নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Good for every things, output nothing.

চিন্তাশীল আলোচনা করতে চাই। সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অ্যাজাইরা পেচালের টাইম নাই।

পাপাই

আমি একজন ফুর্তিবাজ।

পাপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীদের বিশ্লেষন। একজন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী কেন, কিভাবে, কি কারনে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয়?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

একজন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী কেন, কিভাবে, কি কারনে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয়?



কোন একটা বিষয়ের পিছনে কিছু কারন থাকে। সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীরা কেন, কিভাবে, কি কারনে তার বিশ্বাস কে ত্যাগ করে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয় এবং নিজেদের কে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী বলে দাবী করে তা আমার ভাষায় তুলে ধরার চেস্টা করেছি। কোন বিষয় বাদ পড়লে জানাবেন অবশ্যই ঠিক করে সম্পাদন করবো।



নিন্মে বিভিন্ন স্পেসিফিক কারন এর উপর ভিত্তি করে প্যারা করে নিন্মে বর্ননা দেওয়া হলো।







1. বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা এর অভাব :



সৃস্টিকর্তাকে অনুধাবন ও তার অস্তিত্বের প্রমান করা শুধু মাত্র বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা। অনেক সময় সঠিক ভাবে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা না করে মানুষের সাময়িক ভাবে সৃস্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের তারতম্য হতে পারে। তাই পরবর্তীতে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা পরিপুর্ন ও খাটি ভাবে সৃস্টিকর্তার বিশ্বাস অর্জনের সুযোগ রয়েছে।







2. নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা :



মানুষের অনেক গুলো স্বাভাবিক স্বভাবের মধ্য অন্যতম একটি স্বভাব হলো নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা। এতে সে ভিন্ন ও নতুন একটা ব্যক্তিত্ব এর বিকাশ ঘটাতে পারে এবং সকলের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই কিছু কিছু মানুষ চায় সে যেন কিছু ভিন্ন ও অন্যরকম কিছু বলতে পারে। চারদিকের সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের একই ধরনের কথাবার্তার একটু ভিন্নতা আনার জন্য সৃস্টিকর্তার বিশ্বাসের চিন্তার পথ হতে প্রকৃত চিন্তার কিছুটা ব্যতিক্রম ও কনফিউশন তৈরি করে যারা বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা করেন না তাদের ভালোই দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই আরো দৃস্টি আকর্ষনের জন্য সে আরো ব্যতিক্রমী চিন্তা ও কনফিউশন তৈরিতে আত্ননিয়োগ করে। এভাবে নিজের কার্যক্রমের কারনে নিজেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসের পথে জড়িয়ে যায়।







3. বিশেষ বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন ও সঙ্গীদের সহচার্য :



কিছু কিছু মানুষের অনেক সময় কোন বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন করে। যেমন হিমু একটা ভার্চুয়াল চরিত্র হলেও তার খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়া ফলোয়ারের অভাব নাই। তেমন চে গুয়েভারোর ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক। একজন সেলিব্রেটির সব সময় নিজেস্ব কিছু স্টাইল থাকে। চে গুয়েভারোর স্টাইল ছিল তার বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল ও তার বিপ্লবী গুন সম্পন্ন লাইফ স্টাইল। কিছু কিছু মানুষ তার ছবি ওয়ালা টি শার্ট ও তার লাইফ স্টাইল ফলো করতে শুরু করলো। স্টাইল ফলো করতে যেয়ে তারা জানতে পারলে চে গুয়েভারো একজন সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী এবং বিপ্লবী। তাই ঐ মানুষ গুলো সেলিব্রেটি চে গুয়েভারোর লাইফ স্টাইলকে নিজের লাইফ স্টাইলে পরিনত করার চেস্টা করলো কারন হয়তো কিছু কিছু মানুষ ভাবলো খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়লেই হিমু হওয়া যায় না হিমুর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়। তেমনি বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল এবং বিপ্লবী হলেই চে হওয়া যায় না। চে এর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়।





4. পলিটিক্যাল কারনে সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী:



যদি সৃস্টিকর্তা থেকেই থাকেন তবে তিনি অবশ্যই তার সৃস্টির জীবন যাপন এর সুবিধার জন্য, মঙ্গলের জন্য, সৃস্টির উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য তার নিজের তৈরি কিছু "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" সৃস্টির উপর প্রতিস্ঠা করিয়ে দিতে চাইবেন। "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" না দেখে তার সৃস্টি কিভাবে বুঝবে যে তিনি একজন সৃস্টিকর্তা।



কেউ তার পলিটিক্যাল স্বার্থ হাসিলের কারনে এবং ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" কে তার ক্ষমতার আসার জন্য বাধা হিসেবে অথবা ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" থাকলে সেটা তার সুনীতি ও দূর্নীতির বাধা হতে পারে, এমন কোন ধারনা কেউ পোষন করলে সে মনে প্রানে চাইবে ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" যেন প্রতিস্ঠিত না হয়। তাই সে সৃস্টিকর্তার "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" বিহিন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইবে। ফলশ্রুতিতে সে নিজে ও সৃস্টিকর্তাকে প্রত্যাক্ষান করবে। ট্রাই করবে সৃস্টিকর্তার কোন অংশ ও প্রভাব নাই এমন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।







5. নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা :



কিছু কিছু মানুষের নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা রয়েছে। তারা চান তারা যেন সকলের দৃস্টি আকর্ষিত হোক সকলের থেকে ভিন্ন কোন বিশেষ কাজ দ্বারা। যেহেতু আামাদের সমাজে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হতে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীর সংখ্যা বেশী এবং পরস্পর বিদ্বেসী সেজন্য সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীরা যদি সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কোন কথা বা কার্যক্রম করে তবে সহজেই সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। আমাদের সমাজের মিডিয়া গুলিও তাদের নীতি ও সুবিধার কারনে খুব সহজই এবং উদার ভাবে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীদের কার্যক্রম প্রচার করতে পছন্দ করে। তাই তারা সংখ্যায় অল্প হলেও সহজেই তাদের সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের জন্য প্রচার পায়। সুতরাং যে বা যারা নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী তারা সামান্য কিছু সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের কারনেই সহজে প্রচারনা পেতে পারে। এভাবে নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কার্যক্রম করতে করতে ক্রমেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হয়ে উঠে।







6. পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিকি করনের অভাব :





আমরা ছোট কাল থেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে শিখি কিছু বিশেষ নীতি কথা ও কাজ যেমনঃ "সদা সত্য কথা বলবো, মিথ্যা বলবো না", "গুরুজন কে সম্মান করবো", "কাউকে কস্ট দিব না" ইত্যাদি। এমনি ভাবে পরিবার ও সমাজ যদি সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী ধারনার হয় তবে শিশুদের এমন ভাবে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী শিক্ষা দেওয়া উচিৎ যেন ঐ নীতি কথা গুলোর মতো শিশুটির বিশ্বাস ও বড় হলে কোন কনফিউশনে পড়বে না। এমন করা না হলে শিশুটির সৃস্টিকর্তা বিশ্বাস এর উপর কনফিউশন হওয়া ই স্বাভাবিক।



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

পুংটা বলেছেন: বর্তমান দুনিয়া নাস্তিকদের হাতে। সবকিছুতেই তারা এগিয়ে। একটু তাকিয়ে দেখুন। গাড় ঠেলে এটেল করলে তো হবে না। এমন চিন্তা ভাবনার কারনেই চান্দে দেলুরে দেখতে পান।

সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সত্য সহ্য করার শক্তি দিক। :|

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫১

পাপাই বলেছেন: চান্দে দেলু দেখা গেসে শুনসি, এখন আবার আপনে কি নাস্তিকদের হাতে দুনিয়া চলতে দেখতেসেন !!! কি চমৎকার দেখা যায় !!!

সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীরা কি সত্য সহ্য করার শক্তি দিতে পারে না?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১

পুংটা বলেছেন: আমি ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসী আপনার পোষ্টে লেখার আগ্রহ দেখাননি কেন এখনও বুঝতে পারেন নি....???

কবে যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সে জ্ঞান দেবেন তা তিনিই জানেন। :-P

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

পাপাই বলেছেন: আমার পোস্ট পড়ার জন্য, সৃস্টিকর্তার বিশ্বাসী হোক অবিশ্বাসী হোক 1 জন পুংটা ই যথেস্ট।

ভাই প্লিজ আমার জ্ঞান হবার জন্য সৃস্টিকর্তার কাছে সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা কইরেন।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮

নরাধম বলেছেন:
হায় হায় বর্তমান দুনিয়া নাস্তিকদের হাতে চইলা গেল?! ঝানথাম না! এখন নাস্তিকদের তোয়াজ করে চলতে হবে, নাহয় দুনিয়া থেকে আমাকে তারা বের কে দিবে! :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

পাপাই বলেছেন: পুংটা বলেছেন: বর্তমান দুনিয়া নাস্তিকদের হাতে। সবকিছুতেই তারা এগিয়ে। একটু তাকিয়ে দেখুন।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩১

পুংটা বলেছেন: বিনোদনের ভান্ডার =p~

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

পাপাই বলেছেন: আমার পোস্টটা সার্থক :D:)

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৫

দিশার বলেছেন: বিনয়ের সাথে কিছু কথা বলতে চাই .

১)ভাই বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা ভাবনা করে তো আমি নুহ এর নৌকা , বা সূর্য আরশের নিচে সেজদা যাওয়া এগুলার মানে বুঝতে পারি না .বা মূর্তি পূজা , যিশু কিভাবে খোদা আবার খোদার পুত্র , যেমন বুদ্ধি তে ধরে না, যে আরো ৫০০ বছর আগে চীন দেশ য়ে কাগজ এর আবিষ্কার ও বেবহার হতে থাকলেও কেন আমাদের মানব মুক্তির সনদ (কোরান) কে পাথর আর পাতায় লেকাহ হয় এমন দেশ য়ে নাজেল হয়। যা আবার সম্পুর্ন সংকলন করে যান নি হজরত মোহাম্মদ (স) নিজে . করা হয়েছে তার মৃত্যুর বহু বছর পর। বুদ্ধি তে আসে না ভাই . আল্লাহ আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন যেন আমি বুঝতে পারি . আমিন

২) অন্য দেশ এর খবর তেমন জানি না, ৯০ ভাগ মুসলমান এর দেশ য়ে "নাস্তিক" ঘোষণায় যে দৃষ্টি এবং চাপাতির কপ আকর্ষিত হয় তা কেও "সখ" এর বশে বা নিজেক স্মার্ট প্রমান করতে করে বলে মনে হয় না .

