নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীর প্রসঙ্গে--একটি ঐতিহাসিক দলিল (৯ম পর্ব)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২০

ভারত সরকার ভূমিসংক্রান্ত আইন-অনুমোদনে আগ্রহ প্রকাশ না করায়, শেখ আব্দুল্লা তাঁর প্রচেষ্টা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন । কিন্তু তাঁর স্বপ্নাবিষ্ট মনে তখনও রাজতন্ত্র-বিরোধী পরিকল্পনা ঘুরপাক খেতে থাকল । তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ‘কন্সটিটিউয়েন্ট অ্যাসেমব্লি’ বা ‘সংবিধান-সভা’ গঠন করার জন্য দাবি তোলে আব্দুল্লা-গঠিত ‘কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’। ১৯৫১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ‘সংবিধান-সভা’ গঠিত হয় । উল্লেখ্য—বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেখ আব্দুল্লা জয়লাভ করল ৪৫টি আসনেই । এই সংবিধান-সভায় কয়েকটি পরিকল্পনা, আলোচনার বিষয়ভুক্ত করা হ’ল । সেগুলি—(১) কাশ্মীরের জন্য একটি সংবিধান তৈরি । (২) রাজতন্ত্র’র ভবিষ্যৎ নির্ধারণ । (৩) জমিদারদের বাজেয়াপ্ত জমির ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত বিচার-বিশ্লষণ (৪) কাশ্মীর, ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কিনা, সে-বিষয়ে সিদ্ধান্ত-গ্রহণ । রাজনৈতিক শক্তিধর শেখ আব্দুল্লার পরিকল্পনা যখন ক্রমান্বয়ে রাজতন্ত্র’র বিরুদ্ধ পথে এগোচ্ছিল, তখনই ‘জম্মু’-তে সংখ্যাগুরু হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা জেগে উঠল । হিন্দুবাদী ‘জনসঙ্ঘ’ ও ‘জম্মু প্রজা পরিষদ’ সমগ্র কাশ্মীরে ধর্মীয় ভেদাভেদের পরিস্থিতি তৈরি করল । পন্ডিত নেহরু এই দুঃসময়ে আব্দুল্লার পাশে সহযোগী বন্ধু হয়ে দাঁড়ালেন । ১৯৫২’র ২৪শে জুলাই নেহরু-আব্দুল্লা সমস্বরে ঘোষণা করলেন—‘কাশ্মীরের সংবিধানে 'জম্মু ও লাদাখ’-এর হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষদের ‘আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন’ স্থান পাবে’।
...এ তো গেল ঘটনাক্রমিক ইতিহাসের কথা । এখন দেখা যাক, আমাদের কিছু স্বাধীন বক্তব্য তুলে ধরা যায় কিনা ।
‘রাজতন্ত্র’কে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা শেখ আব্দুল্লার প্রথম থেকেই ছিল । তাই তিনি রাজনৈতিক পরিকল্পিত একটি দল তৈরি করলেন, যে দলটির নাম রেখে দিলেন ‘সারা জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স’। আর এখানেই এল একটা প্রশ্নসূচক চিহ্ন (?)। শুধু ‘মুসলিম’ শব্দটি কেন? জম্মু-কাশ্মীর তো হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-শিখ সংস্কৃতির সংমিশ্রণ । জনমানসে তার প্রতিক্রিয়াও দেখা গেল । একদল মানুষ প্রচার করতে থাকলেন, মহারাজা হরি সিং 'হিন্দু রাজা' ব’লেই, তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিমদের নামে দল বানিয়ে তাঁকে সিংহাসন-চ্যুত করার চক্রান্ত চলছে । এই অপ-প্রচার চালিয়েছিলেন ‘হিন্দু মহাসভা’ এবং ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ’। তাঁরা শেখ আব্দুল্লার আন্দোলনকে ‘সাম্প্রদায়িক আন্দোলন’ ব’লে প্রচার করলেন । মহারাজা হরি সিং আত্মরক্ষার কথা ভেবে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন । বিচক্ষণ রাজনেতা আব্দুল্লার পারিবারিক বন্ধু পন্ডিত জহরলাল নেহরু তখন শেখ আবদুল্লাকে বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, দলের নাম পরিবর্তন করা উচিত । অতঃপর ১৯৩৯ সালের জুন মাসে ভোটাভুটির মাধ্যমে (১৭ / ৩ ভোটে) ‘মুসলিম কনফারেন্স’-এর নাম পরিবর্তন ক’রে ‘কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’ রাখা হয় । তাহলে এখনও পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারছি যে পন্ডিত নেহরু, ভূ-স্বর্গ স্বাধীন কাশ্মীরের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন । ...(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন: অনলাইনে আপনাকে দেখেই ভাবছিলাম পোস্ট পাচ্ছি একটু পর ,হলোও তাই....শুরু হয়ে গেছে তাহলে খেলা ...............

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০১

ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: ভালো লাগল আপনার লেখা।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়ছি।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার তথ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.