নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাকিবুল হাসান

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ

চলচ্চিত্র পরিচালক

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কি কিছুই করার নেই?

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩


১৬ মার্চ বুধবার।

সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহা তাঁর এক বন্ধুর সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার-এর সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন তিনি।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় দুটি মাইক্রোবাসে সাদা পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে বন্ধু ইয়ামিন এবং তানভীরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ইয়ামিনকে কিছু দূরে নামিয়ে দিয়ে তানভীরকে নিয়ে চলে যায়।

তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম বলেন, ইয়ামিনের কাছে খবরটি শুনে প্রথমে কলাবাগান থানায় যাওয়া হয়। ‘তাদের এলাকা নয়’ বলে আমাদের কাফরুল থানায় যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে তারা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যেতে বলে। সেখানে গেলে তারা বলে আবার কাফরুল থানায় যেতে। কাফরুলে আবার গেলে তারা বলে, এলাকাটি ভাষানটেক থানা এলাকায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ভাষানটেক থানায় আর যাইনি।

তানভীরের স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বলেন, তানভীর সবসময় যেটি সত্য সেটিই বলত। দেশ ও মানুষের ভালোর জন্য কাজ করত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাওয়া মাত্রই তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে।

তানভীর হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক (অপারেশন)। তবে এই প্রকল্পটি গত দুই মাস ধরে স্থগিত রয়েছে। ইনসাইড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকও তিনি।

তানভীর বিভিন্ন সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইটি সহায়তা দিয়েছেন। এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায়ও তিনি পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করেন।

সর্বশেষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। তানভীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত হলে অনেক রাঘব-বোয়াল ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করার কারণে হুমকি পাচ্ছিলেন বলেও আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তানভীর।

এর আগে তানভীর হাসান জোহা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির আসল ঘটনা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছি,এ কারণে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ,আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে পুরো ঘটনা জানাতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন,আমি বিদেশি নাগরিকদের তদন্তে রাখা নিয়ে আপত্তি করেছি। কারণ আমি মনে করি, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি হোল (গর্ত) তৈরি করেছে,আর এখন বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে তদন্তের নামে তথ্য তুলে দিলে আরও বড় হোল তৈরি হবে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহা অপহরণের ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। ‘গুম’ হয়ে যাবার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। কোনও থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,তানভীর হাসান জোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলেও করতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। এই বক্তব্য দিয়েই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আর কোনও দায়িত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।

দেশের সম্পদ এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে ‘অপহরণ’ করে ‘গুম’ করে ফেলা হয়েছে; আমরা অসহায়ের মতো চুপচাপ বসে আছি! আমাদের কি কিছুই করার নেই?১৬ মার্চ বুধবার।

সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহা তাঁর এক বন্ধুর সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার-এর সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন তিনি।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় দুটি মাইক্রোবাসে সাদা পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে বন্ধু ইয়ামিন এবং তানভীরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ইয়ামিনকে কিছু দূরে নামিয়ে দিয়ে তানভীরকে নিয়ে চলে যায়।

তানভীরের চাচা মাহবুবুল আলম বলেন, ইয়ামিনের কাছে খবরটি শুনে প্রথমে কলাবাগান থানায় যাওয়া হয়। ‘তাদের এলাকা নয়’ বলে আমাদের কাফরুল থানায় যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে তারা ক্যান্টনমেন্ট থানায় যেতে বলে। সেখানে গেলে তারা বলে আবার কাফরুল থানায় যেতে। কাফরুলে আবার গেলে তারা বলে, এলাকাটি ভাষানটেক থানা এলাকায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ভাষানটেক থানায় আর যাইনি।

তানভীরের স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার চৌধুরী বলেন, তানভীর সবসময় যেটি সত্য সেটিই বলত। দেশ ও মানুষের ভালোর জন্য কাজ করত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাওয়া মাত্রই তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দিয়েছে।

তানভীর হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক (অপারেশন)। তবে এই প্রকল্পটি গত দুই মাস ধরে স্থগিত রয়েছে। ইনসাইড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকও তিনি।

তানভীর বিভিন্ন সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইটি সহায়তা দিয়েছেন। এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায়ও তিনি পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করেন।

সর্বশেষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। তানভীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত হলে অনেক রাঘব-বোয়াল ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে কারণেই তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করার কারণে হুমকি পাচ্ছিলেন বলেও আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তানভীর।

