নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
আদনানের ডায়েরী ১
আদনানের ডায়েরী ২আদনানের ডায়েরী ৩
দরজা খোলার খটমট আওয়াজে দুইভাই বোনের ঘুম ভাঙলো না । এখন রাত এগারোটা ।নিষ্পাপ বাচ্চাদুটো পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে । দৃশ্যটি অসম্ভব সুন্দর । এই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যকে রেজা সাহেবের কুৎসিত মনে হচ্ছে । মাথায় আগুন চড়িয়ে দিচ্ছে ।রেজা সাহেব কেন জানি এই বাচ্চা দুটিকে সহ্যই করতে পারেন না।আগে কত ভালোবাসা সোহাগ ছিল।কত রকমের সোহাগ আহ্লাদের সম্পর্ক ছিল।এখন তার ছিটেফোঁটাও নে।এখনতো তার কাছে বাচ্চা দুটোকে মনে হয় হাড়ে বজ্জাত। ওরা সবসময় ওদের মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলতো।মা ই যেন ওদের কাছে সব।খুব মায়ের ন্যাওটা ছিলো ।সেই তো মা ঠিকই তোদের রেখে উড়াল দিলো ।রাহেলা বেচে থাকাকালীন শেষের দিনগুলোতে তো তার কাছেই ভীড়তো না ছেলেমেয়ে দুটো।মা ,মা আর মা।ওদের মায়ের আত্নহত্যার পর তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ।অনেক মান অপমান সইতে হয়েছে ।জেলখাটার হাত থেকে সামান্যের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি।নিজের বাচ্চা না হলে কবেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন ! তাছাড়া বাড়িতে কাজের লোকও প্রয়োজন। থাক না থাক ।এই মনে করে রেখে দেওয়া । তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন তার নিজের চাকরিটাও গেছে ওদের মায়ের কারণে । অপয়া অলক্ষী একটা ।দুর হয়েছে ভালো হয়েছে । এখন এ দুটো দুর হলে তিনি বাঁচেন । আদনানের মামা গুলো হলো আরেক ছোটলোক ।ইতর শ্রেণির ।বাচ্চা দুটোর দায়ভার তারাও তো নিতে পারে ! কোন খোঁজ খবরই রাখে না। যত ঝামেলা তার ঘাড়ে ।ব্যবসাটা দাড়িয়ে গেলে আবার তিনি বিয়ে করবেন ।এভাবে তাঁর আর ভালো লাগছে না । আবার তিনি নতুন জীবন গড়বেন।সুখের জীবন। সীমা ইদানিং খুব তাড়া দিচ্ছে ।কিন্তু পথের কাটা তো এদুটো।কি করে যে নামাবে। রেজা সাহেব কোন কুল কিনারা পান না।সীমাকে হত ছাড়া করা যাবেনা ।সে বাবা ময়ের একমাত্র মেয়ে । তার বাবার প্রচুর টাকা। একেবারে সোনার ডিম পাড়া হাঁস যাকে বলে ।
-আদনান এই আদনান ।
দুভাইবোনই এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ।অনেক ধকল গেছে তাদের ওপর দিয়ে । হাজার ডাকাডাকিতে তাদের মনে হয় ঘুম ভাঙবে না। বাসা পুরোটাই এলোমেলো হয়ে আছে। থালা বাটি পরিষ্কারের ব্যাপার আছে।সব গোছগাছের ব্যাপার আছে ।ইসলাম সাহেব অবশ্য ঘর গেরস্হালী কাজ খুব একটা পারেন না ।এমনকি বিছানা তৈরি করা , মশারি টাঙানো সব আদনান করে ।আজ সে ঘুমোচ্ছে ।হঠাৎ করেই ইসলাম সাহেবের মাথায় রক্ত চড়ে গেল । তিনি ঘুমন্ত আদনানকে প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে পিটাতে লাগলেন ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আদনানের ঘুম ভেঙে গেল । এরকম পরিস্থিতিতে সে কোন দিনও পড়েনি ।পিতার অনেক নিষ্ঠুরতা সে দেখেছে । মাকে অকারণ মারধোরের দিন গুলোতে সে ছোট হলেও প্রতিবাদ করতো বলে , তাকে তার বাবা দুচোখে দেখতে পারে না সেটাও সে জানে । কিন্তু এখন কি কারণে এই শাস্তি সে ঠিক বুঝতে পারছেনা ।হঠাৎ বিড়ালের ইলিশ মাছ খাওয়ার কথা মনে হলো ।সে দ্রুত মার বাঁচাতে বলে উঠল............।
-মেরোনা ,মেরোনা বাবা ,আমি কিছু করিনি ।
-কিছু করিনি মানে কী ? কখন থেকে ডাকছি ।শুনতে পারিস না ।হারামজাদা কথা কানে যায়না ।
