নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পোর্টব্লেয়ার শহরে এসে আলাপ হ’ল আব্দুল মান্নানের সঙ্গে।‘সেন্ট্রাল হোমিওপ্যাথি রিসার্চ ইউনিট’-এ টাইপিস্টের কাজ করতো।পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় বাড়ি।কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আন্দামানে আসা।খুব অল্প দিনে বন্ধুত্ব গ’ড়ে উঠলো।গরমের দু’মাস(মে,জুন)সরকারি,বে-সরকারি সব স্কুল ছুটি।শিক্ষক,ছাত্র,মুখ্যভূমি থেকে কর্মসূত্রে আসা সবার এখন স্বজনভূমি অভিমুখে যাত্রা।ফিরতে পারব না শুধু আমি!চাকরী করার পয়সা তো সেই পাহাড়ি গ্রামের মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য খরচ ক’রে ফেলেছি।তা’ছাড়া কোথায় বা যাবার আছে?যেখানেই যাবো,স্মৃতি বিজড়িত এক নিবিড় শূন্যতার মাঝে সময় কাটাতে হবে।এসব ভেবে আর যাওয়া হ’লনা।সুখ-দুঃখের নানা কথা আলোচনা হ’ত মান্নান ভায়ের সাথে।একদিন কথায় কথায় আমার আন্দামানে আসার রোমাঞ্চকর কাহিনী শোনাতে হ’ল।আন্দামানে আসার নেপথ্যে আমার সেই না বলা অন্য এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠকের উদ্দেশে তুলে ধরলাম:--একটা কল্পলোকের স্বপ্ন তখন আমার মনে!কিন্তু তখনও ভাবিনি যে কল্পনা আর বাস্তব এ দুটোর সংঘাত চিরকালের।সত্যিই একদিন কল্পনার জগৎ ফেলে কঠিন বাস্তবকে মেনে নিতে হ’ল।
আর্থিক দূরাবস্থার কারণে,আমার এক ভাইপো(আব্দুর রউফ)-কে লেখাপড়া ছাড়িয়ে কোলকাতার সন্তোষপুরে দর্জির কাজে পাঠিয়ে দেওয়া হ’ল।আর আমাকে পাঠানো হ’ল কলকাতায় এক কন্ট্রাক্টরের অফিসে হিসেব-নিকেশ করার কাজে।কন্ট্রাক্টরের অধীনে অনেক রাজমিস্ত্রি,ছুতোর মিস্ত্রি,রঙের মিস্ত্রি কাজ করতো।দিনের বেলায় মিস্ত্রিদের কাজকর্ম দেখা,সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত,অফিসের কাজ।তারপর বাসায় ফেরা।হোটেলে রাতের খাওয়া সেরে বিছানায় যেতে রাত দশটা বেজে যেত।এক মাস কাটতে না কাটতেই মন টানলো বাড়ির দিকে।বাড়ির কথা মনে পড়লে আর কিছু ভালো লাগতনা।শহরের যান্ত্রিক-জীবনে আমার মন বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল।তাই আর দেরি না ক’রে,এক রবিবার সকালে ধর্মতলা থেকে ডায়মন্ডহারবারের বাসে চ’ড়ে,আবার সেখান থেকে লোকাল বাসে বাড়ি ফেরা।ডায়মন্ডহারবারে এসে শোনা গেল,কোনো এক রাজনৈতিক গোলযোগের জন্য স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ।এদিকে আমার খিদেয় পেট জ্বলছে!পায়ে হেঁটে ফেরিঘাটের দিকে চললাম।এখান থেকে ছোট ছোট খেয়ানৌকো,লঞ্চ ইত্যাদি নতুন শহর হলদিয়া অভিমুখে যায়।কিন্তু আমার বাড়ি ফেরার কোনো ফেরিঘাট-ফেরিবোট নেই!এক টাকার মুড়ি-ছোলা খেয়ে পেট ভরলনা।নদীর ধারে বসে ওপারের ভেসে যাওয়া পালতোলা নৌকোগুলো দেখছি।