নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীর প্রসঙ্গে--একটি ঐতিহাসিক দলিল (পর্ব-১২)

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

পর পর দু’দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে লেখক-পাঠক ভাই-বন্ধুরা অনেকেই হয়তো মন খারাপ করেছেন । অবশ্যই তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমার উপায় নেই, আমার অক্ষমতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে বসেছি তা’ যে অনেক বেশি সংবেদনশীল, তা’ আমরা সবাই জানি । ইতিহাসও কারও অজানা নয় । তবুও আমাদের মতো অনেক মানুষের প্রশ্ন—প্রতিনিয়ত রক্ত-স্নাত কাশ্মীরের কি কোনও শান্তিপুর্ণ সমাধানের পথ নেই? উত্তরে বলি—সেই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতেই তো আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা । ফিরে আসি ঘটনার মূল স্রোতে ।
কাশ্মীরে ‘গণভোট’-এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য, ‘নিরাপত্তা পরিষদ’এর প্রচেষ্টা ছিল । কাশ্মীর থেকে সেনা অপসারণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল ‘নিরাপত্তা পরিষদ’। কিন্তু কাশ্মীর-শান্তি প্রয়াসে, বাধা সৃষ্টি করল ‘রাশিয়া’। পাঠক-ব্ন্ধুরা অবশ্যই প্রশ্ন তুলবেন—রাশিয়া কেন, কীভাবে বাধা সৃষ্টি করল? নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে পাঁচটি দেশের মধ্যে ‘রাশিয়া’ও একটি দেশ (অন্যান্য দেশগুলি হ’ল চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ।) এই পাঁচটি দেশের ‘ভেটো’(VETO) প্রয়োগ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ নিরাপত্তা পরিষদের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, এই পাঁচটি দেশের কোনও একটি দেশ আপত্তি জানালে তা’ কার্যকর হবে না । রাশিয়া সেই ‘ভেটো’ প্রয়োগ করার জন্য, কাশ্মীরী জনগণের জীবনে আবার অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে । এখানে ভারত-পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠে আসা অস্বাভাবিক নয় । রাশিয়ার ‘ভেটো’ প্রয়োগে কাশ্মীরে 'গণভোট' রসাতলে যাওয়ায়, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ? ভারত, এই রাজনৈতিক খেলায় রাশিয়াকে অভিনন্দনসহ কৃতজ্ঞতা জানায় । আর, কাশ্মীরের গণভোটের সপক্ষে পাকিস্তানের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিষ্ফল হওয়ায়, করুণাময় ও সর্বশক্তিমানের কাছে আন্তরিক প্রার্থনা জানাল, কাশ্মীরীদের জন্য ! আর তখন থেকেই জেহাদের প্রশ্ন জেগে ওঠে কাশ্মীরীদের মনে । এক্ষেত্রে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনে, সহযোগিতায় পাকিস্তানের ভূমিকা অনস্বীকার্য । তৈরি হ’ল মুক্তিকামী দল ‘হিজবুল মুজাহিদ্বীন, জামাত-উল-মুজাহিদ্বীন, আল্লাহ টাইগার্স, জম্মু-কাশ্মীর স্টুডেন্ট লিবারেশন ফ্রন্ট, ইকওয়ালুল্ মুসলেমীন প্রভৃতি ।
একটা বিষয় নিয়ে আমরা লেখক-পাঠক বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারি—তা’ হ’ল ‘ভেটো’ প্রয়োগ । রাশিয়া কেন কাশ্মীর গণভোটের বিরুদ্ধে ‘ভেটো’ প্রয়োগ করল?
আমাদের এই উপ-মহাদেশে রাশিয়া একটি শক্তিশালী দেশ । রাশিয়া কখনও চায় না যে আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ, কাশ্মীর-সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুক । ‘গণভোট’ হলেই আমেরিকা, কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে, এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে । এই আশঙ্কায় রাশিয়া ‘ভেটো’ প্রয়োগ করেছিল । অন্যদিকে ভারত ‘ভেটো’ প্রয়োগে খুশি হয়েছিল, কাশ্মীরের মাটি আঁকড়ে ধ’রে থাকার জন্য । ‘গণভোট’ হলেই তো কাশ্মীর ভারতের হাতছাড়া হয়ে যাবে । তাই ছলে-বলে-কৌশলে ‘গণভোট’ যাতে না হয়, তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । আর সেই কাজটা যখন পরম বন্ধুর মতো রাশিয়া করল, ভারত জয়ধ্বণি দিল, বন্ধুদেশ রাশিয়াকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা সবই জানাল । একটি স্বাধীন দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষদের জীবন নিয়ে কী ছিনিমিনি খেলা চলছে, ভাবতেও কষ্ট হয় ! প্রতিদিন কাশ্মীরী মা-ভাই-বোনেরা যেভাবে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তার বর্ণনা দেওয়া-- আমার মতো অতি সাধারণ লেখকের পক্ষে সম্ভব নয় । আমার প্রিয় পাঠক-বন্ধুরা যদি এবিষয়ে নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের লেখনীর পথ, হয়তো একদিন সত্যের আলোয় আলোকিত হবে ! ...(চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২২

