| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ছোটদের আসর
রবীন্দ্র বাংলা বিদ্যালয় 
পোর্টব্লেয়ার,দক্ষিণ আন্দামান,ভারত। 
(সম্পাদনা: রইসউদ্দিন গায়েন,সঙ্গীত-শিক্ষক,রবীন্দ্র বাংলা বিদ্যালয়,পোর্টব্লেয়ার,দ:আন্দামান,ভারত।) 
স্বজনহারা / পূজা বিশ্বাস,নবম শ্রেণি 
আমার নাম ‘তারা’ 
আমি স্বজনহারা-- 
সবাই নাকি বলে আমায় 
থাকি আপনহারা! 
রবি-মামার বিদায় শেষে, 
সন্ধ্যারানী ডাকে এসে, 
আমি তখন দূর আকাশে দেখি-- 
আমার মতো লক্ষ তারা, 
মিটি-মিটি দেখছে কা’রা, 
আমার মতো স্বজনহারা একি! 
দূর আকাশে সবাই আছে, 
কিন্তু আসে না তো কাছে, 
বিশ্বভূবন একি লীলায় ভরা! 
সবুজ-সোনা মাটির বুকে 
আছে কতো সোহাগ-সুখে 
আমরা কেন এমন স্বজনহারা? 
স্বপ্ন ছিল / তানিয়া পারভিন ও সাবিনা খাতুন(একাদশ শ্রেণি) 
যাঁদের জন্য হলাম স্বাধীন, 
ভুলবো না ভাই, তাঁদের এ ঋণ, 
দেশের জন্য জীবন দিলেন যাঁরা। 
মা-ভাই-বোন,আর প্রিয়জন, 
কোথায় গেল বন্ধু-স্বজন, 
ফাঁসির মঞ্চে হারালো প্রাণ তাঁরা! 
এমন উদার সোনার দেশে, 
অত্যাচারী ব্রিটিশ এসে, 
মারলো চাবুক, বাঁধলো শিকল পায়ে--- 
মায়ের কতো সুবোধ ছেলে, 
মরলো শুধু খেটেই জেলে, 
পায়নি মুক্তি স্বাধীনতার দায়ে। 
সেল্যুলার জেল তারই প্রমাণ, 
আজও দেখি জালিম্-নিশান, 
সেই ফাঁসিঘর,ঘানি ঠেলার খেলা। 
হায় রে পাষাণ অন্ধ-কারা, 
দেখেছিস কি অশ্রুধারা, 
যায় বয়ে যায় স্বাধীনতার বেলা। 
ছোট্ট সেলেই বন্দী রাখা, 
দিনে-রাতে একাই থাকা, 
ক্ষিধের জন্য শুধু নোংরা খাবার। 
রুগ্ন-রুক্ষ শরীর নিয়ে, 
মনের মাঝে দীপ জালিয়ে, 
স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতা পাবার!! 
জলপান / স্নেহা মজুমদার,অষ্টম শ্রেণি 
জলপান সবচেয়ে বেশি দরকার-- 
পিউরিটি বানিয়েছে তাই সরকার। 
পাড়াগাঁয়ে মানুষরা যে জল খায় 
জীবানুরা থাকে তাতে,পেটে ঢুকে যায়। 
পানা-পুকুরের থেকে একঘটি জল 
ফুঁ দিয়ে ওঝা বলে, পাবি ভাল ফল। 
‘তিনদিন খেলে তবে রোগ সেরে যাবে— 
তিন টাকা দাও দেখি,যা হয় তা হবে’। 
কলেরায় ভুগে যেই, গেল প্রাণ-তরী--- 
ওঝা বলে-- ‘বলো তবে, ‘হরি বোল হরি’!! 
রূপেগুণে / মিনতি মন্ডল,অষ্টম শ্রেণি 
রূপে তুমি লক্ষ্মী আর জ্ঞানে সরস্বতী--- 
কেমন ক’রে হ’লে তুমি, এমন কোমল-মতি।। 
বিদ্যাগুণে সবার প্রিয়, রূপে আরও প্রিয় 
যদি পারো একটুকু রূপ,আমায় তুমি দিও। 
বাণী দিও বিদ্যাগুণে, ছন্দজ্ঞান শেখাও--- 
কবি হতে চাই যে আমি, সরল পথ দেখাও। 
সবার আশীর্বাণী পাব,সবার ভালবাসা— 
এইটুকু মোর চাওয়া শুধু,এইটুকু মোর আশা!!
ছোটদের কথা
- রবীন্দ্র বাংলা 
পড়ার সময়: মুন্নি খাতুন 
রবিবারটা খেলার জন্য 
পড়ার জন্য নয়--- 
সোমবারে পড়লে পরে 
মাথাব্যথা হয়! 
মঙ্গলবারে পড়তে বসলে 
অমঙ্গল হয়.... 
বুধবারে পড়লে পড়ে 
বুদ্ধি খরচ হয়। 
বৃহস্পতিবার এলে আবার 
ক্রিকেট দেখার ঝোঁক-- 
শুক্রবারে খুব বেশি হয় 
নাটক দেখার সখ। 
শনিবারটা এসে গেলে 
সিনেমাতে যাই--- 
বলতে পারো কখন আমরা 
পড়ার সময় পাই?? 
ছুটির নোটিশ: নিবেদিতা মিস্ত্রি 
ক্লাসে ঢোকেন গায়েন স্যার 
হাতে নিয়ে চক-ডাস্টার-- 
আমাদের প্রিয় তিনি, 
বাংলার টিচার। 
একে একে নাম ডাকেন 
এক,দুই,তিন.... 
বাংলা প’ড়ে ভাবি এবার 
আসবে ছুটির দিন। 
মনের মাঝে তখন যেন 
উঠলো খুশির ঝড়--- 
ছুটির দিনে খেলবো এবার 
গড়বো পুতুল ঘর! 
এমন সময় বিধান বাবু 
ঢুকে পড়েন ক্লাসে-- 
হাতে একটা ফাইল নিয়ে 
একটু মুচকি হেসে! 
পুজোর ছুটির নোটিশ ভেবে 
মাতি আনন্দেতে। 
টিচার বলেন রুটিন লেখো 
পরীক্ষা আশ্বিনেতে।।
©somewhere in net ltd.