নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং জগতে প্রথম ঢুকলাম...

জীবনের পথে চলা নবীন এক পথিক...

রাফীদ চৌধুরী

জীবনকে সাজাতে চাই সুন্দর বাগিচায়... তাই করি যা মনে চায়... live it love it ENJOY it!!

রাফীদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকতলীয়তা (৫)

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০




একমনে আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছি। ঢাকার আকাশে এত তারা কোনদিন দেখি নি। সারাটা আকাশ যেন সেজে আছে তারকার মেলায়। যেন সম্মোহিত করে রেখেছে আমাকে। চাইলেও অন্যদিকে তাকাতে পারছিনা। সামনে সমুদ্রের স্রান্তহীন শো শো গর্জন। যেন একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গের কম্পন। একটুও বিরক্ত লাগছে না টানা গর্জন শুনে যেতে।

সূর্য্যটা ডুবে গেছে মনে হয় একটু আগে। দিগন্তে এখনো লালচে দাগ দেখা যাচ্ছে। আমি গাড়ির হুডে বসে একমনে আকাশ দেখে যাচ্ছি। সামনে সুবিশাল সমুদ্রের পানি চাদের আলোতে চিকচিক করছে। আর পেছনে সবুজে ঘেরা পাহাড়গুলো এখন জমাট বাধা অন্ধকার হয়ে আছে। অপূর্ব সুন্দর এক দৃশ্য! ঢাকার ইটের ঘরে বসে কল্পনাও করা যায় না।

বিশাল খোলা সাগরের দিকে তাকালেই মনটা ভারি হয়ে উঠে। অনেক ভেবে রেখেছি কিচ্ছু চিন্তা করবো না, কিন্তু বার বার ঘুরে ফিরে তার চেহাড়াটাই এক ঝলকের জন্যে সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।


দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে উঠে বসলাম। আশেপাশে খোজে একটা চায়ের দোকানে বসলাম। সারাদিন হয়েছে কিছু খাওয়া হয়নি। চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খাচ্ছি এমন সময় ফোন এল।

রাশিকের ফোন দেখে ইষৎ হতাশ হলাম। অবচেতন মনে হয়তো অন্য কাউকেই ভাবছিলাম… হতাশ হয়ে ফোন ধরলাম। ওপাশ থেকে টানা ঝাড়ি শোনা গেল।

কি ব্যাপার তুই ফোন ধরস না কেন! চিল্লাচ্ছে রাশিক। সকালে ফোন দিলাম খবর নাই! কি কইরা বেরাচ্ছিস সারা দিন! আর তোর বাবা মা তো আমারে বার বার জিজ্ঞেস করতেসে তুই কই! আর কত মিথ্যা বলবো? তুই ঢাকা আয়!

তুই কি বাবা মা কে বলে দিসিস? ঘাড় কাত করে মোবাইল ব্যালেন্স করে নিলাম। একহাতে চা, আরেক হাতে বিস্কুট, খুবই নাজুক অবস্থা!

আরেহ না! বলি নাই! কিন্তু আর মিথ্যা বলতে পারব না! তার উপর তুই ফোন ধরস না! এইবার না ধরলে ঠিকই তাদের বলে দিতাম!
হা ধরসি তো! বিরক্ত হয়ে বললাম। কি হইসে?

তোর বাবা মা মেনে নিচ্ছে তোর দাবি। তারা বৌ হান্টিং মিশন বাদ দিছে। টিটকারি দিল রাশিক। তোরে ঢাকায় আসতে বলতেছে। তুই চলে আসবি?
এখন না রে। উদাশ হয়ে বললাম… এখন না।
কই আছস তুই?
জানি না!
মানে! অবাক রাশিক। কি হইসে তোর বলতো?
দোস্ত কিছু টাকা পাঠাতে পারবি? নিরস গলায় বললাম। টাকা প্রায় শেষের পথে…
কেন তোর কাছে তো ভালোই টাকা ছিল…