জগতারন বলেছেন:
কাশ্মীর-শান্তি প্রয়াসে, বাধা সৃষ্টি করল ‘রাশিয়া’।
পাঠক-ব্ন্ধুরা অবশ্যই প্রশ্ন তুলবেন—রাশিয়া কেন, কীভাবে বাধা সৃষ্টি করল ?


এ কাজটি ভারতই তখন করেছিল রাশিয়াকে দিয়ে।
তখন রাশিয়া ভারতের বন্ধু আর পাকিস্থান আমেরিকার বন্ধু।
আর মূল্য দিচ্ছে কাশ্মীরের জনগন।

যেমন; ১৯৭১ সালে আমেরিকা বাধা দিয়েছল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও সাহায্য করেছিল পাকিস্থানকে যাতে আমাদের দেশ স্বাধীন না হয়। আর
ভারত ও রাশিয়া আমাদের সাহায্য করেছিল। এখানে মূল চালিকা শক্তি চিল আমাদের দেশের মানুষ আর যোগ্য নেতা, বংবন্ধু, তাজুল ইসলাম, ও কারা গারে শহীদ চার নেতা। কিন্তু দুঃখের সেই নেতা ও জনগন নেই কাশ্মীরে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪১

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক-বন্ধু, জগতারন, আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য ! আপনার কথা অস্বীকার করা যায় না যে উপযুক্ত নেতার অভাব। কিন্তু আমরা যখন স্বাধীন দৃষ্টিতে দেখব যে ছোট ছোট কাশ্মীরী ছেলেমেয়েরাও বিনা অস্ত্রে, ভারতীয় সেনাদের বুলেটের সামনে, শুধু পাথরের টুকরো নিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে--তখন, শুধু ভারতের নয়, পৃথিবীর বিবেকবান মানুষদের উচিত, ভারতের পরাজয় ঘোষণা করার--আর ওইসব পাথর হাতে কচি-কাঁচা বিদ্রোহী নেতাদের স্যালুট জানিয়ে, তাদের যুদ্ধজয় ঘোষণা করা।...ভাল থাকবেন, আরও মন্তব্য প্রকাশ করবেন পরের পর্বে।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৯

জগতারন বলেছেন:

টাইপোঃ
কিন্তু দুঃখের সেই নেতা ও জনগন নেই কাশ্মীরে। = কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই নেতা ও জনগন নেই কাশ্মীরে।

চিল = ছিল

আরেকটি কথা;
হাদ্রাবাদ এবং সিকীমেও সেই নেতা ও জনগণ নেই যার জন্য সেই রাষ্ট্র দুটি গ্রাস করেছে ভারত। কিন্তু সে ধরনের চিন্তা যদি ভারত বা মোদী (মুতি) বাংলাদেশ নিয়ে করে ; তাহলে মোদী ও ভারতের পাছায় লাথথি দিয়ে সারা ভারতে বাংলাদেশের মানুষ আগুন জ্বালাবে।

স্বাধীনতায় ভারত আমাদের পাশে থাকার জন্য এখনও আমরা বাংলাদেশী'রা সহ্য করছি একতরফাভাবে আমাদের ন্যায্য হিস্যা পানি ফিরায়ে নেওয়ার জন্য। জানিনা আর কত দিন আমরা সহ্য করবো ! দেয়ালে প্রায় আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে কবে যে মমতা ফমতার পাছায় লাথথি মারা আরম্ভ করবে এ দেশের মানুষ !

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাশিয়া এগিয়ে এসে কিছুই করতে পারবে না। এগিয়ে আসতে হবে জাতিসংঘের।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য !

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

রাকু হাসান বলেছেন: এই ভেটো প্রদানের জন্য কত যে সমাধান আলোর মুখ দেখছে না । বেশ কয়েকটা পর্ব পড়তে পারি নি । আজ শেষ করে ফেলবো ,জমে গেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.