৩) এটার সাথে সহমত , সৎ সঙ্গে সর্গবাস

৪) এটাও সহমত

৫) ২ আর ৫ একই কথা .

৬) অন্যের পরিবার বা পড়াশোনা নিয়ে কমেন্ট করতে চাই না। এত টুক বলতে পারি পড়াশোনা বেশি করলে আস্তিকতায় সন্দেহ আশা টা সাভাবিক।সঠিক পড়াশোনা মানুষ কে প্রশ্ন করতে সেখায় . সত্য কথা বলবে , গুরুজন কে সম্মান করবে, এগুলা সাধারণ মানবিক গুন . আসমান থকে নেমে আশা বই যাদের কাছে যাই নি কখনো তারাও এগুলা মেনে চলে, বা চলতে চেষ্টা করে .

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

পাপাই বলেছেন: ভাই বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা ভাবনা করে যদি নুহ এর নৌকা , বা সূর্য আরশের নিচে সেজদা যাওয়া etc etc এগুলার মানে বুঝতে না পারেন তবে কি ধরে নিবেন আপনি বুঝতে পারেন না বলে সৃস্টিকর্তার অস্তিত্ব সংকটাপন্ন। আমি ক্যালকুলাস ভালো বুঝিনা তাই বলে তো নিউটন এর ব্যাপারে আমার কনফিশন থাকবে সেটা তো বুদ্ধিভিত্তিক আচরন না।

আমরা হয়তো ভাবি সৃস্টিকর্তা আমাদেরই মতো একই স্ট্যার্ন্ডাড এর চিন্তা ধারার একটা বিষয়। যদি এই চিন্তা সঠিক হয় তাহলে তো সে বিশেষ কিছু না। সেক্ষেত্রে তার ব্যাপারে কনফিশন স্বাভাবিক।

আমার মতে সৃস্টিকর্তা খুবই বিশাল একটা বিষয়। তার চিন্তা ও কার্যপ্রনালী আমাদের মতো লিমিটেড চিন্তার মানুষের বুঝতে পারাটা খুব সোজা হবার কথা না।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২২

নরাধম বলেছেন:
@দিশার, আমার যদিও পরীক্ষা চলছে, তাই বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব না, পরে সময় হলে করব। তবে প্রশ্ন তুলেছেন, ধরে নিচ্ছি সিনসিয়ার প্রশ্ন, ক্যাচালের জন্য না, তাই কয়েকটা কথা বলছি।

সূর্য আরশের নিচে সিজদা দেওয়া ওটা হাদিস তাই না? সে বিষয়ে আমি বলতে চাচ্ছি না, আমার হাদিস নিয়ে আগ্রহ কম। আর হাদিসকে ডিফেন্ড করতেই হবে সেরকম কোন লজিক আমার ঠিক মনে হয় না, সে যাই হোক, সেটাতে যাচ্ছি না।

নুহ-এর নৌকার কোন সমস্যা দেখছি না। বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করতে পারলে নূহ-এর নৌকার বিশ্বাস করা অসম্ভব মনে করছি না, তাছাড়া কোরানের আর বাইবেলের নুহ (আঃ)-এর কাহিনীতে বড় রকমের পার্থক্য আছে, বেদে মনে হয় মনুর কাহিনীও কাছাকাছি। কোরানের নূহের প্লাবন সারা বিশ্বে একসাথে হইছে সেটা বলা হচ্ছে না, যেটা সায়েন্টিফিকালি অসম্ভব। যাই হোক এটাও আমার পক্ষে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না, আপনি সিনসিয়ার হলে নেটেই খুব ভাল আনসার পাবেন, একটু কয়েকদিন সিনসিয়ারলি খুঁজতে হবে।

