নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রানা সোহেল

চাকরী করি, পাশাপাশি পড়ালেখা। পড়তে ভালোবাসি। ঘরকুনো, চা'র কাপে দেশোদ্ধার করি। এই তো...

রানা সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সায়েন্স ফিকশন (হতেও পারতো!)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

২০২২ সালের এক অপরাহ্ন। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটরের সামনে কিছু ব্যাক্তি উদ্বিগ্ন মুখে ঘোরা ফেরা করিতেছে। ভেতরে তাহাদের রুগীর অপারেশন চলিতেছে। তবে একটু খেয়াল করিলেই রুগীর আত্মীয় স্বজনের উদ্বেগের মাঝেও একটু স্বস্তির ছোয়া দেখা যায়। যিনি অপারেশন করিতেছেন তিনি তো আর যে সে নন। ভরসাতো একটু করাই যায়। ডাক্তারের বয়স বা অভিজ্ঞতা যদিও বেশি না তবে অসম্ভব প্রতিভাবান। ছাত্রজীবনে শ’য়ে শ’য়ে এ+ হাকাইয়া বেশ কয়েকটি নকল ‘সোনার মেডেল’ও জিতিয়াছেন!



হঠাৎ করিয়াই অপারেশন থিয়েটরের দরজা খুলিয়া হন্তদন্ত হইয়া ‘প্রতিভাবান’ ডাক্তার বাহির হইয়া আসিলেন। মুখ দেখিয়াই অনুমান করা যায় তাহার মেজাজ প্রচন্ড ক্ষিপ্ত। রোগীর আত্মীয় স্বজন ভয়ে ভয়েই তাহাকে ঘিরিয়া ধরে,



:“ডাক্তার সাহেব, রোগীর কি খবর?”



: “আর বলিবেন না, দেশটা ধাপ্পাবাজে ভরিয়া গিয়াছে। কাহাকে একটু বিশ্বাস করিবো সেই উপায় আছে?” ডাক্তার ক্ষিপ্ত ভাবে উত্তর করিলেন।



:অবশ্যই নাই। সব ধাপ্পাবাজ। কিন্তু ডাক্তার সাহেব, রোগী?



:রোগী আছেন, তবে কেমন আছেন জানি না। ‘আউট’ হওয়া যে প্রশ্নের উপর প্রস্তুতি নিয়া আসিয়াছিলাম, রোগী কে কাটিবার পর দেখি অবস্থার সাথে তাহা মেলে না! যে পুস্তক খানা সাথে আনিয়াছি, তাহাতে ইহার উত্তর নাই। এইটা কোন কথা হইলো? এখন আমি কি করিবো?” ডাক্তারের রাগ প্রশমিত হয় না।



রোগীর আত্মীয় স্বজন কিছু বুঝিতে পারে না, অবাক হইয়া জিজ্ঞাস করে, “ঠিক বুঝিলাম না!”



ডাক্তারের মুখভাবের কিছু পরিবর্তন হয়। কিছুটা উদাস ও কিছুটা দার্শনিকতার সাথে ডাক্তার উত্তর দেনঃ “ আমি ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করিয়াছিলাম”!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.