নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু বনাম রাষ্ট্র ও ইসলাম

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইদানিং বেশ আলোড়ন চলতেছে, বিষয়টা একদিক থেকে অমানবিক অন্যদিক থেকে তারা যেহেতু মুসলিম সম্প্রদায় সেই হিসেবে একটা স্পর্শকাতর বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়ার সহজলভ্যতার কারনে এই বিষয়টা এখন একটা হট টপিকে পরিনত হয়েছে। এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন, বিষয়টা একদিক থেকে যেমন রাষ্ট্রিয় সমস্যা, অন্যদিক থেকে মানবিক ও ধর্মীয় সমস্যা।

প্রথমত যদি রাষ্ট্রিয়ভাবে চিন্তা করা যায়, তখন ব্যাপারটা হবে অন্য একটা দেশের এমন বিশাল সংখ্যক জনগনকে কিভাবে আমরা আশ্রয় দিতে পারি? যদি সেটা সাময়িক সময়ের জন্য হয়ে থাকে তবে এত চিন্তা করার কিছু নেই আমরা অন্তত মানবিকতার খাতিরেই সেটা করতে পারি এবং সেটা করা উচিত। কিন্তু তারা যদি আর ফেরত না যায় অথবা তাদেরকে যদি আর ফেরত নেয়া না হয় তবে এখানে একটা ভাববার বিষয় আছে। তবে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে (যদি রাস্ট্রের নীতি নির্ধারকরা নিজেদের খাটি মুসলিম মনে করে) তাহলে রোহিঙ্গাদের মুসলিম সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের অব্যশ্যই শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাদের সাহায্য করা উচিত। অপরদিকে যদি আমরা আমাদের বানানো রাস্ট্রিয় সংবিধান, আইন কানুন এসবের দোহাই দেই তাহলে সেটা নিতান্ত্যই ভিন্ন বিষয়।

আমাদের মনে রাখতে হবে, মোহাম্মদ (সাঃ) ও সাহাবিরা যখন মক্কার কাফেরদের অমানবিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন তখন মদিনার আনসাররা তাদের শত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মুজাহিরদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র থাকার জন্য আশ্রয় না তাদের সম্পত্তি, সন্তান, খাবার এমনকি নিজেদের জিবন দিয়েও মক্কার কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন। এটাই হল মুসলিম ভ্রাতৃত্যবোধ। আর আমরা এখন পাশের দেশের মুসলিমদের উপদ্রব হিসেবে চিন্তা করি! আমাদের আর তাদের মধ্যে এটাই হল ইসলাম পালন তথা ঈমানের দৃঢ়তার পাথর্ক্য।

আব্বাসিয় খিলাফতের সময় হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে যখন এক মহিলাকে বির্ধমীরা নির্যাতন করছিল তখন ঐ মহিলা খলিফার সাহায্য চেয়েছিল। তার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, সে এমন এক সস্প্রদায়ের অংশ যেখানে তাকে সাহায্য করার অব্যশ্যই কোন না কোন ব্যবস্থা করা হবে। এটাই ছিল তখনকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সস্প্রতি। কাফেররা তখন এই মহিলার প্রার্থনা দেখে উপহাস করে বলেছিল এত দুর থেকে খলিফা তোমাকে কিভাবে সাহয্য করে আমরা দেখতে চাই। অন্যদিকে খলিফা মুহতাসিমের কাছে এই খবর পৌছা মাত্রই সে বিশাল এক সৈন্য বাহিনী প্রেরন করেন মহিলাকে উদ্ধার করার জন্য। পরবর্তীতে সেই সেনাবাহিনী পুরো রাজ্যকেই দখল করে নেয়। এমনটাই ছিল তখনকার ইসলামের সংবিধান, এটাই হল মুসলিমদের ঐক্যতার ফলাফল।

আর আমরা নিজেরাই প্রতি বছর বছর কাটা ছেড়া করি যেই সংবিধান সেটাকে সবথেকে উদ্ধে তুলে ফতুয়া দেই আর সেখানে নিজেদের স্বার্থের বাইরে থাকে না কোন মানবিকতা, থাকে না অন্যের প্রতি উদার হয়ে আত্মত্যাগের স্পৃহা। আর ভাবি আল্লাহ আমাদের সাহায্য করে না কেন? বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা শুধু মার খাচ্ছে কেন, কেন আমরা নির্যাতিত হচ্ছি? আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবে? এই জাতিকে সাহায্য করবে যারা নিজেরাই নিজেদের গুম, হত্যা, লুট, ধর্ষন করে একটা অদ্ভুদ মুসলমান জাতিতে আমরা পরিনত হয়েছি।

এখানে রাস্ট্রিয় আইন-কানুন এসবের জটিল ও কুটিলতার ভিতর থেকে আপনি কিছুই করতে পারবেন না, কারন এখানে শাসকগোষ্ঠির মতামত ও তাদের সিদ্ধান্ত্যই চূড়ান্ত। আপনার নাগরিকত্ব, সমঅধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধিনতা, আইনের স্বাভাবিক গতিতে চলা, বিচার ব্যবস্থা এসব শুধুই সংবিধানের পাতায় পাতায় চাপা পরে থাকা কয়েকটি শব্দগুচ্ছ ছাড়া কিছুই নয়।