জেলেডিঙিগুলো দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি।দেখতে দেখতে হঠাৎ পাকা রাস্তার দিকে হৈ হৈ শব্দ,চিৎকার-চেঁচামেচি--`বাস চলছে,বাস চলছে’ ব’লে।ফৌজদারি আদালতের সামনে থেকে অনেক কষ্টে বাসে চেপে পোলের হাট,সেখান থেকে পায়ে চালানো ভ্যান গাড়িতে বসে আমাদের বাড়ির কাছে এসে নামলাম।পথের পাশে বুড়ো বট গাছ,বাঁশগাছ ছেড়ে তাল,নারকেল গাছের পাতায় পাতায় তখন সূর্যাস্তের রঙিন আলপনা!গোধুলির শেষ রঙের খেলা! ছেঁড়া হাফ-প্যান্ট পরা নুরো মিঞার ছেলেটা গোরুর পাল নিয়ে বাড়ি ফিরছে।একটা সাদা বাছুর তার মাকে ছেড়ে এক দৌড়ে সবার সামনে যাচ্ছে,আবার দ্রুতগতিতে মায়ের কাছে ফিরে আসছে।একটু পরে মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসলো সান্ধ্য-আজানের মধুর ধ্বণি!অদূরে পাথরবেড়িয়ার মন্দিরে বেজে উঠলো শঙ্খ,কাঁসর ঘন্টা!পাখিদের বাসায় তখন কলকাকলি!ঘরে ঘরে জ্বলে উঠলো মৃদু আলোর দীপশিখা।
মগরিবের নামাজ সেরে মা বাড়ির ছেলেমেয়েদের হৈ হৈ রৈ রৈ শব্দ শুনে জানতে চাইলেন কি হ’ল(?)।মা ভাবতেই পারেনি যে বাড়ির ছেলে বাড়িতে এলে বাড়ির ছেলে- মেয়েরা এত আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠতে পারে!মা সেদিন বোধ হয় বুঝতে পেরেছিল যে আমার শূন্যতা অন্য কিছু দিয়ে পূরণ হবার নয়।মা আমাকে ধ’রে কেঁদে কেঁদে বললো,”তুই আর এ বাড়ি ছেড়ে যাসনে খোকা!”...কিন্তু নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস!আবার আমার জীবনের সাথী হয়ে এল আর এক দুঃসময়!
এতদিনে ভাইপো রউফ নাকি দর্জির কাজ শিখে ভালো টাকা-পয়সা রোজগার করছে।ওর আব্বা খুব খুশি।আমার মাকে বুঝিয়ে বললে,”রইসুদ্দিনকে দর্জির কাজ শেখাও,ভবিষ্যতে ভালো রোজগার হবে।“ মা-র মন না চাইলেও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাতেই রাজি হ’তে হ’ল।অগত্যা সন্তোষপুর অভিমুখে যাত্রা।দু’একমাসে কিছুটা শেখা হ’ল।বুধবার সাপ্তাহিক ছুটির অবসরে,সন্তোষপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতাম।স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা ছেলেমেয়েদের দেখে মন খারাপ হয়ে যেত।মাধ্যমিক(দশম শ্রেণী) পাশ করার পর আর লেখাপড়া না করতে পারার দুঃখ তখন বার বার মোচড় দিয়ে উঠতো হৃদয়ের গভীরে!একদিন রউফকে ব’লে ফেললাম আমার মানসিক কষ্টের কথা।ভাইপো আমার কথায় একটু ভেবে বললে,”তুমি কোনো বাড়িতে গৃহশিক্ষকের কাজ ক’রে তোমার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারো”।
