নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে বইতে প'ড়ে এসেছি- কাশ্মীর ভূ-স্বর্গ। আর এই ভূ-স্বর্গ আমাদেরই। অনেক কৌতুহল ছিল, আজও আছে, নিজের চোখে দেখার। কিন্তু সেসব স্বপ্ন, স্বপ্ন রয়েই গেল। আমার আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই ঘুরে এসেছেন। তাঁদের মুখে কাশ্মীরের কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু অতীতের সে দিনগুলি পেরিয়ে আজ এই রাজনৈতিক, কূটনৈতিক দূষণের কথা যে আমাকে শুনতে হবে, তা' আমি কখনো ভাবিনি। কাশ্মীরের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির কথা জানার পর, এবার নতুন ক'রে প্রশ্ন করতে হচ্ছে--'কাশ্মীর তুমি কা'র?' কিছুদিন আগে পোর্টব্লয়ারে, সরকারি রাজ্য-গ্রন্থাগার থেকে একটি বই পড়েছিলাম--'স্বাধীনতার পর কাশ্মীরের জ্বলন্ত সমস্যা'। সেদিন বুঝেছিলাম ভূ-স্বর্গ বিবাদ কেন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে কিভাবে রাজনৈতিক কূটচক্রান্তের শিকার হ'তে হ'ল, তা কাশ্মীরের ইতিহাসই বলে দেয়। আজও ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর চরম অশান্তির অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরও একটি বই, ওই একই গ্রন্থাগার থেকে নিয়ে আমি পড়তে পেরেছি--বইটির নাম --'কাশ্মীরে আজাদির লড়াই'। বলা বাহুল্য, এরপর আমার মনে আর কোনো সংশয় রইল না যে, ভারত-পাকিস্তান পরষ্পর শত্রুভাবাপন্ন, শুধুমাত্র কাশ্মীর দখলদারির জন্য। ভারত বলছে--পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের কথা, পাকিস্তান বলছে--ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের কথা। কোন্ দেশ কত বেশি মারমুখী হতে পারে, অত্যাধুনিক অস্ত্র-প্রয়োগে, তারই বিবেকহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। দু'দেশের সিপাহীরা তো মরছেই, মরছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষও। 'ভারত-পাক যুদ্ধ হয়, কাশ্মীরীদের পরান যায়'। ... এবার উপরিউক্ত বই থেকে কিছু উদ্ধৃতির উল্লেখ করা যাক। ' ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতও পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে বিতর্ক ও উত্তেজনা জীইয়ে রেখেছে। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-পাক উত্তেজনাও ছোটবড় যুদ্ধ চলবেই। যে সব রাজনৈতিক চিন্তাবিদ্ থিঙ্কট্যাঙ্করা ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে ওঠার পর ঘোষণা করেছিলেন,এতে করে দু-দেশের মধ্যে যুদ্ধ সম্ভাবনার অবসান ঘটলো--তাঁদের সমস্ত চিন্তা-ভাবনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে,দু-দেশ এখন যুদ্ধে উত্তাল। কারণ সেই কাশ্মীর সমস্যা। দু-দেশের রাজনীতিকরা ও রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের টিকে থাকার স্বার্থেই আমজনতার কাছে দেশপ্রেমিক সাজতে চায়। এইসব সাজা দেশপ্রেমিকরা কোনও দিনই কাশ্মীরের স্থায়ী সমাধান করবে না, করতে পারবে না। কাশ্মীর নিয়ে স্থায়ী সমাধানের উপায় বর্তমানে তিনটি।১: দু-দেশের দখলে থাকা কাশ্মীর অংশকে সেই সেই দেশের অংশ বলে মেনে নেওয়া। ২: দু-দেশের দখলে থাকা কাশ্মীর-বাসীরাই ঠিক করুক, তাদের ভবিষ্যৎ। তারা স্বাধীন থাকবে, অথবা ভারত বা পাকিস্তানের রাজ্যবাসী হিসেবে থাকবে-- তা' সে স্বায়ত্তশাসন নিয়ে হোক, কী রাজ্য হিসেবেই হোক। ৩: কাশ্মীরবাসীদের স্বাধীনতার দাবি মেনে নেওয়া।... দু-দেশের বেশিরভাগ মানুষই মনে করে-- কাশ্মীর তাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শত্রুদেশ ছলেবলে কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে। আমাদের মহান কর্তব্য, দেশকে দখলদারমুক্ত করা। আর কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, ভারতর্ষ যখন পরাধীন, তখনও কাশ্মীর স্বাধীন ছিল। কিন্তু বর্তমানে দুটি দখলদার দেশ ছলেবলে তাদের পরাধীন করে রেখেছে।'...(চলবে)।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: সোহানী, আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ! আপনি আশা করি আমার লেখার সঙ্গে থাকবেন। আপনি যদিও ব্রিটিশকে দায়ী করেছেন-- তবে, ঐতিহাসিক সত্য-তথ্য'র মাধ্যমে আশা করি কাশ্মীর-সমস্যার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে। আর, তার সমাধানের একটা পথ খুঁজে পেতেই হবে। মানবিক কারণে আমাদের নতুন ক'রে ভাবতে হবে। দেশ-বিভাজন ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। তাই ব'লে যুগ যুগ ধ'রে আমরা অশান্তির আগুনে দগ্ধ হ'ব, তা' তো হতে পারে না। আরও কতকাল লাগবে, আমাদের এই সুন্দর উপ-মহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পৌঁছতে? আমি একজন আশাবাদী মানুষ ব'লেই এ কথা বলতে চাই। ভাল থাকবেন ! আরও লিখবেন।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:২৬