৫০০ বছর আগে চীনে কাগজের ব্যবহার হলেও একত্ববাদ এক্সেপ্ট করা এবং তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটা আনকোরা জাতির দরকার ছিল, এটার সাথে মরুভূমির মানুষের জীবনযাপনের যোগসাজস আছে, কিছুটা ফিলজফিকাল আলোচনার দাবি রাকে এ বিষয়টা, এন্থ্রপলজিকাল ভিউপয়েন্ট থেকে এটাকে দেখা যায়, লম্বা আলোচনা হবে। চীনারা তো ইতিহাসে বড় একটা সময় ধরে ক্লোজড জাতি ছিল, এদের দ্বারা সারা বিশ্বে ধর্ম পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। তাছাড়া আরবের কালচারে মুখস্তবিদ্যাকে যেভাবে অত্যন্ত উঁচু স্থানের মনে করা হত, জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে মুখস্তবিদ্যার চর্চা করত, লম্বা লম্বা কবিতা মুখস্ত করত, সেটাকে প্রশংসা করা হত, নিজেদের পূর্বপুরুষের নামধাম, ইতিহাস মুখস্ত করত, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোরান সংরক্ষণে, তাদেরকে একত্ববাদর প্রতি কমিট করানোর জন্য তাদের লাইফস্টাইলটা কন্ডিউসিব ছিল। কোরানের সংরক্ষণের বড় অংশ মুখস্তের উপর, হাজার হাজার হাফিজ সম্পূর্ণ কোরাণ মুখস্ত করা এবং নিয়মিত সেটা নামাজে পড়া, রমজানে সেটার চর্চা এবং তারাবীতে পড়া এসব কোরানের সংরক্ষনের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। এসব বৈশিষ্ট্য আরব জাতির ছিল সেসময়, অন্য কোন জাতির ছিল না। শুধু লেখ্যরুপে সংরক্ষণ করলে সেটার অথেনটিসিটি নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ থাকত, এখন লেখ্যরুপ এবং হাজার হাজার কোরানে হাফেজের মারফতে সংরক্ষণটা অনেক বেশি অথেনটিক। আর আপনার ধারণা মুহম্মদ (সাঃ) সম্পূর্ণ কোরান সংকলন করে যান নি সেটা সত্য না, মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সময়ই সম্পুর্ণ কোরান লেখ্যরুপে ছিল, শুধু একই কাভারে ছিল না। তাছাড়া মুহম্মদ (সাঃ) মারা যাওয়ার আগের রমজানে জিবরাইল (আঃ)কে দুইবার মুখস্ত সম্পূর্ণ কোরান শুনিয়েছিলেন, এর আগে প্রতিবছর ১ বার শুনাতেন, হাজার হাজার হাফিজ রেখে যাওয়া ছাড়াও। মুহাম্মদ (সাঃ) মারা যাওয়ার পরপরই আবু বকর (রাঃ) ইয়ামামার যুদ্ধের পর কোরানকে সম্পুর্ণ বই আকারে সংকলন করে গিয়েছেন, তাই মুহম্মদ (সাঃ)-এর মৃত্যুর অনেক বছর পর সংকলন হয়েছে সেটাও সত্য না। পরে উসমান (রাঃ)-এর আমলে অফিসিয়ালি সংকলন করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা কিন্তু হাজার হাজার হাফিজ রেখে যাওয়া, কোরআন সংকলনের যারা নানারকম মিথ্যা কাহিনী বানায় তারা মেজরিটি অমুসলিম, তাই তারা কোরানে হাফেজ জিনিসটা তাদের মাথায় ঢুকেনা, তারা তো আর তারাবী পড়েনি, তাই এরকম হাজার হাজার লোক একটা বইয়ের কাভার-টু-কাভার প্রত্যেকটা শব্দ-বাক্য-চাপ্টার এভাবে মুখস্ত করা যায় সেটা তাদের মাথায় আসে না, এজন্যই তারা লেখ্যরুপ নিয়ে এত বেশি জলঘোলা করে। আপনি মুসলমান হলে জানতেন/জানেন দশজন হাফিজকে একসাথে করলেই সম্পূর্ণ কোরান সকলের সম্মতিতেই পূনরুদ্ধার করা সম্ভব। কোরানে সংকলনে কোন ধরণের গোজামিল থাকলে শিয়া-সুন্নি বিরোধের মত এটার উপর ভিত্তি করে কমপক্ষে হাজারটা আরো সেক্ট থাকত, যাদের প্রত্যেকের একটা করে কোরানের কপি থাকত।

তবুও এটা লম্বা আলোচনা এবং একজন মুসলিম শেষ পর্যন্ত আল্লাহ কোরান সংরক্ষণ করবেন বলে বলেছেন, সেটাই বিশ্বাস করা জরুরী।

পড়াশোনা বেশি করলে আস্তিকতায় সন্দেহ আসা স্বাভাবিক এটাও কোন যুক্তি না। এসব ব্যক্তির পারসোনালাটি টাইপ এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। ঢের পড়াশুনা করা লোক মাজারে মাজারে সিজদা দেয়। ধন্যবাদ, পরে সময় করে একদিন আলোচনা করব।


১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

পাপাই বলেছেন: ব্লগার দিশার এর মন্তব্যের উত্তর দেবার চেস্টা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫১

দিশার বলেছেন: @নরাধম। ধন্যবাদ ভাই। কেচাল পসন্দ করি না . বিবর্তনবাদ এর সাথে, নুহ এর নৌকায় কিভাবে সম্পর্কিত বুজলাম না।বিবর্তনবাদ কোন "বিসসাস" নয় ভাই। প্রমাণিত সত্য। নৌকা নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে। প্লিজ কষ্ট করে চলুন ওখানে আলোচনা করি .