ভাইপোর প্রচেষ্টায় পেয়ে গেলাম গৃহশিক্ষকের কাজ,দর্জিপাড়ার এক ওস্তাগরের বাড়িতে।লেখাপড়ার জন্য আলাদা কোনও ঘর ছিলনা;দর্জিদের কাজের কারখানার একপাশে মাদুর পেতে পড়াতে হ’ত।রাত ১১টা বা ১২টার পরে কারখানার কাজ শেষ হ’লে ঘুমোতে পারতাম।বিকেলে কায়স্থ পাড়ার দুজন ছাত্রকে পড়াতাম।এভাবে তিনমাসের জমা করা ১৩০ টাকা নিয়ে রবীন্দ্র নগর,রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠে একাদশ শ্রেণীর বানিজ্যবিভাগে(হিসাবশাস্ত্র,ব্যবসায় সংগঠন,অর্থনৈতিক ভূগোল,অর্থশাস্ত্র ইংরেজি,বাংলা)ভর্তি হলাম।খুব ভালো পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়ত।আমি ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যে অপেক্ষাকৃত ভালো ছাত্র ছিলাম বলেই,শিক্ষকরা যেমন স্নেহ করতেন,সহপাঠী বন্ধুরা তেমনি ভালোবাসতো।কিছুদিন পরে কি খেয়াল হ’ল গান শিখব।যেমন ভাবা তেমনি কাজ।কাছাকাছি পেয়ে গেলাম একজন গানের শিক্ষক(শ্রী নিরঞ্জন প্রামানিক)।গরীব হলেও মনটা ভালো।তাঁর ছোট ছেলে ভোলাকে পড়াতাম ব’লে আমার কাছ থেকে গুরুদক্ষিণা নিতেননা।তিনি তাঁর ছেলের মতোই আমাকে ভালোবাসতেন।অল্প সময়ে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ১০টি ঠাট(মূল রাগ)সম্বন্ধে ধারণা, প্রাচীনকালে কথিত ৬ রাগ ৩৬ রাগিণীর পরিচয়,রাগ-রাগিণীর নাম-বিবর্তন, কর্ণাটি সঙ্গীত ও হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি শেখা হ’ল। তাছাড়া রাগপ্রধান,রবীন্দ্রসঙ্গীত,নজরুলগীতি প্রভৃতির গায়নশৈলীর সাথেও নিবিড় সম্পর্ক গ’ড়ে উঠল।লেখাপড়ার সাথে সঙ্গীতবিদ্যার সংযোজনে আমি যেন এক নতুন জীবন পেলাম।আমার স্কুলের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুল গীতি গেয়ে সকলের প্রশংসা অর্জন করেছিলাম। শিক্ষক দিবসে(৫-ই সেপ্টেম্বর)স্বরচিত কবিতায় সুরারোপ ক’রে শোনানোর জন্য বাঙলা সাহিত্যের এবং দর্শন বিভাগের দুজন শিক্ষকমহাশয় আমাকে প্রাণভ’রে আশীর্বাদ করেছিলেন এই ব’লে:”সাহিত্য ও সঙ্গীতময় জীবনে তুমি প্রতিষ্ঠিত হও!” তাঁদের আশীর্বচন বুঝি সত্যি হ’ল।পরবর্তী জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও সঙ্গীতবিদ্যায় উচ্চ(এম.মিউজ) শিক্ষালাভ করতে পেরেছিলাম; সে আর এক ইতিহাস।...
সন্তোষপুর গভঃ কলোনী(মোল্লার গেট)-তে আমার বেশ কয়েকজন সহৃদয় সহপাঠী বন্ধুরা থাকতো।হিসাবশাস্ত্র নিয়ে হিসাব-বেহিসাবের চর্চার মাঝে গান-বাজনা,আবৃত্তি নাটকের মহড়া চলতো।ধীরে ধীরে বন্ধুসংখ্যা বেড়েই চললো।
কলোনীর পাশে আমার বাসাবাড়ি।ওয়াসেল মোল্লার বাড়ি পেরিয়ে বড় পুকুরের পাড় দিয়ে কলোনী যাবার পথে একটা বাড়ির ভিতর থেকে একটি মেয়ের কন্ঠ ভেসে আসছে।থমকে দাঁড়িয়ে গান শুনছি।ভারি মিষ্টি গলা!বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক(শ্রী হরেন্দ্র নাথ খরাতি) আমাকে ডেকে বসতে ব’লে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন।প্রত্যুত্তরে আমি কিছু বলার আগেই অমিত নামে পাশের বাড়ির ছেলে জোর গলায় বললো: ‘সে কি!চেনেননা?আমাদের রইস দা’—খুব সুন্দর গান গায়!’