![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুমতি ব্যতীত কেহ আমার গল্প বা গল্পের অংশ এবং নাটক বা নাটকের দৃশ্য বা সংলাপ বা সংলাপের অংশ কোখায়ও ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। -- রাজু সিদ্দিক .
কড়া নাড়ার শব্দে সাদেক সাহেব দরজা খুলে আমাকে দেখে বিস্মিত হন। আমি ছালাম দিয়ে হাসি মুখে বলি,‘প্রায়ই ভাবি আপনাদেরকে এক দিন বাসায় দাওয়াত দিব, বিভিন্ন ঝামেলায় দেওয়া হয়নি। কিন্তু আজ আমি নিজেই আপনার বাসায় দাওয়াত খেতে চলে এলাম।’
আমার নিজস্ব দাওয়াত প্রাপ্তির প্রয়াসে সাদেক সাহেব ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান। তিনি আমতা আমতা করে কিছু বলেন, কি বলেন বুঝা যায় না, তবে শোনা যায়, যা শোনা যায় তা অনেকটা এরকম,‘ইয়ে আ ! মানে, কী ? না, ও ! না, না, আ-আচ-আচ্ছা, ইয়ে, না ?’
তাঁকে এই ভ্যাবাচেকা অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য একটা কিছু বলতে গিয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলি,‘আজ গিলা-কলিজা রান্না হয়েছে, না ?’
সাদেক সাহেব ভ্যাবাচেকা অবস্থা থেকে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থায় চলে যান, তিনি হাঁ হয়ে থাকেন ।
বুঝতে পারি তীরটা জায়গা মত লেগেছে। তালগাছে কাক বসা মাত্র তালের পতন-এটা হলো কাকতালীয়, আর এখানে আমার মুখ ফসকানো কথাটা হলো কাকগীলায়। সাদেক সাহেব ততক্ষণে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে জানতে চান, ‘আপনি কীভাবে জানলেন ?’
‘কাক বলেছে,’ কোন কিছু না ভেবেই উত্তর দেই।
‘মানে ?’ সাদেক সাহেব ভ্রূ কুঁচকান।
সাথে সাথে বুঝতে পারি কৌশলগত একটা ভুল করে ফেলেছি। ( অসমাপ্ত )
©somewhere in net ltd.