নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাজিমউদ্দিন

মোঃ নাজিমউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও ইসরাইল প্রসংগ

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

ধর্মব্যবসা সেই আদিকাল থেকেই খুবই জমজমাট। ক্ষমতা,সম্পদ আর জৌলুস এর জন্য সাধারণ মানুষের রক্ত আর জীবন মতলববাজ শাসক গোষ্ঠীর আজীবনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

ধর্ম নামের ঢাল ব্যবহার করে পৃথিবীতে ব্লাডি বাস্টার্ড মতলবি মানুষেরা আজীবন নির্যাতন করে নীরিহ মানুষদের উপর ।ধর্ম মানুষের জন্য,মানুষ ধর্মের জন্য নয়। এই সত্যটা আমৱা যতোদিন প্রতিষ্ঠিত করতে না পারবো মানুষ মানবতা প্রতিষ্ঠা পাবে না।

তবে বড় দুঃখের বিষয় হলো কোনো এক বিশেষ মহল শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মকেই তাদের এই জমজমাট ব্যবসার মূলধন হিসেবে পৃথিবী জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে |
আর তারা এতটাই সফল যে তাদের এই ব্যবসা বিশেষ করে মুসলিম দেশ গুলোতেই বেশি লাভজনক হচ্ছে |

এতো গেলো ধর্ম নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাজার | ধর্মের নামে ইসলামী ফতোয়া কে বিভিন্ন দেশ এ রাজনৈতিক , ব্যাক্তিগত যক্তি , স্বার্থে ব্যাবহার এর কোনো কমতি নেই কোথায়ও |

এতে আমাদের দেশ ও কোনো ভাবেই পিছিয়ে নেই |
তাইতো ইসরাইল ফিলিস্তান রোষানলে পৃথিবীর অন্য সব শক্তিশালী মুসলিম দেশ গুলো যখন নিরব তখন আমাদের দেশ এর মানুষ এর যুক্তি তর্কের জোয়ারে ইসরাইল কে ভাসিয়ে দিচ্ছে |
শুধু এখন না এতো চলছে আদিকাল থেকেই|

তাইতো ইসরাইল বাংলাদেশকে মারে নাই-কাটে নাই, ৪ লক্ষ বাঙালি নারী ধর্ষণ করে নাই ৩০ লক্ষ মানুষ ও হত্যা করে নাই |
বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করেছিলো|
যদিও বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার সেটা গ্রহণ করে নি ইসরাইল ইহুদি বলে। বিনা কারণেই ইসরাইলের সাথে আমাদের শত্রুতা| কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নাই|

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, বাংলাদেশের কোন দল ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইলে সেটা হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যা।

নব্য স্বাধীন মুসলিম ইউরোপীয় রাষ্ট্র কসোভোকে স্বীকৃতি দিতে অস্বাভাবিক সময় নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইসরাইলের স্বীকৃতির প্রশ্নও ঝুঁকে আছে কয়েক যুগ ধরে। ২০০৮ সালের ১৭ই ফেব্র্বয়ারি কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। আর ইসরাইলের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে। কসোভো প্রশ্নে বাংলাদেশের গুর্বত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক তাগিদ থাকলেও অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারও স্বীকৃতি নিয়ে সময়ৰেপণের কৌশল নিয়েছে। আর বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র মুসলিম দেশ যে তার জন্মের পর থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্কে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে। কূটনৈতিক বিশেৱষকদের মতে, এ দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা-না রাখার প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান বাস্তবতার নিরিখে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। কসোভো প্রশ্নে বাংলাদেশকে মার্কিন চাপ নয় উদার মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে নিজের পরিচয়কে মাথায় রাখতে হবে। আর সৌদি আরবের মতো দেশও ইসরাইলের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য ও সেবা সম্পর্ক স্থাপন করতে পারলে বাংলাদেশের চোখ বন্ধ করে রাখা কূটনীতিক যৌক্তিক নয়। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যে ইসরাইল একটি বড় ফ্যাক্টর হওয়ায় বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে থাকছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.