আরেহ খরচ হয়ে গেছে… আর কক্সবাজারে হোটেলের একটা বুকিং দে তো অনলাইনে… ওদিকেই যাচ্ছি। বলে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে লাইন কেটে দিলাম। কথা বলতে মোটেই ইচ্ছা করছে না। কিন্তু কক্সবাজারে হোটেল বুক করার মত টাকা নেই। তাই তাকে দরকার এখন।


চা টা খুব ভালো হয়েছে। মিষ্টি আর কড়া। হেসে চাচার দিকে তাকালাম। আপনে তো ভালো চা বানান।
পান খাওয়া দাত বেড় করে হাসল বৃদ্ধ। অজানা গ্রামের মানুষগুলো আসলেও অনেক সরল মনের হয়। আমাকে আরেক কাপ চা বানিয়ে খাওয়ালো। মিজান মিয়া তার নাম। তো মিজান চাচাকে জিজ্ঞেস করে বের করে নিলাম কোন পথে যেতে হবে কক্সবাজারে… এরপরে অপূর্ব সুন্দর মেরিন হাইওয়েতে চলে এলাম গাড়ি নিয়ে…




পরের দিন সকালের মাঝে পৌছে গেলাম কক্সবাজার। রাতে কোনমতে গাড়ির মাঝেই আকাশ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভোরের পাখিদের ডাকে ঠিকই ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখন থেকে টানা ড্রাইভ করে চলে এলাম… পুরো রাস্তাই ছিল অসম্ভব সুন্দর। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে চারদিকে। শুধু মনে হয় পাশে যদি কেউ থাকত… আনমনে পাশের সিটে তাকাই… যদি কেউ এখানে গুটিশুটি হয়ে ঘুমিয়ে থাকত এখন! কেমন আছে মেয়েটা? একবারো কি ভাবছে আমার কথা? মনটা হুহু করে উঠল। ব্যাচারীর মোবাইলটাও তো ছিন্তাইকারী নিয়ে গেছে, নাম্বারটাও তো আনা গেল না। এখন শুধু সেই পারে যোগাযোগ করতে…


হোটেলে পার্ক করে ভেতরে ঢুকেই টাস্কি খেলাম প্রচন্ড! এমন ধাক্কা খেলাম যে হাত থেকে ব্যাগটা পড়েই গেল! আস্তে করে উনি উঠে দাড়ালেন। হাতের ধুমায়িত কফির কাপটা টেবিলের কিনারে যতটুকু রাখলে উলটে পরবে না ঠিক ততটুকু রেখে এগিয়ে এলেন।

খুব ঘুরাঘুরি চলছে না? গম্ভীর গলায় বলল কণ্ঠস্বরটি। বাহ গাড়িও জুটিয়েছিস দেখছি!
হুম… কাচুমাচু কণ্ঠে জবাব দিলাম।
একবারো আমার কথা ভাবলি না! আমাকে ছাড়াই ট্রিপ দিতে বেরিয়ে গেলি!
আহ মামা! ছোটমামার দিকে এগিয়ে এলাম। তোমাকে জানানোর সময় কোথায় পেলাম আর! বাবা মা কি কান্ড করেছে সেটা আচ করেই তো ভো দৌড় দিলাম এখানে।
ছোটমামা হাসল। আরে তাদের কথা রাখ! তারা যাই বোঝে তাই করতে চায়! কিন্তু এভাবে না বলে তাদের এতটা ভয় দেখাবার কি ছিল!
ভয়? আমি তো উলটো গ্রামের যাবার ভয়ে পালালাম! কিন্তু মামা তুমি জানলে কি করে যে আমার এই হোটেলে রুম বুক করা? এখনো পুরো অবাক আমি!

