নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ এই মূহুর্তে আন্দামানের কথা বলতে গেলেই ‘সুনামি’র (২৬.১২.২০০৪) কথা মনে পড়ে যায়। ‘সুনামি’র প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপূর্ণ শোচনীয় করুণ কথা বলে পাঠক / পাঠিকাদের মন ভারাক্রান্ত করতে চাই না, শুধু সুনামি’র কাছ থেকে যে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি, তার কথাই বলব ।
মানুষ যে প্রকৃতির দাস তা’ অনেকেই মানতে চান না। প্রকৃতিপ্রদত্ত সম্পদে আমরা সম্পূর্ণ হয়েও কৃত্রিম অতৃপ্তির বশীভূত হয়ে, প্রকৃতিকে দাসত্ব’র শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চেয়েছি । আর এটাই হ’ল আমাদের চরম দুর্গতির কারণ । প্রকৃতি নিয়েছে তার আংশিক প্রতিশোধ।; যাকে আমরা বলছি প্রাকৃতিক বিপর্যয় অর্থাৎ খরা, বন্যা, আকাল, ভূমিকম্প, সুনামি ইত্যাদি । ১৮৫৭ খৃস্টাব্দ’র আগে এ দ্বীপ ছিল নির্লোভ অহিংসার । আদিম উপজাতির, দুর্লভ প্রজাতির শেষ বংশধররা ছিল এখানে প্রকৃতির স্নেহাশ্রয়ে । ঘন সবুজ বনাঞ্চল কেটে, সভ্যতা বিকাশের নামে অতি সভ্য মানুষের অতিলোভী আচরণ । কালাপানি-দেশের কালো মানুষদের জন্য বর্বরতার ‘কালা আইন’। সভ্য’র বিচারে কালো মানুষের অবাধ্যতার উপহার আগ্নেয়াস্ত্র’র হুহুঙ্কার, চরম আঘাত—মৃত্যুলীলা । সভ্যতার নগরায়ণ--- প্রাকৃতিক ভারসাম্য’র পরিপন্থী জেনেও সভ্য মানুষের জয়গান যেন সর্বজনস্বীকৃত । জয় হ’ল বর্বরতার । আর তারই প্রতিশোধ-সরূপ প্রকৃতির নির্মম প্রতিদান এই ‘সুনামি’ । সুনামি’র মতো এত বড় বিপর্যয়ের পরেও দানবীয় কীর্তির পরিসমাপ্তি ঘটেনি । স্তম্ভিত হতে হয় সেই নরদানবাচরণে ! ঘটনাটি অনেকেই শুনেছেন, তবু আজ তার পুনরাবৃত্তি করব । ২০০৫-এ ২রা জানুয়ারি, রাজধানী পোর্টব্লয়ারে মাননীয় উপ-রাজ্যপালের কাছে পাঠানো, সুনামি-বিদ্ধস্ত কার-নিকোবরের ১৫ জন ক্যাপ্টেনের সই করা একটি চিঠি ।-- উদ্ধার কর্ম’র বাহানায় মুখ্যভূমির সভ্য মানুষরা নিকোবরী ট্রাইবালদের মৃতদেহ থেকে আঙুল কেটে সোনার আংটি, কান কেটে ইয়ার রিং বা কানের দুল ইত্যাদি লুট করেছে । [ রিপোর্ট (স্টার নিউজ) সুমন দে ]...(চলবে)
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
ক্স বলেছেন: মারমেইড বলতে যা বুঝি - এ দেখি তার উলটা! মারমেইড খাওয়া কি হালাল? কেমন খেতে?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আন্দামানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।