-আমি কিছু করিনি বাবা । আমি মাছের মাথা খাইনি ,বিশ্বাস করো ।তুমি বিশ্বাস করো।
হঠাৎ করে মাছের প্রসঙ্গ আসাতে রেজা সাহেবের মনে পড়ে গেল তাইতো খাবার সময় মাছের মাথাটা তো পাইনি তাহলে এই হাড় হারামজাদাই মাছ টাকে খেয়েছে আর এখন মিথ্যা বলছে । রাগ আরো চড়ে গেল তার ।তিনি জানোয়ারের মতো পিটাতে লাগলেন অসহায় বাচ্চাটিকে । মিতার ও ঘুম ভেঙে গেছে । সে বড় বড় চোখ করে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ভাইয়ের মার খাওয়া দেখতে লাগলো ।তার খুব জল তেষ্টা পাচ্ছে। ভয়ে সে ঢোঁক গিলতে ও পারছেনা।
পৃথিবীতে মানুষের অনেক আচরণই কুৎসিত। এজন্য মাঝে মাঝে পৃথিবীটাকে খারাপ মনে হয় ।আসলে পৃথিবীটা সুন্দর। মানুষের আচরণটাই খারাপ।এতে পৃথিবীর কোন দোষ নেই
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: আদনানের পিতার নাম রেজাউল ইসলাম । তার পরিচিত লোকজনেরা তাকে রেজা সাহেব বা ইসলাম সাহেব এই দু নামেই ডেকে থাকে । টাইপো আছে আমিও দেখেছি । আজ মাথাটা খুব ধরেছে । পরে ঠিক করছি ।
ধন্যবাদ
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আদনানের পিতার নাম রেজাউল ইসলাম, এসব বাখ্যা ম্যাখ্যা না দিয়ে, এক নামে রাখেন এই চরিত্রকে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১১
ইসিয়াক বলেছেন: ঠিক আছে । রেজা সাহেব ই রাখলাম। অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন ।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৩
আনমোনা বলেছেন: ভালোই চলছে।
দাড়ির আগে কি স্পেস দেয়? আমি ঠিক জানিনা। তবে দাড়ির পরে স্পেস দিলে ভালো হয়।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । টাইপো গুলো ঠিক করবো পরে । আজ কেন জানি ভালো লাগছে না।
ও হ্যাঁ পথের পর্বে আদনানের পড়ালেখার খোঁজ খবর থাকছে । সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
শুভসন্ধ্যা ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: পরে কিছু লাইনের যোগ বিয়োগের কারণে দাড়ির আগে স্পেস পড়ে গেছে । খেয়াল করিনি ।দুঃখিত
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়াজ দিয়ে গেলাম। পরে মন্তব্য করবো।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২১
ইসিয়াক বলেছেন: ইয়েস স্যার
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: তখন আমার ৭ বা ৮ বছর হবে।
সব ছেলেরা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছে। আমি খুব মন দিয়ে তাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখছি। আমার নাটাই নেই, কাজেই অন্যদের ঘুড়ি উড়ানো দেখেই আমার আনন্দ।
সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়, যখন কারো ঘুড়ি কেটে যায়। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই ঘুড়ির পেছনে ছুটি। সুতা কেটে যাওয়া ঘুড়িটাকে আমার ধরতেই হবে।
একদিন বিকেলে একটি ঘুড়ি কেটে দূরে জংলা মত একটা জায়গায় পেয়ারা গাছে ঝুলে ছিল। আমি পা টিপে টিপে খুব সাবধানে সেই পেয়ারা গাছের সামনে গিয়ে হাজির হই। পেয়ারা গাছটির পেছনে একটা দোতলা ভাঙ্গা বাড়ি।
ঘুড়ি ধরার জন্য পেয়ারা গাছে উঠতেই বাতাসে উড়ে উড়ে ঘুড়িটি মাটিতে পড়ল। ঠিক তখন দেখি, একটি খুব সুন্দর তরুনী মেয়ে মাদুর পেতে বসে আছে। তার মাথা ভর্তি চুল, দুই হাত ভর্তি কাঁচের চুরি। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। মেয়েটি একটু মিষ্টি হেসে বলল, এই বাবু, আসো কাছে আসো। তুমি কোন বাড়ির ছেলে?
