| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ছোটদের আসরে
- রবীন্দ্র বাংলা 
গরীব চাষী:- রীনা মন্ডল (কলা বিভাগ, একাদশ শ্রেণি) 
গরীব চাষী চাষ করে 
ফসল পায় অন্যে--- 
সারা জীবন খেটে মরে 
সুখের পিছন হন্যে। 
ভাগ্যের চাকা এগোয় না 
কেবল পিছন ধায়--- 
দুঃখ দিয়ে জীবন গড়া 
চোখের জল সহায়। 
গ্রাম ও শহর:- তুহিন রায় (সপ্তম শ্রেণি) 
নীল আকাশে পাখি উড়ছে 
কিষানরা সব ধান কাটছে। 
বকের ভয়ে মাছ পালাচ্ছে 
পুলিশের ভয়ে চোর পালাচ্ছে। 
শহরে সব বড় লোকেরা 
গুনছে অনেক টাকা--- 
গ্রামের মানুষ দিন গুনছে 
জীবনটা তার ফাঁকা।। 
আকাশ ও পাখি: সমীরণ মন্ডল (সপ্তম শ্রেণি) 
দূর আকাশে পাখিরা সব 
ওড়ে হাওয়ায় হাওয়ায়— 
সাঁঝের বেলা সবাই দেখি 
ফেরে নিজের বাসায়। 
বাসায় ছিল ছোট্ট পাখি 
ডাকছে কিচিমিচি— 
আমরা ভাবি পাখির বাচ্চা 
ডাকছে মিছিমিছি। 
মা এসেছে ঘরে ফিরে 
তাইতো খুশি এমন— 
আমরা কি আর অত বুঝি— 
ভাবি যেমন তেমন।। 
ঘোরা-ফেরা:-মিঠুন সমাদ্দার (সপ্তম শ্রেণি) 
আমার সাথে ঘুরতে গেল তুহিন,আশাদুল 
ভাবছি মনে এই বয়সে করছি কি না ভুল। 
নদীর ঘাটে বাঁধা ছিল ছোট্ট ডিঙিখানি 
তুহিন বলল: ‘দু’জন মিলে ধরতো দেখি টানি’ 
বাঁধন ছিঁড়ে ডিঙি যখন চললো হেলেদুলে— 
পাই না ভেবে কেমন ক’রে বাঁধন গেল খুলে! 
স্রোতের টানে এগিয়ে চলে আমরা ভয়ে মরি— 
মনে মনে ডাকছি শুধু 'বাঁচাও এবার হরি'! 
লাফিয়ে,ঝাঁপিয়ে,সাঁতার কেটে নদীর কূলে এসে 
আশাদুল বললে আমায় একটু মুচকি হেসে। 
আমরা এখন অনেক ছোট, বুদ্ধি অনেক খাটো 
আমি বললাম,আর বকো না, সোজা পথেই হাঁটো। 
বাড়ি ফিরেই মায়ের বকা অনেক খেতেই হ’ল— 
ইচ্ছা ছিল অনেক সে তো মনেই রয়ে গেল।।
©somewhere in net ltd.