আমি অমিতকে চোখ ইশারায় থামিয়ে দিয়ে,ভদ্রলোককে অনুরোধ করলাম মেয়েটির কন্ঠে আরও গান শোনার জন্য।ভদ্রলোক খুব খুশি হ’য়ে মেয়েকে গান গাইতে বললেন। বাবার আদেশে মেয়েটি(কুমারী জয়া খরাতি) স্বরলিপি সহযোগে গান শোনালো,গানের বাণী ছিল:’মুরলী বাজালো কে আজি বৃন্দাবনে’।আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগে ভদ্রলোক বললেন:ভালো মাস্টার পাইলে মাইয়েডারে হয়তো আরও ভালো কইরা শিখাইতে পারতাম।ভাবছি এই দুই মাসের লগে কোনো মাস্টার পাইলে ...,কথা শেষ না ক’রেই বললেন,আমার দুই পোলা,এক মাইয়া সব আন্দামানে থাহে,দুই মাস এহানে থাহে।আন্দামানের কথা বলতেই আমার মনটা কেমন ক’রে উঠল!হারানো দিনের সেই ইচ্ছেটা হঠাৎ যেন জেগে উঠে আমায় প্রশ্ন করে:`কি গো রইসুদ্দিন!ভাবনা কিসের?এবার পাড়ি জমাও তোমার রূপকথার দেশে’!...আবেগ আর বিহ্বলতা চেপে রেখে, আমি প্রথমেই ভদ্রলোকের অনুমতি নিয়ে একটা গান শোনালাম।‘কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আসো’। গান শোনার পর বাড়ির সবাই এত ভালো ব্যবহার করতে লাগলেন যে আমার মনেই হচ্ছিলনা যে এঁরা আমার আপন বলতে কেউ নন্!এরপর দীর্ঘ সময় ধ’রে নানা কথার মাঝে তাঁরা আমাকে আন্দামানে বেড়াতে যাবার কথা বললেন। ঠিক হয়ে গেল,তাঁরা আমাকে যাবার সব ব্যবস্থা ক’রে দেবেন। এ যেন ‘মেঘ না চাইতে জল’!রূপকথার দেশ, আন্দামানের স্বপ্নবিলাস তখন আমাকে পেয়ে বসেছে।কখন আসবে সে দিন,সেই প্রতীক্ষায় দিন আর কাটেনা।ইতিমধ্যে বন্ধুমহলে বিষাদের ছায়া!তারা কিভাবে জানতে পেরেছে যে আমি আন্দামানে যাচ্ছি।দীপক,পার্থ,মলয়,বিজন,অরূপ,অনুপ,বীথিকা,সুমিতা,মণিমালার কর্ণকুহর পেরিয়ে আমার সহপাঠী প্রশান্ত-র দাদা সুশান্ত কুমার দিন্ডার(হিসাব শাস্ত্রের অধ্যাপক)কানে পৌঁছতে আমার ডাক পড়লো।‘কি গো রইসুদ্দিন—তুমি নাকি আন্দামানে যাচ্ছ?তুমি কি জানো ওখানকার মেয়ে বিয়ে না করলে চাকরী হয়না?...তাই এমন ভুল করোনা।’ আমি বিনম্রতার সাথে বললাম:’না,স্যার! আমি তো শুধু বেড়াতেই যাচ্ছি।তা’ছাড়া এই সামান্য শিক্ষাগত যোগ্যতায় কে বা চাকরী দেবে?এবার তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন: ‘তাই যেন হয়,তাড়াতাড়ি ফিরে এসো কিন্তু।এম্.কম্. পাশ করার পর বি.এড্/এম্.এড্ ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়ে তারপর যেখানে খুশি যেও’; তোমার ওই গান-বাজনা আর সাহিত্য-টাহিত্য দিয়ে কিছু হবেনা,বুঝলে?’ আমি মনে মনে ভাবছি বানিজ্যিক বিষয়ের প্রতি আগ্রহ না থাকায়, আমি কোনো রকম টেনেটুনে (মাত্র ৪৮.২% নম্বর)দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম;আর শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু কিনা উপদেশ দিচ্ছেন ‘মাস্টার অফ্ কমার্স্’ পাশ করার কথা?
