নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
স্নিগ্ধ প্রেমময় দিনগুলোর শুরুতেই
জ্বলে উঠেছিলো আগুন।
শহর গঞ্জ গ্রাম ফসলের মাঠ সারি সারি দোকান বাজার স্কুল মসজিদ মন্দির..
যা কিছু পড়েছিল হায়েনাদের সামনে
নিষ্ঠুর আক্রোশে পুড়েছিলো সব একে একে।
নির্মমতায় এক থেকে আশি কেউ পড়েনি বাদ।
প্রতি ঘন্টায় শত মায়ের কোল খালি হয়েছিল
অচিন্তনীয় খিপ্রতায়।
ধ্বংসের তীব্রতায় মলিন হাজার বছরের সভ্যতা
ধ্বংস হচ্ছিলো ইতিহাস সংস্কৃতি অতীত ঐতিহ্য নিমেষেই।
রক্ত গঙ্গা প্রতিরোধে
বর্বর হানাদারদের রুখে দিতে
"মা আসছি" বলেও কত খোকা হারিয়ে গেল কালচক্রে,
কে তার সঠিক হিসাব জানে?
ঢেঁকির পাড়ে ব্যস্ত সখিনার রক্তে ভিজেছিল মা অন্নপূর্ণা
বানুবিবির চূলার জলন্ত আগুন আক্রমণের তীব্রতা সইতে না পেরে লজ্জায় গিয়েছিল কুকড়ে
হায়েনাদের আগুনে তখন পুড়ছিল বকুলপুর গ্রাম
আমার মা!
আমার মাটি!!
আমার দেশ!!
সমগ্র দেশটা চোখের নিমেষে হয়ে গেল বোধ্যভূমি
হায়রে আশরাফুল মাখলুকাত!
রক্তের বিছানায় ভাসে পরিচয়হীন অজস্র বিকৃত খণ্ডিত লাশ।
প্রিয়তমা প্রেয়সী দীপালি আমার
সেই মহা তান্ডবে ছিটকে গিয়েছিল অচানক
তারপর এতটা বছর বাদেও তাকে আর পাওয়া গেল না কোথাও।
স্বপ্ন ভাঙ্গে স্বপ্ন গড়ে
এ পৃথিবী কারও জন্য অপেক্ষা করে না
দীপালির সব চিহ্ন মিলিয়ে গেছে মহাকালের অতলে।
তবু কখনো কখনো মনে পড়ে দীপুকে
মনে পড়ে স্বাধীনতার মাস এলে
মনে পড়ে বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানে
মনে পড়ে প্রতিদিনের পতাকার উড্ডয়নকালে।
প্রিয়তমা জেনে রাখো তুমি নও অভাগীনি
তুমি এক মহান বীর কন্যা
দেশের জন্য লক্ষ নারী আত্নত্যাগকারীনিদের একজন।
এক মহান বীরাঙ্গনা ।
তোমাকে সশ্রদ্ধ সালাম।
না থাকুক ইতিহাসে অথবা ফলকে তোমার নাম
না থাকুক লোকমুখে গল্প গাঁথায়
তুমি ও তোমরা আছো এদেশের মুক্তবাতাসে
ফসলের মাঠে
নদীর ঢেউএ
ফুল পাখি লতাগুল্মের প্রতিটি সুক্ষ্ন কণায়
এবং অবশ্যই আমার অন্তরের অন্তস্থলে।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা আপনার ব্লগে মন্তব্য করার স্বাধীনতা চাই।