নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাজিমউদ্দিন

মোঃ নাজিমউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমানবাহিনী ও যোগ্যতা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৭

”একজন গ্রামের সাধারণ ছেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বিমানবাহিনীতে চাকরি পাচ্ছেন এটাতো সবার জন্য খুশির খবর। একটি দরিদ্র পরিবারের প্রতি সহানুভূতিও বটে।এ নিয়ে আমাদের সবার খুশি হওয়ার কথা।কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত আলোচনার ঝড় কেন?”

এটা ফেইসবুক থেকে নেয়া কারো উক্তি |


এখন কথা হলো এতো ছোট একটা বিষয় নিয়ে কেনো এতো বিতর্কের ঝড় !!!
কথা হচ্ছে আমাদের দেশ এর নেত্রী বিভিন্ন সময় মানুষ কে উদার ভাবে উপকার করেছেন|

আমরা আম জনতা এটা কে অনেক ভালো চোখে দেখি|
কিন্তু এই উদারতা প্রকাশ এর জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো চাকরী শুন্যপদ এমন কাউকে দেয়া উচিত নয় যে পদে যোগ্যতাসম্পন্ন কোটি মানুষ এক অফিস থেকে অন্য অফিসে দৌড়ে দৌড়ে মরছে।

এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অপরাগতা আর ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই না।
এ বিষয়ক কিছু মতামত দেওয়া হল।

মতামত ১ঃ
দেশে কত যোগ্য এডুকেটেড ছেলেরা বেকার বসে আছে, সার্টিফিকেট নিয়ে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে দৌড়ে দৌড়ে মরছে! সে খবর কে রাখে! লেখাপড়া না জানা এক ভ্যানচালককে আবেগের বশবর্তী হয়ে বিমান বাহিনীতে চাকরি দেওয়া সত্যিই হতাশাজনক ও অদ্ভুত !একজন শিল্পপতি একজন নিদিষ্ট গরিব কে চাকুরী দিতে পারে তার কোম্পানিতে, কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জনগনের জন্য সমানভাবে দায়বদ্ধ তিনি নিদিষ্ট কাউকে নিয়োগ দেওয়া মানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চরম অপব্যবহার।

মতামত ২ঃ
স্রষ্টা কখন কি ভাবে মানুষের জীবন বদলে দেন তা আমাদের চির অজানা,উচ্চ শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ফাইলে সংরক্ষন করে মরিচা না ধরিয়ে আর সমালোচনার গান না গেয়ে হাতের কাছে যে কর্মই পাবেন তা নিয়েই শুরু করুন জীবন গড়ার কাজে সমস্ত লজ্জা ভেংগে দেখবেন একটা সময় আপনি অনেকদূর এগিয়ে।যে শিক্ষা আপনার চোখে লজ্জার আবরণ পরিয়ে বছরের পর বছর বেকারত্ব জীবন দান করে,কেনই বা গ্রহণ করেন এমন অভিশাপ। মনে রাখবেন কোন কাজ বা কর্মই ছোট নয় কারন সমস্ত কর্মের পরিচালক একজন আর ফলাফলের ভোক্তা তিনিই,আমরা সবাই কেবলি কর্মচারী।


মতামত ৩ঃ

আপনি কি আপনার ভাগ্যকে যাচাই করতে চান ? তবে আর নয় ইউরোপ আর নয় আমেরিকা।। একটা ভ্যান গাড়ি নিয়া টুঙ্গিপাড়া থেকে ঘুরে আসুন ।।


মতামত ৪ঃ

অন্যের ভালো সহ্য করতে না পারা এই লোকগুলা হইলো স্রেফ ইতর। তারা কিসের শিক্ষিত যারা একটা অসহায় ছেলের পিয়ন পোষ্টে চাকুরী হলেও সহ্য করতে পারে না এবং পরশ্রীকাতর হয়ে সমালোচনা করে? গরীব ছেলেটার কর্মসংস্থান হওয়ায় তার পরিবারের অভাব দূর হয়েছে, কারো কোনো ক্ষতি তো হয়নি। তাহলে যারা সমালোচনা করছে তাদের উদ্দেশ্য কি? উচ্চ ডিগ্রী ধারী কেউ এই চাকুরী করার কথা না। কিন্তু তবুও তথাকথিত কিছু ডিগ্রিধারীরাও এই মহৎ কাজটার সমালোচনা করছে! অনার্স-মাষ্টার্স কিংবা ডিগ্রী পাশ করা ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনা এতটা নিচু মানের হয় কি করে!!
উনি কি ফাইটার বিমানের পাইলট হবেন ? ওনাদের অফিসিয়াল মেস আছে। সেখানেও চাকুরি আছে। মনে রাখা দরকার সকল প্রতিরক্ষা এলাকা সংরক্ষিত এলাকা। হোটেলের মত বয় বাবুর্চির এখানেও দরকার। এই সমস্ত পদেও নিয়োগ দিতে হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিটি বাংগালী অন্যের সাথে প্রতিযোগীতায় আছে, অন্যের সামান্য ভালোও সহ্য করতে অক্ষম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.