নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা হয়ে যায়..

নূরুল আলম রাজু, উন্নয়নকর্মী! একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।

রাজু নূরুল

রাজু নূরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন খারাপের কিছু হয়নি। জয় আমাদেরই হয়েছে!!!

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২


বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ খেলতে যাবার পর, বেশ ক’টি প্রস্তুতি ম্যাচে রীতিমত পাড়ার (!) দলের কাছে হেরেছে। তখন বন্ধুদের আড্ডায় (সম্ভবত: কলিগদের সাথেও) প্রেডিকশন করেছিলাম, বাংলাদেশ দল গোটা বিশ্বকাপে একটা ম্যাচও জিতবেনা!! পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকেই আমার সাথে একমত হয়েছিলেন, কেউবা একগাল হেসে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। প্রেডিকশনের ভিত্তি ছিল, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে বাংলাদেশের স্বল্প অভিজ্ঞতা আর আগের পারফরমেন্স...!

২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলংকার সাথে হারার পর, ২৭ তারিখের কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম: ক্যাচ ফেলেই ম্যাচ শেষ (প্রথম আলো), স্বপ্নটা শেষ হয়ে গেল শুরু হতে না হতেই (কালের কণ্ঠ), এ কোন টাইগার (সমকাল), কাল হয়ে দাঁড়াল ফিল্ডিং ব্যর্থতা (ইত্তেফাক), নত হয়ে মাঠ ত্যাগ মাশরাফিদের (বাংলাদেশ প্রতিদিন), ম্যাচে মনই বসাতে পারেনি বাংলাদেশ (নয়া দিগন্ত) এবং ইত্যাদি.....।

এসব তো পত্রিকার শিরোনাম। আপামর জনতার প্রতিক্রিয়াতো আর এখানে লেখা সম্ভবনা। সম্ভবনা বিভিন্ন টিভি’র বিশ্লেষকদের (!) বক্তব্য উপস্থাপনেরও। কী করে লিখবো ডাইনিং টেবিলে বসে, শিক্ষিত মানুষের অশ্রাব্য বিশ্লেষণ! ব্যাপারখানা এমন যে, বাংলাদেশ প্রায়ই শ্রীলংকাকে হারায়। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হেরে বিরাট অন্যায় করে ফেলেছে...কী ভীষণ আবেগি জাতি আমরা? কী ভীষণ অযৌক্তিক!

সেই দলটা কী অসাধারণই না খেললো! ৩১৮ তাড়া করে জিতে গেল স্কটল্যান্ডের সাথে। ভুল প্রমাণ করলো আমাদের! অবিশ্বাস্য শরীরি ভাষায় জানিয়ে দিল, এটা বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সারা দুনিয়ার চোখ ছানাবড়া করে ওরা উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। দুনিয়ার মিডিয়া জুড়ে শুধুই বাংলাদেশ। গ্যালারি-রাস্তায় কেবলই লাল-সবুজ। মাশরাফিরা তেজোদ্দীপ্ত ভাষায় জানান দিলো, দেশপ্রেম কাকে বলে?

আজ অব্দি একটা নীতিই মেনে এসেছি- নৈতিকতাই শেষ কথা! সারা খেলাজুড়ে একটা ভুল সিদ্ধান্তও বাংলাদেশের পক্ষে গেলোনা! অথচ প্রতিপক্ষ পেলো এক হালি অন্যায্য সুবিধা....কার লাভ হলো তাতে?

আপাত দৃষ্টিতে লাভটা প্রতিপক্ষের ঝুলিতে গেলেও, চূড়ান্ত লাভটা বাংলাদেশেরই হয়েছে। সারা দুনিয়ার আলোচনার কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ, লারা, রিকি পন্টিং, ভিভ রিচার্ডস, লক্ষণ, আগারকার বা আকাশ চোপড়ারা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই রমিজ রাজাও বলেছেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে জয়টা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। মনে আছে? এরাই বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। ধারাভাষ্যের কক্ষে বসে বাংলাদেশকে কচুকাটা করেছে।

অথচ একটা পরাজয় কীনা ক্রিকেটের চুনোপুটি বাংলাদেশকে রাজার কাতারে নিয়ে এসেছে? এই বাংলাদেশকে অস্বীকার করা এবার আর সহজ হবেনা...

বাংলাদেশ টিম, প্রিয় মাশরাফি এন্ড কোং, যা দিয়েছেন সেও কম নয়। অপ্রত্যাশিত সব অর্জন!! সারা দেশকে এক করে দিলেন, আনন্দে ভাসালেন। দুষ্ট রাজনীতিও গলে প্রায় জল হয়ে গেল। আপনাদেরকে অভিনন্দন...ওয়েলকাল হোম!!

মন খারাপের কিছু হয়নি। কান্নারও কিছু হয়নি। জয় আমাদেরই হয়েছে। এই সোনার বাংলার পতাকাটা যেভাবে উঁচু করে ধরলেন, অার কী চাই?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

টি এম মাজাহর বলেছেন: স্যার বোধহয় পত্রিকায় রিপোর্ট দেখেই লেখাটা লিখেছেন। যারা খেলা দেখেছে তারা জানে নৈতিকতার কতটা নীচে নামা হয়েছিলো। প্রতিপক্ষ কে ছিলো এবং কেন এগুলো করা হয়েছিলো, বিশ্বের সবাই জানলেও আনন্দবাজার ও উৎপল শুভ্রের মতোই এতো সফিস্টিকেটেড অনুভুতি দেখে অবাকই লাগলো। ফেসবুকে দেখা একটি কমেন্ট মনে পড়লো- "এরপরও দেখা যাবে সেমিফাইনালে সেই ভারতীয় ক্রিকেট টীমকেই সাপোর্ট করবে এদেশের অনেকেই" । সত্যিই সেলুকাস, বিচিত্র এই দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.