আহ সেটা তো সহজ! তোর একটা লিকলিকে ভিতুর ডিম বন্ধু আছে না, নাম কি যেন তার? আশিক?
নাহ রাশিক। শুধরে দিলাম।
হ্যা ঐটা। ঐ ছেলেকে দেখলেই মনে হয় তার মাঝে কোন গরবর আছে। ভালোমত জিজ্ঞেস করলাম কিছুই বলে না, খালি কোৎ করে ঢোক গিলে। তারপর বাইক দিয়ে তাড়া করে তার কাছ থেকে খবর বের করলাম…

আমি অন্তঃস্বারশুণ্য হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মামা রাশিককে বাইক নিয়ে তাড়া করছে আর ব্যাচারা প্রাণপনে ছুটছে চিন্তা করতে পারছিলাম না। ব্যাচার জন্য খারাপ লাগল।

মামা প্লিজ, বাবা মা কে কিছু বলো না। কাতর হয়ে বললাম। একা থাকার জন্যেই এখানে এসেছি আমি…
একা? হাসির দমকে মামার বিশাল ভুড়ি কাপতে লাগল। পুরো হোটেলে প্রতিধ্বনি হলো তার সেই বিদঘুটে হাসি। তুই একা থাকবি নারে, আমিও তো তোর সাথে ঘুরবো! মাস্তি হবে খুব মামা ভাগ্নে মিলে। আবার হাসা শুরু করলো মামা। স্রাগ করে পা বাড়ালাম রুমটার দিকে।




সারাটা বিকেল গেল মামাকে খসাতে পারলাম না। তার ইষৎ রসবিহীন ফ্ল্যাট জোকস শুনতে শুনতে আমি পুরো হতাশ! কোথায় ভাবছিলাম একলা থাকবো… তা আর হলো কই! দুপুরের দিকে এক নাড়িকেল গাছের নিচে একটু উদাশ হয়ে বসে ছিলাম, ইপ্সিতার আদুরে চেহাড়াটা ভেসে উঠছে মনে, এমন সময় মুখের সামনে বিশাল ডাব বাড়িয়ে ধরল মামা।

নে ডাব খা! হেবি টেস্টি।
মামা যাও তো তুমি! ডাব খাবো না মাত্র না ভাত খেয়ে উঠলাম?
আরেহ দেখ কত মিষ্টি! খেয়ে দেখ! তখনো মুখের সামনে দেশি ডাব ধরা। অগ্যতা কি করা! অর্ধেক খেয়ে ছুড়ে ফেললাম পিছনে, ভাগ্য ভালো পিছনে কেউ ছিল না।


আচ্ছা মামা, তুমি ঢাকা থেকে এখানে চলে আসলে, আর আমি চট্রগ্রাম থেকেও তোমার আগে চলে আসতে পারলাম না! রাশিকের কাছে শুনেই দৌড় দিয়েছো তাহলে?

হ্যা, আমার এক পাইলট ফ্রেন্ড আছে, আফজাল। চিনিস তো তুই, ঐযে একদিন বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে তোদের বাসায় এসেছিল…

ও তাহলে সোজা কক্সবাজার প্লেন দিয়ে এসেছো। তাই তো বলি! বিড়বিড় করলাম। মামার আর তার পাইলট ফ্রেন্ডের গল্প শুনতে চাচ্ছিলাম না। কিভাবে খশানো যায় ভাবছি, এমন সময় সমাধানকে সামনে দেখতে পেলাম।

সামনে সমুদ্রের মাঝে এক বিদেশী কাপল নিজেদের ছবি তোলার জন্যে আশেপাশে তাকাচ্ছে। কেউ বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না। হাসিমুখে উঠে দাড়ালাম। মামার এই দুর্বলতা খুব ভালোভাবেই জানি! বিদেশি দেখলে মামার মাথা ঠিক থাকে না। যে করেই হোক তাদের সাথে আলাপ জমাতেই হবে!