রাকু হাসান বলেছেন: দুঃখজনক.।এমন মরণপ্যাঁচ স্বাধীনতার প্রশ্ন তোলতে সাহস দরকার .।তাদের জন্য শুভকামনা .।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: রাকু হাসান, অবশ্যই দুঃখজনক ভাই! কিন্তু একটা পথ তো আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে। ভারত মিশ্র-সংস্কৃতির দেশ। এখানে সবাই মিলেমিশে থাকতেই পারে। কাশ্মীরী ভাই-বোনেরা আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়েই যায়। কিন্তু ইতিহাসের পথ ধ'রে খুঁজে দেখতে হবে--কেন তাঁরা ভারতের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না(?)। তাঁদের অধিকাংশ'র মতামত কী? ...ভাল থাকুন, সঙ্গে থাকুন।
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: কেন না দুই দেশই মনে করে কাশ্মীর তাদের অংশ।র এইখানেই সমস্যার শুরু।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫২
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ভাই রাজীব নুর, আপনি অসাধারণ মানুষ। খুব সহজ কথায় মূল সমস্যার কথা বলেছেন। অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন! সঙ্গে থাকুন।
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাকিস্তান বা ভারত নয়, কাশ্মীর স্বাধীন দেশ হিসাবে থাকা উচিৎ।
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১১
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, আপনার স্বাধীন মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ! কিন্তু ভাই, কাশ্মীর স্বাধীন দেশ হিসেবে দাবী করার কারণ তো তুলে ধরে দরকার, তাই না? কাশ্মীরের ইতিহাসের মধ্যে কাশ্মীর সমাধানের পথ আছে, তা' সব মানুষকে জানাতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, কাশ্মীর-বিষয়ক খবরাখবর, সংবাদ-মাধ্যমে তেমন বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। অন্যদিকে দূরদর্শনের পর্দায় দেখি--প্রতিদিন দু'দেশের কে কতজন মারা গেল, তারই কিছু ছবি। এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের নীরব দর্শক হয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী? তবে, একথা ঠিক যে এই বিশ্বায়ণের যুগে, আমরা কোনও না কোনোভাবে সত্য-তথ্য পেতে পারি, একটু প্রচেষ্টা থাকলে।...ভাল থাকবেন,আরও লিখবেন।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:১৭
রাকু হাসান বলেছেন: হুম গায়েন ভাই !
তাদের মতামত টা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্ত সে মতামতের সঠিক মূল্যায়ন আদৌ কি হবে ! কে জানে ! জাতিসংঘটাই বা কি করে । এই সব ভাবলে রাগ হয় ।
৬| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: রাকু হাসান ভাই, অন্যায় দেখলে, কা'র বা ভাল লাগে বলুন তো? মতামতের সঠিক মূল্যায়ণ যে হয় না, তা' বলা বাহুল্য। তবুও একজন মানুষ হিসেবে ইতিহাসের সত্যতা তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না। রাজনৈতিক কূটকৌশল তো সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে। তারই মাঝে যতটুকু সম্ভব একটা সুন্দর পৃথিবী দেখার প্রচেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।...ধন্যবাদ ! এভাবে সঙ্গে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৫
সোহানী বলেছেন: হাঁ এটি সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বুদ্ধি। যাতে করে ভারত উপমহাদেশে হানাহানি চলতে থাকে আর তারা যে লুটপাট করেছে তার দিকে মনোযোগ না দেয়া। এবং ভবিষ্যত পরাশক্তি না হয়ে উঠা।
এ মূহুর্তে কাশ্মিরে হানাহানি চলতেই থাকবে কারন এতো সুন্দর ভূখন্ড কেউই ছাড়তে রাজি নয়। আর স্বাধীনতার তো প্রশ্নই উঠে না। যাহোক ওদের কপালে আরো দূর্ভোগ আছে। আমার একজন খুব ক্লোজ বন্ধু কাশ্মিরী। ওরা সত্যিই খুব অমায়িক।