আমরা সবাই দুনিয়ার সব ভাল ভাল কথা জানি, এখন শুধু কাজে পরিনত করাটাই বাকি। আল্লাহ সময় সুযোগ সবসময় দেন না এখন রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য করার মাধ্যম হিসেবে শুধুমাত্র সত্য-মিথ্যার ফটোশপের আশ্রয় নিয়ে ছবি পোস্ট না করে বাস্তব জগতে তাদের সাহায্য করার চেস্টা করি। আপনার এইসব পোস্ট, আমিন, সুবাহানল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ কমেন্টে তাদের পেট ভরবে না। আগে তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসুন পাশাপাশি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি দ্রুতই এই অবস্থা থেকে মুক্তি দেন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

কানিজ রিনা বলেছেন: এখানে কাজ করবে মানবতা আর মানবতাই
বড় ধর্ম। ধর্ম বর্ন নীর্বিশেষে মানবতায় এগিয়ে
আশাই মহানুভতা। মায়ানমার সরকার মানবতা
লঙ্ঘন চরম সীমা অতিক্রম করেছে।
রহীঙ্গারা মানুষ, আর মানুষ অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবে এটাই বড় মানবীকতা। ধন্যবাদ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: মানবতার জন্য অব্যশই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, অধিকিন্তু মুসলিম হিসেবে মুসলমানদের আরেকটু বেশি দ্বায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়া উচিত।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

ডা. সুরাইয়া বীথি বলেছেন: অাপনার সাথে একমত পোষণ করছি। কিভাবে কি করলে এই শংকটময় পরিস্থিতি থেকে রোহিঙ্গারা বেড়িয়ে অাসবে! ফেসবুল,ব্লগ,সমাজিক অারো বিভিন্ন মাধ্যমে তোলপাড় করে তো অাসলে বাস্তবিক অর্থে কোন ফায়দা নেই।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: রোহিংগাদের আল্লাহ সহায় হোন।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:

আজকে একদিনেই ৭০ হাজার ঢুকছে, এখন পর্যন্ত তার সংখ্যা হয়তো ১ লাখ ছাড়িয়েছে! গত দুই দিনে প্রায় ৬০ হাজার প্লাস ঢুকেছিলো!
সূত্র - আল জাজিরা!

কথা সেটা না, কথা হলো আগের দেড় মিলিয়ন রোহিঙ্গা এখনো দেশে বসবাস করছে! নতুন করে আসছে আরো ৫/৬ লাখ! যদিও পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লাখ! ( তথ্য অনুযায়ী সবাইকে যদি তাড়িয়ে দেয়; তবে!)
< অন্যদিকে জাতিসংঘ আরাকানে খাদ্য সাহায্য বন্ধ ঘোষণা করেছে!

< চীন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে!

< জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সৌদিআরব কোন নিন্দা প্রস্তাব দেয়নি! যেমনটা দিয়েছিলো মীর কাশেমের ফাসির রায় দেয়ার পরে! বলেছিলো, " বাংলাদেশ জুডিশিয়াল কিলিং করছে!"
একেই বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড!

< জিহাদিরা জিহাদের ডাক দিয়েছে!

ফেঁসে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি!

#আন্তর্জাতিক_ষড়যন্ত্রের_গন্ধ_পাচ্ছি! (সংগৃহীত)

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীতে যত দিন প্রচলিত ধর্মগুলোর মারামারি থাকবে তত দিন এই সমস্যা আসবেই। মানবতাই হোক সব চেয়ে বড় ধর্ম।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আগে তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসুন পাশাপাশি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি দ্রুতই এই অবস্থা থেকে মুক্তি দেন। "

-আল্লাহের কাছে প্রার্থনা করা যায় কি, " আল্লাহ এই ধরণের ঘটনা ঘটতে দিও না"

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: যেই ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটে গেছে সেটার জন্য তো আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি। তারপর এইরকম যেন আর না ঘটে এবং এই ঘটনার সমাধান যেন দ্রুত হয় সেই ব্যাপারে আল্লাহ কাছে অব্যশই দোয়া করতে হবে। ধন্যবাদ

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চাদগাজী ঠিক কথা বলেছেন । আল্লাহ সর্ব শক্তিমান , সর্ববিজ্ঞ ও দয়াময় । আসুন সকলে মিলে তাদের জন্য সাহার্যের হাত প্রসারিত করার পাশাপাশি ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে আল্লার দরবারে মোনাজাত করি তিনি যেন জালিমদের হাত হতে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে মুক্ত করেন এবং সেখানে অচীরেই শান্তি স্থাপন করেন । এটা বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ মহুর্তের মধ্যেই নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে জন্য কল্যান সাধন করতে পারেন । আল্লাহ সকলের সহায় হোন । আমীন

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনাকে শুভেচ্ছা সুন্দর সাবলীল লেখাটির জন্য। হ্যাঁ সত্যিই তাই সামাজিক যোগাযোগ সাইটে যত যাই লিখি না কেন তেমন বেশী কিছু লাভ হবে না রোহিঙ্গাদের জন্য। রোহিঙ্গাদের এই সমস্যা এখন রোহিঙ্গাদের নেই। এটা এখন বাংলাদেশের সমস্যা। এরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেই বহু আগে থেকেই। মিয়ানমারের পলিসি হচ্ছে এদেরকে আমাদের দেশে পাড় করে দেয়া। আর হচ্ছেও তাই। কিন্তু আমরা কি করছি। আমাদের সরকারের অন্তত এদেরকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি কীভাবে ওদের দেশে নিরাপদে ফেরত দেয়া যায় তার জন্য কুটনৈতিক প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। রোহিঙ্গারা যেন তাঁদের দেশে নিরাপত্তা পায় তারজন্য আমাদের সরকারের চেষ্ঠা থাকা দরকার। কারণ, ওরা নিরাপদ থাকলে আমরা নিরাপদ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মায়া মৃদঙ্গ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।স্রষ্টা মঙ্গল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.