নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'পাকিস্তান' নামের এই খন্ডিত ভূ-খন্ড তৈরি না হ'লে কাশ্মীর প্রসঙ্গে এভাবে আলোচনা করার প্রয়োজন হ'ত না। আর যদি বা আলাদা সীমারেখা হ'ল, দু'দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সহবস্থান বজায় রাখতে পারছে না কেন (?)--এ প্রশ্ন ওঠা কি স্বাভাবিক নয়? কবি নজরুলের কথায় --'আমি চির শিশু, চির কিশোর'। শিশু-কিশোর মনে অগণ্য প্রশ্ন থাকবে। আমরা স্বাধীনোত্তর যুগের মানুষ। সে অর্থে আমরা শিশু। আমরা বড়দের, বুড়োদের স্বাধীনতা-স্বাধীনতা খেলার কথা শুনেছি মাত্র। কিন্তু ইতিহাস মনে রেখেছে, তাঁদের কলঙ্কিত কাহিনি। সেই ইতিহাসের পাতায় লেখা তোমাদের কর্মলীলার কথা, আমরা আজ আরও জানতে চাই। কী খেলা খেললে তোমরা? ভাই হয়ে ভাইদের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র, হিংসা, দ্বন্দ্ব--কেন এসব? তোমরা কী শেখালে আমাদের? উত্তর চাই।
কাশ্মীরে হরি সিং-এর রাজত্বকালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ আবদুল্লা। এই আন্দোলনে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। হরি সিং অনতিবিলম্বে একটি পরিষদ তৈরি করলেন তাঁর রাজকর্ম পরচালনায় সুবিধার জন্য। ১৯৪৬ খৃস্টাব্দে প্রজারা একটি প্রতিবেদনে হরি সিং-কে কাশ্মীর ছেড়ে (কাশ্মীর কো ছোড় দো) দেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেয়। রাজা হরি সিং এই আন্দোলন দমন করার জন্য শেখ আবদুল্লা ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করলেন।
১৯৪৭-এর জুন মাসে পুঞ্চ অঞ্চলের মানুষ রাজাকে কর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নিজেরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গ'ড়ে তোলে। ২৪শে অক্টোবর বিদ্রোহীরা স্বাধীনতা ঘোষণা ক'রে 'আজাদ কাশ্মীর' সরকার গঠন করল। হরি সিং ২৫শে অক্টোবর তাঁর পারিষদবর্গ সঙ্গে নিয়ে ভারতের দিল্লিতে চলে গেলেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন ২৬শে অক্টোবর। ২৭শে অক্টোবর ভারতীয় সেনা শ্রীনগরে নামল। ওদিকে 'আজাদ কাশ্মীর সরকার' ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিদেশী শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ক'রে পাকিস্তানের সাহায্য চাইল।...আর এভাবেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল দুটি দেশ (ভারত ও পাকিস্তান) কাশ্মীরকে কেন্দ্র ক'রে।...(চলবে)
২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই রাকু হাসান আপনার মন্তব্যসহ আগ্রহ প্রকাশের জন্য! চেষ্টা করছি প্রতিদিন একটি ক'রে পর্ব প্রকাশ করার জন্য। ভাল থাকবেন !
২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৪
কে. এম সাইফুল বলেছেন: কথাটা ভূল.!!!!!!!!!! কারণ ২৫শে আক্টোবর রাজা হরিসিং ভারতে যায়নি । বরং জম্মুতে গিয়েছিলো। আর ভারতের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করার আগেই ভারত কাশ্মিরে সৈন্য পাঠায় যা জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ। আর হরিসিংকে যেহেতু জনগণ তাড়িয়ে দিয়েছে সুতরাং কাশ্মীর ভারতে যোগদিতে হলে জনগনের কথা মানতে হবে। হরিসিং ভারতে অর্ন্তভূক্তির দলিলে স্বাক্ষর করলেই সেটা আইন অনুযায়ী সিদ্ধ নয়। সুতরাং এখনো কাশ্মীর ভারতের অংশ নয় বরং একটা আলাদা রাষ্ট । যারা বলবে কাশ্মীর ভারতের অংশ মূলত তারা ইতিহাস জানেনা বলেই উল্টাপাল্টা বলে। জাতিসংঘের ৩৮ও ৩৯ নং আদেশে ভারত ও পাকিস্থানকে বলা হয়েছিলো কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠীত করে তাদের ভাগ্য তাদের নির্ধারণ করতে দিতে । কিন্তু ভারত কি সেটা করেছে?? ভারত বলেছিলো কাশ্মীরের অবস্থা স্বাভাবিক হলেই তারা গণভোট দিবে । সেটা কি আজো ভারত দিয়েছে?? সুতরাং কাশ্মীর ভারতের অংশ না এটা ঐতিহাসিক সত্য।
২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই কে এম সাইফুল আপনার সমালোচনামূলক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ! প্রকৃত তথ্য এই যে ২৪শে অক্টোবর আজাদ কাশ্মীর গঠিত হওয়ার পরই ওই দিনে (২৪শে অক্টোবর) হরি সিং সপরিবার শ্রীনগর ছেড়ে জম্মুতে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন কারণ সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা বা মুজাহিদরা নিজেদের 'আজাদ কাশ্মীর'-এর সেনাবাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই সময় রেডিও পাকিস্তান ঘোষণা করে--'কাশ্মীর আজাদ হয়েছে। সেখানে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে'। এই খবর জানার পর হরি সিং পরের দিন অর্থাৎ ২৫শে অক্টোবর হরি সিং এবং তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী-সাথী নিয়ে আকাশযানে দিল্লিতে পৌঁছন। এই খবরটি জানার পর মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দোল্লাসে আত্মহারা। অন্যদিকে পাকিস্তান রেডিও ঘোষণা করল (২৫শে অক্টোবর)-- 'রাজা হরিসিং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন'। ...আপনার মন্তব্য'র বাকি অংশ'র মন্তব্য, চলমান পর্বানুযায়ী আলোচ্য নয়। কাশ্মীর ভারতের অংশ নাকি পাকিস্তানের অংশ, এ প্রসঙ্গে আমরা এখনও কোনো কথা বলিনি। ক্রমান্বয়ে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব। ভাল থাকুন, সঙ্গে থাকুন।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে "সামরিক নয় বরং একটি রাজনৈতিক পথ" খুঁজে বের করতে হবে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব নুর ভাই আপনার ইতিবাচক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ! শুভেচ্ছা !
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১৩
রাকু হাসান বলেছেন: পরপর তিনটি পর্বই পড়লাম । জমে উঠেছে পর্ব । বাকিগুলোর অপেক্ষায় আছি