হঠাত করে আমি খুব ভয় পেলাম। মাটি থেকে ঘুড়িটি তুলেই এক দৌড় দিলাম।
আজ বাংলামটর-এ এই মেয়েটিকে আমি দেখেছি। তার একটুও বয়স বাড়েনি। সেই আগের মতোই আছে। এক নজর দেখেই চিনে ফেলি। আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে বললাম, তুমি কেমন আছো? তারপর ...
৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২১
ইসিয়াক বলেছেন: তারপর কি হলো ..........।
আমার কিন্তু সত্যি সত্যি খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
আরে এটাই তো একটা গল্প লেখার প্লট।
বাহ। ভাবছি একটা কবিতা লিখবো কিনা ।
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: আসলেই পৃথিবীটা সুন্দর-
মানুষের ভালোমন্দ নিয়ে মানুষ আসে, যায়; পৃথিবীর কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হয় না।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২২
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভসকাল
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বর্ণনা সুন্দর। সেটিংএ একটু ত্রুটি থাকলেও কেটে যাবে যদি বার কয়েক পড়ে পোস্টটি করেন। ভাল থাকবেন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২১
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাই ।
কেমন আছেন?
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: (সীমাকে 'হাত' ছাড়া করা যাবে না)
নিষ্ঠুর গল্প। এমন বাবাও এই দুনিয়াতে আছে!
গল্পটা শেষ নাকি?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫০
ইসিয়াক বলেছেন: গল্পটা অনেক দুর যাবে ।সময় করে লিখবো............।এর পরে আরো পর্ব দিয়েছি তো।কখনো কখনো জীবন ,গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
পৃথিবীতে এমন অনেক নিষ্ঠুর বাবা আছে। হয়তো প্রকাশিত হয়না মুখোশের আড়ালে ।
ধন্যবাদ
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আরো পর্ব দিয়েছেন। তাহলে নিশ্চয়ই শিরোনাম বদলে দিয়েছেন?!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: জেবা ম্যাম ও তার পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী
লিঙ্ক দিয়ে দিলাম
১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
ল বলেছেন: পৃথিবীটা সুন্দর- যদি গড়তে পারি তেমন করে ............।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: ফেবুতে আসুন ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০০
ইসিয়াক বলেছেন: ভালোবাসায় মোড়ানো মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত ।
মুগ্ধতা প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১-কখনো রেজা সাহেব কখন ইসলাম সাহেব-এক ব্যক্তির দুটি নাম ব্যবহারের কারণটি পরিষ্কার হলো না।
২-বেশ কিছু জায়গায় টাইপো আছে।আজ টাইপোর কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছে।
৩- শেষের দিকটা কিছুটা ঠিক হলেও প্রথম থেকে সাবলীলতার বেশ অভাব পেলাম।
শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।