নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানবের পেটে দু\'দশক (মূল গ্রন্থ- IN THE BELLY OF THE BEAST) পর্ব-১৪[বাংলায় বা ইংরেজিতে পিডিএফ ফাইলস কোনও কারণে প্রকাশ করতে না পারার জন্য দুঃখিত! তাই বইটি\'র গুরুত্ব উপলব্ধি ক\'রে আমি আবার পর্বানুসারে লিখে প্রকাশ করছি। আগ্রহী পাঠক-লেখক বন্ধুরা পড়বেন আশা করি]

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭



১৯৮০-র দশকে দেশি ও আন্তর্জাতিক কায়েমি স্বার্থই কিন্তু শিবসেনাকে তৈরি করেছিল বম্বের শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে ভাঙতে। তখন থেকেই তারা টাকার বিনিময়ে সুরক্ষা দেওয়ার একটা চক্র হিসাবে কাজ করে আসছে। কয়েক মাস আগে মার্কিণ পপ-গায়ক মাইকেল জ্যাকসন ও ভারতের সঙ্গীত জগতের দিকপাল লতা মঙ্গেশকর, ও অভিনেতা দিলীপ কুমার শিবসেনা-র আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি নাকি করা হয়েছিল বম্বের হিন্দু শ্রমিকদের সাহায্যকল্পে।
আরএসএস প্রথম থেকেই উগ্র জাতীয়তাবাদী বিদেশ নীতি প্রচার করে আসছে। জনসঙ্ঘের আমলে তার সুর ছিল অনেক চড়া, বিজেপি-র আমলে আর তত চড়া নেই। আগেকার দিনে সঙ্ঘ সদস্যরা কখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করতেন না। চিরকালই সে দেশটিকে অনৈতিকতা আর অপবিত্রতার চূড়ান্ত বলে চিত্রিত করা হত। একই সাথে অবশ্য সোভিয়েত রাশিয়া ও চীনের সমাজবাদের তীব্র বিরোধী ছিল আরএএস ও জনসঙ্ঘ।
কিন্তু জনসঙ্ঘের এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বিখ্যাত বক্তা বলরাজ মাধক ছিলেন দারুণ মার্কিন-পন্থী। তাঁর ছোট কিন্তু শক্তিশালী একদল ভক্ত ছিল। কিন্তু তিনিও আরএসএস-কে ফলত জনসঙ্ঘকে, খোলাখুলি মার্কিন-পন্থী করতে সক্ষম হননি। তার মূল কারণ ছিল অতি ক্ষমতাসম্পন্ন গোলওয়ালকর ও বাজপেয়ীর মত নেতাদের বিরোধিতা। বাজপেয়ী পরে জোট-নিরপেক্ষতার সমর্থক হয়েছিলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিও তার বিরোধিতা ছিল তুলনায় মৃদু (এটি অবশ্য ছিল আরএসএস-এর এক নম্বর শত্রু চীনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একঘরে করে রাখার কৌশল)। আরএএস ও জনসঙ্ঘের, এবং এখন বিজেপি-র, বিদেশ নীতি দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান-বিরোধী ও চীন-বিরোধী—বা বলা চলে, সমস্ত ইসলামপন্থী বা সমাজতান্ত্রিক দেশ ও জোটের বিরুদ্ধে—ঘৃণার ওপর। বর্তমান বিজেপি সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ ঘোষণা করেছেন (মে, ১৯৯৮) যে চীন হল ভারতের এক নম্বর শত্রু। ইজরায়েল এখন সঙ্ঘ পরিবারের দারুণ প্রিয়। বাজপেয়ী, আদবানী ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা প্রায়ই এই কট্টর আরব-বিরোধী দেশটিতে যাচ্ছেন। অভিযোগ, ইজরায়েল দেশটির মাধ্যমে সঙ্ঘের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগেকার তিক্ত সম্পর্ককে ঠিক করার চেষ্টা চলছে। কী অদ্ভুত ব্যাপার! একটি হিটলার অনুরাগী সংগঠন এমন একটি দেশের সঙ্গে গা-ঘসাঘসি করছে, সারা বিশ্বে যে দেশটির চেয়ে হিটলার ও নাৎসি পার্টিকে ঘৃণা করার কারণ আর কোনও দেশের নেই।... (ক্রমশ)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা সোজা হয় না কেন?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৪

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, আপনি আমাকে আপনার ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন, তাই এমন সুন্দর উপদেশ বা পরামর্শ দিতে পারেন। আমি জানি না, ছবিটা সোজা হয়ে না থাকার কারণটা কী। তবে, এর পরবর্তী পর্বে ফটো-ক্যামেরার পিক্সেল কমিয়ে দিয়ে তোলার চেষ্টা করব। দেখি কী হয়? ভাল থাকবেন, দোয়া করবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.