![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .
সকালে কালামুখা তলতার হাঁকডাকে ঘুম ভেঙে যায়। বিষয় কী ? বিষয় বাসায় চোর এসেছিল, সে জেগে যাওয়াতে চোর বাথরূমের বদনা ছাড়া আর কিছু নিতে পারে নি। কিন্তু বাবা মর্নিংওয়াকে বেরবার সময় দেখেন তার ছড়ি নেই ? নাস্তার পর মা দেখেন তার পানেরবাটা নেই ? ভাইয়া বাহিরে যাবার সময় তার জুতো জোড়া খুঁজে পায় না ? দুপুরের রান্না চড়াতে গিয়ে আপা রান্নাঘরে কোন মশলাপাতিই খুঁজে পায় না ? এভাবে সকাল এগারটা বাজতে বাজতে পুরো বাসা জুড়ে এক অরাজক ও বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং এই গায়েবি চুরি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা, পর্যালোচনা, বাদ-প্রতিবাদ, তর্কাতর্কি শেষে বিতণ্ডা। তবে এই অরাজক, বিশৃঙ্খল অবস্থায় আমি মাথা ঠান্ডা রাখি। রাখি দুটো কারণে - প্রথমত আমার কিছু খোয়া যায়নি ( কারণ আমার সব ট্রাঙ্কে তালা দেওয়া ছিল ), দ্বিতীয়ত এ অবস্থার মাঝে যতটুকু সম্ভব ফায়দা তুলতে হবে, গোলায় তুলতে হবে ফসল, অনেকটা মুরগির রানটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত নিজের করা আর কী।
কিন্তু কালামুক্ষা তলতা বদমাশের জন্য মাথা বেশিক্ষণ ঠান্ডা রাখা যায় না।
‘চোর ছোট ভাইয়ের কিছু নিছে নি?’ বলে সে সবার দৃষ্টি আমার দিকে ফিরিয়ে দেয়। সবার দৃষ্টির মাঝে মাছ ধরাতো দূরে থাক, নিজেই ডাঙায় তোলা ফোটকা মাছের মত খাবি খেতে থাকি। হঠাৎ মুঠোতে রিংয়ের উপস্থিতি পাই, মুঠ শক্ত করি। সাথে সাথে রিং গরম হয়ে উঠে, উঠে আমার রক্তও। বুকে অন্য ধরনের এক বল পাই, রিংটা আঙুলে ঘুরাতে ঘুরাতে বলি,‘ভিতর থেকে দরজা তালা দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম, চোর আমার কিছুই নিতে পারেনি।’ শুনে সবাই আমার বুদ্ধির তারিফ করে। শুধু কালামুখা আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকে। কালামুক্ষার জন্য তো দেখছি সত্যিই মাছ ধরা যাবে না।
বসবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসি, এসেই রিংটা হারিয়ে ফেলি। সাথে সাথে বাড়িশুদ্ধ সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলি রিংটা খোঁজার জন্য। কিন্তু অকর্মারঢেঁকি পরিবারের লোকজন রিংটা খুঁজে পায় না বরং রিং খুঁজতে গিয়ে বাসার অরাজক অবস্থা আরো অরাজক অবস্থায় নিয়ে যায়। শেষে রিংটা আমিই খুঁজে পাই, পাই আমার প্যান্টের পকেটে। ( অসমাপ্ত )
©somewhere in net ltd.