Excuse me! Do you need any help? সামনে এগুলাম।
Yes thanks man! সামনে এগুলো হাস্ব্যোজ্বল ছেলেটা। Can you take a photo of us?
এইই সুযোগ! মামাকে ডেকে তুললাম। মামা দেখো উনারা ছবি তুলতে চাইছে! যাও একটু সাহায্য করো তো ওদের!
যা ভেবেছিলাম তাই! মামার সামনের পাটির দাত সব বেড় হয়ে গেল! তুই দাড়া! আমি দেখে আসছি ব্যাপারটা।
আমি মোটেও দাড়ালাম না! উলটা দিকে ঘুরে চম্পট দিলাম! দূর থেকে একবার দেখলাম মামা হাত নেড়ে কি যেন বুঝাচ্ছে তাদের।


সন্ধ্যা হয় হয় প্রায়। কিছু ভালো লাগছে না। একটানা বাতাসের শো শো শব্দ চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। উদাস মনে সামনে তাকিয়ে দেখছি, কিছুই মাথায় ঢুকছে না। ইপ্সিতা কি ভাবছে? এখানে পাশে থাকলে কতটা ভালো লাগতো…

ফোনটা বেজে উঠল। হাতে নিয়ে দেখি রাশিকের ফোন। দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে ফোনটা ধরলাম।
কিরে দোস্ত!

ওই পাশের উত্তেজিত গলা চেচিয়ে উঠল ভীষণভাবে। তোর সাথে আর কোন কথা নাই! তুই কক্সবাজারে গিয়ে মজাই কর! আর তোর গুন্ডা মামা আমাকে মেরে ফেলুক…
আরেহ, মেরেছে কোথায়? জাস্ট বাইক দিয়ে… কথা আটকে গেল আমার।
জাস্ট বাইক দিয়ে নাহ? চেচিয়ে উঠল রাশিক। সে বাইক দিয়ে তাড়া করে ডাস্টবিনে ফেলেছে আমাকে! তোর গুন্ডা মামা!

দৃশ্যটা কল্পণা করতে চাইলাম! রাশিক বাইকের তাড়া খেয়ে ডাস্টবিনে পরে আছে! ব্যাচারার জন্যে খারাপই লাগল। দেখ দোস্ত মামা তো অনেক চিন্তায় ছিল… মিনমিনে গলায় বললাম।

তাই বেটা আমারে মারতে আসছে না? তুই বিয়ার ভয়ে বাসা থেকে পালাবি আর মার খাবো আমি? তখনো বলে চলেছে রাশিক। আর আমাকে শাসিয়ে গেছে ঐ গুন্ডা! বলেছে চালের বস্তায় ভরে নাকি বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিয়ে আসবে…
রাশিক, বাধা দিলাম আমি। মামা তোর সাথে কথা বলতে চাইছে। জোর গলায় ডাকলাম মামা! এই নাও।

যা ভেবেছিলাম তাই, ফোন কেটে দিয়েছে। স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললাম। যাক… একটু একা থাকা যাবে এখন।


কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম বুঝতে পারি নি। চোখ ডলতে ডলতে উঠে প্রথমেই চোখে পড়ল দিগন্তের উকি দেয়া এক ফালি চাদের উপর। স্নিগ্ধ রুপালী আলো যেন পানিকেও রুপালী ফেনায় পরিণত করেছে। নিজের অজান্তেই মুখে একটা হাসি ফুটল। বড় একটা শ্বাঃস নিলাম। ফোন তুলে দেখি ১৫ টা মিসকল! মামা খুজছে তাহলে! থাক খুজুক!

আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কতক্ষণ জানি না। সম্মোহিত হয়ে আছি আমি। কি সুন্দর চারপাশ… নিরব নিস্তব্ধ। এমন জায়গায় অনুভূতিগুলো আরো তীব্রভাবে আসে। ভেতরটা অনেক ফাকা ফাকা লাগে…

আবারো ফোন আসলো। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। হ্যালো? বিরক্তির সাথে বললাম।
হ্যালো? কাপা কাপা একটা কণ্ঠস্বর শুনে তড়াক করে উঠে বসলাম। মায়াবী রিনিঝিনি এই কণ্ঠটা শোনার জন্যে মনে হয় যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করে চলেছি…

