাহান্নাম
থেকে বাঁচার জন্য সুদকে হারাম করেছেন,কিন্তু
সে তা অমান্য করে জাহান্নামী হবে এটাই
তো স্বাভাবিক,তাই না? //
তারপরও নবী (সাঃ) মহিলাদের অধিক পরিমাণে দান
করতে বলেছেন, যাতে তারা জাহান্নামী না হয়।
নারী তার স্বামীর অকৃতজ্ঞ হবে এবং অভিসম্পাদ
করে তাই তারা বেশি জাহান্নামে যাবে।Anthony
Trollop স্ত্রীর তার স্বামীর প্রতি এ গুণকে সমর্থন
করে বলেন,"Of all hatreds that the world produces,a wife's hatred for
her husband,when she does hate him,is the strongest."
নারীরা যেমন জাহান্নামে বেশি যাবে,তেমন
তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথও অনেক সহজ।নারীদের
জন্য জিহাদ হচ্ছে হজ্জ।
তাছাড়া যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, ছিয়াম
পালন করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে,সে জান্নাতের
যেকোন দরজা দিয়ে ইচছা প্রবেশ করতে পারবে।
(মুসনাদে আহমদ,ইবনু হিব্বান; সনদ সহীহ)
তাছাড়া নারীদের জাহান্নামে বেশি যাওয়ার
একটি যৌক্তিক কারণ রয়েছে।কারণটি হচ্ছে নারীর
আধিক্য।নারী পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচে,নারী পুরুষের
জন্মহার প্রায় সমান এবং নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার
অনেক বেশি।তাছাড়া অনেক যৌক্তিক কারণ
আছে যা ভবিষ্যত্ব নারীর সংখ্যা বৃদ্ধির এক সম্ভাবনার
ইঙ্গিত দেয়।এমন একটি হাদিসও রয়েছেঃ
নবী (সাঃ) বলেছেন- " কিয়ামতের আলামত হচ্ছে,
মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের
সংখ্যা কমে যাবে।এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার
বিপরীতে একজন পুরুষ থাকবে।(বুখারী)
---এখন চলুন একটা হিসাবে যাই।সহীহ মুসলিম
থেকে আমরা জানতে পারি যে, প্রতি ১০০০ জনে একজন
জান্নাতে যাবে, যদিও হাদিসটি ইয়াজুজ মাজুজের
ক্ষেত্রে,তবে আমরা একটা হিসাবের জন্য তথ্যটি ব্যবহার
করতে পারি।
-- ধরুন প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে ১ পুরুষ
বেহেশতে যাবে এবং ১০০০ জন নারীর মধ্যে ১ জন
বেহেশতে যাবে।
এখন নারী-পুরুষের জান্নাতে যাওয়ার অনুপাত=১ : ১।
এবং উপরের হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে ১
জন পুরুষের বিপরীতে নারী ৫০ জন।অর্থ্যাৎ ১,০০০ জন
পুরুষের বিপরীতে ৫০,০০০ জন নারী।তাহলে ১০০০ জন
পুরুষে জাহান্নামে যাবে (১০০০-১)= ৯৯৯জন
এবং বিপরীতে নারী জাহান্নামে যাবে (৫০০০০-৫০)=
৪৯,৯৫০ জন।নারী পুরুষের জাহান্নামে যাওয়ার
অনুপাত=৫০ : ১। তাহলে দেখুন নারীর আধিক্যও কিন্তু
নারীদের জাহান্নামে বেশি যাবার কারণ।মহান
আল্লহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল।নিশ্চয় তিনি মুমিন নারীদের
জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় স্থান দিবেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫

রামন বলেছেন:
গাজাখুরি :(

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

কালের সময় বলেছেন: বুঝি না হিসাব।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

নতুন বলেছেন: নারীদের ভয় দেখানো যাতে তারা বেশি স্বামী ভক্ত থাকে... পুরুষের কথা শোনে... আর কিছুই না...

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

দর্পণ বলেছেন: নাস্তিককে আগে আস্তিক বানান তারপর কোরান হাদিসের বরাত দিন। যে আল্লাই মানেনা তারে হাদিস বলে কি লাভ?

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

রিজভী আহমদ খান বলেছেন: প্রশ্নটা নিশ্চয় বৈজ্ঞানিক নয় যে তার ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক হবে।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

নতুন বলেছেন: নারীরা পুরুষের চেয়ে বাইরের দুনিয়াতে কম যায়...

তাই দূনিতি/হত্যা/মিথ্যা/চাদাবাজী/সুদ.. যতধরনের গুনাহের কাজ আছে যা পুরুষ করে থাকে নারী তারচেয়ে ৯৯% কম করে...( আপনার পাশের মা/খালা/নানী/বোন>> সবার দিকে তাকিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন)

তার পরেও আপনার হিসেবে

তাহলে ১০০০ জন
পুরুষে জাহান্নামে যাবে (১০০০-১)= ৯৯৯জন
এবং বিপরীতে নারী জাহান্নামে যাবে (৫০০০০-৫০)=
৪৯,৯৫০ জন।নারী পুরুষের জাহান্নামে যাওয়ার
অনুপাত=৫০ : ১। তাহলে দেখুন নারীর আধিক্যও কিন্তু
নারীদের জাহান্নামে বেশি যাবার কারণ।

কিছু হইলো?

৭| ০৯ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

রিজভী আহমদ খান বলেছেন: নারীরা আসলেই কি কম যাচ্ছে বাইরে? আর ভবিষ্যত্ব উল্টো হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.