আপনি বলেছেন : তাছাড়া মুহম্মদ (সাঃ) মারা যাওয়ার আগের রমজানে জিবরাইল (আঃ)কে দুইবার মুখস্ত সম্পূর্ণ কোরান শুনিয়েছিলেন, এর আগে প্রতিবছর ১ বার শুনাতেন,এটা মেনে নিলে তো আপনার সাথে আমার কোন তফাত থাকে না . এটা যেহেতু প্রমান সম্ভব না তাই এটা নিয়ে কথা নাই বললাম। ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে বা লজিক এর ভিত্তি তে কথা বলি আসেন .

প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার জ্ঞান হয়ত আমার সাথে একটু পার্থক আছে যে, আবু বকর(র) বই আকারে সংকলন করে গেলে , কেন ওসমান (র) আবার করলেন ? করে সমস্ত কপি পুড়িয়ে দিলেন নিজের কপি ছাড়া ?যে কমিটি তে নবীর সার্বক্ষণিক সাহচর্যে থাকা আলী (র) কে রাখা হল না ? যেখানে হাদিসে এসছে আলী(র) জ্ঞানের দরজা . ( উত্তর যাতে অন্য কেও কখন ও কোরান কে চেঞ্জ না করতে পারে, বা বিভিন্ন ভার্সন না পাওয়া যায় , তাই তো ?) তাহলে আপনিও দেখুন লিখিত ভার্সন এর ক্ষমতা।আমাদের লাছে কিন্তু ওসমান গনির করা কোরান এর ভার্সন . সারা পৃথিবীতে তাই . একবার লেখা হয়ে গেলে, সেই বই আর চেঞ্জ করা যায় না .আপডেট বা এদিতেদ না করলে। যেমন দেখেন হাজার হাজার বছর আগে লেখা হোমার এর ইলিয়াদ অডিসি কিন্তু এখনো অরিজিনাল ভার্সন একই রয়ে গেছে . যেখানে চীন দেশ য়ে কাগজের বই ছাপা হচ্ছে কোরান নাজেল এর প্রায় ৫০০ বছর আগে , এবং আজ আমরা হাজার বছর পুরান চীন ভাষায় লেখা বই পাচ্ছি, একটা হরফ এদিক সেদিক না করে . যেখানে কোরান এর শিক্ষক বসে আছেন সয়ং , দশ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন , সেখানে হাফেজ দের মুখস্ত আছে যদি তার বিবেচনা হয়, তাহলে কি তিনি ওমর , আবু বকর এর চাইতে কম দূর দৃষ্টি সম্পন্ন? অব্যশই না .(নাউজুবিল্লাহ) . মোহাম্মদ (স) জীবিত থাকা অবস্থায় কোরান সংকলন লিখিত আকারে করে গেলে সেটা যে "বেস্ট" হত এটা আশা করি স্বীকার করবেন। তাহলে আমাদের বুখারি হাদিস পেতে হত না যে, কোরান এর অমুক আয়াত (রজম সংক্রান্ত) এখন কোরান য়ে নাই, কারণ ছাগল খেয়ে ফেলসে বালিশের তলা হতে।

ভাই আমি নিজে বহু বত্সর আমার ভাই এর পিছনে দাড়িয়ে তারাবি পরেছি . উনি সারা সকাল ধরে বার বার পড়ত কোরান যাতে রাতে বলতে পারে , এবং সাথে স্ট্যান্ডবাই দু জন হাফেজ আলাদা থাকত যাতে ভুল হলে লোকমা দিতে পারে। হাফেজ কি, কিভাবে হয় ভালই জানি .

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১১

দিশার বলেছেন: কারেকশন, বোখারী নয়, উপরের বর্ণিত হাদিস টি , সুনান ইবন মাজাহ হাদিস নাম্বার ১৯৩৪.

এবং আরো সম্পুরক দেখুন সহিহ বোখারী হাদিস ভলিউম ৮ বই ৮২ নাম্বার ৮১৬
Umar said, "I am afraid that after a long time has passed, people may say, "We do not find the Verses of the Rajam (stoning to death) in the Holy Book," and consequently they may go astray by leaving an obligation that Allah has revealed. Lo! I confirm that the penalty of Rajam be inflicted on him who commits illegal sexual intercourse, if he is already married and the crime is proved by witnesses or pregnancy or confession." Sufyan added, "I have memorized this narration in this way." 'Umar added, "Surely Allah's Apostle carried out the penalty of Rajam, and so did we after him."

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

দিশার বলেছেন: @নরাধম ভাই, মুসলমান হয়ে বাচতে হলে হাদিস কে ডিফেন্ড না করে উপায় নাই . কোরান বহু বার সালাত এর কথা বলা থাকলেও, কিভাবে সালাত পড়তে হবে তা এক মাত্র হাদিস গ্রন্থ থকে পাচ্ছেন। এমন বেশির ভাগ জিনিস কোরান যে ইঙ্গিত করা আছে যা কিনা একমাত্র হাদিস থেকে আপনি পূর্ণ নিয়মাবলী পাবেন . হাদিস ছাড়া ইসলাম ধর্ম পালন করা কিভাবে সম্ভব আমার জানা নেই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

পাপাই বলেছেন: Ai comment e Agree with blogger দিশার ..............

