নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী আসামের নেলি https://www.youtube.com/watch?v=599LmFwHJwU

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৩

বঙ্গভঙ্গ সংঘটিত হয়েছিলো ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে। তার ফলশ্রুতিতে পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) ও আসাম মিলে গঠিত হয়েছিলো পূর্ববঙ্গ-আসাম প্রদেশ। বঙ্গভঙ্গ রদ হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে। অর্থ্যাৎ পূর্ববঙ্গ ও আসাম ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত একীভূত ছিলো। কিন্তু এখন যা আসাম তার একটা বড় অংশ পূর্বকাল থেকেই বাঙ্গলার অংশ ছিলো। ইংরেজগণ বৃহত্তর গোয়ালপাড়া অঞ্চল ও কাছাড় লাভ করে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাঙ্গলা অধিকারের সময়। কিন্তু তারা আসাম অধিকার করে ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে। এরপর তারা ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে বাঙ্গলার বৃহত্তর গোয়ালপাড়া অঞ্চল ও কাছাড় আসামের সাথে যুক্ত করে দেয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সময় কাছাড়ের কিছু অংশ সিলেট জেলা হিসাবে পাকিস্তানে ফেরত আসে। কিন্তু বৃহত্তর গোয়ালপাড়া অঞ্চল আসামের অংশ হিসাবে রয়ে যায়।

ইংরেজদের রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে পূর্ববঙ্গ ও আসাম মিলে যখন নতুন প্রদেশ গঠিত হয়, তখন থেকে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বহু মুসলমান ও হিন্দু অভিবাসনের মাধ্যমে আসামের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাথে যোগ দেয়। কিন্তু ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭২ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে আসামের মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপর সংঘটিত হয় এক মহাহত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাযজ্ঞ নেলি হত্যাযজ্ঞ নামে অভিহিত। নেলি হত্যাযজ্ঞ উইকিপিডিয়া নিম্নরূপ ভাবে তুলে ধরেছে।

নেলি হত্যাযজ্ঞ বা নেলি গণহত্যা ভারতের অসমে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়-ঘণ্টাব্যাপী সংঘটিত এক হত্যাযজ্ঞ। এই গণহত্যা কেড়ে নেয় নগাঁও জেলার ১৪টি গ্রামের[— আলিসিংহ, খুলাপাথর, বসুন্ধরি, বুগ্দুবা বিল, বুগ্দুবা হাবি, বর্জলা, বুতুনি, ইন্দুরমারি, মাটি পর্বত, মুলাধারী, মাটি পর্বত নং ৮, সিলভেতা, বর্বুরি এবং নেলির ২,১৯১ জন মানুষের (বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি) জীবন। আক্রান্তদের অধিকাংশ ছিলেন বাংলাভাষী মুসলমান, যারা ঐ অঞ্চলে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন এমন অভিযোগ ছিল। ঐ অঞ্চল পরিভ্রমণকারী একদল গণমাধ্যম কর্মী এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। পরবর্তীকালে শুভশ্রী কৃষ্ণান পিএসবিটি ইন্ডিয়া দ্বারা প্রযোজিত একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। সেখানে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে যারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তারা দেখিয়েছেন যে তাদের কাছে নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি ছিল। এই হত্যাযজ্ঞ ছিল ১৯৮৩ সালের অসম আন্দোলনের (Assam Agitation) মধ্যবর্তি কুখ্যাত নির্বাচন চলাকালীন অনেকগুলো লোমহর্ষক ঘটনার মধ্যে অন্যতম।


এই হত্যাযজ্ঞটি What the Fields Remember প্রামাণ্য চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে

https://www.youtube.com/watch?v=599LmFwHJwU

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

রাজীব নুর বলেছেন: লিংক সঠিক করে দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.