এর আগে তানভীর হাসান জোহা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির আসল ঘটনা আমি সংবাদমাধ্যমকে বলেছি,এ কারণে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তদন্ত সহায়তা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। কারণ,আমি অনেক বিষয়েই প্রশ্ন তুলছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে পুরো ঘটনা জানাতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন,আমি বিদেশি নাগরিকদের তদন্তে রাখা নিয়ে আপত্তি করেছি। কারণ আমি মনে করি, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি হোল (গর্ত) তৈরি করেছে,আর এখন বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে তদন্তের নামে তথ্য তুলে দিলে আরও বড় হোল তৈরি হবে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহা অপহরণের ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। ‘গুম’ হয়ে যাবার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। কোনও থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করার ৭ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন,তানভীর হাসান জোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলেও করতে পারে। তবে তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। এই বক্তব্য দিয়েই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আর কোনও দায়িত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।

দেশের সম্পদ এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে ‘অপহরণ’ করে ‘গুম’ করে ফেলা হয়েছে; আমরা অসহায়ের মতো চুপচাপ বসে আছি! আমাদের কি কিছুই করার নেই?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের অনেক কিছু করার আছে।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ বলেছেন: কী করা যেতে পারে?

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

কল্লোল পথিক বলেছেন:






আমাদের সকলের এক যোগে আওয়াজ দিতে হবে।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ বলেছেন: কী ভাবে, কী করা যেতে পারে?

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আমাদের কী করার আছে, করতে গিয়ে গুম হওয়া ছাড়া? এটিই আমার দেশ!

২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিছু করতে গিয়ে 'গুম' হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

যোগী বলেছেন:
ইউটিউবে তানভিরের কথা বার্তা শুনলাম। পুরাই আবাল টাইপের লোক মনে হলো।
তার তথ্যপ্রযুক্তির উপর কী ডিগ্রী আছে জানেন নাকি কিছু?

তানভির বোকা টাইপের মানুষ তার কিছু হবে না। পুলিশ শুধু দেখছে তার পেছনে বড় কোন শক্তি কাজ করছে কি না।
আসলে কেওই সন্দেহের বাইরে না।
তা ছাড়া তদন্ত চলাকালীন সময়ে টকশোতে গিয়ে তার এত লেকচার দেয়ার কী দরকার ছিল। সেটাওতো এক ধরনের ক্রাইম।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১০

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী- এরা অনেক সময় নিজের কাজের বাইরে বোকার মতো আচরণ করেন। তাঁর ডিগ্রী কী সেটা জানি না। তবে, একটা 'সাইবার ক্রাইম'-এর একটা প্রবলেম নিয়ে তাঁর মিরপুরের অফিসে গিয়েছিলাম; তিনি খুব দ্রুত সমাধান করে দিয়েছিলেন।
আপনি ঠিক বলেছেন, তদন্ত চলাকালীন সময়ে টকশোতে গিয়ে বেশি কিছু না বলা-ই ভালো ছিল।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

মধ্য রাতের আগন্তক বলেছেন: ''প্রথমে ওরা এসেছিল কমিউনিষ্টদের ধরতে, আমি প্রতিবাদ করিনি, কারণ আমি কমিউনিষ্ট ছিলামনা। তারপর তারা সোসালিষ্টদের ধরতে এসেছিল, আমি প্রতিবাদ করিনি, কারণ আমি সোসালিষ্ট ছিলামনা। তারপর তারা এল ট্রেড ইউনিয়ন পন্থীদের ধরতে, আমি প্রতিবাদ করিনি কারণ আমি ট্রেড ইউনিয়ন পন্থী ছিলামনা। তারপর তারা ইহুদিদের ধরতে এল, আমি প্রতিবাদ করিনি কেননা, আমি ইহুদি ছিলামনা। তারপর ওরা আমাকে ধরতে এল, তখন আর প্রতিবাদ করার মত কেউ অবশিষ্ট ছিলনা ''

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

মিথুন আহমেদ বলেছেন: কিছুই করার নাই। কারণ অনেকের কাছে উনি আবাল টাইপ মানুয । উনার আই টি ডিগ্রী নিয়ে সন্দিহান। অবাক হব না যদি উনার সাথে আই এস জঙ্গী কানেকশান খুজে পাওয়া যায়। এমন খবর আসতে পারে, এই টাকা জোহা সাহেবে মেরে দিত এবং পরবর্তিতে বিরোধী দল এই টাকার ভাগ পেত। আফসোস জোহা সাহেব, কেন মাড়োয়ারি রাকেশ দাদার পদলেহন করলেন না? আজকে বহাল তবিয়তে থাকতেন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

রাকিবুল হাসান_বাংলাদেশ বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী- এরা অনেক সময় নিজের কাজের বাইরে বোকার মতো আচরণ করেন। তাঁর ডিগ্রী কী সেটা জানি না। তবে, একটা 'সাইবার ক্রাইম'-এর একটা প্রবলেম নিয়ে তাঁর মিরপুরের অফিসে গিয়েছিলাম; তিনি খুব দ্রুত সমাধান করে দিয়েছিলেন। আপনি যা ভাবছেন, ওই ধরনের খবর পাওয়া অসম্ভব নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.