নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রানা সোহেল

চাকরী করি, পাশাপাশি পড়ালেখা। পড়তে ভালোবাসি। ঘরকুনো, চা'র কাপে দেশোদ্ধার করি। এই তো...

রানা সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুরত্বঃ একটি গল্প অপচেষ্টা (পুর্নাংগ)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

এ গল্প সেজান কে নিয়ে, বয়স ৮, জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। পড়ালেখা, টেলিভিশন, মোবাইল আর কম্পিউটার, এই ওর দিন রাতের সাথি, বেড়ে ওঠারও। সপ্তাহের ছুটির দিনে বাবা-মার সাথে বিভিন্ন শপিংমলেও যাওয়া হয় কখনো কখনো। এর বাইরে বন্ধুদের জন্মদিন আর বিয়ের অনুষ্ঠান তো আছেই। বাবা মায়ের সাথে কোন একটা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার এক বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। এই ওর প্রথম গ্রামে আসা। চারপাশে অনেক কিছুই ওর কাছে নতুন লাগছে। ছোট ছোট বাচ্চারা খালি গায়ে এবং খালি পায়ে ছোটা ছুটি করছে, পানিতে ঝাপিয়ে পড়ছে, তারপরও কেও তাদেরকে কিছু বলছেনা। মোটামুটি অবাস্তব একটা দৃশ্য!



গতকাল এসে পৌছাতে পৌছাতেই সন্ধ্যা। তাই তেমন কিছু দেখা হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর একটু ভয়ই পেয়ে গিয়েছিল সেজান। দূরে অন্ধকারের ভেতরে হঠাৎ হঠাৎ আলো জ্বলে উঠেই আবার নিভে যাচ্ছে। এ কেমন ভুতুড়ে ব্যপার! তবে একটু পর মাকে জিজ্ঞাস করে ও জানতে পারলো এগুলো নাকি জোনাকি নামের এক ধরনের পোকা। এগুলোর জ্বলতে নিভতে নাকি ব্যটারি লাগেনা, আবার চার্জও দিতে হয়না! এটা কোন কথা হলো? ফিরে গিয়ে বন্ধুদেরকে বলার মতো একটা গল্প হলো। অবশ্য সবাই চাপা বলে উড়িয়েও দিতে পারে।



আসার পর থেকে বেশ অনেকগুলো ব্যপার দেখে ওর ছোট মাথা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। যেমন সেজান কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না, ডাব গুলো ভ্যান গাড়ির উপর না রেখে বড় বড় গাছের মাথায় ঝুলিয়ে রেখেছে কেন? ও তো ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছে, ডাব একটা ভ্যান গাড়ির উপর জমা করা থাকে আর একজন সেগুলো কেটে কেটে বিক্রি করে! একজনকে দেখলো গাছ থেকে কলা পাড়ার সময় পুরো গাছ টাই কেটে ফেলছে! কি অদ্ভুত! এরকম আরো অনেক কিছু। তবে এখন ওর মাথায় যে জিনিস টা ঘুরছে, সেটাই ওর কাছে সব থেকে অদ্ভুত লাগছে। বেশ বড় ফাকা একটা জায়গার সামনে এখন ও দাড়িয়ে আছে, যেখানে অনেক বড় বড় কয়েকটা apartment হতে পারতো, গ্রামের মানুষ এই জায়গা টাকে “মাঠ” বলে। এখানে নাকি ফুটবল খেলা হয়। সেজানও ফুটবল খেলে, ওর কম্পিউটারে অথবা বাবার ট্যাব-এ। অনেক চেষ্টা করেও সেজান বুঝতে পারছেনা, ফুটবল খেলতে এত বড় জায়গা কেন লাগবে আর up-down key ছাড়া ফুটবলই বা মানুষ কি ভাবে খেলে!!



--দুরত্ব বাড়ছে মাটির সাথে। হারিয়ে যাচ্ছে শৈশবের দুরন্তপনা, কম্পিউটার আর পড়ার টেবিলে।



-রানা সোহেল

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখন খুব ছোট বয়সে বাচ্চাদের চোখে চশমা পরতে দেখলে খুব খারাপ লাগে তার উপর অসুস্থতা লেগেই থাকে। খোলা মাঠগুলো হারিয়ে গেছে উঁচু দালানের ভীরে। উন্মুক্ত পরিবেশে খেলাধুলা করার সুযোগ না পেয়ে দিন দিন বাচ্চারা মানসিক ভাবেও বেড়ে উঠতে পারছেনা। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও আমাদের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

রানা সোহেল বলেছেন: হ্যা ভাই।
" উন্মুক্ত পরিবেশে খেলাধুলা করার সুযোগ না পেয়ে দিন দিন বাচ্চারা মানসিক ভাবেও বেড়ে উঠতে পারছেনা। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও আমাদের উদ্যোগ নেয়া উচিত।" সহমত

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০

স্বপনচারিণী বলেছেন: যে কোন ভাবেই আমাদের সন্তানদেরকে প্রকৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিৎ। বিশেষ করে বছরে একবার হলেও গ্রামে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে।।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

রানা সোহেল বলেছেন: হ্যা, খুব খারাপ লাগে যখন দেখি আমার পাশের ফ্লাটের ৩টা বাচ্চা ৮০ স্কয়ার ফিটের একটা বারান্দায় খেলা করে! :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.