নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানবের পেটে দু\'দশক\' বইটি সম্পর্কে শুরুতে যা বলেছি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮



ইন্ দ্য বেলী অফ্ দ্য বীস্ট
প্রিয় পাঠক-লেখক বন্ধুরা,
আপনারা কি ‘IN THE BELLY OF THE BEAST’ বইটির কথা শুনেছেন বা পড়েছেন কি? ১৯৯৮ সালে AJANTA BOOKS INTERNATIONAL, DELHI থেকে এই প্রকাশিত হয়েছিল। লেখক- ডঃ পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। এটির বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে ‘দানবের পেটে দু’দশক’ নামে। আসুন, আমরা দেখি, বইটিতে কী এমন আছে যে-কারণে বিদগ্ধ মহলে এবং বিদেশে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। এমনকি, AMERICA LIBRARY OF CONGRESS, বইটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে।
এই বইটির ভূমিকা লিখেছেন—তনিকা সরকার। ভূমিকা-‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই বইটি আমাদের সব বাঙালির অবশ্যপাঠ্য একটি প্রয়াস। লেখক পারিবারিক সূত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে আগের প্রজন্ম থেকে যুক্ত। নিজেও দু’দশক ধরে নিষ্ঠাভরে কাজ করেছেন। এমন একজন স্বয়ংসেবক কেন সঙ্ঘ ছাড়লেন, এবং শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে বিরোধিতা করা উচিত মনে করলেন, তা আমাদের আজকের পরিপ্রেক্ষিতে খুঁটিয়ে বোঝা উচিত। প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ হলো ভারতীয় জনতা পার্টির জনক ও শিক্ষক। দুটি প্রতিষ্ঠান আলাদা নয়, ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পর সংযুক্ত।
বইটিতে আছে সঙ্ঘের বিশ্লেষণ এবং তার ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক রাজনীতির সাহসী সমালোচনা। যে রাজনীতির জন্য বহু চিন্তা করে অবশেষে লেখক তাঁর একদা-প্রিয় সঙ্ঘের সঙ্গে নাড়ির টান ছিঁড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। একজন উদারপন্থী ভারতীয় ও বাঙালি হিসেবে, একজন রবীন্দ্র অনুরাগী হিসেবে, তাঁর পক্ষে অন্য কিছু করা সম্ভব ছিল না।
বইটিতে আমরা আরও পাই সঙ্ঘের কার্যাবলীর বিশদ আলোচনা, যা অন্য এ ধরনের আলোচনায় বিরল। লেখক, সঙ্ঘের বিপজ্জনক রাজনীতির শক্তির উৎস কোথায়, তার সন্ধান করেছেন। যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের সেক্যুলার বলে দাবি করেন, তাঁরা আশা করি এর থেকে এখনো কিছু শিখতে চেষ্টা করবেন’।
আসুন, এখন লেখকের প্রারম্ভিক কিছু কথা শোনা যাক— ‘আজ ২০২১ সালে ভারত এক চরম সঙ্কটকালীন অবস্থায়। যে আরএসএস একসময়ে এক প্রান্তিক উপহাস্যাস্পদ শক্তি ছিল, অথবা অবজ্ঞার বিষয় ছিল, তা আজ সত্যিই এক ভয়ঙ্কর দানবের মতো ভারতবর্ষকে গ্রাস করে ফেলেছে। ঘৃণা, বিভেদ, হিংসা, ভয় ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক ফ্রন্ট বিজেপি’র মাধ্যমে ভারতের শাসন ক্ষমতায় প্রবলভাবে জাঁকিয়ে বসেছে, এবং একদিকে তাদের ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদী ডক্ট্রিন্ ও অন্যদিকে গণতন্ত্রবিরোধী, বহুধর্ম ও বহুজাতিত্ব-বিরোধী ফ্যাসিস্ট্ কার্যকলাপের মাধ্যমে সহনশীল, শান্ত দেশকে চিরকালের মতো ধ্বংস করে দিতে উদ্যত। তাদের একসময়ের প্রচারিত স্বদেশী অর্থনীতি থেকে আজ তারা বহুদূরে—বহুজাতিক ও ভারতীয় ওয়ান পার্সেন্ট আজ দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ গ্রাস করেছে। বাংলার মতো উদারপন্থী, রবীন্দ্র-নজরুল-লালন-বাউল-কীর্তণ-ভাটিয়ালির দেশেও তারা তাদের বিষবৃক্ষের ফল ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। বাঙালি মনন, বাঙালি ইতিহাস, বাঙালি চেতনা ও বাঙালি জীবন দর্শন আজ এক খাদের কিনারায়। ঠিক এই ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলায় এই বইটি প্রকাশের জরুরি প্রয়োজন ছিল। বন্ধু ডাঃ সুমিতা দাসের অকৃপণ সহায়তায় এবং উচ্চমানের অনুবাদ-দক্ষতায় বইটি বাংলায় প্রকাশ করা সম্ভব হলো। বাংলার মানুষ—হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, আস্তিক, নাস্তিক সকলেই বইটি পড়ুন, এবং রামমোহন-বিদ্যাসাগর-রামকৃষ্ণ-রবীন্দ্রনাথ-সত্যজিতের বাংলা নবজারণকে সম্পূর্ণ বিস্মৃতি ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করায় অঙ্গীকারবদ্ধ হোন, লেখক হিসেবে, রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এই আমার আশা। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, ফ্যাসিস্ট দানবদের নির্মম, রক্তলোলুপ হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করুন’।
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
জানুয়ারি, ২০২১

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে প্রতিটা ক্ষমতাবান মানুষ দানব।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৭

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: প্রিয় রাজীব নুর ভাই, এতদিন পরে আপনি অসাধারণ একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। সাধারন পাঠকের কাছে অপ্রিয় হলেও সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.