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

নরাধম বলেছেন:
আমার আসলেই সময় নেই এখন, এটা অনেক লম্বা বিতর্ক, দিনের পর দিন লেগে যাবে। তবুও বলছি ধর্মগ্রন্থ সংরক্ষণ রাখা আর ইলিয়াদ সংরক্ষণে রাকা একই ব্যাপার না, ইলিয়াদ বিকৃত করার মধ্যে কোন স্বার্থ নেই, ধর্মগ্রন্থ বিকৃত করার মধয়ে প্রচুর রাজা-মহারাজ-জাতির স্বার্থ আছে, তাই ইলিয়াদ বিকৃত হয়নাই সেটা কোন যুক্তি না। বাইবল ১৬০০ সালে এসেও কিং জেইমস ভার্সন এসেছে, তখন কাগজের কমতি ছিল না, তার মানে কাগজে লিখলেই ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হবে না সেটা সত্য না।

আর আলী (রঃ)-এর টা ব্যক্তিগতভাবে তিনি সংরক্ষণ করেছিলেন নাযিলের ধারা অনুসারে, সেখান থেকেই আসলে কোনটার পরে কোনটা নাজিল হইছে সেটা অনেকেই পেয়েছে। যদ্দুর জানি আলী (রাঃ) নিজে কোনদিন কোরান সংকলন নিয়ে কোন ঝামেলা করেন নি, তাঁর শাসনামলে কোরানের সংকলন নিয়ে কোন কাজ করেননি, যদি তাঁর দ্বিমত থাকত তাহলে তাই করতেন, তাই ওসব বাকওয়াজ যুক্তি দিয়ে লাভ নেই। আলী (রাঃ) এবং অন্যান্য সাহাবাদের সাথে কোন ধরনের ঝগড়ায় যেতে চাইনা আমি, সেটা একদমই অগুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু মনে করি।

আর আমার হাদিস নিয়ে কিছুটা এলার্জি আছে, যদিও হাদিসকে অস্বীকার করা সম্ভব না, কিন্তু হাদিস শাস্ত্রে আমার জানাশুনা একদমই কম, আগ্রহও কম। বোখারীর ওসব হাদিস নিয়ে মেহেদী হাসান পরাগের পোস্ট দেখেন, বিস্তারিত জানতে পারবেন, আমি যদিও তাঁর সব মতামতের সাথে একমত পোষণ করি না, কিন্তু তাঁর লেখায় ব্যাপক খাটাখাটুনি আছে এবং অনেক বিষয়ের সাথে একমত আমি।

উইকিপিডিয়া যদিও নির্ভরযোগ্য কোন কিূ না, তবুও সেটাও দেখতে পারেন, আপনার তথ্যে কিছুটা ভুল আছে যেটা আমি উল্লেখ করেছি।

আর আপনি আসলেই যদি সম্পূর্ণ হিস্টরি জানতে চান, সবগুলো দিক থেকে কম্প্রিহেনসিভলি আলোচনাটা পড়তে চান, সায়েন্টেফিক মেথড ফলো করে সিদ্ধান্তে আসতে চান তাহলে এই বইটা কিনতে পারেন।

Click This Link


আমি জুন মাসেই ইনশাআল্লাহ দেশে আসব, আপনি চাইলে বা একমত হলে, আমি নিজেই আপনার জন্য একটা কপি আনতে পারি ফ্রি এবং আমার সাথে আপনার দেখাও করতে হবে না, আপনি আমাকে আপনার এডরেস দিলে আমি ঢাকায় গিয়ে সে এডরেসে পোস্ট করে দিব। এটা অবশ্যই আপনি যদি সিনসিয়ারলি স্টাডি করতে চান, যদি ক্যাচাল করতে চান তাহলে আলাদা কথা। অনকে ধন্যবাদ। আপনি যদি এটার কপি আমার কাছ থেকে চান, তাহলে আমাকে আমার ইমেইল এডরেসে আপনার ঠিকানা পাঠিয়ে দেবেন। [email protected]

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

নরাধম বলেছেন:

আপনি ভুল বুঝেছেন, আমি হাদিস অস্বীকার করি না, কিন্তু অর্থডক্সির যে ধারণা হাদিস নিয়ে সে ধাঁরণার সাথে একমত না আর কি, তবে আমি কোরান অনলি-ও না। আল্লহ আমাদের সঠিক পথ দেখাবেন, আমিন!

