নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত সরকার ভূমিসংক্রান্ত আইন-অনুমোদনে আগ্রহ প্রকাশ না করায়, শেখ আব্দুল্লা তাঁর প্রচেষ্টা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন । কিন্তু তাঁর স্বপ্নাবিষ্ট মনে তখনও রাজতন্ত্র-বিরোধী পরিকল্পনা ঘুরপাক খেতে থাকল । তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ‘কন্সটিটিউয়েন্ট অ্যাসেমব্লি’ বা ‘সংবিধান-সভা’ গঠন করার জন্য দাবি তোলে আব্দুল্লা-গঠিত ‘কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’। ১৯৫১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ‘সংবিধান-সভা’ গঠিত হয় । উল্লেখ্য—বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেখ আব্দুল্লা জয়লাভ করল ৪৫টি আসনেই । এই সংবিধান-সভায় কয়েকটি পরিকল্পনা, আলোচনার বিষয়ভুক্ত করা হ’ল । সেগুলি—(১) কাশ্মীরের জন্য একটি সংবিধান তৈরি । (২) রাজতন্ত্র’র ভবিষ্যৎ নির্ধারণ । (৩) জমিদারদের বাজেয়াপ্ত জমির ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত বিচার-বিশ্লষণ (৪) কাশ্মীর, ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কিনা, সে-বিষয়ে সিদ্ধান্ত-গ্রহণ । রাজনৈতিক শক্তিধর শেখ আব্দুল্লার পরিকল্পনা যখন ক্রমান্বয়ে রাজতন্ত্র’র বিরুদ্ধ পথে এগোচ্ছিল, তখনই ‘জম্মু’-তে সংখ্যাগুরু হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা জেগে উঠল । হিন্দুবাদী ‘জনসঙ্ঘ’ ও ‘জম্মু প্রজা পরিষদ’ সমগ্র কাশ্মীরে ধর্মীয় ভেদাভেদের পরিস্থিতি তৈরি করল । পন্ডিত নেহরু এই দুঃসময়ে আব্দুল্লার পাশে সহযোগী বন্ধু হয়ে দাঁড়ালেন । ১৯৫২’র ২৪শে জুলাই নেহরু-আব্দুল্লা সমস্বরে ঘোষণা করলেন—‘কাশ্মীরের সংবিধানে 'জম্মু ও লাদাখ’-এর হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষদের ‘আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন’ স্থান পাবে’।
...এ তো গেল ঘটনাক্রমিক ইতিহাসের কথা । এখন দেখা যাক, আমাদের কিছু স্বাধীন বক্তব্য তুলে ধরা যায় কিনা ।
‘রাজতন্ত্র’কে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা শেখ আব্দুল্লার প্রথম থেকেই ছিল । তাই তিনি রাজনৈতিক পরিকল্পিত একটি দল তৈরি করলেন, যে দলটির নাম রেখে দিলেন ‘সারা জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স’। আর এখানেই এল একটা প্রশ্নসূচক চিহ্ন (?)। শুধু ‘মুসলিম’ শব্দটি কেন? জম্মু-কাশ্মীর তো হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-শিখ সংস্কৃতির সংমিশ্রণ । জনমানসে তার প্রতিক্রিয়াও দেখা গেল । একদল মানুষ প্রচার করতে থাকলেন, মহারাজা হরি সিং 'হিন্দু রাজা' ব’লেই, তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিমদের নামে দল বানিয়ে তাঁকে সিংহাসন-চ্যুত করার চক্রান্ত চলছে । এই অপ-প্রচার চালিয়েছিলেন ‘হিন্দু মহাসভা’ এবং ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ’। তাঁরা শেখ আব্দুল্লার আন্দোলনকে ‘সাম্প্রদায়িক আন্দোলন’ ব’লে প্রচার করলেন । মহারাজা হরি সিং আত্মরক্ষার কথা ভেবে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন । বিচক্ষণ রাজনেতা আব্দুল্লার পারিবারিক বন্ধু পন্ডিত জহরলাল নেহরু তখন শেখ আবদুল্লাকে বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, দলের নাম পরিবর্তন করা উচিত । অতঃপর ১৯৩৯ সালের জুন মাসে ভোটাভুটির মাধ্যমে (১৭ / ৩ ভোটে) ‘মুসলিম কনফারেন্স’-এর নাম পরিবর্তন ক’রে ‘কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’ রাখা হয় । তাহলে এখনও পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারছি যে পন্ডিত নেহরু, ভূ-স্বর্গ স্বাধীন কাশ্মীরের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন । ...(চলবে)
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০১
ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: ভালো লাগল আপনার লেখা।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: পড়ছি।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার তথ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৩
রাকু হাসান বলেছেন: অনলাইনে আপনাকে দেখেই ভাবছিলাম পোস্ট পাচ্ছি একটু পর ,হলোও তাই....শুরু হয়ে গেছে তাহলে খেলা ...............