![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতএব তাহার অতিগুনধর পুত্র যখন পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি’র মতো তিন তিনটা পাবলিক পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পাওয়ার পর ৪র্থ পাবলিক পরীক্ষার আগের রাতগুলোতে রাত জাগিয়া ফেসবুক হইতে শর্ট সাজেশন পড়িয়া এইচ এস সি তেও টানা ৪র্থ বার এ+ মারিল, তিনি বুঝিলেন ২/৪ টা আইনষ্টাইন বা নিউটন এই ছেলের কাছে কিছু না। ছেলের কল্যানে তিনিও কিছুটা ডিজিটাল হইয়াছেন, google চেনেন। তিনি খুজিয়া পাতিয়া দেখিলান আইনষ্টাইন, নিউটন বা হকিন্স জীবনে একটা গোল্ডেন এ+ ও মারিতে পারেন নাই। আর ৪ টা? সে তো তাহারা দুঃস্বপ্নেও ভাবেন নাই!
সুতরাং তাহার এইরুপ গুনধর পুত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য্য হইতে পারিলো না, তিনি বিশ্বাস করিলেন নিশ্চই যে প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হইয়াছে তাহা ঠিক নাই। তাহার পুত্র যখন চার খানা গোল্ডেন এ+ হাকাইয়াছে তাহার পর আবার ভর্তি পরীক্ষার দরকার কি? এমনিতেইতো ভর্তি করিয়া নিতে পারে। অযথা ‘কোমল মতি’ ছাত্র-ছাত্রী দিগকে কেন বিড়ম্বনা সহিতে হইবে?
নাটক সিনেমায় তিনি বহুবার দেখিয়াছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা বসিয়া বসিয়া গল্প করিবার সাথে সাথে বাদাম চর্বন করে, মাঝে মাঝে নাচ গান করে এবং অবশেষে চিৎকার দিয়া বলে “মা, আমি ফার্ষ্ট ক্লাস ফার্ষ্ট হইয়াছি”। তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াও মনেকরিতে পারিলেন না কখনো কোন সিনেমায় বিশ্ববিদ্যালয় নামক জায়গায় পড়ালেখা হয় বলিয়া দেখিয়াছেন কিনা!!
অবশেষে অনেক ভাবিয়া তিনি সিদ্ধান্তে পৌছাইলেন, শুধুমাত্র বাদাম চর্বন এবং গানা-বাজানা করিবার উদ্দ্যেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িবার কোন হেতু নাই? তাহার গুনধর পুত্র যখন চার-চারখানা ‘গোল্ডেন’ এ+ পাইয়াছেই তাহাকে ডাকিয়া লইয়া এমনিতেই একখানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া যাইতেই পারে! সে যখন এই সিদ্ধান্তে উপনিত হইয়াছিল তখন বিদ্যার দেবী লজ্জায় মুখ লুকাইয়াছিল কিনা অথবা ধরনী দ্বিধা হইয়াছিল কিনা আমাদের জানা নাই।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
রানা সোহেল বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: এক্কেবারে বাংলাদেশী বাপ আর পোলা! ..ন্ত্রী দেখছিনা!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
রানা সোহেল বলেছেন: ২ নম্বর প্যারার কথাগুলো পরিচিত লাগে নি!
বিঃদ্রঃ এই লেখার প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে কোন মিল খুজে পাওয়া গেলে তাহা নিতান্তই কাকতাল।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই... কি অার করা ডিজিটাল শিক্ষামন্ত্রীর ডিজিটাল পোলাপান তৈরী হইবে অচিরেই....
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
রানা সোহেল বলেছেন: আ হা! আপনি আবার কিসের মাঝে কি খোজেন! বললামই তোঃ এই লেখার প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে কোন মিল খুজে পাওয়া গেলে তাহা নিতান্তই কাকতাল।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
ভিটামিন সি বলেছেন: আহারে!! আমার যদি দুইখান পোলা-মাইয়া থাকতো এই সুযোগে এককেজি এ+ কিইন্না দিবার পারতাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
রানা সোহেল বলেছেন: তা যখন নেই, চেষ্টা করে দেখেন এই সুযোগে নিজের নাম বদলে "ভিটামিন সি" থেকে "ভিটামিন গোল্ডেন এ+" করে ফেলা যায় কিনা!
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
জামান শেখ বলেছেন:
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
রানা সোহেল বলেছেন:
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভ্রাতা
আর কয়দিন পরে পুলাপান শরমেও বলবে না যে প্লাস পেয়েছে !
ভালো থাকবেন ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
রানা সোহেল বলেছেন: গনহারে এ+ এর জন্য যারা সত্যিকারের এ+ এর যোগ্য তারাও কষ্ট পাচ্ছে। পোলাপান গুলোর কোন দোষ দেখিনা, দোষটা সিস্টেমের।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
ভিটামিন সি বলেছেন: যান আপনার পরামর্শ মতো আমার নতুন নিক নেবো "ভিটামিন সি গোল্ডেন এ+"
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
রানা সোহেল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
নিজাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বাস্তবধর্মী লেখা।