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

নরাধম বলেছেন: দিশার, আমি আপনার উত্তরের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি, আপনি ব্যস্ত হয়ত বা। আমার মন্তব্য পড়ার পর আপনার প্রতিক্রিয়া আমার ব্লগে জানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

দিশার বলেছেন: @নরাধম। জি ভাইয়া আপনার কথায় যুক্তি আছে যে ইলিয়াড চেঞ্জ করার কোন মোটিভ আমাদের নাই কিন্তু দেখেন বাইবেল কিন্তু বলে কয়ে এদিতেদ এবং চেন্জ . এখন লজিক য়ে আসি , আপনি দশ জন হাফেজ এর কাস থেকে মুখস্ত কোরান বেশি বিসসাস করবেন না নবীজির সয়ং কম্পাইল করা কোরান (যা ওসমান করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে স্পন্সর করেছেন) সেটা বেশি বিসসাস করবেন? দেখেন আমি কিন্তু আপনার সাথে একমত হচ্ছি যে ওসমান (র) যে কোরান সংকলন করেছেন , বই আকারে হওয়াতে আজ তা একই রকম রয়ে গেছে। কেউ ইচ্ছা করলেও বিকৃত করা সম্ভব নয়।

আর আলী (র) এর সাথেকোরান সংকলন কমিটি তে না থাকা নিয়ে অবশ্যই প্রমাণিত কনফ্লিক্ট এর ইতিহাস পাওয়া যায়। সুধু ইসলামী ইতিহাস ঘটলেই নয়, হাদিস এই বহুবার উঠে এসেছে।ভাই কোরান কিভাবে থাকলে ভালো হত তা হয়ত আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান যে বুঝে উঠতে পারছি না . কিন্তু আপনিই যুক্তি দিচ্ছেন যে সুধু হাফেজ দ্বারা কোরান সংরক্ষণ সেফ না হওয়াতে , সাহাবী রা কোরান লিখিত ভাবে সংরক্ষণ এর বেবস্থা নেন , তাহলে এই উদ্যোগ তো কোরান এর মূল শিক্ষক, বা যার কাছে কোরান "রিভিল্ড " হয়েছে তার নেয়া উচিত? কি বলেন ?

আর খলিফা আবু বকরের নিজের প্রচন্ড অনীহা ছিল কোরান বই আকারে সংরক্ষিত করা নিয়ে, তিনি বার বার বলতেন , যে কাজ নবী মোহাম্মদ করে যান নি বা নির্দেশ দিয়ে যান নি , সেটা আমি করে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে যায় সেটার দায় ভার কে নিবে ? ওমর (র) এর চাপাচাপি তে কোরান সংকলিত করার বেবস্থা হয়।

পড়ুন হাদিস সংকলন এর ইতিহাস , মৌলানা আব্দুর রহিম
হাদিস নিয়ে তর্ক করার জ্ঞান আমার নাই ভাই, এতুটুক বলতে পারি , নিজের বিসসাস এর সাথে সংঘর্ষ হয় এমন হাদিস দেখলে সেটা বাতিল ভাবা তা নিশ্চয় নিরপেক্ষ নয়।

আমি আবার ও বলছি আমার জ্ঞান সীমিত , এক লক্ষ্য হাদিস সনদ সহ বলতে পারলে হয় শায়খুল হাদিস . সেখানে আমি একটাও বলতে পারি না . এই জ্ঞান নিয়ে ধর্মের সমালোচনা করতে আশা টা বোকামি।

কিন্তু যা জানি , বা যা বাংলাদেশ এর ধর্মীয় পরিমন্ডল যে আলোচনা হয়, তা থেকে বলতে পারি , গোজামিল দেয়ার একটা প্রচেষ্টা আছে ইতিহাস য়ে . যাই হোক আই এম ওপেন টু যে কোন আলোচনা। কিন্তু আলোচনার গন্ডি আগে নির্ধারণ করে দিতে হবে ভাই, নাইলে ধর্মের আলোচনা করতে গেলে কোন কথা থকে মানুষ কই চলে যায় দেখতে পারছেন !

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

দিশার বলেছেন: @নরাধম . ভাই বইটি পিডিএফ পেলে আমাকে লিংক দিবেন। নামিয়ে নিব। এত দামী বই কেনার সামর্থ আমার নেই । আপনি চাইলে আমার জন্য ডকিন্স এর নতুন বইটা আনতে পারেন হাহা . জাস্ট কিডিং .

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

নরাধম বলেছেন:
ডকিন্সের বই কোনটা চাচ্ছেন?

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

নরাধম বলেছেন: আর সামর্থ্য না থাকলে সমস্যা তো নাই, আমি তো আপনাকে ফ্রি দিতে চাচ্ছি।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

নরাধম বলেছেন:
"কিন্তু আপনিই যুক্তি দিচ্ছেন যে সুধু হাফেজ দ্বারা কোরান সংরক্ষণ সেফ না হওয়াতে , সাহাবী রা কোরান লিখিত ভাবে সংরক্ষণ এর বেবস্থা নেন , তাহলে এই উদ্যোগ তো কোরান এর মূল শিক্ষক, বা যার কাছে কোরান "রিভিল্ড " হয়েছে তার নেয়া উচিত? কি বলেন ? "


আমি এরকম যুক্তি দিচ্ছি না। ইয়ামামার যুদ্ধে প্রচুর হাফেজ শহীদ হোন, সেজন্যই ওমার (রাঃ) ভয়ে পেয়েছিলেন এরকম সামনে যুদ্ধে যদি আর অনেক হাফিজ শহীদ হয়ে যান তখন কোরআন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কোরান পৌছানো কঠিন হয়ে যাবে, সেজন্যই কোরানের একসাথে একই জায়গায় সংকলন, লেখ্যরুপে রাসুল (সাঃ)-এর সময়েই সংকলিত হয়েছিল, শুধু একজায়গায় ছিল না।

