![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাল্যকালে বড় আকৃতির স্কুল ব্যাগে বেশ কতক গুলি বই ভরিয়া কাধে ফেলিয়া স্কুল যাইতে যাইতে ভাবিতাম, ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে’। একদিন আমিও কলেজে উঠিবো। বড়ো ভাইদের মতো প্যান্টের পেছনের পকেটে আধখানা খাতা গুজিয়া শুন্য হাতে লাফাইতে লাফাইতে আমিও বিদ্যার্জন করিতে যাইবো। মাধ্যমিক পাশ করিয়া বহু আকাংখিত কলেজ জীবনে পদার্পন করিলাম। সাদা শার্ট, সাদা প্যান্টে বিপত্নীকের সাজ লইয়া ‘পাবলিক কলেজ’-এ ক্লাস করিতে যাইয়া শিক্ষকদের বেত্রাঘাতের দক্ষতা দেখিয়া বুঝিলাম, বই না বহিলে কাধ হয়তো বাচিবে, তবে পিঠ যে বাচিবে না, তাহা নিশ্চিত!
কি আর করা! মন শক্ত করিলাম, মাত্রই তো ২ বছর। তাহার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠিয়া লই। খাতাও লইবো না। মাঝে মাঝে দু-এক দিন ক্লাস করিতে যাইয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্য করিবো। বিধাতা মুচকি হাসিলেন। যা হইবার তাই হইলো। ভর্তি হইলাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসনে এবং অচিরেই আবিষ্কার করিলাম ইহার নিয়ম কানুন কিন্ডার গার্টেন অপেক্ষা খুব একটা অন্যরকম নহে। নিয়মিত বই আনিতেই হইবে। ব্যাগের আকার এবং বইয়ের ওজন ২ টাই বাড়িলো, সেই সাথে পাল্লা দিয়া বাড়িলো আমার হতাশা!
বই না বহিয়া বিদ্যার্জন বোধ হয় আর হইলো না! সুতরাং সিদ্ধান্ত লইলাম, যে ভাবেই হোক মাষ্টার্সটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করিবো। বাংলা নাটক এবং চলচিত্রে বহুবার দেখিয়াছি সারা বছর বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়া, নায়িকার সাথে ধাক্কা খাইয়া এবং নাচা-গানা করিয়া পড়ালেখা না করিয়াও বছর শেষে চিৎকার দিয়া বলা যায়, “মা, আমি ফার্ষ্ট ক্লাস ফার্ষ্ট হইয়াছি!” IBA তে ভর্তি হইলাম এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আবিষ্কার করিলাম, এখানে “বই না নিয়া আসিলে ক্লাস করিতে দিবো না” শিক্ষকদের খুব প্রিয় বানী!
ছাত্র জীবন শেষ হইয়া গেল, বই বওয়া বন্ধ হইলো না!
ছাত্র জীবন শেষ হইয়া গেল, কিন্ডার গার্টেন থেকে বের হইতে পারিলাম না!
০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
রানা সোহেল বলেছেন: আমার CGPA বহন করিতে ব্যাগ লাগে নাই। ঐটা বেশ কমই ছিলো! :p
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
বিষক্ষয় বলেছেন: কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, PhD পর্যন্ত ব্যাগ ছাড়াই চলেছি............আর হ্যা “আমি ফার্ষ্ট ক্লাস সেকেন্ডও হইয়াছিলাম!