আমাকে একটু নীরব থাকতে দেখে,স্যার বললেন: “ভাবছ কি? বুঝেছি,বুঝেছি; মন স্থির করে ফেলেছ,দ্বীপান্তরে তুমি যাবেই!বেশ,যাচ্ছ যাও-- তবে মনে রেখো:- জীবনটাকে নিয়ে ছেলেখেলা করোনা।আর শোনো—খুব সাবধানে থেকো,জারোয়া,ওঙ্গী,সেন্টিনালিজ প্রভৃতি আদিম জনজাতির উপদ্রব আজও আছে,মানুষ দেখলেই তীর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে।ওদের বিশ্বাস-- সভ্য মানুষ তাদের চির শত্রু”।
সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে বাসায় ফিরলাম।আদিম জনজাতিদের কথা শুনে একটু ভয় হয়েছিল,কিন্তু পরে জয়া খরাতির বাবার মুখে আন্দামান-বুত্তান্ত শুনে, মনে একটু সাহস সঞ্চার হ’ল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আন্দামানে আসার পর যে আশ্রয়দাতা, মুখ্যভূমির পরিচিত ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছিলাম,তিনি ছিলেন এই জয়ার বাবা হরেন্দ্রনাথ খরাতি।...(চলবে)
২| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: প্রিয় পাঠক-বন্ধু বিজন রয়,
ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য! আপনি প্রথম পর্ব থেকে পড়েছেন কিনা জানিনা। স্মৃতির পথে ফেলে আসা এ দুটি আমার গ্রাম্য পরিবেশের চিত্র।
(গ্রাম-গায়েনপাড়া চুনফুলি,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পশ্চিম বঙ্গ) । আপনি দেখবেন প্রথম পর্বে ও দ্বিতীয় পর্বে যে ছবি দেওয়া আছে, তা আন্দামানেরই। আশা করি, এখন আপনার আর কোনো সংশয় থাকবে না। এর পর থেকে বেশির ভাগই আন্দামানের ছবি থাকবে। মাঝে মাঝে মুখ্য-ভূমির সাথে সম্পর্কিত ছবিও থাকবে। তবে বাংলাদেশের ছবি এখানে নেই।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: গায়েন রইসউ্দ্দিন সাহেব আমার আন্তরিক সালাম নেবেন। আপনার পুরোনো অ্যাকউন্ট উদ্ধার করতে না পারাটা আমার জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। আমি কিছুটা নতুন, তাই আপনার খবর জানতামনা। এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম এবং প্রথম দর্শনেই প্রেম নিশ্চিত। আপনার পুরোনো সব লেখাই এখানে পোস্ট করবেন বা লিংক জানাবেন। ভাল থাকুন।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: সালাম গায়েন ভাই। আমি তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম আন্দামানের পরবর্তী পর্বের জন্য। আর লেখেন নি, নাকি পোস্ট করতে সময় পাচ্ছেন না? আরও জানিয়ে রাখি আমার স্ত্রীও আপনার কাহিনী খুউব পছন্দ করেছেন।
আর হ্যাঁ, এই আন্দামানের কাহিনী বই আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে তো? অবশ্যই যেন রাখবেন। খুবই আকর্ষণীয় বই হবে আশা করি, বিশেষভাবে যদি কেউ একই বিষয়বস্তু নিয়ে আগে না লিখে থাকেন। লিখে থাকলেও আপনারটা আরও ভাল হতে পারে। আপনার বর্ণনাভঙ্গি এবং ভাষার শৈলী দুটোই সুন্দর, সর্বোপরী আপনার অনুভব করার মতো মন আছে, যেটি চেষ্টা করে তৈরী করা যায় না। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় লেখক, পাঠক-বন্ধু -- অনেক ভালো মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। আপনার এই প্রেরণাদায়ক মন্তব্য, আমার অনেক পাওয়া! এর আগে আপনার আরো একটি মন্তব্য'র স্বীকারোক্তি না করার জন্য দুঃখিত। আমি বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল ব্লগে আসার সময় পাইনি। তাই আপনার সঙ্গে কোনো লিখিত বার্তালাপ করা সম্ভব হয় নি। ব্যস্ততার কারণ ছিল দুটো। প্রথমত: সরকারি কিছু পাঠ্যপুস্তকের ইংরেজি বা হিন্দি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে,বাংলা পাঠ্য-পুস্তক তৈরি করা (সম্পূর্ণ সরকারি সাহায্যে)। একজন সরকারি শিক্ষক হিসেবে আমাকেও তার কিছু দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আর দ্বিতীয় কারণ আমার এক প্রবাসী বন্ধু(ইসহাক হাফিজ,সিডনী অস্ট্রেলিয়া) 'একটি দুষ্প্রাপ্য বই( নজরুল জীবনের শেষ অধ্যায়)এর কথাগুলি টাইপ করে বা স্ক্যান করে পাঠাতে বলায়, সে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। যা'হোক ভাই, আমি এখনই আন্দামান বিষয়ক প্রব্ন্ধ'র ৪র্থ পর্ব প্রকাশ করছি। অন্য আরো অনেক কথা হবে,আশা করি। আমার ই-মেলে লিখুন-- [email protected] আপনি ও আপনার সহধর্মিণীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। ভাল থাকবেন!
৬| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: প্রিয় গায়েন ভাই, আপনার উত্তরের জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার আপনার ব্লগ ঘুরে গিয়েছি উত্তর পাবার আশায়। পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। প্রাথমিক পরিচয়পর্ব শেষ হলো, এরপর ধীরে সুস্থে আলাপ করা যাবে। আপনার হাতের কাজগুলো সারুন। আর ইমেলেও কথা হবে। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মতো।