নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীর প্রসঙ্গে--একটি ঐতিহাসিক দলিল (৮ম পর্ব)

০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৪

১৯৪৮-এর মার্চ মাসে মহারাজা হরি সিং-এর মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, শেখ আব্দুল্লা । মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা অন্যান্য মন্ত্রিরা ছিলেন—আফজল বেগ, গিরিধারীলাল দোর্গা, বক্সী গোলাম মহম্মদ, কর্ণেল পীর মহম্মদ, সর্দার বুধ সিং, শ্যামলাল শরাফ প্রমুখ ।
শেখ আব্দুল্লা প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রথম যে কাজটি করতে গেলেন, তা’ মহারাজা হরি সিং-এর পছন্দ ছিল না । আঞ্চলিক জমিদারী, জায়গীরদারী, চকদারী প্রভৃতির উচ্ছেদ করলেন । তাঁদের চার লক্ষ একর জমি বাজেয়াপ্ত করলেন, কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়া । তাছাড়া কৃষকদের ঋণ মুকুব ক’রে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেখ আব্দুল্লা রাজতন্ত্র’র বিরোধী ছিলেন । সেজন্য তিনি একসময় আন্দোলনও করেছিলেন মহারাজা হরি সিং-এর বিরুদ্ধে । কিন্তু সেই আন্দোলনে তিনি সাফল্য অর্জন করতে পারেননি । মহারাজা হরি সিং তখন তাঁকে দেশদ্রোহীতার অপরাধে কারারুদ্ধ করেছিলেন । কিন্তু আজ মহারাজার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতালাভ ক’রে কীভাবে রাজার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন? এই প্রশ্ন রাজার মনে অসন্তোষ সৃষ্টি করল । ঠিক এ কারণেই শেখ আব্দুল্লার সঙ্গে মহারাজার সম্পর্ক খারাপ হতে থাকল । এক বছরের কিছু বেশি সময় পরে নেহেরু যখন দেখলেন যে আব্দুল্লার সঙ্গে সম্পর্ক’র অবনতি চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে, নেহেরু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্য মহারাজাকে বোঝালেন যে এখন পুত্র করণ সিং আপনার দায়িত্ব গ্রহণ করার উপযুক্ত, তাই আপনি অবকাশ গ্রহণ করুন । নেহরুর কথায় রাজা হরি সিং আশ্বস্ত হলেন । মহারাজার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, তাঁর পুত্র করণ সিং, ১৯৪৯-র ২৫শে মে । সিংহাসনে বসেই প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লার জমিসংক্রান্ত আইন, করণ সিং রাজা হিসেবে নিজে অনুমোদন না ক’রে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেন । একটি বিষয় উল্লেখ্য যে মহারাজার বিরুদ্ধে ভূমিসংস্কার সংক্রান্ত বিষয়টি নেহরু ভাল মনে করেননি । তাই আব্দুল্লার সঙ্গে নেহরুর একটা মানসিক ব্যবধান তৈরি হচ্ছিল । আর রাজার আসনে বসেই করণ সিং যা’ করলেন অর্থাৎ ভূমিসংক্রান্ত আইনী বিষয়টি নিজে অনুমোদন না ক’রে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেন, তা’ ছিল ভারত-কাশ্মীর চুক্তির বিরোধী কাজ । ....(চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন: নিজের পায়ে কোড়াল মারলো করণ সিং !! পড়ছি . লিখে যান ভাই ........

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: হাঁ ভাই, অনেকটা তাই-ই বলতে পারেন, তবে আমার মনে হয় সদ্য সিংহাসনে বসা রাজা করণ সিং, এতবড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুমোদন করা উচিত কিনা, তা তিনি ভেবেও সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি।...ভাল থাকুন ! এভাবে আমাদের আলোচনাও চলতে থাকুক। শুভেচ্ছা !

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশ্মীর দখল করার সামরিক প্ল্যান ইত্যাদি আছে নাকি আপনার কাছে? থাকলে বলিয়েন, সুন্দরী কাঠের লাঠি কেনার দরকার।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ভাই চাঁদগাজী, ধন্যবাদ আপনার মনের কথা খুলে বলার জন্য! আমি আজও ভূ-স্বর্গ বা জান্নাত কাশ্মীরের স্বপ্ন দেখি । মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি মানুষ না হয়ে পাখি হতাম, হয়তো সেখানে কিছুকালের জন্য থাকতে পারতাম! ...মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ!...ভাল থাকবেন, সঙ্গে থাকবেন।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা কত পর্ব হবে?
এরপর ছিটমহল সমস্যা নিয়ে লিখবেন।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, কোথায় যে শেষ হবে তা' জানি না। শেষ করার মতো বিষয়টি নয়। হয়তো, এ বিষয়টির সাময়িক বিরতি রাখা যেতে পারে, অনেকটা যুদ্ধ বিরতির মতো। কিন্তু বিষয়টি মোটেই পরিত্যাজ্য নয়। পৃথিবীর নানা দেশে নানা সমস্যা দেখতে পাই, কিন্তু কাশ্মীরের মতোএমন সংবেদনশীল সমস্যা, বোধ হয় আর কোথাও নেই। অবশ্য এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত--আপনি কী বলবেন জানি না। ভাল থাকুন, সঙ্গে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.