ইপ্সিতা? গলা কেপে উঠল আমার।
কেমন আছো রাসেল?
কেমন আছি? একটু ভাবলাম। আসলে নিজেও জানি না। তুমি?
এই তো! খানিকটা নিরবতা। আবার বলতে শুরু করল। কোথায় আছো তুমি? তার গলায় কিছুটা উৎকণ্ঠা।
হাসলাম আমি। আমি যেখানে আছি সেখান থেকে একফালি চাদ দেখা দিচ্ছে দিগন্তে। মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলছে আনমনে…
হেসে ফেলল সে। বাহ! তাই নাকি? পতেঙ্গার সমুদ্রের তীরে যেমন চাদটা দেখেছিলাম সেরকম?
না। সে চাদ অনেক বেশি সুন্দর ছিল। মন খারাপ করে বললাম। সেই চাদের পাশে তো তুমি ছিলে তাই।
দীর্ঘশ্বাঃস ফেলল ইপ্সিতা। কিছু বলছে না।
তুমি ঢাকায় চলে গিয়েছো?

না। কালকে সকালে যাবো। আজকের বাস আর পাই নি। তুমি কোথায়? কোথায় ঘুরছো একা একা? তার কণ্ঠে উৎকন্ঠা। আসলেই কি মেয়েটা এত কেয়ার করে? কোথায় আমি, কি করছি… আসলেই?

তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ইপ্সিতা। করুণ স্বরে বলে ফেললাম। একা একা আর ঘুরতে ইচ্ছে করে না… তুমি… তুমি কেমন আছো?

দীর্ঘশ্বাঃস শোনা গেল ওপাশে। অনেকক্ষণ পর জবাব আসল। ভালো নেই… কাপা কাপা স্বরে উত্তর দিল সে। কেন বুঝতে পারছি না আমি। অনেক অস্বস্থি লাগছে রাসেল… জানি না কেন। গলার স্বর কাপছে ইপ্সিতার।

যাই হোক! সামলে নিল সে। তুমি অনেক ভালো ছেলে রাসেল। তোমার মত মানুষ পাওয়া যায়না এখন। আবারো থ্যাংকস তোমাকে। অনেক বেশি থ্যাংকস আমার বিপদের সময় এতটা সাহায্য করবার জন্যে।

তাই ভাবো? অনেক ভালো মানুষ আছে এই দুনিয়ায়। এছাড়া তোমাকে কেন যেন সাহায্য করতে ইচ্ছে করল। কি কিউট তুমি… আনমনে হারিয়ে গেলাম তার কথার মাঝে। সত্যি করে বলো তো তুমি এত কিউট কেন?

হেসে উঠল ইপ্সিতা। যেন অন্ধকার মেঘের আড়ালে থেকে চাদটা বের হয়ে এল। আহা অনেক পাম মারা হচ্ছে না? কারণটা কি?

এভাবে কথা এগিয়ে গেল। অনেক অর্থহীন কথা… কিন্তু এর জন্যেই তো আমি অপেক্ষা করে ছিলাম সারাটিক্ষণ…

হঠাৎ তাগদা দিল ইপ্সিতা। শোনো, আমার বোন চলে এসেছে। ফোনটা তাকে দিয়ে দিতে হবে। ঠিক আছে তাহলে হুম?

তোমার সাথে কথা বলে ভালো লাগল ইপ্সিতা।
আমারো অনেক ভালো লেগেছে। উদাস কণ্ঠে বলল সে। আর্…
কি?

কিছু না রাসেল। ভালো থেকো। অনেক কষ্টে যেন নিজেকে সংযত রাখছে ইপ্সিতা। বাই তাহলে কেমন? অনেক ভালো থেকো। লাইনটা কেটে গেল।

লম্বা শ্বাস নিয়ে সামনে তাকালাম… তখনো একটানা ঢেওয়ের শোশো শব্দ শোনা যাচ্ছে। চাদটা এখনো মেঘের নিচে লুকোচুরি খেলছে। আবার শুয়ে শুয়ে চাদ তারা দেখতে থাকলাম আনমনে…
আগের পর্ব

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

রাফীদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভালো লেগেছে বলে ।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৮

আমি শঙ্খচিল বলেছেন: বিগত পোস্ট গুলির মত এইটাও ভাল হয়েছে , আগামী পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

রাফীদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.