যাই হোক এসব ইস্যু এবং আরো অনেক ইস্যু, যত ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, যা গত অনেক শত বছর ধরে অরিয়েন্টালিস্টরা করে আসছিল, সব প্রশ্নের ডিটেইলড উত্তর উল্লেখিত বইতে আছে, আপনাকে একটা বললে আপনি আরেকটা প্রশ্ন আনেবন, এই হাদিসের কথা বললে আরেক হাদিসের কথা বলবেন, সেজন্যই সবকিছু একসাথে নিয়ে কম্প্রিহেন্সিব স্টাডির জন্য বইটা পড়তে পারেন, যদি জানার ইচ্ছে থাকে, আর না থাকলে খালি ক্যাচাল করবেন, আমার আপনার সব ক্যাচালের জবাব দিয়ে আপনাকে ঈমানদার বানানোর কোন ইচ্ছে নেই। আপনাকে আমি ফ্রিতে বই দিতে চাচ্ছি, দরকার হলে ডকিনসের বই-ও ফ্রি এনে দিব, আপনি যদি চান, সমস্যা নেই। আমি ধনী না, একজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট, পিএইচডি করছি, কিন্তু আপনার জন্য ১০০ ডলার খরচ করতে আমার আপত্তি নেই। ধন্যবাদ।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২১

দিশার বলেছেন: ভাই আমি এমনি বলেছি! ডকিন্স এর বই লাগবে না। বেশির ভাগ পিডিএফ পাওয়া যায়। আপনি আমার জন্য টাকা খরচ না করে, পিডিএফ লিংক দিয়েন। অবস্য পড়ব . ইতিহাস পড়তে আমার ভালো লাগে।

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার অনেক কথাই ভাবের ওপর মারছেন। প্রয়োজনীয় উদাহরণ দেননি। যাউক গা।
আমাদের তো মানবিক বিবেকবোধই তৈরি হয় নি। এরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করলেই বা কি আর না করলেই বা কি আসে যায়।
আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

পাপাই বলেছেন: ভাব প্রকাশই আমার উদ্দেশ্য ছিল। চারদিকে এত্ত এত্ত উদাহরন এর পর আরো উদাহরন দিয়ে কি পোস্টটা বড় করতে চাই নাই।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: "গুরুজন কে সম্মান করবো"
অদ্ভূত কথা। আমাদের সমাজ অনেক ভণ্ডামি শেখায়। গুরুজনকে সম্মান করো এই কথাটা খুবই ফালতু কথা। বলা উচিত, ভালো মানুষদের সম্মান করো।
গুরুজন যতো বারোচুদাই হোক না কেন, সম্মান করবো? কি অদ্ভূত কথা।
যাউকগা লেখাটা পড়ুন । মজা পাবেন।
Click This Link

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

পাপাই বলেছেন: একটা ভাবসম্প্রসারন পড়েছি " দূর্জন বিদ্ধান হলেও পরিত্যাজ্য "

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

নরাধম বলেছেন:
@দিশার, আপনার আসলে জানার ইচ্ছে আছে কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে, ক্যাচাল করাটাই আপনার উদ্দেশ্য হতে পারে। এই বইটা সেভাবে জনপ্রিয় কোন বই না, শুধু এ বিষয়ে যারা আগ্রহী তারাই পড়ার চেষ্টা করবেন, তাই সফট কপি থাকাটা অত যুক্তিসংগত না। আপনার এ বিষয়ে আগ্রহ আছে জেনে নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে আপনাকে বই কিনে দিতে চাচ্ছি, আমার নিজের সেখানে কোনই লাভ নেই, তবুও আপনি সেটা চান না, কারন সেটা পড়লে আপনি আবার এত সব বাকওয়াজ প্রশ্ন হয়ত করতে পারবেন না, ক্যাচাল লাগাইতে পারবেন না, কোরান সংরক্ষিত আছে সেটা জানলে আপনার বর্তমান বিশ্বাস মাইর খাইতে পারে সে ভয়ও পাচ্ছেন, অথচ আমি মুসলিম হয়ে ডকিনসের বই পড়তে কোন সমস্যা দেখইনা, গড ডেলুশান আমি দুইবার পড়েছি। অথবা এতবড় বইও হয়ত পড়তে চাচ্ছেন না, জানার আগ্রহ থাকলে পড়তে চাইতেন, ক্যাচালের আগ্রহ থাকলে পড়বেন না, ব্লগে এসে প্রশ্ন করবেন ইতং বিতং যেন লোকজনের ঠেকা পড়েছে আপনাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সব ঠিক করে দেয়ার। এই বিষয়ে যেহেতু আপনি পড়তে চাচ্ছেন না, আশা করি আর কোরানের সংকলন নিয়ে ফালতু প্রশ্ন করবেন না ব্লগে। ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে সুখী করুক এবং সঠিক বুঝ দান করুক, আমিন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.